ডেল্টা
মিশরের নীল ডেল্টায় খালে বাস পড়ে ২১ জনের মৃত্যু
মিশরের নীল নদের ডেল্টা অঞ্চলে খালে বাস পড়ে কমপক্ষে ২১ জন নিহত হয়েছে।
শনিবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা ড. শেরিফ মাকেন বলেছেন, নিহতদের মধ্যে তিন শিশুও রয়েছে।
এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাজধানী কায়রো থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার (৬২ মাইল) উত্তর-পূর্বে দাকাহলিয়া প্রদেশে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। অন্যান্য আহত যাত্রীদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিশরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৭
প্রদেশটির পুলিশের তদন্ত বিভাগের প্রধান ব্রিগেডিয়ার মো. মোহাম্মদ আবদেল হাদি বলেন, চালক হয়তো গাড়ির স্টিয়ারিং-এর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিল।
দেশটির পরিবহন নিরাপত্তার রেকর্ড খারাপ হওয়ায় মারাত্মক ট্রাফিক দুর্ঘটনায় প্রতি বছর মিশরে হাজার হাজার প্রাণ ঝরে যায়। বেশিরভাগ সংঘর্ষ এবং দুর্ঘটনা ঘটে খারাপ রাস্তা বা ট্রাফিক আইনের দুর্বল প্রয়োগ এবং দ্রুতগতির কারণে।
জুলাই মাসে, দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ মিনিয়ায় একটি হাইওয়েতে একটি যাত্রীবাহী বাস একটি পার্ক করা ট্রেলার ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ২৩ জন নিহত এবং ৩০ জন আহত হয়।
কর্তৃপক্ষ জানায়, অক্টোবরে ডাকাহলিয়ায় একটি ট্রাক একটি মিনিবাসকে ধাক্কা দেয়। এতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়।
আরও পড়ুন: মিশরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৭
রোহিঙ্গা নির্যাতন: আন্তর্জাতিক আদালতে মিশরের সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ
২ বছর আগে
৮৮ শতাংশ করোনা রোগী ওমিক্রনে আক্রান্ত: বিএসএমএমইউ’র জরিপ
দেশে গেল বছরের ২৯ জুন থেকে চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৮৮ শতাংশ করোনা রোগী ভাইরাসটির ওমিক্রন ধরনে এবং বাকি ১২ শতাংশ ডেল্টা ধরনে আক্রান্ত হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এক জরিপে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোম সিকোয়েন্সিং রিসার্চ প্রজেক্টের প্রধান পৃষ্ঠপোষক (সুপারভাইজার) ও উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
দেশের প্রতিটি বিভাগ থেকে মোট ৯৩৭ জন রোগীর নাসোফ্যারিঞ্জিয়াল নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য নমুনা হিসাবে সংগ্রহ করা হয়।
তিনি বলেন, জরিপের ফলাফল অনুসারে, অধিকাংশ রোগীর বয়স ৩০ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে এবং শিশুরাও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় আরও ৪১ মৃত্যু
আক্রান্ত রোগীদের ৫১ শতাংশ নারী ও ৪৯ শতাংশ পুরুষ।
কোভিড আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যাদের কো-মরবিডিটি রয়েছে যেমন-ক্যান্সার, উচ্চরক্তচাপ, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস তাদের মধ্যে এ রোগের প্রকট বেশি।
গবেষণায় বলা হয়, ৬০ বছরের বেশি বয়স্ক কেউ দ্বিতীয় বার করোনায় আক্রান্ত হলে তার মৃত্যুর সম্ভাবনা বেশি।
২০২১ সালের জুলাইয়ের করোনা রোগীদের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৯৮ শতাংশ রোগী ভারতীয় ডেল্টা ধরন, এক শতাংশ দক্ষিণ আফ্রিকান ধরন বা বিটা ধরনে সংক্রামিত হয়েছে এবং অন্য এক শতাংশ মরিশাস বা নাইজেরিয়ান ধরনে আক্রান্ত হয়েছে।
তবে ২০২১ সালের আগস্ট থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সংগ্রহ করা নমুনায় দেখা যায় ৯৯ দশমিক ৩১ শতাংশ রোগী ডেল্টা ধরনে আক্রান্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৫৭ লাখ ৭৫ হাজার ছাড়িয়েছে
১৮ জানুয়ারি প্রকাশিত জরিপে দেখা যায়, ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত রোগীর ৮০ শতাংশ ডেল্টা ধরন ও ২০ শতাংশ ওমিক্রন ধরনে আক্রান্ত হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের টিমের চলমান গবেষণার লক্ষ্য বাংলাদেশে একটি কোভিড-১৯ জিনোম ডাটাবেস তৈরি করা। যার মাধ্যমে ভাইরাসটির বৈশিষ্ট্য, পরিবর্তন, ধরন ও বৈশ্বিক কোভিড-১৯ জিনোম তথ্যের সঙ্গে এর আন্তঃসম্পর্ক প্রকাশ করা।
