ঘাট
পাথরঘাটা বিএফডিসি ঘাটেই বিক্রি দেড় কোটি টাকার মাছ
দীর্ঘ ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে নদী ও সাগরে আবারও মাছ ধরা শুরু হয়েছে। এতে জেলেদের মাঝে যেমন প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে, তেমনি বাড়ছে সরকারের রাজস্ব আদায়।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিষেধাজ্ঞা শেষে চার দিনেই শুধু ৫০ হাজার ৯৯০ কেজি মাছ বিক্রি হয়েছে।
আরও পড়ুন: মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা শুরু, জেলেদের মাঝে ফিরছে স্বস্তি
বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মৎস্য অবতারণ কেন্দ্র বুধবার (৮ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন পাথরঘাটা বিএফডিসির বিপণন কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার।
তিনি জানান, ইলিশ রক্ষায় সাগরসহ সব নদ-নদীতে মাছ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে শুক্রবার থেকে সোমবার চার দিনে পাথরঘাটা বিএফডিসিতে মোট ৫০ হাজার ৯৯০ কেজি মাছ কেনা-বেচা হয়।
তিনি আরও জানান, ইলিশ রক্ষায় সাগরসহ সব নদ-নদীতে মাছ ধরার ২২ দিনের মধ্যে ইলিশই বিক্রি হয়েছে ১৫ হাজার ২৩৯ কেজি ও অন্যান্য মাছ ৩৫ হাজার ৭১৫ কেজি। যার বাজার মূল্য ১ কোটি ৫৭ লাখ ৯ হাজার টাকা। এতে সরকারের ১ লাখ ৯৭ হাজার ৪৭৫ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় ৩৪ জেলে গ্রেপ্তার
পাথরঘাটা পদ্মা এলাকার জেলে হানিফ শিকদার বলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগর ও নদীতে মাছ ধরা শুরু করলেও অন্যান্য মাছের তুলনায় এখনো কাঙ্ক্ষিত ইলিশ ধরতে পারিনি।
১ বছর আগে
পাটুরিয়া ঘাটে যানবাহন ও যাত্রীর চাপ কম
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে মঙ্গলবার সকালে ঈদে ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহনের চাপ তুলনামূলক কম ছিল। পদ্মাসেতু চালু হওয়ার পর থেকে টার্মিনালটিতে যানবাহন ও যাত্রী কমেছে।
তবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ জানিয়েছেন, ঈদে যাত্রী ও যানবাহন নির্বিঘ্নে পারাপারের জন্য ফেরির সংখ্যা বাড়িয়ে ১৮টি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মে দিবসে পাটুরিয়া ঘাটে ভিড়
তিনি আরও জানান, ঢাকা থেকে যাত্রীদের পারাপারের সুবিধার্থে কর্তৃপক্ষ ওপার থেকে খালি ফেরিগুলো ফিরিয়ে আনছে।
এছাড়া পাটুরিয়ার পাঁচটি ঘাট সংস্কার করা হয়েছে এবং পুরোপুরি চালু রাখা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি কর্মকর্তা জানান, কোরবানির পশুবোঝাই ট্রাক বহনের জন্য একটি বিশেষ ফেরির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) থেকে ঈদের তিনদিন পর পর্যন্ত পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা থাকলেও যানজট না থাকায় ট্রাক চলাচল স্বাভাবিক রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান জানান, কোরবানির পশু বহনকারী ট্রাক নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
যেকোনো ধরনের চাঁদাবাজি ঠেকাতে সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে যানজটে দুর্ভোগ
পাটুয়ারিয়া ঘাটে ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট
১ বছর আগে
রাজধানীমুখী যাত্রীদের চাপ বেড়েছে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে
ঈদের ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে ফেরার রাজধানীমুখী যাত্রীদের চাপ বেড়েছে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে। চাঁদপুর ও ঢাকা, চাঁদপুর ও নারায়ণগঞ্জের মধ্যে চলাচলকারী নিয়মিত লঞ্চ ছাড়াও যাত্রীদের সুবিধার্থে অতিরিক্ত লঞ্চ চালু করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
