উদ্যোগ
যেসব কারণে ব্যর্থ হচ্ছে পলিথিন নিষিদ্ধের উদ্যোগ
অবৈধ পলিথিন ব্যাগ বন্ধে সরকারের উদ্যোগের তেমন কোনো সফলতা চোখে পড়ছে না। সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী মূল্যের বিকল্প শপিং ব্যাগ না থাকায় এ উদ্যোগ ব্যর্থ হতে চলেছে।
গত ১ নভেম্বর থেকে পলিথিন ব্যাগের ওপর সরকারের নিষেধাজ্ঞার এক মাস পেরিয়ে গেলেও বিভিন্ন কাঁচাবাজার, মুদি দোকান ও বিক্রেতাদের ওপর পলিথিন ব্যাগের বিরুদ্ধে সরকারের অভিযানের দৃশ্যমান কোনো প্রভাব দেখা যায়নি।
পরিবেশকর্মী, সাধারণ মানুষ ও দোকান মালিকরা বলছেন, পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন বন্ধ এবং পলিথিনের কাঁচামাল আমদানিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা উচিত সরকারের। পাশাপাশি উপযুক্ত ও সাশ্রয়ী বিকল্প উদ্ভাবনের দিকে মনোনিবেশ করা দরকার।
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) নির্বাহী সভাপতি ড. লেলিন চৌধুরী বলেন, পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধের সিদ্ধান্ত সঠিক পদক্ষেপ। কিন্তু যতই চাপ প্রয়োগ করা হোক না কেন, জনগণকে কার্যকর বিকল্প না দিয়ে এটি বন্ধ করা কঠিন হবে।’
পলিথিন ব্যাগের বিকল্প হিসেবে পাটের ব্যাগের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি সরকারকে পাটের ব্যাগকে সস্তা ও সহজলভ্য করার পরামর্শ দেন। প্রয়োজনে সরকারকে পাটের ব্যাগকে প্রতিযোগিতামূলক করতে ভর্তুকি দিতে হবে, কারণ এগুলো প্রকৃতিবান্ধব ও পরিবেশবান্ধব।
২০০০ এর দশকের গোড়ার দিকে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে সরকারের ব্যর্থ প্রচেষ্টা সম্পর্কে এই পরিবেশকর্মী বলেন, তৎকালীন সরকার পলিথিন নিষিদ্ধ করার পর কার্যকর বিকল্প দিতে ব্যর্থ হয়। এ কারণে তা সফল হয়নি।
তিনি বলেন, পলিথিন ব্যাগ ব্যবহারের দীর্ঘদিনের অভ্যাস পরিবর্তন করা সহজ কাজ নয়।
তিনি বলেন, 'আমাদের জনগণকে পলিথিন ব্যাগের কার্যকর বিকল্প দিতে হবে; তা না হলে এবারও এ উদ্যোগ পুরোপুরি সফল হবে না।’
পরিবেশকর্মী অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ২০০২ সালে যখন প্রথম পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ করা হয়, তখন মানুষ শাস্তির ভয়ে কিছু দিন তা ব্যবহার থেকে বিরত ছিল। তবে উপযুক্ত বিকল্প ব্যাগ না পাওয়ায় আবারও পলিথিন ব্যবহার শুরু করেন তারা।
তিনি বলেন, 'এবার শুধু পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ করার দিকেই নজর দেওয়া হচ্ছে। বিকল্প উৎপাদনের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না।’
স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মজুমদার বলেন, ঢাকা ও ঢাকার বাইরে প্রায় এক হাজার ছোট কারখানায় পলিথিন ব্যাগ তৈরি হয়। তাই কারখানা বন্ধ করে কাঁচামাল আমদানিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির দিকে সরকারকে আরও নজর দিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অ্যাটমোস্ফেরিক পলিউশন স্টাডিজের (ক্যাপস) প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ড. মজুমদার বলেন, আইনের কঠোর প্রয়োগ, জনসচেতনতা তৈরি, পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন বন্ধ করা এবং সস্তায় বিকল্প ব্যাগ উৎপাদন একযোগে করতে হবে।
রাজধানীর পশ্চিম শেওড়াপাড়ার বাসিন্দা মঈন উদ্দিন বুধবার পশ্চিম শেওড়াপাড়ার কাঁচাবাজার থেকে ফিরছিলেন। এ সময় চারটি পলিথিন ব্যাগের করে সবজি ও মুদি সামগ্রী বহন করতে দেখা যায় তাকে।
অবৈধ পলিথিন ব্যাগ ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সস্তায় বিকল্প কোনো ব্যাগ পাওয়া যায় না।
তিনি বলেন, ‘সরকার যদি সত্যিই পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করতে চায়, তাহলে প্রথমে আমাদের বিকল্প ব্যাগ সরবরাহ করা উচিত এবং পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন বন্ধ করা উচিত।’
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী আনিসুল ইসলাম। মৌচাকে সবজি কিনলে বিক্রেতারা তিনটি পলিথিন ব্যাগের করে তা দেন। বিকল্পের অভাবকেই দায়ী করেছেন তিনিও।
শেওড়াপাড়ার আনন্দবাজারের নুরুল হক নামে এক সবজি বিক্রেতা বলেন, ক্রেতাদের পলিথিন ব্যাগ সরবরাহ করলে তার বিক্রি অনেক কমে যাবে।
