মাটি
বন্যাকবিলত সুনামগঞ্জে ঈদের আনন্দ মাটি
ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জ পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঢুকে জলাবদ্ধতা তৈরি করেছে। শহরের বেশিরভাগ সড়কে হাঁটু পানি।
অনেকের বাসা-বাড়ি ও দোকানে পানি ঢোকায় দুর্ভোগে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে শহরের অনেক ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটের বন্যাকবলিত অঞ্চলের এইচএসসি পরীক্ষা পরে নেওয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
সোমবার সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ষোলঘর পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে প্লাবিত হয়েছে নিন্মাঞ্চল। এদিকে প্রচণ্ড ঝড় ও বজ্রপাতের কারণে রাত থেকে নেই বিদ্যুৎ।
সুনামগঞ্জ বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, ঝড় ও বজ্রপাতের কারণে ৩৩ কেভি লাইন বন্ধ হয়ে গেছে। ঝড়-বৃষ্টির কারণে ভল্ট পেতে বিলম্ব হচ্ছে। তারা সবাইকে ধৈর্য ধারণ করার অনুরোধ করেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, সুনামগঞ্জ পৌর শহরের নতুনপাড়া, বাঁধনপাড়া, উপত্যকা, হাছননগর, আরপিননগর, উকিলপাড়া, ডিএস রোড, ষোলঘর, শান্তিবাগসহ বিভিন্ন সড়কে পানি উঠেছে। অনেকের দোকানের জিনিসপত্র ভিজে গেছে। ভোর থেকেই দোকানের মালামাল উপরে তোলা অথবা স্থানান্তর করা নিয়ে ব্যস্ত দোকানিরা। বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা ও আবাসিক এলাকার উপর দিয়ে পানি গিয়ে পড়ছে ঝাওয়ার হাওরে।
মুজিবুর রহমান নামে এক বাসিন্দা বলেন, ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে উঠানে ও সড়কে পানি উঠেছে। শহরের বেশিরভাগ সড়কেই পানি। বৃষ্টিতে ভিজে ঈদের নামাজ আদায় করেছি। এর আগে কোনো ঈদে এভাবে বৃষ্টি হতে দেখিনি। এবারে ঈদে কোনো আনন্দ নেই, ২০২২ সালের জুনের মতো বন্যা আতঙ্কে আছে মানুষ।
নুরুল ইসলাম নামে আরেক বাসিন্দা বলেছেন, ‘যে পরিমাণে বৃষ্টি হচ্ছে সুনামগঞ্জে নদী, হাওর-বাওর, খাল-বিল, পুকুর সব পানির নিচে। ঈদের আনন্দ সব মাটি হয়ে যাচ্ছে। আল্লাহ রহম করো।’
সুনামগঞ্জ শহরের রাস্তায় সুরমা নদীর পানি উঠে গেছে। আলিমাবাগ উকিলপাড়া রাস্তায় প্রায় হাঁটু পানি।
নতুন পাড়ার মুদি দোকানি অমল দাস বলেন, ‘এভাবে পানি বাড়বে বুঝতে পারিনি। আমার দোকানের বেশিরভাগ মালামাল পানিতে ভিজে গেছে। ভোরে দোকানে এসে মালামাল উপরে তুলছি।’
তিনি বলেন, মাঝে বৃষ্টি থামায় পানি কিছুটা কমেছিল, বৃষ্টিতে এখন আবার পানি বাড়ছে।
আরও পড়ুন: ৭ দিন বন্ধ থাকার পর সিলেটের সব পর্যটন কেন্দ্র চালু
৪ মাস আগে
মুরগির ঘরের মাটি খুঁড়তেই মিলল স্কুল ছাত্রের লাশ
বগুড়ায় নিখোঁজ নাসিরুল ইসলাম নাসিম নামে এক স্কুল ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার দিবাগত রাতে গাবতলী উপজেলার ঈশ্বরপুর পূর্বপাড়ায় বসতবাড়ির মুরগি রাখার ঘরে মাটিতে খুঁড়ে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ইজিবাইকের ধাক্কায় শিশু নিহত
নিহত নাসিম (১৪) সারিয়াকান্দি উপজেলার ফুলবাড়ি পশ্চিমপাড়া এলাকার ওয়াজেল মণ্ডলের ছেলে।
সে সারিয়কান্দির একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
গ্রেপ্তাররা হলেন- রফিকুল ইসলামের ছেলে এনামুল হক ও আব্দুল জলিল মন্ডলে ছেলে ফিরোজ ইসলাম।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রশিদ জানান, নাসিম গত ২৫ ফেব্রুয়ারি শবে বরাতের রাত থেকে নিখোঁজ ছিল। থানায় জিডি হলে তার পুলিশ তদন্তে নামে। তদন্তের এক পর্যায়ে নাসিমের দূর সম্পর্কের এক আত্মীয় রফিকুলের ছেলে এনামুলকে সন্দেহজনকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রফিকুলের বাড়ির মুরগি রাখার ঘরের মাটির নিচে পুঁতে রাখা নাসিমের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এদিকে এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কোদাল, রশি, সিমেন্টের বস্তা ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিদ্ধিরগঞ্জে ইজিবাইকের ধাক্কায় সবজি বিক্রেতার মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় ইজিবাইকের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু
