হারারে
জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ জয় ভারতের
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে স্বাগতিক জিম্বাবুয়েকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিয়েছে সফরকারী ভারত।
শনিবার হারারে স্পোর্টস ক্লাবে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। ব্যাট করতে নেমে ৩৮.১ ওভারে ১৬১ রানে অলআউট হয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। জবাবে ২৫.৪ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে ভারত।
জিম্বাবুয়ের পক্ষে শন উইলিয়ামস ৪২ এবং রায়ান বার্ল অপরাজিত ৩৯ রান করেন। ভারতের পক্ষে পেসার শার্দুল ঠাকুর ৩৮ রানে তিন উইকেট শিকার করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই অধিনায়ক কেএল রাহুলকে হারায় ভারত। এরপর অভিজ্ঞ ওপেনার শিখর ধাওয়ান এবং শুভমান গিল দুজনেই ৩৩ রান করে করেন।
উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান সঞ্জু স্যামসন ৩৯ বলে অপরাজিত ৪৩ রান করে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন।
এর আগে প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকদের ১০ উইকেটে হারিয়েছিল ভারত। এর ফলে তিন ম্যাচের সিরিজে ভারত ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল।
একই মাঠে সোমবার দু’দলের মধ্যে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
পড়ুন: সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার শ্রীরামকে টি-টোয়েন্টি দলের পরামর্শক নিয়োগ
নাঈমের সেঞ্চুরিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজে জয় পেল বাংলাদেশ
২ বছর আগে
৩য় ওয়ানডে: হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচেও বুধবার হারারে স্পোর্টস ক্লাবে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমেছে বাংলাদেশ। চলমান ওয়ানডে সিরিজে টস জিতে তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছে স্বাগতিকরা।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে হেরে যাওয়ায় আজ টাইগারদের চোখ রাঙাচ্ছে হোয়াইটওয়াশ।
প্রথম ম্যাচে ৩০৩ ও দ্বিতীয় ম্যাচে ২৯০ রান করে বাংলাদেশ। দু’ম্যাচেই স্বাগতিকরা পাঁচ উইকেট জয় তুলে নেয়। উভয় ম্যাচেই জিম্বাবুয়ের অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা দুর্দান্ত শতক হাঁকান।
লিটন দাস ইনজুরিতে পড়ায় নিজেদের সেরা একাদশ নিয়ে মাঠে নামতে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ।
আজকের ম্যাচটি বাংলাদেশের ৪০০তম ওয়ানডে। যুগান্তকারী এই অর্জনে জয় পেতে মরিয়া তামিম ইকবাল বাহিনী।
বাংলাদেশ একাদশে আজ দুটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদের জায়গায় এবাদত হোসেন ও মুস্তাফিজুর রহমান একাদশে সুযোগ পেয়েছেন।
সিকান্দার রাজা আজ জিম্বাবুযয়ে দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), এনামুল হক, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম (উইকেট রক্ষক), মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, এবাদত হোসেন, হাসান মাহমুদ, মুস্তাফিজুর রহমান
জিম্বাবুয়ে একাদশ: তাদিওয়ানাশে মারুমানি, তাকুদজওয়ানাশে কাইতানো, ইনোসেন্ট কাইয়া, ওয়েসলি মাধভেরে, সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ক্লাইভ মাদান্দে (উইকেট রক্ষক), টনি মুনয়োঙ্গা, লুক জংওয়ে, ব্র্যাড ইভান্স, ভিক্টর নিয়াউচি, রিচার্ড এনগারাভা
পড়ুন: ৯ বছর পর বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জয় জিম্বাবুয়ের
২ বছর আগে
৯ বছর পর বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জয় জিম্বাবুয়ের
বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে আরেকটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে রবিবার হারারেতে জিম্বাবুয়েকে ঐতিহাসিক সিরিজ উপহার দিলেন সিকান্দার রাজা।
বাংলাদেশের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ে শেষ ওয়ানডে সিরিজ জয় করেছিল ২০১৩ সালে। দীর্ঘ নয় বছর অপেক্ষার পর, তারা আবারও বাংলাদেশের বিপক্ষে একটি ওয়ানডে সিরিজ জিতল এক ম্যাচ হাতে রেখেই।