নুরুল বলেন, ‘সরকার যদি পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধ করতে পারত তাহলে আমার আয় বাড়ত। প্রতিদিন পলিথিন ব্যাগ কিনতে আমার ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা খরচ করতে হতো না। দোকানের জন্য প্রতিদিন ১৭০-২০০ পলিথিন ব্যাগ লাগে।’
পশ্চিম শেওড়াপাড়ার মুদি দোকানি শফিকুল ইসলামও বিকল্প ব্যাগ তৈরি না করে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার জন্য সরকারের সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, ‘পলিথিন ব্যাগ না দিলে ক্রেতারা আমার দোকান থেকে কিনবে না।
তিনি বলেন, তার প্রতিদিনের বিক্রির জন্য প্রায় ২৫০-৩০০ পলিথিন ব্যাগ লাগে।
এই মুদি দোকানে অবশ্য বাজার থেকে পলিথিন ব্যাগ বর্জনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন। তাদের উৎপাদন বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
শফিকুল বলেন, 'ক্রেতাদের অভ্যাস আগে বদলাতে হবে। উপযুক্ত বিকল্প ব্যাগ পাওয়া গেলে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধ করা যেতে পারে।’
একক ব্যবহারের পণ্য যেমন ব্যাগ, বোতল, স্ট্র ও প্যাকেজিং উপকরণের অতিরিক্ত ব্যবহারের অন্যতম প্রধান কারণ হলো এগুলো পুনঃপ্রক্রিয়া না করা, যার ফলে এগুলো শেষ পর্যন্ত ভাগাড়, জলাশয় ও প্রাকৃতিক পরিবেশে চলে যায়।
আরও পড়ুন: পলিথিনবিরোধী অভিযানে ১৯ লাখ টাকা জরিমানা: মনিটরিং কমিটির সভাপতি
প্লাস্টিক পণ্যের অনিয়ন্ত্রিত উৎপাদন
বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান প্লাস্টিক বর্জ্যের অব্যবস্থাপনার পেছনে প্লাস্টিক শিল্প সবচেয়ে বেশি দায়ী। বাংলাদেশে প্রায় পাঁচ হাজার প্লাস্টিক প্রস্তুতকারক কাজ করছে। এসব স্থানে প্রায় ১২ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে (বিডা, ২০২১)।
শহরাঞ্চলে বাংলাদেশের বার্ষিক মাথাপিছু প্লাস্টিকের ব্যবহার ২০০৫ সালে ছিল ৩ কেজি। সেখান থেকে ২০২০ সালে তিনগুণ বেড়ে ৯ কেজিতে দাঁড়িয়েছে।
২০০৫ সালের তুলনায় ২০২০ সালে এলডিপিই প্যাকেজিং উপকরণের (প্লাস্টিক ব্যাগ ইত্যাদি) ব্যবহার পাঁচগুণ বেড়েছে। ২০২০ সালে ব্যবহৃত ৯ লাখ ৭৭ হাজার টন প্লাস্টিকের মধ্যে মাত্র ৩১ শতাংশ পুনর্ব্যবহার করা হয়েছে।
প্লাস্টিক দূষণের শীর্ষ ১০টি হটস্পট:
• চীন: প্রতি বছর ২৮ লাখ টন
• পাকিস্তান: প্রতি বছর ২৬ লাখ টন
• বাংলাদেশ: প্রতি বছর ১৭ লাখ টন
• রাশিয়া: প্রতি বছর ১৭ লাখ টন
• ব্রাজিল: প্রতি বছর ১৪ লাখ টন
• থাইল্যান্ড: প্রতি বছর ১০ লাখ টন
• ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো: প্রতি বছর ১০ লাখ টন।
আরও পড়ুন: যৌথবাহিনীর অভিযানে ২৪৬০ কেজি পলিথিন জব্দ, ৩ কারখানা সিলগালা
৩ সপ্তাহ আগে
চট্টগ্রাম বন্দরে অটোমেশন চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে: উপদেষ্টা
নৌপরিবহন এবং পাট ও বস্ত্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, চট্টগ্রাম পোর্ট হচ্ছে বাংলাদেশের লাইফলাইন। তাই চট্টগ্রাম বন্দরে অটোমেশন চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ পোর্ট যদি না চলে এবং যে অব্যবস্থাপনা ছিল সেটা যদি দূর না হয় আমাদের অর্থনীতির লাইফলাইনে অসুবিধা হবে। সে কারণে গত তিন দিন ধরে এ পোর্টের যাবতীয় কার্যক্রম পরিদর্শন করেছি।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বন্দর পরিদর্শন শেষে নিউমুরি কনটেইনার টার্মিনালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ট্রাইব্যুনালের সংস্কার কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ আইন উপদেষ্টার
তিনি বলেন, ‘আমরা ম্যানুয়ালি থেকে যদি অটোমেশন করতে পারি তাহলে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের সময় কমে যাবে। আগে একটি জাহাজ এলে ১০ থেকে ১৫ দিন লাগত পণ্য খালাসে। এখন সেটা অনেক উন্নতি হয়েছে। আমরা যে সন্তুষ্ট, তা একদম নয়। অটোমেশনের কাজ চলছে। সেটি হলে কনটেইনার লোডিং ও আনলোডিংয়ের সময় কমবে।’
তিন দিনের সফর শেষে চট্টগ্রাম বন্দর, নৌবাণিজ্য ও সুনীল অর্থনীতি নিয়ে কথা বলেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘এখানে (চট্টগ্রাম বন্দর) অনেক অনিয়ম হয়েছে। সেগুলো বলতে গেলে সারাদিন লাগবে। অনেক লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। তারা কাজ করছে না। লাইসেন্স নিয়ে হয়তো আরেকজনের কাছে বিক্রি করেছে। আমাদের নজরে এসেছে। আমরা ব্যবস্হা নিচ্ছি।’
চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম গতিশীল করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখানে (চট্টগ্রাম বন্দর) ২০ বছর আগের কনটেইনার পড়ে আছে। ১২ থেকে ১৪ বছর ধরে গাড়ি পড়ে আছে। এগুলো নিলাম করার কাজ এনবিআরের (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। বন্দরের জায়গা যদি এভাবে ভর্তি হয়ে থাকে তাহলে কার্যক্রম কীভাবে বাড়বে। পোর্টের জায়গা যদি খালি না করে এত কনটেইনার আছে এগুলো আমরা রাখব কোথায়। ফিরে গিয়ে আমি এনবিআরের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলব। শুধুমাত্র বন্দর নয়, আরও যেসব সংস্থা আছে তাদেরও কাজ করতে হবে। যদি কাজ না করে তাহলে বন্দর কর্তৃপক্ষ কাজগুলো করতে পারবে না। আমাদের কাছে বিনিয়োগকারী আছে। পোর্ট অটরিটিই শুধু না, পোর্ট অথরীটির মধ্যে যেসব এজেন্সি আছে তাদেরও একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
বন্দরকে দুর্নীতিমুক্ত করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি থাকলে অবশ্যই বলবেন। এ বন্দরকে জঞ্জাল মুক্ত করতে হবে। আর এটা যাতে কুইক রেসপন্স করতে পারে সেটার জন্য কাজ করতে হবে।’
চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে এ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি বে-টার্মিনালের জায়গাগুলোও দেখে আসছি। আমি আপাতদৃষ্টিতে বে টার্মিনালে কোনো সমস্যা দেখছি না। এখানে বিনিয়োগ করার জন্য অনেকে বিদেশি বিনিয়োগকারী বসে আছে। আগামী বেশ কিছু বছর পরে এ টার্মিনালের যে সম্ভাবনা সেটা দেখতে পাব। আমাদের দিনদিন আমদানি-রপ্তানি বাড়ছে। সেগুলোও লোড-আনলোড করতে সমস্যা হবে না। এখানে সৌদি আরব, নেদারল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশ বিনিয়োগ করেছে। বিনিয়োগকে যদি আমরা নিরুৎসাহিত করি তাহলে আমাদের এখানে কিন্তু বাইরের কেউ আসবে না। সিঙ্গাপুরের পোর্ট আর আমাদের বন্দরের মধ্যে কিন্তু তফাত আছে। তারা উম্মুক্ত। তারা অনেক এগিয়ে। বন্দরগুলোকে আমরা যদি সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারি, বন্দরের ভেতরে যে অরাজকতা ও চোরাচালান আছে সেগুলো যদি বন্ধ করতে পারি তাহলে আমরা আরও বেশি আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারব।’
এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘পোর্টের জন্য যেটা ভালো হবে সেটা করা হবে। টেন্ডার এখন আর ডিপিএম পদ্ধতিতে হবে না। এখন ওপেন দরপত্র আহ্বান করা হবে। সেটা আবার আমরা রিভিউ করব। যাতে লোকাল বা বিদেশির মধ্যে কোনো নির্দিষ্ট লোক যাতে না আসে।’
এসমং উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর মাহমুদুল মালেকসহ বন্দরের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: খাদ্য নিরাপদ করতে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার কমানোর আহ্বান উপদেষ্টার
২ মাস আগে
আত্মসাতের টাকা ১ লাখ কোটি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, ব্যাংকিং খাত সংস্কারের উদ্যোগ
দুর্নীতিবাজদের আত্মসাৎ করা অর্থ এবং দেশে ও বিদেশে রাখা উভয় সম্পদ পুনরুদ্ধারে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। একই সঙ্গে দেশের ব্যাংকিং খাত পুনর্গঠনের জন্য উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তারা।
এছাড়া আর্থিক খাতকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার বৃহত্তর উদ্যোগের অংশ হিসেবে বিদেশে পাচার হওয়া এসব সম্পদ ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: ইসলামী ব্যাংকসহ এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন ৬ ব্যাংকে ঋণসীমা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
প্রক্রিয়াটি জটিল ও সময়সাপেক্ষ বলে স্বীকার করে সরকার আর্থিক খাতের সংস্কারের অঙ্গীকারের ওপর জোর দিয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, এই কৌশলের মূল উপাদান হবে ব্যাংকিং কমিশন প্রতিষ্ঠা করা, যা প্রতিটি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বিষয়ে তদন্ত, দুর্নীতির সম্পূর্ণ মাত্রা উন্মোচন এবং কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করবে। সারা বিশ্বের ব্যাংকিং নিয়ম মেনে চলা নিশ্চিত করতে এই খাতকে ঢেলে সাজাতে পরিকল্পনাটি ছয় মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে আন্তর্জাতিক সব মান নিশ্চিত করতে সক্ষম হওয়া এবং একটি শক্তিশালী ব্যাংকিং ব্যবস্থা গড়ে তোলা। তবে এ লক্ষ্য অর্জনে কার্যক্রমের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক কারিগরি সহায়তা ও অর্থায়ন প্রয়োজন হবে।
