ফাইভজি
রবির ৫ কোটি ৭৬ লাখ গ্রাহকের আস্থায় কর পরবর্তী মুনাফা ১০৬ কোটি টাকা
চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রবি আজিয়াটা লিমিটেডের রাজস্ব আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৪৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
অর্জিত আয়ের ৫৩ দশমিক ৬ শতাংশ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়েছে কোম্পানিটি, যার পরিমাণ ১ হাজার ৩৬৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ফলে রবি আজিয়াটা লিমিটেড কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ১০৬ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে রবি আজিয়াটা লিমিটেড।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এল২৬০০ স্পেকট্রাম স্থাপনের মাধ্যমে সারাদেশে রবি'র নেটওয়ার্ক সেবা আগের চেয়ে উন্নত হয়েছে। ফলে রবি’র নেটওয়ার্কের প্রতি গ্রাহকের আস্থা প্রতিনিয়তই বাড়ছে। এ কারণে তৃতীয় প্রান্তিকে ৩৭৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে রবি আজিয়াটা লিমিটেড। ফলে তৃতীয় প্রান্তিকে ৪৬ দশমিক ৮ শতাংশ মার্জিন সহ রবি'র আর্নিংস বিফোর ইন্টারেস্ট, ট্যাক্স, ডেপ্রিসিয়েশন এবং এমোর্টাইজেশন (ইবিআইটিডিএ) ১ হাজার ১৮৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এ সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) শূন্য দশমিক ২০ টাকা।
আরও পড়ুন: সেলার ও উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়নে দারাজ সেলার সামিট-২০২৩
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এবছর তৃতীয় প্রান্তিকে ১২ লাখ নতুন গ্রাহক যুক্ত হওয়ায় রবি’র মোট গ্রাহক এখন ৫ কোটি ৭৬ লাখ যা দেশের মোট মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর ৩০ শতাংশ।
একইসঙ্গে এই প্রান্তিকে রবি নেটওয়ার্কে ১১ লাখ নতুন ডেটা ব্যবহারকারী যুক্ত হয়েছে। ফলে রবি’র মোট ডেটা ব্যবহারকারীর সংখ্যা এখন ৪ কোটি ৪২ লাখ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, রবি নেটওয়ার্কে ১৮ লাখ নুতন ফোরজি গ্রাহক যুক্ত হওয়ায় রবি’র ফোরজি ব্যবহারকারীর সংখ্যা এখন ৩ কোটি ৪২ লাখ যা মোট গ্রাহকের ৫৯ শতাংশ এবং মোট ডেটা ব্যবহারকারীর ৭৬ দশমিক ৮ শতাংশ।
এই প্রান্তিকে রবি’র ডেটা গ্রাহকরা প্রতি মাসে গড়ে ৬ দশমিক ৬৭ জিবি ডেটা ব্যবহার করেছেন এবং রবি’র মোট রিচার্জের ৪৬ শতাংশ ডিজিটালভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: নতুন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও এমডি নিয়োগ ওয়ালটনের
রবি আজিয়াটা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রাজীব শেঠি বলেন, দৃঢ় আর্থিক ভিত্তি, ফোরজি নেটওয়ার্কে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ এবং ব্যতিক্রমী উদ্ভাবনী সেবার মাধ্যমে আমরা সফলতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছি। নেটওয়ার্ক উন্নয়নে ক্রমাগত বিনিয়োগের ফলে রবি'র ওপর গ্রাহকের আস্থাও বাড়ছে। যার বড় প্রমাণ হলো এই প্রান্তিকে আমাদের সঙ্গে নতুন করে যোগ হয়েছেন ১২ লাখ গ্রাহক।
তিনি আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া আরও বেগবান করতে এবং ফাইভজিসহ প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের ধারায় তাল মিলিয়ে চলতে হলে আমাদের সামগ্রিক নীতিমালা ও কর আদায় প্রক্রিয়া সংস্কার করার প্রয়োজন রয়েছে। নিরবচ্ছিন্ন অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবস্থাপনা এ ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আশা করি সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবিষয়ে নজর দেবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এবছরের তৃতীয় প্রান্তিক ও দ্বিতীয় প্রান্তিকের মধ্যে তুলনা দেখানো হয় যেখানে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন,২০২৩) তুলনায় এবছরে তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২৩) রবির আয় শূন্য দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ত্রৈমাসিকের তুলনায় ডাটা আয় ৬ দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে, ইবিআইটিডিএ গত ত্রৈমাসিকের তুলনায় ৪ দশমিক ৮ শতাংশ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রথম প্রান্তিকে ২০২.০৭ কোটি টাকা মুনাফাসহ প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছে ওয়ালটন
