টিকেট
বিক্রয়ের জন্য উন্মুক্ত বিমানের ঢাকা-টরন্টো রুটের টিকেট
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স আগামী ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে কানাডার টরন্টো রুটে পরীক্ষামূলক বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালু করছে। আজ ১৯ মার্চ শনিবার বিকাল ০৫টা ৩০ মিনিট থেকে বিমানের ঢাকা-টরেন্টো রুটের টিকেট বিক্রয়ের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যাত্রীরা বিমানের বাণিজ্যিক ওয়েবসাইট www.biman-airlines.com থেকে এ রুটের টিকেট ক্রয় করতে পারবেন। এছাড়াও বিমানের যে কোন সেলস সেন্টার, বিমান কল সেন্টার ০১৯৯০৯৯৭৯৯৭ এবং বিমান অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্সি থেকে টিকেট ক্রয় করা যাবে। কানাডা থেকে যে সমস্ত যাত্রী বাংলাদেশে আসতে চান তারা বিমানের ওয়েবসাইট থেকে অথবা বাংলাদেশে অবস্থিত বিমানের যে কোন সেলস সেন্টার বা অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করে টিকেট ক্রয় করতে পারবেন।আগামী ২৬ মার্চ স্থানীয় সময় রাত ১১টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমানের ফ্লাইট বিজি৩০৫ কানাডার টরন্টো পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে এবং ২৭ মার্চ স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে টরন্টোতে অবতরণ করবে। টরন্টো থেকে ফিরতি ফ্লাইট বিজি৩০৬ আগামী ২৯ মার্চ স্থানীয় সময় সকাল ১০ টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে এবং ৩০ মার্চ স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করবে। অত্যাধুনিক মডেলের বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনারের মাধ্যমে টরন্টো ফ্লাইট পরিচালিত হবে।সম্মানিত যাত্রীদের কানাডার ট্রাভেল অ্যাডভাইজরি অনুসরণপূর্বক ফ্লাইট ছাড়ার পূর্ববর্তী সর্বোচ্চ ৭২ ঘন্টার মধ্যে মলিকুলার কোভিড-১৯ টেস্ট করিয়ে নেগেটিভ সনদ সঙ্গে রাখার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিমান বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী: স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
সুবর্ণজয়ন্তীতে মধ্যপ্রাচ্যগামী যাত্রীদের জন্য টিকেটের দাম কমালো বিমান
রেমিটেন্স যোদ্ধা প্রবাসীদের জন্য মধ্যপ্রাচ্যগামী ফ্লাইটের টিকেটের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ। আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে মধ্যপ্রাচ্যের জেদ্দা, রিয়াদ, দাম্মাম, দুবাই ও আবুধাবি রুটে আসন খালি থাকা সাপেক্ষে নতুন টিকেট কেনার ক্ষেত্রে হ্রাসকৃত সর্বোচ্চ ভাড়ার স্তর কার্যকর হবে। তবে বরাবরের মতো ভাড়ার নিম্নস্তরসমূহ চালু থাকবে।
১. ঢাকা-জেদ্দা রুটে ইকোনমি ক্লাসের প্রতিটি টিকেটের একমুখী সর্বোচ্চ ভাড়া বর্তমানে ট্যাক্সসহ ৭২ হাজার ৪৫৫ টাকা থেকে কমিয়ে ট্যাক্সসহ ৬৪ হাজার ৮২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