শনিবার দুপুরে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলার আপট উপজেলা,লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী,ট্রলারে আসা শরীয়তপুরের বহু সংখ্যক যাত্রী ঘাটের পন্টুনে অবস্থান করছে। তাদেরকে নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড ও বিআইডাব্লিউটির কর্মকর্তারা কাজ করছে।
আরও পড়ুন: মে দিবসে পাটুরিয়া ঘাটে ভিড়
হাজীগঞ্জের থেকে আসা যাত্রী মোহাইমিনুল ইসলাম জানান, করোনার কারণে গত দুবছর ঈদে বাড়িতে আসতে পারেনি। এ বছর ঈদের আগেই বাড়িতে এসেছি। স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে বাবা-মার সঙ্গে ঈদ কাটিয়ে এখন কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার জন্য ঘাটে অপেক্ষা করছেন।
চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, বৃহস্পতিবার থেকেই ঢাকাগামী যাত্রীদের চাপ বাড়তে শুরু করেছে। লঞ্চঘাটে আমাদের পুলিশ সদস্যরা নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছে। এখন পর্যন্ত খুবই শান্তি শৃঙখলার মধ্যে যাত্রীরা যেতে পারছে।
চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা একেএম কায়সারুল ইসলাম বলেন, ঈদুল ফিতর উদযাপন শেষে ঢাকাগামী যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। বিআইডাব্লিউটিএ, প্রশাসন, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি যাত্রীদের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। আমাদের পর্যাপ্ত সংখ্যক লঞ্চ রয়েছে। যাত্রী সাধারণের উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই।
আরও পড়ুন: পাটুয়ারিয়া ঘাটে ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট
তিনি বলেন, শনিবার ভোর থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সদরঘাটের উদ্দেশ্যে ১২টি লঞ্চ চাঁদপুর ঘাট ত্যাগ করেছে। নারায়নগঞ্জের উদ্দেশ্যে ১০টি ছেড়ে গেছে। মধ্যরাত পর্যন্ত লঞ্চ যাত্রা অব্যাহত থাকবে।
২ বছর আগে
বিআইডব্লিউটিএ’র ৪০০ ঘাট পয়েন্টে যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত টোল আদায় করা হচ্ছে
আসন্ন ঈদুল-ফিতরকে সামনে রেখে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও জেলা পরিষদের (জেলা পরিষদ) ইজারাদাররা সদরঘাট নদীবন্দরসহ সারাদেশে নদীবন্দর ও লঞ্চঘাটের ৪০০টিরও বেশি ঘাট পয়েন্ট থেকে চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে অতিরিক্ত টোল আদায় করছে।
শনিবার বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির (বিজেকেএস) মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ তোলেন।
অতিরিক্ত টোল আদায়ে নৈরাজ্য সৃষ্টির পাশাপাশি ইজারাদাররা যাত্রীদের হয়রানি করছে বলেও অভিযোগ করেন বিজেকেএস মহাসচিব।
এ ধরনের অতিরিক্ত টোল আদায় বন্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় বঙ্গবন্ধু সেতুর টোলপ্লাজা বন্ধ রাখায় তীব্র যানজট
২ বছর আগে
গাড়ি ও মানুষের চাপ কমে দৌলতদিয়া ঘাট ফাঁকা
বিধি নিষেধ উপেক্ষা করেই শুক্রবার ভোর থেকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে আসা বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের পাশাপাশি মানুষের ভিড় দেখা গেছে । তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে পরিবহন বা মানুষের চাপ কমতে থাকায় বেলা ১১টার পর দৌলতদিয়া ঘাট অনেকটা ফাঁকা হয়ে যায়। এখন শুধুমাত্র জরুরি গাড়ি, এ্যাম্বুলেন্স এবং পণ্যবাহী গাড়ি পারাপার হচ্ছে।