অধ্যাপক শরফুদ্দিন আহমেদ বলেন, শিগগিরই তারা আগামী সপ্তাহের ফলাফল হালনাগাদ করার ব্যাপারে আশাবাদী।
জরিপটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এনাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান ও জেনেটিক্স অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. লায়লা আনজুমান বানুর নেতৃত্বে একটি টিম করছে।
আরও পড়ুন: ভারতে একদিনে ৭১ হাজারের বেশি করোনা শনাক্ত
২ বছর আগে
নারায়ণগঞ্জে ৩ দিনে করোনায় আক্রান্ত ৬৩০
নারায়ণগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ২০৪ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত বিবেচনায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
এ নিয়ে এ জেলায় গত দিনে ৬৩০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার ২০৪ জন ও সোমবার ২২২ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয় জেলায়।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মশিউর রহমান বলেছেন, ‘নারায়ণগঞ্জে গত তিন দিনে ছয় শতাধিক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের লক্ষণ বিবেচনায় ডেল্টার প্রভাব বেশি বলে আমরা ধারণা করছি। আর ওমিক্রনের প্রভাবও রয়েছে। তবে আশার কথা ওমিক্রনে মৃত্যুর হার অনেক কম। এ ধরনটি যেমন দ্রুত ছড়ায় তেমনি রোগি দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়।’
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে করোনা শনাক্ত ৫৮.৬০ শতাংশ
বুধবার দুপুরে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি জানান, ‘আমরা আমাদের সিনিয়র সিটিজেনদের ভ্যাকসিনের আওতায় এনেছি। আমাদের দুই লাখ ২৩ হাজার স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের ফাইজারের প্রথম ডোজ দিয়েছি। সবাইকে স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে এবং অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরে চলাফেরা করতে হবে।’
গত ২৪ ঘণ্টায় নারায়ণগঞ্জে ৯৯১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্তদের মধ্যে সিটি করপোরেশন এলাকায় ৭৩ জন, আড়াইহাজারে ছয় জন, বন্দরে ২০, রুপগঞ্জে ১৩, সদরে ৫৪ এবং সোনারগাঁয়ে ৩৮ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে নারায়ণগঞ্জে মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ২৮ হাজার ২৩৬ জন।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৩৫ কোটি ৯০ লাখ ছাড়িয়েছে
২ বছর আগে
করোনা রোগীদের ৭০-৮০ ভাগই ওমিক্রনে আক্রান্ত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশে বর্তমানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের ৭০ থেকে ৮০ ভাগই ভাইরাসটির নতুন ধরন ওমিক্রনে আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক। তিনি বলেন, ‘দেশে এখন করোনা সংক্রমণের ৭০ থেকে ৮০ ভাগই ওমিক্রনে আক্রান্ত; যা আশঙ্কাজনক।’
মঙ্গলবার বিকালে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের উদ্বেগজনক পরিস্থিতি মোকাবিলায় বেসরকারি হাসপাতালের প্রস্তুতি নিয়ে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ওমিক্রন নিয়ন্ত্রণে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তবে জনগণ এগিয়ে না আসলে সফল হবে না। ওমিক্রন মৃদু; এটা ভেবে হালকা ভাবে নিলে তা বড় ক্ষতির কারণ হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: ঢাকার এক-তৃতীয়াংশ হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাহিদ মালেক বলেন, সংক্রমণ যখন কমে এসেছিলো, তখন মৃত্যুও শূন্যের কোটায় চলে এসেছিলো। আমরা ধারণা করেছিলাম করোনা এবার বিদায় হবে। কিন্তু তখন আমাদের জনগণের মধ্যে অতিমাত্রায় আত্মবিশ্বাস (কনফিডেন্স) চলে এসেছিলো। মাস্ক ছাড়া ঘুরাফেরা করেছি, কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানিনি।
তিনি বলেন, কক্সবাজার যারা গিয়েছে তারা কেউ মাস্ক পড়েনি। যখন সংক্রমণ কমেছে, তখন আমরা দেখেছি প্রচুর বিয়ে-শাদি হয়েছে। হাজার হাজার লোক সেগুলোতে গিয়ে জটলা পাকিয়েছে। কিন্তু তাদের মধ্যে কোনো মাস্ক ছিল না, সামাজিক দূরত্ব ছিলো না। আমরা এখনও দেখছি বাণিজ্যমেলায় খুব কম লোকজনই মাস্ক পরছে। বাজারে খুব কম লোকই মাস্ক পরছে। এসব কারণেই সংক্রমণ বেড়েছে।