২. ঢাকা-রিয়াদ/দাম্মাম রুটে ইকোনমি ক্লাসের একমুখী সর্বোচ্চ ভাড়া বর্তমানে ট্যাক্সসহ ৭০ হাজার ৭৫৮ টাকা থেকে কমিয়ে ট্যাক্সসহ ৬৩ হাজার ১২৩ টাকা করা হয়েছে।
৩. ঢাকা-দুবাই রুটে ইকোনমি ক্লাসের একমুখী সর্বোচ্চ ভাড়া বর্তমানে ট্যাক্সসহ ৭৫ হাজার ৫০৮ টাকা থেকে কমিয়ে ট্যাক্সসহ ৬২ হাজার ৭৮৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে পিসিআর ল্যাব চালু
৪. ঢাকা-আবুধাবী রুটে ইকোনমি ক্লাসের একমুখী সর্বোচ্চ ভাড়া বর্তমানে ট্যাক্সসহ ৬৭ হাজার ০২৫ টাকা থেকে কমিয়ে ট্যাক্সসহ ৫৮ হাজার ৫৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রতিটি টিকেটের সাথে ৭ হাজার ৬৪৪ থেকে ৯ হাজার ৬৮০ টাকা পর্যন্ত নির্ধারিত ট্যাক্স যুক্ত আছে।
সম্মানিত যাত্রীরা বিমানের যে কোন সেলস্ অফিস, বলাকাস্থ প্রধান কার্যালয়ের সেলস্ সেন্টার (২৪/৭): মোবাইল নং-০১৭৭৭৭১৫৬৩০-৩১, ফোন: +৮৮-০২-৮৯০১৬০০ এক্সটেনশন ২১৩৫/২১৩৬, বিমান কল সেন্টার ০১৯৯০৯৯৭৯৯৭ এবং বিমান অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে টিকেট ক্রয় করতে পারবেন।
বিমান ফেসবুক পেইজ:
https://www.facebook.com/bimanbalaka/?modal=admin_todo_tour
২ বছর আগে
বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজের টিকেট বিক্রি বৃহস্পতিবার
করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত সংখ্যক দর্শককে খেলা দেখার অনুমতি দেয়ায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের টিকেট বৃহস্পতিবার থেকে বিক্রি শুরু হবে।
মিরপুরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামের পাশাপাশি টুর্নামেন্টের ভেন্যু শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ১ নম্বর গেটের টিকেট বুথ থেকে টিকেট কিনতে পারবেন দর্শকরা।
সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বুথ থেকে টিকেট কিনতে পারবেন দর্শকরা।
স্টেডিয়ামের ধারণ ক্ষমতার ৫০ শতাংশ টিকেট বিক্রি করা হবে। ১৮ কিংবা এর বেশি বয়সী দর্শকরা করোনা টিকা নেয়ার সনদ দেখিয়ে মাঠে প্রবেশ করতে পারবেন।
গ্র্যান্ডস্ট্যান্ড টিকেট মূল্য এক হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ভিআইপি, ক্লাবহাউজ, সাউদার্ন ও নর্দান স্ট্যান্ড এবং ইস্টার্ন স্ট্যান্ড এর টিকেট মূল্য যথাক্রমে ৫০০, ৩০০, ১৫০ ও ১০০ টাকা।
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচটি হবে ১৯ নভেম্বর এবং বাকি দুই ম্যাচ হবে ২০ ও ২২ নভেম্বর। সব ক’টি ম্যাচই হবে শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এবং দুপুর ২টা থেকে ম্যাচ শুরু হবে।
আরও পড়ুন: আইসিসি ক্রিকেট কমিটির প্রধান সৌরভ গাঙ্গুলি
মুশফিককে বাদ দিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের দল ঘোষণা
৩ বছর আগে
যাত্রীরা ট্রেনে যেতে না পারায় স্টেশনে বিক্ষোভ
রাজশাহী রেল স্টেশনে নিয়ম ভঙ্গ করে রাজশাহী থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী পদ্মা ট্রেনের স্ট্যান্ডিং টিকেট দিয়েছিল রেলের কিছু অসাধু কর্মকর্তা। সেই টিকেটে ট্রেনে যেতে না পারায় বিকেলে যাত্রীরা স্টেশনে বিক্ষোভ শুরু করেন।