রবিবারের ম্যাচে দ্বিতীয়বার টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অপরাজিত ৮০ রানে ৯ উইকেটে ২৯০ রান তোলে তারা।
সফরকারীরা ভালো শুরু করলেও মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা তাদের ইনিংসের শুরুটা ভালো করেও ধরে রাখতে পারেনি।
বাংলাদেশের ২৯০ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে ২৭ রানে তিন উইকেট হারিয়েছে। তাদের প্রথম তিন উইকেটের মধ্যে দুটি নিয়েছিলেন ডানহাতি পেসার হাসান মাহমুদ যিনি এই সিরিজে প্রথম ম্যাচ খেলছিলেন।
চতুর্থ উইকেটে জিম্বাবুয়ে যোগ করে ২২ রান। চতুর্থ উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। এই সিরিজে প্রথম ম্যাচ খেলেন এই বাঁহাতি স্পিনার।
দর্শকদের জোড়া শতক উপহার দিয়েছে রাজা ও চাকাভা। রাজা সিরিজের প্রথম ম্যাচেও সেঞ্চুরি করেছিলেন যা জিম্বাবুয়েকে ৯ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম জয়ের পথ সুগম করতে সাহায্য করেছে। এই সেঞ্চুরিই ৩০০ রানের বেশি রান তাড়া করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তাদের প্রথম জয় ছিনিয়ে আনে।
স্বাগতিকরা ম্যাচটি শেষ করে পাঁচ উইকেটে ২৯১ রান করে।
বাংলাদেশের পক্ষে হাসান মাহমুদ ও মেহেদি হাসান মিরাজ নেন দুটি করে উইকেট।
ম্যাচের পর চাকাভা বলেন, ‘সিরিজ জয় একটি বিশাল অর্জন। আমরা ভালো ক্রিকেট খেলছি। সিরিজ জিতে সত্যিই ভালো লাগছে। আমরা ইতিবাচক ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করছি। কোচ আমাকে এটাকে গভীরভাবে নিতে বলেছেন এবং আমি ইতিবাচক ব্যাটিং করেছি। আমাদের আবার ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে, শেষ ম্যাচেও আমরা জিততে চাই।’
এর আগে, ভালো সূচনা হলেও বাংলাদেশ ৯ উইকেটে ২৯০ রানে শেষ করে। টাইগাররা তাদের ইনিংসের ভালো সূচনা নিশ্চিত করার পর মাঝের ওভারে কয়েকজন ব্যাটসম্যান আউট না হলে আরও কিছু রান করতে পারত।
তামিম ইকবাল ও এনামুল হক ১০.৬ ওভারে ৭১ রান করে দ্রুত শুরু করেন। তামিম ৪৫ বলে ৫০ রান করে আউট হন।
পরের তিন ব্যাটসম্যান এনামুল (২০), নাজমুল হোসেন শান্ত (৩৮) ও মুশফিকুর রহিম (২৫)- ভালো শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন।
পড়ুন: ২য় ওয়ানডে: টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
২ বছর আগে
২য় ওয়ানডে: টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে রবিবার হারারে স্পোর্টস ক্লাবে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমেছে বাংলাদেশ।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৩০৩ রান তাড়া করে জিতেছে জিম্বাবুয়ে। আজ জিতলে সিরিজও নিশ্চিত হয়ে যাবে স্বাগতিকদের। ওয়ানডে সিরিজের আগে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে তারা।
বাংলাদেশের একাদশে আজ তিনটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। লিটন দাস, মোসাদ্দেক হোসেন এবং মুস্তাফিজুর রহমানের পরিবর্তে নাজমুল হোসেন শান্ত, হাসান মাহমুদ এবং তাইজুল ইসলাম একাদশে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
জিম্বাবুয়ে তাদের একাদশে পাঁচটি পরিবর্তন এনেছে।
সিরিজে টিকে থাকতে হলে আজকের ম্যাচে বাংলাদেশকে জিততেই হবে।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), এনামুল হক (উইকেট রক্ষক), নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, তাইজুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ
জিম্বাবুয়ে একাদশ: তাকুদজওয়ানাশে কাইতানো, তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ইনোসেন্ট কাইয়া, ওয়েসলি মাধভেরে, সিকান্দার রাজা, রেগিস চাকাভা (উইকেট রক্ষক/অধিনায়ক), টনি মুনিওঙ্গা, লুক জংওয়ে, ব্র্যাড ইভান্স, ভিক্টর নিয়াউচি, তানাকা চিভাঙ্গা
পড়ুন: প্রথম ওয়ানডে: বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারাল জিম্বাবুয়ে
২ বছর আগে
জিম্বাবুয়ের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারল বাংলাদেশ