করোনার ডেল্টা ধরন সফলভাবে মোকাবিলা করেছেন দাবি করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেলটা ভেরিয়েন্ট (ধরন) আমরা সফলতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছি। কিন্তু আমাদের অনেক ঘাটতি ছিল। পর্যাপ্ত অক্সিজেন ছিল না; পর্যাপ্ত শয্যা ছিলো না; ডাক্তার-নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের অভিজ্ঞতা ও মনোবল কম ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করে আসাদের আস্থা, সাহস বেড়ে গেছে। আমরা এখন যে কোনো ঢেউ মোকাবেলা করতে পারি, সে সক্ষমতা আমাদের হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকারের ১১ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়ন নিশ্চিতের আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
৫০ বছর হলেই বুস্টার ডোজ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
ওমিক্রনের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন ঘটেছে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
ওমিক্রনের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন ঘটেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। একইসঙ্গে ওমিক্রন একটু একটু করে ডেল্টার জায়গা দখল করছে বলে সতর্ক করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
রবিবার দুপুরে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অধিদপ্তরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে সংস্থাটির মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, কমিউনিটি পর্যায়ে ওমিক্রনের সংক্রমণ ঘটছে। আমরা দেখছি, ওমিক্রমন একটু একটু করে ডেল্টার জায়গাগুলোকে দখল করে ফেলছে।
নাজমুল ইসলাম বলেন, এখন সিজনাল যে ফ্লু হচ্ছে তার সঙ্গে ওমিক্রনের মিল রয়েছে। ওমিক্রনের যে উপসর্গগুলো আছে, শতকরা ৭৩ শতাংশ মানুষের নাক দিয়ে পানি ঝরছে। ৬৮ শতাংশ মানুষের মাথা ব্যথা করছে। ৬৪ শতাংশ রোগী অবসন্ন-ক্লান্তি অনুভব করছেন। সাত শতাংশ রোগী হাঁচি দিচ্ছেন। গলা ব্যথা হচ্ছে সাত শতাংশ রোগীর। ৪০ শতাংশ রোগীর কাশি হচ্ছে। এই বিষয়গুলো আমাদের মাথায় রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার ৫০ শতাংশ
তিনি আরও বলেন, যে কোনো পরিস্থিতিতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। রোগীর সংখ্যা যদি প্রতিদিনই বাড়তে থাকে এবং স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে আমরা যদি নিজের মতো করে চলতে থাকি তাহলে রোগীর সংখ্যা আরও বাড়বে, সেটি সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর বাড়তি চাপ প্রয়োগ করবে। এই অতিমারিকে যদি আমরা পরাস্ত করতে চাই তাহলে আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেই হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ডিসেম্বরের শেষ থেকে বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। ২২ জানুয়ারি এসে শনাক্তের হার ২৮ শতাংশের বেশি রয়েছে। সপ্তাহের শুরু ১৬ জানুয়ারি যেটা ছিল ১৭ দশমিক ৮২ শতাংশ।
হাসপালে রোগী বাড়ছে জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, গত বছরের শেষ থেকে এ বছরের শুরু পর্যন্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নেয়ার জন্য আগ্রহী রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০০টি নমুনা সংগ্রহের বিপরীতে শনাক্তের হার ২৮ শতাংশে বেশি। আজ পর্যন্ত যে গড় আছে তা ১৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনা: রাজশাহী বিভাগে শনাক্ত ৪৪.১৯ শতাংশ
করোনা উপসর্গে দিনাজপুরে মৃত্যু ৩, শনাক্ত ৫১.৫১ শতাংশ
২ বছর আগে
সুনামির মতো ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন ও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
করোনার ওমিক্রন ও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সুনামির মতো ছড়িয়ে পড়েছে জানিয়ে এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস। তবে তিনি আশাবাদী যে বিশ্ব ২০২২ সালে মহামারির সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যাবে।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা টিকাদানে যে লক্ষ্য নিয়েছিল বিশ্বের ১৯৪টি সদস্য দেশের মধ্যে ৯২টি দেশই তা পূরণে সক্ষম হয়নি।