৭ মাস আগে
নওগাঁয় মাটির দেয়ালচাপায় ২ নারীর মৃত্যু
নওগাঁর মহাদেবপুরে মাটির দেয়ালচাপা পড়ে দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বিকালে উপজেলার হাতুড় ইউনিয়নের আমরাই গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ভাদুড়ী রানী (৬২) ওই গ্রামের জয় বর্মনের স্ত্রী এবং মিথি রানী (৬৫) ওই গ্রামের অভি দাসের স্ত্রী।
হাতুড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল হক তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সিলেট নগরীতে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
চেয়ারম্যান জানান, সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছিল। এসময় হাতুড় ইউনিয়নের আমরাই গ্রামে বৃষ্টির মধ্যেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পাশের বাড়িতে ভাদুড়ী রানী ও মিথি রানী যাচ্ছিলেন। পাশের বাড়িতে যাওয়ার পথে সুশীল সাধুর বাড়ির মাটির দেয়াল ধসে তাদের ওপর পড়ে। এতে তারা মাটির নিচে চাপা পড়ে।
পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে মিথি রানীর মৃত্যু হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভাদুড়ী রানী মারা যান।
মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় এরইমধ্যে লাশ দুটি সৎকারের জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মহাদেবপুর থানায় ইউডি মামলা দায়ের হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় পুকুর থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
চাঁদপুরে নিখোঁজের একদিন পর শিশুর লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি, ৪ জনের কারাদণ্ড
বরিশালে আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করার অপরাধে চার জনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। রবিবার রাত ১০টার দিকে বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের গাজীপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: গরম তেলে ঝলসে বড় ভাইকে হত্যায় ছোট ভাইয়ের কারাদণ্ড
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন বেল্লাল (২২), বুলবুল (৪২), সাইফুল (২২), রাহাত (১৯)।
এসময় দুটি মাটিকাটা এক্সাভেটর ও মাটি পরিবহনের একটি কার্গো জব্দ করে স্থানীয় ইউপি মেম্বারের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজানুর রহমান।
আরও পড়ুন: মাদক মামলায় বাদলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল
তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে অভিযান চালিয়ে আটক করা হলেও চার জনকে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। একজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়।
২ বছর আগে
মাটির টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করতে বৈশ্বিক উদ্যোগ জরুরি: কৃষিমন্ত্রী
মাটির টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করতে সম্মিলিত বৈশ্বিক উদ্যোগ জরুরি। এ ব্যাপারে উন্নত দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে সমন্বিত ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করার এবং উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশে সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক।
শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ‘বার্লিন কৃষিমন্ত্রীদের সম্মেলনে’ ভার্চুয়ালি যোগদান করে এ আহ্বান জানান কৃষিমন্ত্রী।জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি অব ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারের (বিএমইএল) আয়োজনে পাঁচ দিনব্যাপী (২৪-২৮ জানুয়ারি) ১৪তম ‘গ্লোবাল ফোরাম ফর ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার (জিএফএফএ)’ এর শেষ দিনে কৃষিমন্ত্রীদের এ সম্মেলন হয়। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে এবার ভার্চুয়ালি কনফারেন্সটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘ভূমির টেকসই ব্যবহার: মৃত্তিকা থেকেই খাদ্য নিরাপত্তার শুরু’ এই শিরোনামে কৃষি-খাদ্য বিষয়ক বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এ সম্মেলনে বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশের কৃষিমন্ত্রী ও ১০টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: ফলের জাত উদ্ভাবন করে আমদানিনির্ভরতা কমাতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক বাংলাদেশে মাটির টেকসই ব্যবহারের নানা চ্যালেঞ্জ ও তা মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশে মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা ও টেকসই ব্যবহার অনেক চ্যালেঞ্জিং। ক্রমবর্ধমান খাদ্য চাহিদা মেটাতে মাটির অতিরিক্ত ব্যবহার, মাটির অবক্ষয়, দূষণ, লবণাক্ততা, জলবায়ু পরিবর্তন, মাটির পুষ্টি উপাদানের অবক্ষয়, মাটি ক্ষয় প্রভৃতি সমস্যা রয়েছে। তাছাড়া, নগরায়ণ, শিল্পায়নসহ নানা কারণে বছরে কৃষি জমি কমছে দশমিক ৪৩ শতাংশ হারে। বাংলাদেশ সরকার মাটির টেকসই ব্যবহারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে।
ড. রাজ্জাক আরও বলেন, মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা, বর্তমানে ও ভবিষ্যতে মাটির টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত ও বাস্তুতন্ত্রকে রক্ষা করতে উন্নতদেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাকে সমন্বিত ও জোরাল কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি তাদেরকে উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশের পাশে দাঁড়াতে হবে, সহযোগিতা বৃদ্ধিতে এগিয়ে আসতে হবে।কৃষিমন্ত্রীদের সম্মেলনে জার্মান ফেডারেল মিনিস্টার অব ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অজদেমির, কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন বিষয়ক ইইউ কমিশনার জানুস্জ উজসিচোস্কি, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার উপমহাপরিচালক জ্যাঁ মেরি পগাম ও বিভিন্ন দেশের কৃষিমন্ত্রীরা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: সকলের জন্য পুষ্টিজাতীয় খাবার নিশ্চিত করাই বড় চ্যালেঞ্জ: কৃষিমন্ত্রী
চাল ব্যবহারের ক্ষেত্র বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘাটতি: কৃষিমন্ত্রী
২ বছর আগে
হারিয়ে যাচ্ছে মুরাদনগরের ‘মৃৎশিল্প’
কালের বিবর্তনে ও আধুনিকতার ছোঁয়ায় ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে কুমিল্লার মুরাদনগরের ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প। বহুমুখী সমস্যা আর পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে আজ এই শিল্পটি সঙ্কটের মুখে পড়েছে।
প্লাস্টিক, মেলামাইন ও অ্যালুমিনিয়ামের পণ্যের ভিড়ে দিনে দিনে হারিয়ে যেতে বসেছে শত বছরের ঐতিহ্যের মৃৎশিল্প। এরপরও অনেকেরই চেষ্টা করেছেন পূর্বপুরুষদের এই ঐতিহ্যবাহী পেশাকে ধরে রাখার।
আরও পড়ুন: রাজগঞ্জের নারীদের তৈরি হস্তশিল্প যাচ্ছে ইউরোপে
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার রামচন্দ্রপুর ও কামাল্লার পালপাড়া এলাকায় এই পেশার সাথে সম্পৃক্ত কয়েকশ' মৃৎশিল্পীর পরিবার এখন সবকিছু গুটিয়ে বসে আছে। মাটির তৈরি খেলনা, হাঁড়ি-পাতিল জাতীয় জিনিসগুলো বিক্রি না হওয়ায় কুমারপাড়া এখন অনেকটা নীরব। তাদের হাতে কোনো কাজ নেই, মানবেতর জীবন যাপন করছে উপজেলার কয়েকশ' মৃৎশিল্পীর পরিবার।