১ বছর আগে
বার্সেলোনায় এবারের মতো পর্দা নামল মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসের
‘ফাইভজি ও ডাটা পরিচালিত অর্থনীতির অগ্রযাত্রায় যুক্ত হোন’-এই আহ্বানের মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার স্পেনের বার্সেলোনায় শেষ হয়েছে এ বছরের মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস।
শেষ দিনেও মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস সেন্টারে বিপুল ভিড় ছিল বিভিন্ন দেশ থেকে আসা টেলিযোগাযোগ খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও প্রযুক্তিপ্রেমীদের।
শেষ দিনে বিশ্বের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর বৈশ্বিক সংগঠন এবং মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসের আয়োজক জিএসএমএ’র রিপোর্টে বলা হয়েছে, ফাইভজি ও ডাটা পরিচালিত অর্থনীতির যাত্রায় বিশ্ব অর্থনীতিতে ২০৩০ সালের মধ্যে মোবাইল টেলিযোগাযোগ খাতের অবদান ছয় ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
সমাপনী বক্তব্যে জিএসএমএ-এর চেয়ারম্যান হোসে মারিয়া আলভারেজ প্যালেট লোপেজ বলেন, বিশ্বের প্রতিটি দেশেরই উচিত এখন ফাইভজি ও ডাটা নির্ভর সমাজ ও অর্থনীতির উপযোগী হিসেবে নিজেদের প্রস্তুত করা। কারণ, এ যাত্রায় কারও পিছিয়ে পড়ার অর্থ হবে নিজেদের অর্থনীতির অগ্রগতির উজ্জ্বল সম্ভাবনাকে আটকে রাখা।
আরও পড়ুন: বার্সেলোনা মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস: ফাইভজি বিপ্লবের ভবিষ্যত সম্ভাবনা প্রদর্শন টেলিকম জায়ান্টদের
তিনি আরও বলেন, এবারের আয়োজন বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। কারণ, এই কংগ্রেস থেকেই ফাইভজি ও ডাটা নির্ভর আগামী অর্থনীতির গতিময় যাত্রা শুরু হল। আগামী এক বছরের মধ্যেই সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় লক্ষণীয় পরিবর্তন আনবে ফাইভজি ও ডাটা প্রযুক্তি।
চলতি বছরের শেষেই কমপক্ষে ১০০ কোটি মানুষ ফাইভজিতে যুক্ত হবে। হয়তো এখন যা প্রত্যাশা করা হচ্ছে বছর শেষে সেই সংখ্যা আরও বেশি কিংবা দিগুনও হতে পারে। ফাইভজি ও ডাটা প্রযুক্তির অগ্রগতির গতি আগের প্রযুক্তির চেয়ে অকল্পনীয় বেশি হবে।
তিনি বলেন, জিএএসএমএ’র রিপোর্ট অনুযায়ী ফাইভজি ২০২৯ সালের মধ্যেই বিশ্বের প্রভাবশালী প্রযুক্তিতে পরিণত হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ৮৫ শতাংশ মানুষ ফাইভজিতে যুক্ত হয়ে যাবে। ২০২৩ সালের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী ফাইভজি সংযোগ ১৫০ কোটিতে পৌঁছাবে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এই সংযোগের পরিমাণ কমপক্ষে ৫০০ কোটি হবে।
আলভারেজ বলেন, ফাইভজি ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতিতে আরও ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার (এক হাজার বিলিয়ন) যোগ করবে এবং প্রতিটি সেক্টরকে যুক্ত করবে। বিশেষ করে নাগরিক পরিষেবা ও শিল্প উৎপাদন খাতে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখবে ফাইভজি। সার্বিকভাবে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতিতে টেলিযোগাযোগ খাতের অবদান ছয় ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে হুয়াওয়ের পাঁচটি অ্যাওয়ার্ড অর্জন
জিএসএমএ চেয়ারম্যান বলেন, ফাইভজি ও ডাটা নির্ভর প্রযুক্তির অর্থনীতিতে যুক্ত হতে ছোট-বড় সব দেশকেই এ বছরের মধ্যেই প্রস্তুতি নিতে হবে। কারণ, ফাইভজি প্রযুক্তির বিকাশের গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য প্রস্তুতি না থাকলে ডাটানির্ভর স্মার্ট অর্থনীতির বিপুল সম্ভাবনা থেকে বঞ্চিত হতে হবে। আর সেটা কোনো দেশের ক্ষেত্রে ঘটলে তা পুরো বৈশ্বিক অর্থনীতির অগ্রযাত্রার উপরই নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এ কারণে ডাটা নির্ভর সমাজ ও অর্থনীতিতে কারও পিছিয়ে পড়ার কিংবা রাখার সুযোগ নেই।
জিএমএমএ চেয়ারম্যান ছোট অর্থনীতির দেশগুলোকে ফাইভজি ও ডাটানির্ভর সমাজ এবং অর্থনীতির জন্য প্রস্তুত করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
২০২৪ সালে বার্সেলোনায় মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হবে ২৬ থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট কোন দেশে?