এই টিকেটগুলো কাউন্টার থেকে দেয়া হয়নি বলে যাত্রীরা জানান।
প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল চারটায় পদ্মা ট্রেনের টিকিট কেটেও যেতে না পারায় স্টেশন ঘেরাও করে ভাংচুরের চেষ্টা চালান বিক্ষোভরত যাত্রীরা। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পশ্চিম রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আরও পড়ুন: ৯ মাসে চলন্ত ট্রেনে ১১০ পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে: মন্ত্রী
পশ্চিমাঞ্চল রেলের মহা ব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীরা পদ্মা ট্রেনের টিকিটেই পরবর্তীতে ট্রেনে যেতে পারবে। এছাড়া খুলনা থেকে ঢাকাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেসে ১০৬টি আসনের একটি নির্দিষ্ট কোচ লাগানো হয়েছে। সন্ধ্যার পর রাজশাহী থেকে ঈশ্বরদীগামী কমিউটার ট্রেনে গিয়ে ঈশ্বরদী রেল স্টেশনে তারা ঐ কোচে ঢাকা যেতে পারবেন।
উল্লেখ্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ট্রেনের নির্ধারিত আসনের চাইতে যাত্রীদের সংখ্যা বেড়ে যায়। যার ফলে এমন সমস্যার সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে যুক্ত হচ্ছে ‘শাটল ট্রেন’
৩ বছর আগে
সেই প্রবাসী নারীর লন্ডন যাওয়ার ব্যবস্থা করল বিমান কর্তৃপক্ষ
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানের কয়েকজন কর্মকর্তার কারণে যুক্তরাজ্য প্রবাসী নারী জামিলা চৌধুরীকে রেখে বিমান চলে যায়। এ ঘটনায় সর্বত্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে বিমানবন্দরের একটি প্রতিনিধি দল শুক্রবার রাতে তার বাসায় গিয়ে ৪ আগস্ট তাকে লন্ডন পাঠানোর টিকিটের ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন।
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যুক্তরাজ্য প্রবাসী নারীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া এ ঘটনা দেশে এবং বিদেশে ব্যাপক সমালোচনার তৈরি করে।
গত ২৮ জুলাই সিলেট থেকে লন্ডন সরাসরি ফ্লাইটে বাংলাদেশ বিমানের বিজি-২০১ এর যাত্রী ছিলেন ভুক্তভোগী প্রবাসী জামিলা চৌধুরী। কিন্তু তিনি ওইদিন যুক্তরাজ্য যেতে পারেননি ওসমানী বিমানবন্দরের কতিপয় কর্মকর্তার অসৌজন্যমূলক ও অন্যায় আচরণের জন্য।
আরও পড়ুন: সিলেটে করোনার টিকা নিবন্ধন সাময়িক বন্ধ
শুক্রবার সন্ধ্যায় জামিলা চৌধুরীর বাসায় যান ওসমানী বিমানবন্দরের একটি প্রতিনিধি দল। বাসায় গিয়ে তাকে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা সান্তনা দেন এবং আগামী ৪ আগস্ট যুক্তরাজ্য যাওয়ার জন্য টিকেটের ব্যবস্থা করে দেয়ার আশ্বাস প্রদান করেন। সেই সঙ্গে তদন্তসাপেক্ষে দোষী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেরও আশ্বাস দেয় প্রতিনিধি দল।
জানা যায়, গত বুধবার জামিলা চৌধুরী নির্ধারিত সময়ে বাংলাদেশ বিমানের কাউন্টারে পৌঁছালে দায়িত্বরত কর্মকর্তা তার কাছে লোকেটর ফর্ম চান। তখন নিজ মোবাইলে লোকেটর ফর্মটি দেখালেও প্রিন্ট কপি চান এক কর্মকর্তা। এখান থেকেই মূলত ঘটনার শুরু।