আগামী জুলাইয়ের মধ্যে দেশের জনসংখ্যার ৭০ শতাংশকে টিকার আওতায় আনার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ৩ জনের ওমিক্রন শনাক্ত
ডব্লিউএইচও এর পরিসংখ্যান অনুসারে, বিশ্বব্যাপী করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহে ১১ শতাংশ বেড়েছে।
টেড্রস বলেন, আমি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন যে ওমিক্রন ডেল্টার মতো একই সময়ে আরও বেশি সংক্রমণযোগ্য ও সঞ্চালিত হওয়ার কারণে বিষয়টি সুনামির দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
এটি ক্লান্ত স্বাস্থ্য কর্মীদের এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর প্রচুর চাপ সৃষ্টি করবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ডব্লিউএইচও এর সাপ্তাহিক মহামারি সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওমিক্রন সম্পর্কিত ‘সামগ্রিক ঝুঁকি’ ‘খুব বেশি’। এটি সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রমাণ উদ্ধৃত করে জানিয়েছে যে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় এটির সংক্রমণ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে করোনা শনাক্তের ৭৩ শতাংশ এখন ওমিক্রন
২ বছর আগে
দেশে ওমিক্রনের কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের
করোনার ডেল্টা ধরনের স্থলে ভাইরাসটির নতুন ধরন ওমিক্রন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, বাংলাদেশেও করোনার এ প্রাণঘাতী ধরনের নতুন ঢেউ নিশ্চিতভাবে দেখা দেবে।
তারা আশঙ্কা করছেন, মানুষের মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার চরম অনীহার মধ্যে যদি করোনার নতুন এ ধরন মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে তাহলে টিকা না নেয়া আট কোটি মানুষের ওপর এটি চরম আঘাত হানতে পারে বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের ওপর।
ওমিক্রন ডেল্টার চেয়ে তিন গুণ বেশি সংক্রমক। এ জন্য বিশ্লেষকরা সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন, জনগণকে করোনার সব স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে জোরদার করা এবং পাশাপাশি বিমান ও স্থল বন্দরের মাধ্যমে দেশে আসা যাত্রীদের সঠিকভাবে স্ক্রিনিং করা ও তাদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা।
তারা মনে করেন, দ্রুত সংক্রমক করোনার এ ধরনের বিস্তার রোধ করতে ওমিক্রন-আক্রান্ত দেশগুলো থেকে আসা সব যাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা উচিত।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ায় ওমিক্রনে প্রথম রোগীর মৃত্যু
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম, রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুশতাক হোসেন ও গণবিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. বিজন কুমার শীল ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
২ বছর আগে
ডেল্টার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ওমিক্রন প্রতিরোধ করতে হবে: ডব্লিউএইচও
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কর্মকর্তারা বলছেন, সংক্রমিত দেশসমূহের সীমান্ত বন্ধ করে ওমিক্রন ছড়ানো বন্ধ করা যায়। তবে শুধু সীমান্ত বন্ধ না করে, ডেল্টার বিরুদ্ধে করা লড়াইয়ের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ওমিক্রনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামা উচিত।
শুক্রবার ফিলিপাইনের ম্যানিলা থেকে সম্প্রচারিত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচও’র পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক ড. তাকেশি কাসাই বলেছেন, একদিকে যেমন কয়েকটি দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, অন্যদিকে কিছু দেশে আবার ক্রমে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর পরিমাণ কমে যাচ্ছে।