আরও পড়ুন: ইসলামী ব্যাংকের ৬ ডিএমডিসহ শীর্ষ ৮ কর্মকর্তা বরখাস্ত
অসাধু ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ব্যাংকিং খাত থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। প্রতারণার মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচারের বিষয়টি প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে এসব সংস্কার করা হচ্ছে।
প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী আত্মসাৎ করা মোট অর্থের পরিমাণ ১ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। তবে সঠিক সংখ্যা নির্ধারণে এখনো কাজ চলছে।
এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকটি ব্যাংক সংস্কারের উদ্যোগের অংশ হিসেবে বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংকের বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়েছে। অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও একই ধরনের ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা হবে।
পাচার হওয়া অর্থের সন্ধান এবং সেগুলো ফিরিয়ে আনতে সরকার বিদেশি সংস্থাগুলোর সহায়তাও চেয়েছে। নতুন ব্যবস্থাপনা দলগুলো ব্যাংকগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা আত্মসাৎ করা অর্থের পরিমাণের সঠিক তথ্য সংগ্রহ এবং সেগুলো পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রাখতে দায়বদ্ধ থাকবেন।
আরও পড়ুন: এনবিআর পরিদর্শনে গিয়ে কাজের গুরুত্ব তুলে ধরলেন অর্থ উপদেষ্টা
৩ মাস আগে
প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাছের উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
২০৪১ সালের মধ্যে ৮৫ লাখ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে খামার যান্ত্রিকীকরণের পাশাপাশি অত্যাধুনিক ও স্বয়ংক্রিয় মৎস্যচাষ প্রযুক্তির ব্যবহার করে প্রতিটি পর্যায়ে উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আবদুর রহমান।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকালে মৎস্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে ‘ভরব মাছে মোদের দেশ, গড়ব স্মার্ট বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিবছরের মতো জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৪ উদযাপিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৪ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।
অনুষ্ঠানে মৎস্যখাতে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২২ জন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় মৎস্য পদক-২০২৪ প্রদান করা হবে।
পদকগুলোর মধ্যে রয়েছে ৬টি স্বর্ণ, ৮টি রৌপ্য ও ৮টি ব্রোঞ্জ পদক।
এদিন বেলা ১২টায় প্রধানমন্ত্রী গণভবন লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত করবেন। তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার (০১ আগস্ট) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনের পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করবেন। সপ্তাহের চতুর্থ দিন বিএফআরআই একটি সেমিনার আয়োজন করবে। ৫ম দিন রবিবার (০৩ আগস্ট) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ ভবন লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত করবেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে উন্নীতকরণের লক্ষ্য বাস্তবায়নে সরকার মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জেলেদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, মৎস্য অভয়াশ্রম ও সংরক্ষিত এলাকা স্থাপন, ইলিশ সংরক্ষণ, সুনীল অর্থনীতির সম্ভাবনা বিকাশে সামুদ্রিক মাছের মজুদ নিরূপণ ও স্থায়িত্বশীল আহরণ, মৎস্য ও মৎস্য পণ্যের ভ্যালুচেইন উন্নয়ন, রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
