মঞ্জুর
তৌফিক-ই-ইলাহীর ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
সুমন সিকদার হত্যা মামলায় শেখ হাসিনার বিদ্যুৎ ও জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহীর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দারের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: তৃতীয় দফায় ইনু আবারও ৪ দিনের রিমান্ডে
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল আলম তার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করলে রাষ্ট্রপক্ষ রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন।
অপরদিকে আসামিপক্ষ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ১৯ জুলাই বাড্ডার প্রগতি স্মরণীতে গুলিতে নিহত হন সুমন সিকদার।
গত মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টার দিকে ডিবির একটি টিম তৌফিক-ই-ইলাহীকে গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
এ ঘটনায় সুমন সিকদারের মা মোসা. মাছুমা ২০ আগস্ট বাড্ডা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: আবু সাঈদ হত্যা: অভিযুক্ত ২ পুলিশ সদস্যের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
৩ মাস আগে
হাজী সেলিমের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
আইডিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ হত্যা মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আক্কাস মিয়া হাজী সেলিমের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
সোমবার বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে আদালতের এজলাসে তোলা হলে অঝোরে কাঁদেন হাজী সেলিম।
আরও পড়ুন: রাশেদ খান মেননের ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
তার আইনজীবী শ্রী প্রাণনাথ আদালতের অনুমতি নিয়ে ওকালতনামায় তার সই নিতে গেলে তিনি সই করতে পারেন না বলে জানান। পরে তার টিপ সই নিয়ে আদালতে ওকালতনামা দাখিল করেন প্রাণনাথ।
এসময় রাষ্ট্রপক্ষে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন।
এছাড়াও হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে জমি দখল, মার্কেট দখলের অভিযোগ তুলে বিএনপিপন্থী আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকীও ১০ দিনের রিমান্ডের প্রার্থনা করেন। তবে এসব অভিযোগ হাজী সেলিম।
হাজী সেলিমের পক্ষে রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানিতে তার আইনজীবী প্রাণনাথ বলেন, এটা হত্যা মামলা। জমি দখল, মার্কেট দখলের সঙ্গে এ মামলার সম্পর্ক নেই।
বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা এই বক্তব্যের বিরোধিতা করলে প্রাণনাথ বলেন, ‘এজাহারে সুস্পষ্ট বলা আছে, লালবাগের ডিসির নেতৃত্বে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে। রিমান্ডে নিলে ডিসিকে নিতে হবে। তাকে কেন?’
পরে আদালত তার ৫ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই রাজধানীর আজিমপুর সরকারি আবাসিক এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান আইডিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ।
এ ঘটনায় তার বাবা কামরুল হাসান ১৯ আগস্ট লালবাগ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫২ জনকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: পলক, টুকুসহ ৬ জন আবারও রিমান্ডে
৩ মাস আগে
রাশেদ খান মেননের ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর আদাবর থানার গার্মেন্টসকর্মী রুবেল হত্যা মামলায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমানের আদালত রিমান্ডের এই আদেশ দেন।
২২ আগস্ট আদাবর থানায় মামলাটি করেন রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ৪ দিনের রিমান্ডে দীপু মনি, আরিফ খান জয়ের ৫
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মিন্টু চন্দ্র বণিক আসামিকে গ্রেপ্তার দেখানোসহ ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
গত ২২ আগস্ট রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে মেননকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন নিউমার্কেটে ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
রুবেল হত্যা মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৫ আগস্ট রুবেলসহ কয়েকশ’ ছাত্র-জনতা সকাল ১১টায় আদাবর থানার রিং রোড এলাকায় মিছিল বের করে। এ সময় পুলিশ, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, তাঁতী লীগ, কৃষক লীগ, মৎস্যজীবী লীগের নেতাকর্মীরা গুলি চালায়। এতে রুবেল গুলিবিদ্ধ হয়। নিকটস্থ একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।
অন্যান্য আসামিরা হলেন- শেখ রেহানা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ ও ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনসহ অনেককে।
আরও পড়ুন: ৫ দিনের রিমান্ডে রাশেদ খান মেনন
হত্যা মামলায় ৪ দিনের রিমান্ডে সাংবাদিক দম্পতি শাকিল-রূপা
৩ মাস আগে
ব্র্যাকের সাবেক শিক্ষক আসিফ মাহতাব ও জাবি শিক্ষার্থীর ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
রাজধানীর বনানীতে সেতু ভবনে হামলার মামলায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আসিফ মাহতাব উৎস এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক আরিফ সোহেলের ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (২৯ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলাম শুনানি শেষে তাদের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।
এর আগে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের পরিদর্শক আবু সাইদ মিয়া তাদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
আসামিদের পক্ষে আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
আদালতে বনানী থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপপরিদর্শক শাহ আলম রিমান্ডের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: রিমান্ড শেষে কারাগারে নুরুল হক নুর