১ বছর আগে
বার্সেলোনা মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস: ফাইভজি বিপ্লবের ভবিষ্যত সম্ভাবনা প্রদর্শন টেলিকম জায়ান্টদের
ফাইভজি ব্যবহারের মাধ্যমে আগামীতে অতি ঝুঁকিপূর্ণ শিল্প ব্যবস্থাপনাকে কিভাবে নিরাপদ করা সম্ভব হবে তার একটি বড় প্রদর্শনী দেখানো হয়েছে স্পেনের বার্সেলোনায় চলমান মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে (এমডব্লিউসি)।
বিশ্বের সব টেলিকম কোম্পানির চার দিনব্যাপী এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেছেন স্পেনের রাজা ফিলিপে। স্পেনের প্রেসিডেন্ট প্রেডো সানচেজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। টেলিকম শিল্পের বড় ক্রীড়ানকদের বার্ষিক এই সমাবেশে প্রায় ৮০ হাজার প্রতিনিধি প্রত্যাশিত।
মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে ফাইভজি প্রযুক্তিতে ভার্চুয়াল ইন্টারেক্টিভ অ্যাপ্লিকেশন, রোবট ক্লাস্টার, মনুষ্যবিহীন ড্রাইভিং, বুদ্ধিমান পরিধানযোগ্য সরঞ্জাম, বুদ্ধিমান টহল পরিদর্শন, বুদ্ধিমান ব্যাপক মাইনিং, স্মার্ট টানেলিং এবং কয়লা খনিতে অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে অনেক টেকনোলজি উদ্ভাবনকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ঘোষণা দিচ্ছে।
মূলত ফাইভজি এই বছরের কংগ্রেসে মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু হয়েছে।
শিল্প জায়ান্টরা ফাইভজি প্রযুক্তির প্রয়োজনীয় ব্যবহার শুধু শিল্প উৎপাদনেই নয়, মানুষের জীবনেও প্রদর্শন করছে। যেমন- ফাইভজি চালিত মনুষ্যবিহীন হেলিকপ্টার থেকে শুরু করে ঘরের কোনে থাকা ফাইভজি রাউটার প্রভৃতি।
আরও পড়ুন: ২০৩৩ সালের মধ্যে গৃহস্থালির ৩৯ শতাংশ কাজ স্বয়ংক্রিয় হতে পারে: বিশেষজ্ঞরা
মনুষ্যবিহীন হেলিকপ্টার প্রদর্শন করছে টি মোবাইল। এই হেলিকপ্টারটি কোন চালক ছাড়াই যাত্রীসহ নিরাপদে উড়তে ও অবতরণ করতে পারবে। এমনকি আকাশে ওড়ার সময় কোন প্রতিকূল পরিস্থিতি টের পেলে নিকটস্থ নিরাপদ স্থান বেছে নিয়ে জরুরি অবতরণও করতে পারবে হেলিকপ্টারটি।
ফাইভজি রাউটার এখনকার রাউটারের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা হবে।
তারবিহীন এই রাউটারে শুধুমাত্র একটি কোডের মাধ্যমে নির্দিষ্ট অপারেটরের কাছ থেকে কোডের মাধ্যমে নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হবে। আর এই একটি রাউটারে যে ব্যান্ডউইথ থাকবে তা দিয়ে পরিবারের সব ধরনের স্মার্ট ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত রাখা সম্ভব হবে। ডিভাইস উচ্চগতির এছাড়া রাউটারটির বিস্তৃত ব্যবহার এবং স্মার্ট সিটির মডেলের প্রদর্শনী তো আছেই।
ফাইভজি’র আগামী ব্যবহার নিয়ে জিএসএমএ’র মহাপরিচালক ম্যাটস গ্রানার্ড মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসের একটি সেমিনারে বলেন, ফাইভজি আগামীতে সাধারণ জীবনযাত্রা থেকে শুরু করে বড় শিল্প উৎপাদন ব্যবস্থায় কি অসাধারণ পরিবর্তন আনবে সেটা এই মুহুর্তে উপলব্ধি করা কঠিন। এবারের এমডব্লিউসিতে ‘স্মার্ট মাইনিং’ প্রকল্প দেখিয়েছে সেই পরিবর্তন কি ধরনের হতে পারে। আগামীতে নিরাপদ, সহজ, সাশ্রয়ী ও মানবিক জীবন ব্যবস্থা, বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ফাইভজির কার্যকর ব্যবহারের যে প্রদর্শন হলো তা নিশ্চিতভাবেই পুরো বিশ্বকে ফাইভজি ব্যবহারের ক্ষেত্র প্রস্তুতে নিশ্চিতভাবে সহায়তা করবে।