মন্ত্রী বলেন, নদীনালা, খাল, বিলে পোনা অবমুক্তকরণ, মৎস্য হ্যাচারি আধুনিকায়ন,খাঁচায় মাছ চাষ প্রযুক্তি ও অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশীয় প্রজাতির মাছের উৎপাদন বাড়ানো হবে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ চীনকে টপকিয়ে মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে দ্বিতীয় হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার করে মাছ উৎপাদনে আমরা প্রথম হতে চাই। এ লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। সামুদ্রিক মাছের অবস্থান, গতিবিধি, মজুদ নিরূপণ ও আহরণের জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার আধুনিক ট্রলার আনার ক্ষেত্রে বেসরকারি উদ্যোক্তা পাওয়া গেলে তাকে স্বাগত জানানো হবে। এবং এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয় সব ধরনের সহযোগিতা করবে বলে জানান মন্ত্রী।
আব্দুর রহমান বলেন, সামুদ্রিক মাছের আহরণ, বিপণন ও আন্তর্জাতিক বাজার সৃষ্টি করতে পারলে মৎস্য খাত বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে।
আরও পড়ুন: দেশীয় পশু দিয়েই কোরবানি হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
সরকার মৎস্যজীবীদের জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, প্রকৃত জেলেদের শনাক্ত করে তাদের নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র দেওয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত নিবন্ধিত প্রায় ১৮ লাখ ১০ হাজার জেলের মধ্যে ১৫ লাখ ৮০ হাজার জেলেকে পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিশ্বের ৫০টিরও অধিক দেশে বাংলাদেশ মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানি করে। বিশ্ববাজারে আর্থিক মন্দাভাব থাকা সত্বেও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৭৭ হাজার ৪০৮ টন মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে প্রায় ৪ হাজার ৪৯৬ দশমিক ৩৮ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে পাঁচ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অবৈধ কারেন্ট জালের উৎপাদন ও সরবরাহ বন্ধ করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উৎপাদনকারীরা এ বিষয়ে কোর্টে রিট করায় উৎপাদন বন্ধ করা যাচ্ছে না। তবে এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় সজাগ আছে এবং আইন মন্ত্রণালয়কেও বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।
চিংড়ি রপ্তানির আয় কমে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, কৃষি জমিতে লবণাক্ত পানি প্রবেশের ফলে জমির মালিকরা এখাতে জমি ইজারা দিতে চান না। এছাড়া দেশীয় বাজারে চিংড়ির চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদেশে চিংড়ির রপ্তানি কিছুটা কমে গেছে। তবে চিংড়ি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কক্সবাজারে একটি বিশেষায়িত অর্থনৈতিক জোন তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ২০৪১ সালে ৮৫ লক্ষ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা বাংলাদেশের: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
৪ মাস আগে
সিইউসিএজেএএর উদ্যোগে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (সিইউসিএজেএএ) উদ্যোগে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ মে) দুপুরে নগরীর কাজির দেউড়ি এলাকায় শ্রমজীবী মানুষের হাতে পানি ও খাবার স্যালাইন তুলে দেন সংগঠনটির সদস্যরা।
আরও পড়ুন: সৌদি দূতাবাসে হিফজুল হাদিস প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ
সংগঠনের সভাপতি নজরুল ইসলাম শিমুলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন আলমগীরের সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও ১৫ নম্বর বাগমনিরাম ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন এবং চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তপন চক্রবর্তী।
প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘গরমে সাধারণ মানুষের তৃষ্ণা নিবারণে এটা একটা ভালো উদ্যোগ। এমন কাজে সবার এগিয়ে আসা উচিত।’
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তপন চক্রবর্তী বলেন, ‘গরমের দিনে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ে শ্রমজীবী মানুষ। সব জায়গায় বিশুদ্ধ খাবার পানিও পায় না তারা। সিইউসিএজেএএ'র এই উদ্যোগ এসব মানুষের উপকারে আসবে।’
সংগঠনটির সভাপতি নজরুল ইসলাম শিমুল বলেন, ‘তীব্র গরমে শ্রমজীবী মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। তাই আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
