বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে আরেকটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে রবিবার হারারেতে জিম্বাবুয়েকে ঐতিহাসিক সিরিজ উপহার দিলেন সিকান্দার রাজা।
বাংলাদেশের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ে শেষ ওয়ানডে সিরিজ জয় করেছিল ২০১৩ সালে। দীর্ঘ নয় বছর অপেক্ষার পর, তারা আবারও বাংলাদেশের বিপক্ষে একটি ওয়ানডে সিরিজ জিতল এক ম্যাচ হাতে রেখেই।
রবিবারের ম্যাচে দ্বিতীয়বার টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অপরাজিত ৮০ রানে ৯ উইকেটে ২৯০ রান তোলে তারা।
সফরকারীরা ভালো শুরু করলেও মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা তাদের ইনিংসের শুরুটা ভালো করেও ধরে রাখতে পারেনি।
বাংলাদেশের ২৯০ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে ২৭ রানে তিন উইকেট হারিয়েছে। তাদের প্রথম তিন উইকেটের মধ্যে দুটি নিয়েছিলেন ডানহাতি পেসার হাসান মাহমুদ যিনি এই সিরিজে প্রথম ম্যাচ খেলছিলেন।
চতুর্থ উইকেটে জিম্বাবুয়ে যোগ করে ২২ রান। চতুর্থ উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। এই সিরিজে প্রথম ম্যাচ খেলেন এই বাঁহাতি স্পিনার।
দর্শকদের জোড়া শতক উপহার দিয়েছে রাজা ও চাকাভা। রাজা সিরিজের প্রথম ম্যাচেও সেঞ্চুরি করেছিলেন যা জিম্বাবুয়েকে ৯ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম জয়ের পথ সুগম করতে সাহায্য করেছে। এই সেঞ্চুরিই ৩০০ রানের বেশি রান তাড়া করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তাদের প্রথম জয় ছিনিয়ে আনে।
স্বাগতিকরা ম্যাচটি শেষ করে পাঁচ উইকেটে ২৯১ রান করে।
বাংলাদেশের পক্ষে হাসান মাহমুদ ও মেহেদি হাসান মিরাজ নেন দুটি করে উইকেট।
ম্যাচের পর চাকাভা বলেন, ‘সিরিজ জয় একটি বিশাল অর্জন। আমরা ভালো ক্রিকেট খেলছি। সিরিজ জিতে সত্যিই ভালো লাগছে। আমরা ইতিবাচক ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করছি। কোচ আমাকে এটাকে গভীরভাবে নিতে বলেছেন এবং আমি ইতিবাচক ব্যাটিং করেছি। আমাদের আবার ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে, শেষ ম্যাচেও আমরা জিততে চাই।’
এর আগে, ভালো সূচনা হলেও বাংলাদেশ ৯ উইকেটে ২৯০ রানে শেষ করে। টাইগাররা তাদের ইনিংসের ভালো সূচনা নিশ্চিত করার পর মাঝের ওভারে কয়েকজন ব্যাটসম্যান আউট না হলে আরও কিছু রান করতে পারত।
তামিম ইকবাল ও এনামুল হক ১০.৬ ওভারে ৭১ রান করে দ্রুত শুরু করেন। তামিম ৪৫ বলে ৫০ রান করে আউট হন।
পরের তিন ব্যাটসম্যান এনামুল (২০), নাজমুল হোসেন শান্ত (৩৮) ও মুশফিকুর রহিম (২৫)- ভালো শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন।
পড়ুন: ২য় ওয়ানডে: টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