নতুন ধরনের ডিভাইস, নতুন ধরনের প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, এমনকি আগামীতে কি ধরনের প্রযুক্তি আসছে সে বিষয়গুলোও তুলে ধরা হচ্ছে প্রদর্শন কেন্দ্রগুলোতে।
ইনটেলের প্যাভিলিয়নে দেখা গেল, আগামী প্রজন্মের কম্পিউটারের সম্ভাব্য প্রসেসর। অরেঞ্জ দেখিয়েছে অদূর ভবিষ্যতের স্মার্ট প্রযুক্তির সঙ্গে মানুষের আবেগ কিভাবে মিশে যাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যাদুর স্পর্শে।
আরও পড়ুন: ক্যালিফোর্নিয়ার রাস্তায় রোবোট্যাক্সির সফল পরীক্ষা চালাল অ্যামাজনের জুক্স
এছাড়াও ভেলোসিটি উদ্যেগকে সামনে রেখে এবারের আয়োজনে বিশ্বের প্রায় সব বড় বড় প্রতিষ্ঠান স্মার্ট প্রযুক্তির প্রদর্শনকেই প্রাধান্য দিয়েছে। ডিভাইস যেমন- স্মার্টফোন, স্মার্ট ওয়াচ ও স্মার্ট কম্পিউটার নির্মাতারা তাদের আগামী দিনের ডিভাইসে স্মার্ট প্রযুক্তি কিভাবে সংযুক্ত হবে তার প্রদর্শন করেছেন।
যারা ডিভাইসের মূল উপাদান যেমন- মাইক্রেচিপ, চিপসেট, সেমি কন্ডাকটর, প্রসেসের, মাইক্রো প্রসেসর তৈরি করছেন তারাও সামনে এনেছেন স্মার্ট প্রযুক্তি। সব মিলিয়ে আগামীর স্মার্ট পৃথিবী হচ্ছে এবারের মূল আকর্ষণ।
বাংলালিংকের চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তৈমুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস ২০২৩ এ বছর বিশেষ প্রযুক্তির ওপর নয় বরং উদ্ভাবনী সেবার ওপর বেশি জোর দিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। এছাড়াও এটি নেটওয়ার্কের জন্য দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। উদ্ভাবনী পরিষেবার কিছু উদাহরণ হল যে কীভাবে বেশিরভাগ টেলিকম প্রযুক্তি মানুষের দৈনন্দিন জীবনে সাহায্য করতে পারে যেমন লজিস্টিক এবং ড্রোনের মাধ্যমে ডেলিভারি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং রোবোটিক্সের মাধ্যমে নিরাপত্তা বৃদ্ধি ইত্যাদি।
তিনি আরও বলেন, নেটওয়ার্কে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং নেটওয়ার্ক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সামগ্রিক খরচ কমানোর কিছু উদাহরণ হল- দক্ষ নেটওয়ার্ক ডিজাইন সফ্টওয়্যার, সরলীকৃত নেটওয়ার্ক অপারেশন সেন্টার সমাধান ও নেটওয়ার্ক উপাদানগুলির শক্তি খরচ হ্রাস ইত্যাদি।
আরও পড়ুন: মাইক্রোসফট বিংয়ের নতুন সংস্করণে থাকছে চ্যাটজিপিটি প্রযুক্তি
১ বছর আগে
ভারতে ফাইভজি মোবাইল ইন্টারনেটের উদ্বোধন মোদির
ভারতে ফাইভজি মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবার উদ্বোধন করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশটির টেলিকম ইতিহাসে এটি একটি বড় মাইলফলক।
শনিবার নয়াদিল্লির ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেস ২০২২-এর ৬ষ্ঠ সংস্করণে ফাইভজি পরিষেবা উদ্বোধন করেন মোদি।
এসময় বলা হয়, এই মাসের শেষের দিকে ভারতের দিল্লি, মুম্বাই, কলকাতা ও হায়দ্রাবাদের মতো ১৩টি নির্বাচিত শহরে ফাইভজি চালু করা হবে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য শহরগুলোতে এর পরিষেবা বাড়ানো হবে।
যানবাহন, রোবোটিক সার্জারি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো প্রযুক্তির জন্য দ্রুতগতির মোবাইল ইন্টারনেটের পঞ্চম প্রজন্ম বা ফাইভজি ব্যবহার করা হয়।
