ধীরগতি
বরিশাল সিটি নির্বাচন: এজেন্টদের ঢুকতে বাধা, ধীরগতিতে ভোটগ্রহণের অভিযোগ
বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার ১ ঘন্টার মধ্যে ভোটগ্রহণে ধীরগতি, ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে বাধা এবং এজেন্টকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন লাঙ্গলের প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন।
সোমবার সকালে গোরস্থান রোড মাদরাসা কেন্দ্রে ভোট দেয়া শেষে তাপস অভিযোগ করেন যে মহিলা ভোটারদের কেন্দ্রে আসায় বাধা দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বরিশাল সিটি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু
নৌকার সমর্থক ছাত্রলীগ যুবলীগের লোকজনের এই বাধা দিচ্ছে দাবি করে তাপস বলেন, ‘সরকারি দলের প্রার্থীর টার্গেট হচ্ছে কম ভোট কাস্ট করানো। সে লক্ষ্যে কেন্দ্রের বাইরে ভোটারদেরকে নানাভাবে ভয় দেখিয়ে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। একই কারণে কেন্দ্রগুলোতে ধীরগতিতে ভোট নেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
নগরের আলেকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল হাসান রুপন বলেন, বিভিন্ন কেন্দ্রে আমার এজেন্টদের ঢুকতে বাধা দেয়া হচ্ছে। বেশ কয়েকটি কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। ভোটের পরিবেশ নিরপেক্ষ নয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: রাত পোহালে বরিশাল সিটি নির্বাচন
বরিশাল সিটি নির্বাচনের ১২৬ কেন্দ্রে পৌঁছেছে ইভিএম
বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ: খুলনায় মোবাইল ইন্টারনেটে ধীরগতি
খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ কভার করতে জড়ো হওয়া স্থানীয় ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা অভিযোগ করেছেন, শনিবার বিকাল থেকে তারা ধীরগতির ইন্টারনেট পরিষেবার সম্মুখীন হয়েছেন।
খুলনা শহরের একটি কম্পিউটার অপারেটিং দোকানের মালিক মুজাহিদুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কে কোনো সমস্যা নেই তবে মোবাইল ইন্টারনেট বেশ ধীরগতির।
আরও পড়ুন: দেশে বর্তমানে ১৩ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
স্থানীয় সংবাদ ‘ডেইলি দৈনিক লোকসমাজ’ এর সাংবাদিক এহতেশামুল হক শাওন বলেন, ‘ধীর ইন্টারনেটের কারণে তিনি বিএনপির সমাবেশের কোনো ছবি অফিসে পাঠাতে পারছেন না।’
অন্য কয়েকজন সাংবাদিকও দাবি করেছেন যে তারা মোবাইল ইন্টারনেটের একই সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন মোবাইল সার্ভিস অপারেটর ইউএনবিকে জানান, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে একটি ইমেলের মাধ্যমে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত খুলনা বিভাগে ৩জি এবং ৪জি ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখতে মোবাইল পরিষেবা অপারেটরদের নির্দেশ দিয়েছে।
তিনি বলেন, তবে, বিটিআরসি ইন্টারনেট পরিষেবা ধীরগতির কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করেনি।
যোগাযোগ করা হলে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, এ ধরনের কোনো বিষয় বা নির্দেশনা সম্পর্কে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।
আরও পড়ুন: ভারতে ফাইভজি মোবাইল ইন্টারনেটের উদ্বোধন মোদির
হিজাব ইস্যু: ইরানিদের ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ
পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন ব্যবস্থা স্থাপনে ধীরগতি
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের কেন্দ্রীয় অক্সিজেন ব্যবস্থা চালু করার কাজ খুব ধীরগতিতে চলছে। এতে করোনা রোগীদের মাঝে অক্সিজেন সংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। করোনা ইউনিট স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সময়মত না পাওয়াই এই ধীরগতির কারণ বলে জানায় স্বাস্থ্য বিভাগ।
তবে চলতি মাসে বা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে সিলিন্ডার দিয়ে আপাতত কেন্দ্রীয় অক্সিজেন ব্যবস্থা চালু করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এটা চালু হলে একই সাথে আরও ২০ জন করোনা আক্রান্ত রোগীকে এই ব্যবস্থায় অক্সিজেন সরবরাহ করা সম্ভব হবে। বর্তমানে এই হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য ২০টি শয্যা রয়েছে। আরও শয্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ঈদের দিন বেনাপোল দিয়ে ১৮০ মেট্রিক টন অক্সিজেন আমদানি
বৃহস্পতিবার দুপুরে পঞ্চগড় জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় কমিটির সদস্য সচিব সিভিল সার্জন ডা. ফজলুর রহমান এসব তথ্য জানান।
সভায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট জানান, ‘আমি শুরু থেকেই অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছি।’ তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, অধিক সংক্রমণের ১১ টি জেলার মধ্যে পঞ্চগড় রয়েছে। কিন্তু আজও এখানে অক্সিজেন প্লান্ট চালু হয়নি। কোথায় গলদ? কেন ধীরগতি? তিনি প্রশ্ন করেন।
আরও পড়ুনঃ সিলেটে কল দিলেই মিলছে অক্সিজেন সেবা
সিভিল সার্জন ডা. ফজলুর রহমান জানান, ‘পঞ্চগড় জেলা সদরের আধুনিক সদর হাসপাতালে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন ব্যবস্থা চালু করার কার্যক্রমে ধীরগতির কারণে করোনা রোগীদের মাঝে অক্সিজেন সংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এটা ইউনিসেফের মাধ্যমে একটি কোম্পানী নির্মাণ করছে। কিন্তু জুন থেকে কাজ শুরু করলেও তারা এখনো কাজ শেষ করতে পারেনি। এটা সিভিল সার্জনের কাজের মধ্যে পড়ে না। তারা রেডি করে দিবে আমরা চালু করবো। পঞ্চগড় এখন অধিক সংক্রমণের জেলা। কাজেই দ্রুতই পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সিস্টেম চালু করা দরকার। পঞ্চগড়ে এ পর্যন্ত ৪১ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।‘
আরও পড়ুনঃ অক্সিজেন বহনকারী ছেলেকে আটক: সাতক্ষীরায় সেই এএসআই প্রত্যাহার
জেলা প্রশাসক মো. মো. জহুরুল ইসলাম জানান, ‘করোনা মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন,স্বাস্থ্য বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে কাজ করছেন। শুক্রবার থেকে সবাইকে কঠোর লকডাউন মেনে চলতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। লকডাউন না মানলে জেল জরিমানা করা হবে। এজন্য মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী,পুলিশ, বিজিবিসহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির জরুরি সভা করে এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এজন্য ব্যাপক প্রচার চালানো হচ্ছে।‘
জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলামের সঞ্চালনা ও সভাপতিত্বে সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট, পৌর মেয়র জাকিয়া খাতুন, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, পাঁচ উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা, পঞ্চগড় প্রেসক্লাবের সভাপতি সফিকুল আলমসহ কমিটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।