এ সময় আরও ছিলেন সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি হামিদ উল্লাহ, অর্থসম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদুল হক চৌধুরী, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন সদস্য রুবেল খান, সবুর শুভ, কাজী মনজুরুল ইসলাম, দেবব্রত রায়, তৈয়ব সুমন, আসহাব আরমান ও রায়হান উদ্দিন।
এই উদ্যোগে সার্বিক সহযোগিতা করে এসএ গ্রুপ।
আরও পড়ুন: ভোটকেন্দ্রে প্রকাশ্যে টাকা বিতরণ, ভিডিও ভাইরাল
চাঁদপুরে চাল বিতরণ নিয়ে সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ২০
৭ মাস আগে
ডিএসসিসির কর্মচারীদের আবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) কর্মরত সব কর্মচারীর জন্য আবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
মঙ্গলবার (৭ মে) ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবন প্রাঙ্গণে দয়াগঞ্জ ও ধলপুরস্থ পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিবাসের বাসা বরাদ্দপত্র ও চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মেয়র এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: ঈদের পরে পুরান ঢাকার রাসায়নিক গুদামের বিরুদ্ধে অভিযান: ডিএসসিসি মেয়র
সিটি করপোরেশনের বাসা বরাদ্দ দেওয়া দুর্নীতির অন্যতম একটি খাত ছিল মন্তব্য করে মেয়র তাপস বলেন, আগে বাসা বরাদ্দ নিয়ে ডিএসসিসির আপবাদ ছিল। এটা দুর্নীতির অন্যতম একটি খাত ছিল। আমরা অনিয়ম-দুর্নীতির সেসব চক্র ভেঙে দিয়েছি। ফলে বাসা বরাদ্দ প্রদানে এখন আর কেউ অনিয়ম-দুর্নীতি করার সাহস দেখায় না। যারা যোগ্য, যাদের প্রাপ্যতার ন্যায্যতা রয়েছে আমরা এখন তাদেরকেই বাসা বরাদ্দ দিচ্ছি।
মেয়র আরও বলেন, করপোরেশনের কর্মচারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশের আবাসন নিশ্চিত হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব কর্মচারীর জন্য আবাসন নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
মেয়র বলেন, আমাদের আবাসনগুলোর মধ্যে একটা বড় অংশই একসময় অবৈধ দখলদারদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। দায়িত্ব নেওয়ার পর সেসব দখলদারদের আমরা উচ্ছেদ করে চলেছি। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এটা চলবে, ইনশাআল্লাহ। যতদিন আমি আছি, ততদিন এই করপোরেশনের আবাসনগুলোতে কোনো অবৈধ দখলদার থাকতে দেব না।
আরও পড়ুন: নির্মাণাধীন ভবনে লার্ভা পেলে নির্মাণকাজ বন্ধ: ডিএসসিসি মেয়র
মুগদায় দ্বিতীয় দিনের মতো ডিএসসিসির উচ্ছেদ অভিযান
৭ মাস আগে
নারীদের দক্ষতা উন্নয়নে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার: সিমিন হোসেন
মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি) বলেছেন, নারীদের দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে গতানুগতিক কাঠামো থেকে বেরিয়ে এসে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
শনিবার (৯ মার্চ) সকালে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
‘সাপোর্টিভ ইকোসিস্টেম ফর উইমেন এন্ট্রারপ্রেনারশিপ অ্যান্ড প্রফেশনালস’ শীর্ষক সেমিনারটির আয়োজন করে দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআই।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নারীদের পেছনে ফেলে একটি দেশে সমউন্নয়ন সম্ভব নয়। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী নারীদের প্রযুক্তিগত ও কারিগরি দক্ষতা উন্নয়নে জোর দিয়েছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়। সেই ধারাবাহিকতায়, অপ্রচলিত খাত সমূহে নারীদের দক্ষতা ও সক্ষমতা উন্নয়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি, কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য হ্রাস ও উদ্যোক্তা তৈরিতে নারীদের কারিগরি, প্রযুক্তিগত এবং প্রশাসনিক দক্ষতা উন্নয়নের ওপর জোর দেন সেমিনারে অংশ নেওয়া ব্যবসায়ী নেতারা।
তারা বলেন, দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে দীর্ঘমেয়াদে নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতে রাজধানীর পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরকার ও বেসরকারি খাতের সমন্বিত উদ্যোগের বিকল্প নেই।