কাসাই বলেন, সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সময় পেছাতে পারে, ফলে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আরও বেশি সময় পাওয়া যাবে। প্রতিটি দেশেরই এর বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রস্তুতি নেয়া উচিত।
কাসাই আরও বলেন, এরমধ্যে সবচেয়ে ইতিবাচক খবর হল, ওমিক্রন সম্পর্কে আমাদের কাছে বর্তমানে যে তথ্য রয়েছে, এর ভিত্তিতে বলা যায় এতদিন ধরে অনুসরণ করা স্বাস্থ্যবিধিতে ওমিক্রনের জন্য নতুন কোনও পরিবর্তন প্রয়োজন নেই।
আরও পড়ুন: ওমিক্রন: ৭ আফ্রিকান দেশের যাত্রীদের বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন
কাসাই বলেছেন, মিউটেশনের সংখ্যার কারণে ওমিক্রনকে নিয়ে অনেকের মধ্যেই উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। কারণ প্রাথমিক তথ্য থেকে জানা যায়, এটি ভাইরাসের অন্যান্য রূপের চেয়ে বেশি সংক্রামক হতে পারে। অনেকের প্রশ্ন, এতে আক্রান্ত হলে মানুষ কি আরও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে অথবা এটা কি করোনা টিকার সুরক্ষাকে বাতিল করে দেবে?
এর উত্তর এখনও আমাদের কাছে নেই, এ বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসার জন্য আরও পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
অন্যদিকে ডব্লিউএইচও’র আঞ্চলিক জরুরি পরিচালক ড. বাবাতুন্ডে ওলোওকুরে বলেছেন, এখন পর্যন্ত পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের চারটি দেশে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। এগুলো হলো- অস্ট্রেলিয়া, হংকং, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও ভারতে প্রথম ওমিক্রন শনাক্তের কথা জানা গেছে।
ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ফিলিপাইনের সরকারি মহামারি ব্যুরোর পরিচালক আলথিয়া ডি গুজম্যান বলেছেন, গত দুই সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দেশটিতে আসা ৭১ জনের মধ্যে একজন করোনাভাইরাস পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। তবে তিনি ওমিক্রন আক্রান্ত কি না তা শনাক্তের জন্য এখনও পরীক্ষা চলছে।
আরও পড়ুন: ভারতে প্রথম ২ জনের ওমিক্রন শনাক্ত
ডি গুজম্যান আরও বলেন, আমরা আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ওমিক্রন মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত করছি।
ডব্লিউএইচওর আঞ্চলিক জরুরি পরিচালক ড. বাবাতুন্ডে ওলোওকুরে ম্যানিলায় বলেছেন, দেশগুলোর এখন কী করা উচিত সে প্রসঙ্গে, গত কয়েক বছরের আমাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে হবে। সেইসাথে কীভাবে আরও টেকসই উপায়ে ভবিষ্যৎ মহামারির সাথে মোকাবিলা করা যায় তা আলোচনা করতে হবে। নাগরিকদের টিকাদান, সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক পরা ইত্যাদি বিধি অনুসরণ করতে হবে।
অন্যদিকে ডব্লিউএইচওর পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক ড. তাকেশি কাসাই আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য হল আমরা সঠিক সময়ে, সঠিক রোগীদের, সঠিক জায়গায়, সঠিকভাবে চিকিৎসা করছি তা নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কবার্তা, ওমিক্রনের ঝুঁকি ‘খুব বেশি’
৩ বছর আগে
বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২২ কোটি ২৪ লাখ ছাড়াল
সারা বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনাভাইরাসের বিভিন্ন নতুন ধরনের কারণে প্রতিদিনই বাড়ছে রোগী ও আক্রান্তদের মৃত্যু সংখ্যা। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৪৫ লাখ ৯৪ হাজার ৮০৫ জন এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২২ কোটি ২৪ লাখ ৭৬ হাজার ৯৭১ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট ৫৫৬ কোটি ৩৩ লাখ ৩৩ হাজার ২৯১ ডোজ করোনার টিকা প্রদান করা হয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৪ কোটি ৪ লাখ ৫১ হাজার ৪২৯ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৬ লাখ ৫২ হাজার ৬৪৭ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুর প্রকোপ: আরও ২৫৬ জন হাসপাতালে