শিল্পীরা জানান, প্লাস্টিক ও অ্যালুমিনিয়ামের জিনিসপত্র বের হওয়ার কারণে মাটির তৈরি জিনিসপত্র এখন আর আগের মতো চলে না। দীর্ঘ এক বছর ধরে কোনো ধরনের মেলা বা সামাজিক অনুষ্ঠান না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা। আগে তেমন একটা প্লাস্টিক ও অ্যালুমুনিয়াম জাতীয় পণ্য বাজারে না থাকায় মাটির তৈরি কলসি, হাঁড়ি, পাতিল, সরা, মটকা, ফুলের টপসহ নানা সামগ্রী বেশি বেশি বিক্রি হতো। কিন্তু এখন প্লাস্টিক-অ্যালুমিনিয়াম জাতীয় পণ্যে বাজারে সয়লাব, তার ওপর দাম কম থাকায় প্রতি ঘরে ঘরে এসব সামগ্রীর ব্যবহার বেড়ে গেছে। যার কারণে মাটির তৈরি তৈজসপত্র এখন তেমন একটা বিক্রি হয় না। ফলে মৃৎশিল্পীরা পরিবার নিয়ে আর্থিক সঙ্কটে দিন কাটচ্ছেন।
আরও পড়ুন:গবাদিপশুর সাথে মানুষের বসবাস
উপজেলার কামাল্লা গ্রামের সুমন পাল বলেন, বাপ-দাদার কাছে শেখা আমাদের এই জাত ব্যবসা আজও কিছুটা ধরে রেখেছি। কামাল্লাসহ আশপাশের এলাকায় এক সময় মাটির তৈরি জিনিসের ব্যাপক চাহিদা ছিল। কিন্তু বর্তমানে তেমন একটা চাহিদা নেই। আর মাটি থেকে শুরু করে সব কিছুর দাম যে পরিমাণে বাড়ছে কাজ করে আর লাভের মুখ দেখি না।
মৃৎশিল্পী আসুতোশ পাল বলেন, ‘এখন আর আগের মতো নাই, দিন পাল্টেছে। মানুষ আর আমাদের জিনিসপত্র তেমন একটা নেয় না। চাহিদা কম, তার উপর আবার সকল জিনিসের দাম বেশি।’
আরও পড়ুন: পাহাড়ে চলছে নবান্নের প্রস্তুতি
মৃৎশিল্পী নমিতা রাণী পাল বলেন, বাপ-দাদার পেশা ধরে রেখেছি। এছাড়া কোন কাজ জানি না। এতো কষ্ট করে সব তৈরি করি। তাতেও বাজারে তার কোন চাহিদা নেই। বিভিন্ন হাটে দোকান দিয়ে বেড়াই। যা বিক্রি হয়, তাতে নুন আনতে পান্তা ফুরায়। ছেলে-মেয়েদের নিয়ে কোন রকম দিন কাটাচ্ছি।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অভিষেক দাশ বলেন, ‘অন্যান্য সম্প্রদায়ের পাশাপাশি অনুদানের তালিকায় মৃৎশিল্পের নাম আনা হয়েছে। সমাজকল্যান অধিদপ্তরের সহযোগিতায় তাদেরকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে তারা আধুনিকতার সাথে মিল রেখে শিল্পটিকে টিকিয়ে রাখতে পারে।’
আরও পড়ুন:
ইউএনও বলেন, ‘আমরা দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে বিভিন্ন সময় শুকনো খাবারসহ ত্রাণ বিতরণ করেছি। তারপরও যদি মৃৎশিল্পীদের মধ্যে কোনো দুস্থ ও অভাবগ্রস্ত পরিবার আমাদের কাছে আসে, তাহলে আমরা তাদেরকে সহযোগিতা করবো।’
৩ বছর আগে
টেকনাফে পাহাড় ধসে একই পরিবারের ৫ জন নিহত
কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড় ধসে একই পরিবারের পাঁচজন নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ভিলিজারপাড়ার সৈয়দ আলমের বাড়িতে এ পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুনঃ উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে শিশুসহ নিহত ৫নিহতরা হলো টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের পাহাড়ি গ্রাম ভিলেজার পাড়া এলাকার সৈয়দ আলমের ছেলে আব্দু শুক্কুর (১৬), মোহাম্মদ জুবাইর (১২), আবদুর রহিম (৫), মেয়ে কহিনুর আক্তার (৯) ও জয়নবা আক্তার (৭)।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মধ্যরাতে পাহাড় ধসে সৈয়দ আলমের বাড়ি মাটির নিচে চাপা পড়ে। মাটির নিচ থেকে সৈয়দ আলমের তিন ছেলে ও দুই মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়। টেকনাফ থানার পুলিশ সদস্যরা এখনো ঘটনাস্থলে রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় অবৈধ ঘরবাড়ি উচ্ছেদ
এদিকে ভারী বৃষ্টির কারণে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঝুঁকিপূর্ণ বসতিগুলো সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
৩ বছর আগে