গর্ভের সন্তান
গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে রাজি না হওয়ায় স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে রাজি না হওয়ায় স্ত্রীকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর শফিকুল গাজীর (৪৫) বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে উপজেলার পার্শেমারী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় গ্রামবাসী অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে।
নিহত আশরাফুন্নেছা বেগম (৩০) একই গ্রামের শফিকুল গাজীর প্রথম স্ত্রী।
আরও পড়ুন: যশোরে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার
গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মশিউর রহমান জানান, শফিকুল গাজীর দুই স্ত্রী। মাঝেমধ্যে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে থাকতেন তিনি। দ্বিতীয় বউয়ের পরামর্শে তিনি প্রথম স্ত্রীকে চার মাসের গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য চাপ দেয়। রাজি না হওয়ায় তাকে মারধর করে। এরপর সোমবার তাকে মারধর করে চলে যায়। রাতে আবারও প্রথম স্ত্রী আশরাফুন্নেছার কাছে যায় শফিকুল।
তিনি জানান, সোমবার গভীর রাতে তাকে প্রথমে মারধর করে এরপর বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করে। এলাকাবাসীকে তিনি এভাবেই হত্যার বর্ণনা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: স্ত্রী নির্যাতনের মামলায় পুলিশ পরিদর্শক গ্রেপ্তার
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ জানান, স্ত্রীকে হত্যার দায়ে এলাকাবাসী স্বামী শফিকুল গাজীকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
২ বছর আগে
ভুল চিকিৎসায় গর্ভের সন্তানের মৃত্যুর অভিযোগ
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় পল্লী চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় গর্ভের সন্তান মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে অসুস্থ হয়ে ওই গৃহবধূ বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
রোগীর স্বজনেরা জানান, উপজেলার আমবৌলা গ্রামের বাসিন্দা ইউনুচ ফকিরের ছেলে প্রবাসী গোলাম মাওলার সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী লিয়া বেগমের শরীরে জ্বর দেখা দেয়। ২৪ জুলাই তাকে নিয়ে পয়সার হাট বাজারে শহিদ মেডিকেল হল ফার্মেসীতে নিয়ে গেলে পল্লী চিকিৎসক রিপন হালদার কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেন। যার রিপোর্ট দেখে লিয়া বেগমকে এন্টিবায়োটিক ইনজেকশনসহ কিছু ওষুধ দেন রিপন হালদার। ওইসব ওষুধ প্রয়োগের পর লিয়া বেগম অসুস্থ হয়ে মঙ্গলবার উপজেলার পয়সার হাট আদর্শ জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে তাকে ভর্তি করানো হয়।
পড়ুন: কুমিল্লায় চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় ৩ ভাই গ্রেপ্তার
সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক অন্তঃসত্ত্বা ওই গৃহবধূর আল্ট্রাসনোগ্রামসহ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে গর্ভের সন্তান মৃত বলে জানায়। এরপর স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় মৃত গর্ভের সন্তানকে প্রসব করানোর চেষ্টা করানো হয়। কিন্তু গৃহবধূর অবস্থা আরও খারাপ হলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রিপন হালদার জানান, গর্ভের সন্তানের মৃত্যু যে কোন কারণেই হতে পারে। তবে আমার চিকিৎসার কারণে ওই সন্তান মারা যায়নি।
পড়ুন: শিগগিরই ৪ হাজার চিকিৎসক-নার্স নিয়োগ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
চট্টগ্রামে গৃহকমী নির্যাতন, নারী চিকিৎসক গ্রেপ্তার
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বখতিয়ার আল মামুন জানান, কোন পল্লী চিকিৎসক প্রেসক্রিপশনে এন্টিবায়োটিক লিখতে পারবে না। অভিযুক্ত ওই পল্লী চিকিৎসকের অপচিকিৎসায় গর্ভের সন্তান মারা যাওয়ার ঘটনাটি তদন্ত করে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৩ বছর আগে