ফাইভজি শুধুমাত্র উচ্চগতিসম্পন্ন মোবাইল ইন্টারনেটের যুগের সূচনা করে না, ভারতের এক ট্রিলিয়ন ডলারের উচ্চাভিলাষী অর্থনীতির পরিকল্পনার ক্ষেত্রেও এটি গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: 'জেএমবি'র সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ভারতে নিষিদ্ধ হলো পিএফআই
বাংলাদেশ ব্যাংক এখনও ভারতীয় রুপিকে বৈদেশিক বাণিজ্যে অনুমতি দেয়নি
‘রুপি বা টাকা ব্যবহার করুন’: বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসার ক্ষেত্রে ডলারে লেনদেন থেকে বিরত থাকার আহ্বান ভারতের
২ বছর আগে
দেশে ডিসেম্বরের মধ্যে ফাইভজি চালু হবে
চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই সব মোবাইল অপারেটরে ফাইভজি চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার।তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্রডব্যান্ড পলিসি ২০২২ প্রণয়নে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, প্রযুক্তিকেন্দ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা, নারী, শারিরীকভাবে অক্ষম জনগোষ্ঠীসহ অনানুষ্ঠানিক খাতকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।মঙ্গলবার এক কর্মশালায় শ্যাম সুন্দর সিকদার এ তথ্য জানান। কর্মশালার শুরুতে মিশ্রিত শিক্ষা (ব্লেন্ডেড এডুকেশন) বাস্তবায়নে ডিজিটাল কানেক্টিভিটি সর্ম্পকে বিশদ উপস্থাপনা করেন বিটিআরসির সিস্টেমস্ এন্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ।
তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে মোবাইলফোন ব্যবহারকারী ১৮ কোটি ৪০ লাখ এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সাড়ে ১২ কোটি। প্রায় এক লাখ ৪৭ হাজার ৯৭৫ কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে ৪,৪৩১টি ইউনিয়নে ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটি দেয়া হয়েছে এবং দুর্গম অঞ্চলে আরও ১২৩টি ইউনিয়নকে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে কানেক্ট করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।উপস্থাপনায় তিনি আরও বলেন, ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের এক লাখের অধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৫ ভাগ এবং ২০২৫ সাল নাগাদ দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কের আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছ। তবে এজন্য প্রায় ১৪ লাখ ইন্টারনেট সংযোগের পাশাপাশি ৯৮ হাজার ৬৩৬টি ডিজিটাল ডিভাইস তথা ল্যাপটপ এবং প্রতিটি ক্লাসরুমের জন্য ২০ থেকে ৩০ এমবিপিএস ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের প্রয়োজন হবে।
আরও পড়ুন: লো-কার্বন ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাবে সবুজ-বান্ধব ফাইভজি নেটওয়ার্কএছাড়া, এই কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় ন্যাশনাল ম্যানেজম্যান্ট সিস্টেম বা এনএমএস চালু করতে হবে, যার কাজ হবে কানেক্টিভিটি বজায় রাখা এবং কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা।