অপরদিকে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৮৪ হাজার ৪২১ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২ কোটি ৯ লাখ ২৮ হাজার ৮ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে বুধবার পর্যন্ত মোট ৩ কোটি ৩০ লাখ ৯৬ হাজার ৭১৮ জনের সংক্রমণ নিয়ে বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমণের স্থানে অবস্থান করছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৪১১ জনে।
আরও পড়ুন: সক্ষমতার চেয়ে বেশি নিবন্ধনে এসএমএস পেতে সমস্যা: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত আরও কমেছে। একদিনে ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৪৯৭ জনের। নতুন মৃত্যুসহ দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬ হাজার ৭৩৬ জনে। এপর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ২২ হাজার ৩০৫ জনে।
এর আগে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছিল, আগের ২৪ ঘণ্টায় ৫৬ জনের মৃত্যু ও ২ হাজার ৬৩৯ আক্রান্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাপানি মাকে নিয়ে অবমাননাকর ভিডিও অপসারণের নির্দেশ
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ২৭ হাজার ৫২৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এসময় শনাক্তের হার ৯.০৭ শতাংশ। দেশে মৃত্যুর হার ১.৭৬ শতাংশ। এই পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ১৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৯৪ জন। দেশে সুস্থতার হার ৯৬.২১ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে ২০ জন, খুলনা বিভাগে ৯ জন, চট্টগ্রামে ১৫ জন, রংপুরে ২ জন, বরিশালে ২ জন, সিলেটে ৩ জন, রাজশাহীতে এক জন মারা গেছেন।
৩ বছর আগে
বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৪৬ লাখের কাছাকাছি
সারা বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনাভাইরাসের বিভিন্ন নতুন ধরনের কারণে প্রতিদিনই বাড়ছে রোগী ও আক্রান্তদের মৃত্যু সংখ্যা। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৪৫ লাখ ৮৫ হাজার ৫৪৭ জন এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২২ কোটি ১৮ লাখ ৭৩ হাজার ৪১২ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট ৫৫২ কোটি ৭৫ লাখ ২০ হাজার ৬৫৩ ডোজ করোনার টিকা প্রদান করা হয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৪ কোটি ২ লাখ ৭৯ হাজার ৭৩২ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৬ লাখ ৫০ হাজার ৫১১ জন।
আরও পড়ুন: করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত আরও কমেছে
অপরদিকে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৮৪ হাজার ১০৮ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২ কোটি ৯ লাখ ১৪ হাজার ২৩৭ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট ৩ কোটি ৩০ লাখ ৫৮ হাজার ৮৪৩ জনের সংক্রমণ নিয়ে বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমণের স্থানে অবস্থান করছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৪২ জনে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: রেকর্ড ৩৪৩ রোগী হাসপাতালে ভর্তি
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত আরও কমেছে। একদিনে ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৬৩৯ জনের।
নতুন মৃত্যুসহ দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাড়িয়েছে ২৬ হাজার ৬৮৪ জনে। আর এপর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ১৯ হাজার ৮০৫ জনে।
এর আগে সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছিল, আগের ২৪ ঘণ্টায় ৬৫ জনের মৃত্যু ও ২ হাজার ৭১০ আক্রান্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে ৬ হরিণের চামড়াসহ মাংস উদ্ধার, আটক ৪
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ২৭ হাজার ২৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এসময় শনাক্তের হার ৯.৬৯ শতাংশ। দেশে মৃত্যুর হার ১.৭৬ শতাংশ। এই পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ১৪ লাখ ৬০ হাজার ৭৫৪ জন। দেশে সুস্থতার হার ৯৬.১১ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে ২০ জন, খুলনা বিভাগে ৬ জন, চট্টগ্রামে ১৫ জন, রংপুরে ২ জন, বরিশালে ৪ জন, সিলেটে ৫ জন, রাজশাহীতে ৩ জন মারা গেছেন।
৩ বছর আগে