ঈদের পরের দিনই উপচে পরা ভিড় ছিল বাস টার্মিনাল ও লঞ্চ ঘাটে। টিকেট নেই বাস, লঞ্চের কোনো কাউন্টারেই।
বৃহস্পতিবার সকালে বরিশাল লঞ্চ ঘাটে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে প্রচুর মানুষ আসতে দেখা গেছে। যাদের গন্তব্য ছিল ঢাকা। এছাড়া দুপুরের পর বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে ঢাকামুখী মানুষের উপচে পরা ভিড় ছিল। ২৩ তারিখ থেকে লকডাউন কার্যকরের খবরে আজকেই ঢাকামুখী হয়েছেন অধিকাংশ মানুষ। বাসে টিকেট না পেয়ে অনেক মানুষ অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে মহাসড়কে অবৈধ থ্রি হুইলার যানে মাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে জরিমানা: নৌ প্রতিমন্ত্রী
বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদে গিয়ে কথা হয় সাকুরা বাস কাউন্টারের সামনে অপেক্ষা করা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সিদ্দিকুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, জরুরীভাবে ঢাকা যাওয়া প্রয়োজন। তবে সব লঞ্চ কাউন্টারে ঘুরে এখন বাস কাউন্টারে এসেছি। কোনা টিকেট নেই। এখন বিকল্প চিন্তাভাবনা করছি।
মাওয়ার উদ্দেশ্যে থ্রি হুইলারে ওঠা যাত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, কোনো জায়গায় টিকেট পাইনি। এখন বাধ্য হয়ে এই থ্রি হুইলার মাহিন্দ্রাতে উঠেছি। জানি রিস্ক আছে, তবে কিছু করার নেই। যেতে তো হবে।
থ্রি হুইলারের আরেক যাত্রী বলেন, বাস লঞ্চে তো টিকেটই পাই নাই। ওটা সোনার হরিণ বর্তমানে। তাই থ্রি হুইলারেই জনপ্রতি ৮শ টাকা করে ভাড়া নিচ্ছে । বাধ্য হয়ে এই যানেই যেতে হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ হঠাৎ লঞ্চ বন্ধ: বিপাকে চাঁদপুরের যাত্রীরা
বরিশালের সুন্দরবর, এডভেঞ্চার, সুরভী ও কীর্তণখোলা লঞ্চ কাউন্টার ঘুরে টিকেট না পাওয়া মুশফিকুর রহমান বলেন, কোনো কাউন্টারে টিকেট পাইনি। কিন্তু ঢাকা যেতেই হবে। কাল লকডাউন শুরু হলে চাকরী নিয়ে টান শুরু হবে আমার।
ঈগল পরিবহনের কাউন্টার স্টাফ টালু দাস বলেন, টিকেট অনেকে আগে থেকেই বুকিং হয়েছে। কিছু টিকেট ছিলো যা সকালেই শেষ হয়েছে। অনেক যাত্রী ভীর করছে কিন্তু কাউকেই আর দিতে পারছি না।
বরিশাল টু মাওয়া রুটের বি এম এফ পরিবহনের কাউন্টার স্টাফ চঞ্চল জানান, যাত্রীদের অনেক চাপ রয়েছে। অনেক যাত্রীকেই আমরা নিতে পারছি না শিডিউল অনুযায়ী। তাই যাত্রীরাও ক্ষিপ্ত।
আরও পড়ুনঃ শুক্রবার থেকে ১৪ দিন বন্ধ থাকবে নৌযান চলাচল
সুন্দরবন লঞ্চের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুর রহমান পিন্টু বলেন, ঈদ উপলক্ষে লঞ্চের টিকেট আগাম বিক্রি করা হয়েছে। কোনো টিকেটই নেই আমাদের কাছে। ডেক ছাড়া আমাদের কাছে কোনো কেবিনের টিকেট নেই।
বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার দে বলেন, স্বাস্থ্য বিধি মেনে বাস চলাচলের জন্য নির্দেশনা দেয়া রয়েছে। যাত্রী চাপ রয়েছে। যাত্রীদের সুবিধার্থে যা করার দরকার সেটা করার চেষ্টা করছি আমরা