উপস্থাপনায় মো. নাসিম পারভেজ ডিজিটাল কানেক্টিভিটির স্থাপনের চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলায় সারাদেশে অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপন, ডিজিটাল নেটওয়ার্ক সার্বক্ষণিক সচল রাখতে কারিগরি জনবল ও মনিটরিং ব্যবস্থা, সেবার মান নিশ্চিতকরণ, নির্ধারিত গতিতে ব্যান্ডউইডথ সরবরাহ, ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা ও সাইবার নিরাপত্তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।কর্মশালায় এটুআই এর পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে জাতীয় ব্রডব্যান্ড পলিসির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো ডিজিটাল ও গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থা মিলে একটি সমন্বিত পদ্ধতিতে প্রবেশ করা, যাতে দেশের প্রান্তিক এলাকাসহ সকল শিক্ষার্থীরা মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রবেশাধিকারের সুযোগ পায়।মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ব্রডব্যান্ডের মুল কানেক্টিভিটি সরকারের হাতে রেখে গ্রাহক পর্যায়ের কার্যক্রম বেসরকারি খাতে দিয়ে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হলে তা ফলপ্রসু হবে।কর্মশালার দ্বিতীয় সেশনে অংশগ্রহণকারীরা চারটি দলে বিভক্ত হয়ে ওয়ার্কিং সেশনের কার্যক্রম সম্পন্ন করেন।
গ্রুপগুলো নিম্নোক্ত চারটি বিষয়ে চ্যালেঞ্জ ও সুপারিশমালা উপস্থাপন করেন: (১) সরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ব্রডব্যান্ড সেবা (২) বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্রডব্যান্ড সেবা (৩) কারিগরী প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ও (৪) জনসাধারণের তথ্যপ্রযুক্তি সচেতনতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি কর্মসূচি ।
এফোরএআই- এর জাতীয় সমন্বয়ক শহীদ উদ্দিন আকবরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড অপারেশন্স বিভাগের কমিশনার প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ, লিগ্যাল এন্ড লাইসেন্সিং বিভাগের কমিশনার আবু সৈয়দ দিলজার হোসাইন, এফোরএআই এর হেড অব এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্জু মঙ্গলসহ এটুআই, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, টেলিকম সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ফাইভজি’র জন্য এ বছর প্রস্তুতি, আগামী বছর চালু: বিটিআরসি
২ বছর আগে
৬ জানুয়ারি থেকে ঢাকায় স্মার্টফোন ও ট্যাব মেলা
নতুন বছরের শুরুতেই হতে যাচ্ছে স্মার্টফোন ও ট্যাব মেলা। থাকছে ফাইভজি প্রযুক্তি নিয়ে চমক। ৬ জানুয়ারি রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) শুরু হবে ‘স্মার্টফোন ও ট্যাব এক্সপো ২০২২’ নামের এ মেলা। তিন দিনব্যাপী এ মেলা চলবে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।
করোনা পরিস্থিতির কারণে ২ বছর বিরতির পর আবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে দেশের সাড়া জাগানো এ মেলা। স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট নিয়ে দেশে এটিই সবচেয়ে বড় আয়োজন।
সম্মেলনে আয়োজক প্রতিষ্ঠান মেকার কমিউনিকেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহম্মদ খান, টেলিটকের অ্যাসিসট্যান্ট ম্যানেজার মো. আবু হাসান মাসুদ, স্যামসাং মোবাইলের হেড অফ প্রোডাক্ট প্ল্যানিং ফজলুল মুসাইর চৌধুরি, ট্রানশন বাংলাদেশের হেড অফ মার্কেটিং মো. আসাদুজ্জামান, অপ্পো বাংলাদেশের হেড অফ মার্কেটিং মিস্টার লিউ ফ্যাং, ভিভো বাংলাদেশের ব্র্যান্ড ম্যানেজার তানজিব আহম্মেদ, রিয়েলমি বাংলাদেশের হেড অফ সেলস মুজাহিদুল ইসলাম, ডিএক্স গ্রুপের হেড অফ রিটেইল অপারেশনস জে এম হাসান সাইফ এবং হুয়াওয়ে টেকনলজিস বাংলাদেশ লিমিটেডের হেড অফ পাবলিক অ্যাফেয়ার্স এন্ড কমিউনিকেশন মিস্টার ইউওয়াইং উপস্থিত ছিলেন।