এর আগে স্বাগত বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, একজন নারীকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে পরিবারের উৎসাহ ও সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পুরুষদের অনুরোধ করি আপনার কন্যা, স্ত্রী কিংবা বোনকে উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে সহযোগিতা করুন। কারণ, নারীকে বাদ দিয়ে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়।
রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণের দিক থেকে বিশ্বের ১৪৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম বলেও জানানো হয় সেমিনারে। তবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান যথাক্রমে ১২২, ১২৬ ও ১৩৯ তম।
এমন পরিস্থিতিতে, রাজনীতির পাশাপাশি অন্যান্য সূচকে নারীর অংশগ্রহণ ও উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক।
সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়ন এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতে এফবিসিসিআই তার সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে আশ্বস্ত করেন সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী।
সেমিনারে অংশ নিয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) -এর নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, আয়ের দিক থেকে নারী পুরুষের মধ্যে এখনও একটা বড় বৈষম্য রয়ে গেছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে বিবেচনায় রেখে নারীদের দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগ বৃদ্ধির ওপর জোর দেন তিনি।
৯ মাস আগে
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
সরকার বন্যপ্রাণীর টেকসই সংরক্ষণ ও বৈধ বন্যপ্রাণীর বাণিজ্য এবং মানুষ ও বন্যপ্রাণীর সহাবস্থান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তি ও পরিষেবা ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণকে ত্বরান্বিত করতে বৈচিত্র্যময় ডিজিটাল প্রযুক্তির অন্বেষণ করা হচ্ছে। প্রকৃতির টেকসই অভিযোজন এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ডিজিটাল উদ্ভাবনী প্রয়োগে নাগরিক সমাজ, প্রযুক্তিবিদ এবং সংরক্ষণবাদীসহ সবাইকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
বুধবার (৬ মার্চ) বন অধিদপ্তরে মানুষ ও ধরিত্রীর বন্ধন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ডিজিটাল উদ্ভাবন শ্লোগানে বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ক্যামেরা ট্রাপিংয়ের মাধ্যমে সুন্দরবনের বাঘ জরিপ, বাঘের শিকার প্রাণীর বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বর্তমানে ড্রোন প্রযুক্তি ও স্মার্ট পেট্রোলিংয়ের মাধ্যমে সুন্দরবনের অপরাধ মনিটরিং ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা যথেষ্ট নয়: পরিবেশমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, উন্নত ট্র্যাকিং সিস্টেম, রিয়েল টাইম ডেটা অ্যানালিটিক্স এবং রেডিও কলারিং প্রভৃতির মাধ্যমে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও বন্যপ্রাণীর অবৈধ বাণিজ্য রোধের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের আওতাধীন ওয়াইল্ডলাইফ ফরেনসিক ল্যাব এ ট্রফি বা বন্যপ্রাণীর নমুনা থেকে প্রজাতি চিহ্নিতকরণ এবং জিনগত সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে ডিএনএ বারকোড ডেটাবেস তৈরি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কার্যক্রমের একটি মাইলফলক।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ২০২২ সালে হাতির রেডিও কলারিংয়ের মাধ্যমে কক্সবাজার বনাঞ্চলে হাতির বিস্তৃতি ও চলাচল পথ নির্ণয়ের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বেগবান করার লক্ষ্যে বন অধিদপ্তরসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বিত ব্যবহারের জন্য একটি বন্যপ্রাণী অপরাধ রিপোর্টিং টুল তৈরি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, যার মাধ্যমে সারাদেশে বন্যপ্রাণী অপরাধ সংঘটনের চিত্র খুব সহজেই পাওয়া যাবে। আমাদের দেশের বন্যপ্রাণীগুলোকে রক্ষার জন্য অঙ্গীকার ও সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে: জাতিসংঘ পরিবেশ সম্মেলনে পরিবেশমন্ত্রী
প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ নিতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
৯ মাস আগে