শেষ ম্যাচে ১০ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল জিম্বাবুয়ে। হারারে স্পোর্টস ক্লাবে মঙ্গলবার স্বাগতিকদের দেয়া ১৫৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে আট উইকেটে ১৪৬ রান করে বাংলাদেশ।
এর আগে প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ে ১৭ রানে জিতে সিরিজের লিড নেয়। দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ সাত উইকেটে জয়লাভ করে।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন আফিফ হোসেন। কিন্তু এটি পরাজয় এড়ানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না।
এই ম্যাচে এনামুল হক বিজয় আবারও ব্যর্থ হয়েছেন, যা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তার খেলার সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। নুরুল হাসান সোহানের ইনজুরিতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ স্কোয়াডের ফিরলেও ভালো খেলতে ব্যর্থ হন।
জিম্বাবুয়ের পক্ষে ভিক্টর নিয়াউচি তিনটি ও ব্র্যাড ইভান্স দুটি উইকেট নেন।
এর আগে রায়ান বার্লের ২৮ বলে ৫৪ রানে জিম্বাবুয়ে ২০ ওভারে আট উইকেটে ১৫৬ রান করে।
ফিফটি করার পথে বার্ল নাসুম আহমেদের এক ওভারে পাঁচটি ছক্কায় ৩৪ রান করেন।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের মতোই টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবুয়ে। এক পর্যায়ে তারা ১৩ ওভারে ৬৭ রানে ছয় উইকেট হারায়।
কিন্তু শেষের পাঁচ ওভারে বার্লের অসাধারণ ব্যাটিংয়ের সুবাদে তারা ৭৯ রান করে।
বার্লের পাশাপাশি লুক জংওয়েও ব্যাট হাতে ভালো করেন। তিনি ২০ বলে চারটি চার ও দুটি ছক্কায় ৩৫ রান করেন।
বাংলাদেশের পক্ষে মাহেদী হাসান ও হাসান মাহমুদ ২৮ রান দিয়ে দুটি করে উইকেট নেন। নাসুম আহমেদ মাত্র দুই ওভারে ৪০ রান দেন।
এই ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে তিনটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। মুনিম শাহরিয়ারের পরিবর্তে এই ম্যাচে অভিষেক হয়েছে পারভেজ হোসেন ইমনের। নুরুল হাসান সোহান ও শরিফুল ইসলামের পরিবর্তে একাদশে ফিরেছেন নাসুম আহমেদ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
আজকের ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তিনি নুরুল হাসানের পরিবর্তে অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন। নুরুল আঙুলে চোট পেয়ে সফর থেকে ছিটকে গেছেন।
দুই দল আগাম ৫ আগস্ট থেকে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে মুখোমুখি হবে। বাংলাদেশ ওয়ানডে দল ইতোমধ্যেই হারারে পৌঁছেছে।
পড়ুন: সিরিজ জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ১৫৭
‘অঘোষিত’ ফাইনালে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
২ বছর আগে
সাকিব নৈপুণ্যে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ
বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসানের অসাধারণ ব্যাটিং নৈপুণ্যে হারারেতে স্বাগতিক জিম্বাবুয়েকে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তিন উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এর ফলে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ এক ম্যাচ হাতে রেখেই নিজেদের করে নিল টাইগাররা।
জিম্বাবুয়ের দেয়া ২৪২ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে সফরকারী বাংলাদেশ। তবে তিনে নামা সাকিব এক প্রান্ত আগলে রাখেন। শেষ পর্যন্ত ৪৯ ওভার ১ বলে লক্ষ্যে পৌঁছে টাইগাররা। সাকিব ৯৬ রানে অপরাজিত ছিলেন।
পড়ুন: জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে দিল টাইগাররা
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবুয়ে। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪১ রান তুলে তারা। বাংলাদেশের শরিফুল ইসলাম ৪ এবং সাকিব আল হাসান ২ উইকেট নিয়েছেন।
সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ ২০ জুলাই একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে।
সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজের তিন ম্যাচ ২৩, ২৫ ও ২৭ জুলাই।
পড়ুন: পারিবারিক কারণে দেশে ফিরছেন মুশফিক
১৭ মাস পর টেস্ট জয় বাংলাদেশের
৩ বছর আগে