মেকার কমিউনিকেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহম্মদ খান জানান, মেলায় দর্শকরা ঢুকতে পারবেন বিনামূল্যে। তবে মাস্ক না পড়া অবস্থায় কেউ মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন না। প্রবেশদ্বারে তাপমাত্রা মেপে তা গ্রহণযোগ্য হলেই প্রবেশ করা যাবে মেলায়।
আরও পড়ুন: মার্চে বাণিজ্যিকভাবে ফাইভ-জি চালু হবে: মোস্তাফা জব্বার
টেলিটকের অ্যাসিসট্যান্ট ম্যানেজার মো. আবু হাসান মাসুদ বলেন, এই মেলায় সবার আগ্রহ থাকবে ফাইভজি অভিজ্ঞতা নেয়া। যেহেতু ফাইভজি দেশে এখনও পরীক্ষামূলক পর্যায়ে আছে এবং সাধারণ মানুষের কাছে ওভাবে পৌঁছায়নি। টেলিটকের এখন মাত্র ৬টি ফাইভজি বিটিএস চালু হয়েছে যেখানে খুব সীমিত পর্যায়ে ফাইভজি অভিজ্ঞতার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এই মেলার মাধ্যমে অনেক বেশি সংখ্যক সাধারণ মানুষকে ফাইভজি অভিজ্ঞতা দেয়া যাবে’।
হুয়াওয়ে টেকনলজিস বাংলাদেশ লিমিটেডের হেড অফ পাবলিক অ্যাফেয়ার্স এন্ড কমিউনিকেশন মিস্টার ইউওয়াইং বলেন, ২০২১ সাল ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য মাইলফলক।
স্মার্টফোন ও ট্যাব এক্সপো ডিজিটাল বাংলাদেশ কার্যক্রমে অবদান রাখছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, হুয়াওয়ে টেকনোলজিস বাংলাদেশে ২২ বছর ধরে কাজ করছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় এর সকল অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করে যেতে চায় হুয়াওয়ে টেকনোলজিস।
স্যামসাং মোবাইলের হেড অফ প্রোডাক্ট প্ল্যানিং ফজলুল মুসাইর চৌধুরী বলেন, মেলায় স্যামসাংয়ের পক্ষ থেকে ক্রেতাদের জন্য মূল্যছাড়সহ নানা আকর্ষণীয় উপহার থাকছে। শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ অফার থাকছে। এছাড়া নতুন বছরের প্রথম হ্যান্ডসেট উম্মোচন করা হবে এই মেলায়।
‘স্যামসাংয়ের ফাইভজি হ্যান্ডসেটেও ফাইভজি অভিজ্ঞতা নেয়ার সুযোগ পাবেন দর্শনার্থীরা’ উল্লেখ করেন তিনি।
ট্রানশন বাংলাদেশের হেড অফ মার্কেটিং মো. আসাদুজ্জামান বলেন, নতুন বছর ২০২২ সাল শুরু হচ্ছে স্মার্টফোন ও ট্যাব মেলার মতো দারুণ একটি আয়োজন দিয়ে। গ্রাহক অভিজ্ঞতা, প্রোডাক্ট উম্মাচনসহ সবকিছু মিলিয়ে এই মেলা অংশগ্রহণকারী ব্র্র্যান্ডগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
‘চমকপ্রদ নানা অফার নিয়ে মেলায় আসছে টেকনো’ বলেন তিনি।
অপ্পো বাংলাদেশের হেড অফ মার্কেটিং মিস্টার লিউ ফ্যাং বলেন, মেলায় নতুন বছরে অনেক চমক নিয়ে থাকবে অপো।
আরও পড়ুন: ‘ও ফ্যান’ ফেস্টিভ্যালের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা, যাচ্ছেন দ্য প্যালেস লাক্সারি রিসোর্টে
ভিভো বাংলাদেশের ব্র্যান্ড ম্যানেজার তানজিব আহম্মেদ বলেন, বরাবরের মতো মেলায় তাদের বিশেষ অফার থাকছে। মেলায় এসে ক্রেতারা যে ছাড় বা উপহার পাবেন তা বাজারে পাওয়া যাবে না।
রিয়েলমি বাংলাদেশের হেড অফ সেলস মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, রিয়েলমি তরুণদের ব্র্যান্ড। মেলায় রিয়েলমির ফাইভজি হ্যান্ডসেটে দর্শনার্থীরা ফাইভজি অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন।