এছাড়া সকাল ৬টার পর থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে সকল লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কা, আহত ২০
শুক্রবার ভোর থেকে দৌলতদিয়া ঘাটে অবস্থান করে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার নদী পাড়ি দিতে আসা ঢাকামুখী বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের লম্বা লাইন পড়ে। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট থেকে যানবাহনের লাইন গোয়ালন্দ বাজার বাসস্ট্যান্ড ছাড়িয়ে ৭ কিলোমিটার লম্বা হয়। ছোট-বড় ১৬টি ফেরি নিয়মিত চলায় রাতভর পারাপারে গাড়ির চাপ কমতে থাকে। ঘাটে আসা দূরপাল্লার নৈশ কোচ শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত পাড়ি দেয়। ব্যক্তিগত গাড়ি প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস সাথে অসংখ্য মানুষও আজ সকালেও পারাপার হয়। বেলা ১১টার পর যানবাহনের চাপ কমে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক ফাঁকা হতে থাকে। লঞ্চ ঘাট মোড়ে ফেরিতে ওঠার অপেক্ষায় হাতে গোনা কয়েকটি পণ্যবাহী গাড়ি দেখা যায়।
লঞ্চ ঘাট মোড় এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কামাল হোসেন বলেন, শুক্রবার ভোর থেকে বেলা ১০টা পর্যন্ত মহাসড়কে ফেরি ঘাট এলাকায় প্রায় দুই কিলোমিটার লম্বা লাইনে যাত্রীবাহী পরিবহন, পণ্যবাহীসহ বিভিন্ন ধরনের গাড়ি ফেরিতে ওঠার অপেক্ষায় থাকে। বিকল্প সড়কের ৫ নম্বর ঘাট সংযোগ সড়কে বেশ কিছু ব্যক্তিগত গাড়ি ফেরিতে ওঠার অপেক্ষায় লম্বা লাইন দেয়। বেলা ১০টার পর থেকে মহাসড়ক ফাঁকা হতে থাকে। ফেরি ঘাটেও মানুষজনের ভিড় কমতে থাকে। বেলা ১১টার দিকে ঘাট এলাকায় তেমন যানবাহন বা মানুষজনের চাপ নেই বললেই চলে। দুপুরের দিকে হয়তো আরো ফাঁকা হয়ে যাবে।
আরও পড়ুনঃ পদ্মা সেতুর পিলারে ধাক্কা: ফেরির মাস্টার সাময়িক বরখাস্ত
এদিকে ঘাটসহ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে উপজেলা প্রশাসন ও গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের অবস্থান নিতে দেখা গেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুল হক খান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রফিকুল ইসলাম এবং গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর নেতৃত্বে বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ অবস্থান নেন।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর বলেন, ‘সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি পুলিশ বিশেষ দায়িত্ব পালন করছে। করোনার সংক্রমণ রোধে কঠোর বিধি নিষেধ যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা করা হচ্ছে। খুবই জরুরী কাজে বাইরে আসা ব্যক্তিদের বাদে বাকি সবাইকে বুঝিয়ে শুনিয়ে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করছি। ‘
আরও পড়ুনঃ শনিবার থেকে দিনে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন বলেন, সকাল ৯টা পর্যন্ত সার্বক্ষণিক ১৪টি ফেরি দৌলতদিয়া এবং পাটুরিয়া ঘাটে আটকে থাকা গাড়ি পারাপার করে। এখন উভয় ঘাটে গাড়ির চাপ না থাকায় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে পাটুরিয়ায় ছয়টি রো রো ও তিনটি ইউটিলিটি এবং দৌলতদিয়ায় তিনটি রো রো ও তিনটি ইউটিলিটি ফেরি রাখা হয়েছে। একটি মাত্র কেটাইপ ফেরি ভিআইপি পারাপারের ক্ষেত্রে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আইন শৃঙ্খলাবাহিনী এবং প্রশাসনের চেক পোস্ট অতিক্রম করে আসা গাড়ি ফেরিতে পারাপার হবে। এছাড়া যাত্রী পারাপারে নিষেধ রয়েছে বলেও তিনি জানান।
৩ বছর আগে