শনিবার (২৭ জুলাই) রাত ১টার দিকে আসিফ মাহতাবকে উত্তরার বাসা থেকে ডিবি সদস্যরা আটক করে নিয়ে যায় বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছে তার পরিবার।
ওই দিন রাত সোয়া ৩টার দিকে সাদা পোশাকধারী আট থেকে নয়জনের একটি দল আরিফ সোহেলকেও তুলে নিয়ে যায়। সে সময় তারা নিজেদের সিআইডি ও ডিবির সদস্য হিসেবে পরিচয় দেন।
গত ১৮ জুলাই সেতু ভবনে হামলা হয়। এ ঘটনায় সেতু ভবনের কেয়ারটেকার রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে বনানী থানায় একটি মামলা করেন। হামলায় সেতু ভবনের ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রিজভী-পরওয়ার-নুরসহ ৮ জনের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
৪ মাস আগে
রিজভী-পরওয়ার-নুরসহ ৮ জনের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
রাজধানীর কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় করা মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ আটজনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রবিবার (২৮ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলাম শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: বারিধারায় কনস্টেবল হত্যা: সাত দিনের রিমান্ডে কাওসার
অন্য পাঁচ আসামি হলেন- বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সায়েদুল আলম বাবুল, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এমএ সালাম ও বিএনপির সমর্থক মাহমুদুস সালেহীন।
এর আগে শুক্রবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্লবী জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান মুন্সী তাদের এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। আদালত শুনানির জন্য রবিবার দিন ধার্য করেন।
এদিকে ভিপি নুর সেতু ভবন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ মামলায় এবং রিজভী পল্টন মডেল থানার মামলায় রিমান্ড শেষে কারাগারে আটক রয়েছেন।
এছাড়া অপর ছয় আসামি বিটিভি ভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে রয়েছেন।
এর আগে গত ২২ জুলাই ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের এমআরটি লাইন-৬ এর উপপরিচালক (প্রশাসন) মো. ইমাম উদ্দীন কবীর বাদী হয়ে কাফরুল থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় তিনি অজ্ঞাতনামা ৫-৬ হাজার আসামি উল্লেখ করেন।
এ মামলায় গ্রেপ্তার ডিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ আল আসাদ ওরফে সাঈদ খানসহ ছয়জন পাঁচ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরোবিয়া খানমের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: রিমান্ড শেষে কারাগারে নুরুল হক নুর
এমপি আনার হত্যা: দুই আসামি ৬ দিনের রিমান্ডে
৪ মাস আগে
মির্জা আব্বাসের জামিন মঞ্জুর
রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্টের অভিযোগে ঢাকা রেলওলয়ে থানার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে শুনানি শেষে ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুলহাস উদ্দিনের আদালত এ আদেশ দেন।
মির্জা আব্বাসের পক্ষে জামিন শুনানি করেন আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন মঞ্জুর
তিনি বলেন, ৩১ অক্টোবর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ১১টি মামলা করা হয়। আগে ১০ মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন। এই এক মামলায় তিনি কারাগারে আছেন। অসুস্থ, বয়স্ক মানুষ তিনি। তার জামিন প্রার্থনা করছি।
রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবীর বাবুল জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিনের আদেশ দেন।
গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা দায়ের হয়। এর মধ্যে শাহজাহানপুর থানার নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৩১ অক্টোবর রাতে ঢাকার শহীদবাগ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। ১ নভেম্বর তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ৫ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক ও তার স্ত্রীর জামিন নামঞ্জুর
৬ মামলায় জামিন পেলেন মির্জা আব্বাস, ৩টিতে নামঞ্জুর
১০ মাস আগে
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন মঞ্জুর
রাজধানীর পল্টন থানার নাশকতার এক মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হকের আদালত শুনানি শেষে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত জামিনের আদেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল জামিন আবেদন আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তির নির্দেশ বহাল
আসামি পক্ষের আইনজীবী মহসিন মিয়া, সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ জামিন শুনানি করেন।
তারা বলেন, আসামির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ নেই। বয়স্ক, অসুস্থ বিবেচনায় জামিনের প্রার্থনা করেছেন তারা। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়েছে।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ছিল। মহাসমাবেশ শুরুর পর কাকরাইলে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ বিজয় নগর পানির ট্যাংক ও শান্তিনগর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: ৯ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো মির্জা ফখরুলকে
এক পর্যায়ে বিকাল ৩টার দিকে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্য ও যুবদলের ওয়ার্ড পর্যায়ের এক নেতা নিহত হন। সংঘর্ষে আহত হয় পুলিশের ৪১ ও আনসারের ২৫ সদস্য। এছাড়া কমপক্ষে ২০ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষে হাজারের বেশি নেতা-কর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি বিএনপির।
গত ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মির্জা ফখরুলের গুলশানের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করে ডিবি পুলিশ। ওইদিনই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: ৯ মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন, বিচারাধীন আরও ২ মামলা
এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। গত ৯ জানুয়ারি রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানার নাশকতার পৃথক ৯ মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
তবে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা মামলায় জামিন না মেলায় এখনই কারামুক্ত হচ্ছেন না মির্জা ফখরুল।
আরও পড়ুন: নাশকতা মামলায় মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুর জামিন নামঞ্জুর
১১ মাস আগে
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর
২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ ঘিরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে পুলিশ কনস্টেবল নিহতের মামলাসহ দুই মামলায় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হকের আদালত শুনানি শেষে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: আমীর খসরু একদিনের রিমান্ডে
এদিকে বুধবার রমনা ও পল্টন মডেল থানার পৃথক আট মামলায় তার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জেল হোসেনের আদালতে গ্রেপ্তার ও জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল।
এদিন আমীর খসরুকে আদালতে হাজির করা হয়নি। এ জন্য শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন আদালত।
গত রবিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালত শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন।
তারও আগে আমীর খসরুর আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ গ্রেপ্তার ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা আমীর খসরু আটক
জানা গেছে, ২৮ অক্টোবরের ঘটনায় আমীর খসরুর বিরুদ্ধে মোট ১০টি মামলা হয়। দু’টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এজন্য অপর আট মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ আট মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। এর মধ্যে রমনা মডেল থানায় চার এবং পল্টন মডেল থানায় চারটি মামলা রয়েছে।
গত ২ নভেম্বর দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে গুলশানের ৮১ নম্বর রোডের বাসা থেকে আমীর খসরুকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলায় গত ৩ নভেম্বর তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ মামলায় তার ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে গত ১০ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও আলাল গ্রেপ্তার
এরপর পল্টন থানার নাশকতার আরেক মামলায় গত ১৪ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক সুমিত কুমার সাহা গ্রেপ্তার দেখানোসহ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
গত ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করে জেলগেটে দুদিনের জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা আমীর খসরু জামিনে মুক্ত
১১ মাস আগে
মিয়া আরেফির ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
মিথ্যা পরিচয় দিয়ে বিশ্বাসভঙ্গ ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দেওয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক জামাল উদ্দিন মীর আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরীর ভার্চুয়াল আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ডের মঞ্জুর করেন।
গত ২৯ অক্টোবর রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আরেফিকে আটক করা হয়। পরদিন জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। বুধবার এ মামলায় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীর আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আরও পড়ুন: মিয়া আরেফির বিষয়ে কনস্যুলার অ্যাকসেস চেয়েছে মার্কিন দূতাবাস
প্রসঙ্গত, গত ২৮ অক্টোবর দিনব্যাপী সংঘর্ষের পর যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে একটি প্রতিনিধিদল বিএনপি কার্যালয়ে যাচ্ছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ‘জো বাইডেনের উপদেষ্টা’ পরিচয়ে নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন জাহিদুল ইসলাম আরেফি। একপর্যায়ে তাকে নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়। তবে, ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস জানায়, জাহিদুল ইসলাম আরেফী মার্কিন সরকারের কেউ না।
জাহিদুল ইসলাম আরেফির জন্ম ও বেড়ে ওঠা সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়ায়। তিনি এখন যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে থাকেন। মাঝে মাঝে বাংলাদেশে আসেন জাহিদুল ইসলাম আরেফি।
আরও পড়ুন: বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দেওয়া মিয়া আরেফিকে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আটক
১ বছর আগে
মির্জা আব্বাসের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
রাজধানীর শাহজাহানপুর থানার নাশকতা ও পিস্তল ছিনতাই মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (১ নভেম্বর) শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত।
আরও পড়ুন: মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির ১৩০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে শাহজাহানপুর থানায় ৬ মামলা
এর আগে, মির্জা আব্বাসকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। মির্জা আব্বাসের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী মহসিন মিয়া, মোসলেহ উদ্দিন জসিম, ওমর ফারুক ফারুকী, গোলাম মোস্তফা খান রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।
শাহজাহানপুর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপপরিদর্শক শাহ আলম রিমান্ডের তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও আলাল গ্রেপ্তার
মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
১ বছর আগে