এরপর ফর্ম প্রিন্টের বিষয়ে তর্ক-বিতর্ক থেকে শুরু করে অতিরিক্ত ওজনের জন্য নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত অর্থ দাবি করেন বলে অভিযোগ জামিলা চৌধুরীর।
আরও পড়ুন: সিলেট বিমানবন্দরে প্রবাসী নারীকে হয়রানির অভিযোগ
জামিলা চৌধুরী বলেন, ‘আমার লাগেজে অতিরিক্ত মালামালের কারণে আমার কাছে অনৈতিকভাবে টাকা দাবি করেন তারা। আমি তা দিতে অপারগতা জানাই এবং বলি অতিরিক্ত ওজনের লাগেজ ফিরিয়ে দিয়ে শুধুমাত্র একটি লাগেজ নিয়ে আমাকে বোর্ডিং পাস দেবার জন্য। কিন্তু সেই কর্মকর্তা উত্তেজিত হয়ে আমার উপর পাসপোর্ট ছুঁড়ে মারেন এবং অকথ্য ভাষা ব্যবহার করেন। আমাকে বোর্ডিং পাস না দিয়েই লাইন থেকে বের করে দেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি উপস্থিত অন্যন্য কর্মকর্তাকেও অনেক অনুরোধ করি, কিন্তু কেউ আমাকে সাহায্য করেনি।’ এসময় জামিলা চৌধুরী বিমানবন্দরে নিজের অভিযোগ জানাতে চাইলেও তার অভিযোগ কেউ গ্রহণ করেনি।
বিমানবন্দরে থাকা অবস্থায় নিজের মোবাইলে কয়েকটি ভিডিও করেন মিসেস চৌধুরী। একটি ভিডিওতে দেখা যায় কর্তব্যরত বিমান কর্মকর্তা বলছেন ‘আমাদের মধ্যে হিউমিনিটি (মানবতাবোধ) নেই। আপনি ম্যানেজারের কাছে যান, আমরা আপনাকে কোনো সাহায্য করতে পারবো না।’ আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, সাহায্য চাইতে গেলে এক কর্মকর্তা লাগেজ বেল্টের উপর দিয়ে লাফিয়ে চলে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে কল সেন্টারের মালামাল চুরি
তবে বিমান কর্মকর্তারা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ফ্লাইট ধরতে না পারার কারণ হিসেবে বলছেন- অতিরিক্ত ওজনের লাগেজের কথা।
সিলেট বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের স্টেশন ম্যানেজার চৌধুরী মো. ওমর হায়াত বলেন, ওই যাত্রীর সাথে নির্ধারিত ওজনের চেয়ে ৪৪ কেজি মালামাল বেশি ছিল। প্রতি কেজি ২ হাজার ৬১১ টাকা হিসেবে এক লাখ টাকার ওপরে পরিশোধ করার কথা। কিন্তু তিনি প্রথমে ওভার ওয়েটের মূল্য পরিশোধ করতে রাজি হননি। পরে যখন তিনি অতিরিক্ত লাগেজ ছেড়ে যেতে রাজি হন তখন কাউন্টার বন্ধ হয়ে গেছে।
বিমান বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে প্রতি কেজি অতিরিক্ত ওজনের জন্য ১০ পাউন্ড ফি উল্লেখ থাকার কথা বললে তিনি বলেন, ‘ওয়েবসাইটে কি আছে জানি না, তবে আমাদের এটাই ধার্য্য করা আছে এবং তা নিয়মমাফিকই নেয়া হচ্ছে।’
ওমর হায়াত আরও বলেন, নির্ধারিত সময়ের একঘন্টা আগে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের কাউন্টার বন্ধ করতে হয়। কিন্তু ওই যাত্রী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তার লাগেজের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। তাই তাকে রেখেই বিমান ছাড়তে হয়েছে।
৩ বছর আগে
টিকেট নেই বাস-লঞ্চে, ভরসা বিপজ্জনক থ্রি হুইলার