দুর্যোগ মোকাবিলায় নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে উদ্যোগ নেওয়া হবে: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ মোকাবিলায় নতুন প্রজন্মকে সক্ষম ও সচেতন করে গড়ে তুলতে শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সারা বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। মানবসৃষ্ট দুর্যোগ প্রশমনেও ব্যাপক কার্যক্রম নেওয়া হবে।
শনিবার (২ মার্চ) রাজধানীর মিরপুরে বড়বাগ গভর্নমেন্ট অফিসার্স কম্পাউন্ডে ‘ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ডবিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির মহড়া’য় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে উচ্চতর মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় জনসচেতনতা সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। সব পর্যায়ের জনসাধারণকে দুর্যোগকালে করণীয় সম্পর্কে সজাগ করতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। নতুন অবকাঠামো তৈরির সময় সামান্য ব্যয় বৃদ্ধি করলেই তা অগ্নিকাণ্ড ও ভূমিকম্প সহনশীল হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হয়।
প্রতিমন্ত্রী এসময় রাজধানীসহ সারা দেশকে নিরাপদ করতে সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের মধ্যে সমন্বয়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন এবং পুরোনো অবকাঠামো মেরামত করে দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে সবাইকে আহ্বান জানান।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সহযোগিতায় মহড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. কামরুল হাসান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ বি এম শফিকুল হায়দার এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইন উদ্দিন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উপস্থিতি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
৯ মাস আগে
টেলিকম খাতকে লাভজনক অবস্থায় উত্তরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে: পলক
আগামী ৩০ জুনের মধ্যে টেলিকম খাতের সব লোকসানি কোম্পানিকে লাভজনক অবস্থায় উত্তরণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন দপ্তর ও সংস্থাসমূহের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি নির্দেশনা দেন।
আরও পড়ুন: দেশের প্রতিটি ডায়াবেটিস হাসপাতাল ইন্টারনেটের আওতায় আসবে: পলক
তিনি বলেন, টেলিকম খাতকে লাভজনক অবস্থায় উত্তরণে সংশ্লিষ্টদের ছয়টি আই (ইনটিগ্রিটি, ইনক্রিয়েস এফিশিয়েন্সি, ইমপ্রুভ প্রসেস অ্যান্ড পারফরমেন্স, ইনট্রেক উইথ রেগুলেটর্স, ইনভেস্টমেন্ট অ্যাট্রাকশন এবং আইটি অ্যান্ড আইটিস এক্সপোর্ট প্রমোশন) মেনে চলতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন চারটি স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত-স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সোসাইটি। গত মেয়াদে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পরিকল্পনা তৈরি করেছি।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন: চতুর্থবারের মতো বিজয়ী পলক
তিনি আরও বলেন, আমরা প্রায় ৪০টি প্রকল্প চিহ্নিত করেছি যেগুলো আমাদের যাত্রা শুরু করার জন্য বাস্তবায়ন করা দরকার। এই মেয়াদে আমাদের চ্যালেঞ্জ হলো আমরা দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির সঙ্গে চারটি স্তম্ভের অধীনে সমস্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম তা নিশ্চিত করা।
শক্তিশালী ডিজিটাল অবকাঠামো, সাশ্রয়ী মূল্যের ইন্টারনেট অ্যাক্সেস এবং আইসিটি সেক্টরের বিকাশের ধারাবাহিকতায় স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: স্মার্ট জীবনযাত্রার জন্য নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ ও ডাকসেবা অপরিহার্য: পলক
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিষ্ঠা, কঠোর পরিশ্রম, সততা, সাহস ও উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা দিয়ে, চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলা করা সম্ভব।
পরে প্রতিমন্ত্রী এমটব, বাক্কো, আইএসপিএবির নেতা ও মোবাইল ফোন অপারেটরসমূহের সিইও সহ সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: দেশের উন্নয়ন দর্শনের মূল কারিগর বঙ্গবন্ধু: পলক
১১ মাস আগে