ঈদের পরের দিনই উপচে পরা ভিড় ছিল বাস টার্মিনাল ও লঞ্চ ঘাটে। টিকেট নেই বাস, লঞ্চের কোনো কাউন্টারেই।
বৃহস্পতিবার সকালে বরিশাল লঞ্চ ঘাটে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে প্রচুর মানুষ আসতে দেখা গেছে। যাদের গন্তব্য ছিল ঢাকা। এছাড়া দুপুরের পর বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে ঢাকামুখী মানুষের উপচে পরা ভিড় ছিল। ২৩ তারিখ থেকে লকডাউন কার্যকরের খবরে আজকেই ঢাকামুখী হয়েছেন অধিকাংশ মানুষ। বাসে টিকেট না পেয়ে অনেক মানুষ অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে মহাসড়কে অবৈধ থ্রি হুইলার যানে মাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে জরিমানা: নৌ প্রতিমন্ত্রী
বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদে গিয়ে কথা হয় সাকুরা বাস কাউন্টারের সামনে অপেক্ষা করা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সিদ্দিকুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, জরুরীভাবে ঢাকা যাওয়া প্রয়োজন। তবে সব লঞ্চ কাউন্টারে ঘুরে এখন বাস কাউন্টারে এসেছি। কোনা টিকেট নেই। এখন বিকল্প চিন্তাভাবনা করছি।
মাওয়ার উদ্দেশ্যে থ্রি হুইলারে ওঠা যাত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, কোনো জায়গায় টিকেট পাইনি। এখন বাধ্য হয়ে এই থ্রি হুইলার মাহিন্দ্রাতে উঠেছি। জানি রিস্ক আছে, তবে কিছু করার নেই। যেতে তো হবে।
থ্রি হুইলারের আরেক যাত্রী বলেন, বাস লঞ্চে তো টিকেটই পাই নাই। ওটা সোনার হরিণ বর্তমানে। তাই থ্রি হুইলারেই জনপ্রতি ৮শ টাকা করে ভাড়া নিচ্ছে । বাধ্য হয়ে এই যানেই যেতে হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ হঠাৎ লঞ্চ বন্ধ: বিপাকে চাঁদপুরের যাত্রীরা
বরিশালের সুন্দরবর, এডভেঞ্চার, সুরভী ও কীর্তণখোলা লঞ্চ কাউন্টার ঘুরে টিকেট না পাওয়া মুশফিকুর রহমান বলেন, কোনো কাউন্টারে টিকেট পাইনি। কিন্তু ঢাকা যেতেই হবে। কাল লকডাউন শুরু হলে চাকরী নিয়ে টান শুরু হবে আমার।
ঈগল পরিবহনের কাউন্টার স্টাফ টালু দাস বলেন, টিকেট অনেকে আগে থেকেই বুকিং হয়েছে। কিছু টিকেট ছিলো যা সকালেই শেষ হয়েছে। অনেক যাত্রী ভীর করছে কিন্তু কাউকেই আর দিতে পারছি না।
বরিশাল টু মাওয়া রুটের বি এম এফ পরিবহনের কাউন্টার স্টাফ চঞ্চল জানান, যাত্রীদের অনেক চাপ রয়েছে। অনেক যাত্রীকেই আমরা নিতে পারছি না শিডিউল অনুযায়ী। তাই যাত্রীরাও ক্ষিপ্ত।
আরও পড়ুনঃ শুক্রবার থেকে ১৪ দিন বন্ধ থাকবে নৌযান চলাচল
সুন্দরবন লঞ্চের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুর রহমান পিন্টু বলেন, ঈদ উপলক্ষে লঞ্চের টিকেট আগাম বিক্রি করা হয়েছে। কোনো টিকেটই নেই আমাদের কাছে। ডেক ছাড়া আমাদের কাছে কোনো কেবিনের টিকেট নেই।
বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার দে বলেন, স্বাস্থ্য বিধি মেনে বাস চলাচলের জন্য নির্দেশনা দেয়া রয়েছে। যাত্রী চাপ রয়েছে। যাত্রীদের সুবিধার্থে যা করার দরকার সেটা করার চেষ্টা করছি আমরা
৩ বছর আগে