ডিএক্স গ্রুপের হেড অফ রিটেইল অপারেশনস জে এম হাসান সাইফ বলেন, তারা শাওমি ব্র্যান্ডের হ্যান্ডসেট আনছেন মেলায়। ক্রেতাদের জন্য শাওমির ফাইভজি হ্যান্ডসেটে তারা ছাড় ও বিশেষ উপহারও রাখছেন। এছাড়া তারা ক্যাশব্যাকও দেবেন।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সবসময়ের মতো এবারও দেশের স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহারকারীদের সর্বশেষ মডেলের স্মার্টফোন ও ট্যাব পরখ করে দেখার সুযোগ থাকছে এই মেলায়। স্যামসাং, অপ্পো, রিয়েলমি, শাওমি, টেকনো, ভিভো, ওয়ালটন, ওয়ান প্লাসসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন পাওয়া যাবে এখানে। এছাড়া স্মার্টফোনের জন্য আনুষঙ্গিক গ্যাজেট ও এক্সেসরিজ নিয়ে থাকবে বেশ কয়েকটি স্টল ও প্যাভিলিয়ন।
মেলায় প্রথমবারের মতো থাকছে ৫জি এক্সপিরিয়েন্স জোন। মোবাইল অপারেটর টেলিটকের পরিচালনায় ও হুয়াওয়ে টেকনলজিস বাংলাদেশের কারিগরি সহায়তায় এই জোনে এসে দর্শকরা সরাসরি ৫জি অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন।
এবারের মেলার পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছে মোবাইল ব্যান্ড স্যামসাং, অপো, ভিভো, রিয়েলমি, টেকনো ও ডিএক্স। মেলার টেকনলজি পার্টনার হুয়াওয়ে। লজিস্টিক পার্টনার হিসেবে রয়েছে ই-কুরিয়ার।
প্রদর্শনীর সব আপডেট ও খবর মেলার অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজ (www.facebook.com/STExpo/) এবং দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক শীর্ষ নিউজ পোর্টাল টেকশহরডটকমে (techshohor.com) পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক বাজারে জিটি ২ সিরিজ নিয়ে আসছে রিয়েলমি, উন্মোচিত হলো ডিজাইন
২ বছর আগে
লো-কার্বন ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাবে সবুজ-বান্ধব ফাইভজি নেটওয়ার্ক
মোবাইল ব্রডব্যান্ড ফোরাম ২০২১-এর দ্বিতীয় দিনে ‘গ্রিন ফাইভজি নেটওয়ার্ক ফর আ লো-কার্বন নেটওয়ার্ক’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হুয়াওয়ের নির্বাহী পরিচালক ও ক্যারিয়ার বিজনেস গ্রুপের প্রেসিডেন্ট রায়ান ডিং।
প্রবন্ধে দ্রুত ডেটা ট্র্যাফিক বৃদ্ধির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পুরো শিল্পখাতের পাওয়ার সাপ্লাই, বিতরণ, ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনায় উদ্ভাবন চালিয়ে যাওয়া এবং একইসাথে, উচ্চ পারফরমেন্স ও কম জ্বালানি খরচে সবুজ-বান্ধব ফাইভজি নেটওয়ার্কও গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: ইন্টেলিজেন্ট ওয়ার্ল্ড ২০৩০ প্রতিবেদন প্রকাশ হুয়াওয়ে’র
ডিং এর মতে, যেসব দেশে ফাইভজি’র দ্রুত উন্নয়ন ঘটছে ও অপারেটররা এক্ষেত্রে বেশি পরিমাণে বিনিয়োগ করছে, তারা এর সুফলও পাচ্ছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, যখন ফাইভজি ব্যবহারকারীর সংখ্যা যথেষ্ট পরিমাণে বাড়বে, তখনই অপারেটররা এর পুরোপুরি সুবিধা উপভোগ করতে পারবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ফাইভজি পেনিট্রেশন ২০ শতাংশে পৌঁছালে, এ প্রযুক্তির বিকাশ আরও দ্রুত হবে।
চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ও কুয়েতের মতো দেশগুলোতে অপারেটররা ব্যবহারকারীদের দ্রুত দেশব্যাপী কভারেজ প্রদান ও নিরবচ্ছিন্ন সেবা প্রদান করছে। তারা ব্যবহারকারীদের সুবিধা অনুযায়ী প্যাকেজ নিয়ে এসেছে যা গ্রাহক ও অপারেটর উভয়ের জন্যই সুবিধাজনক। ব্যবহারকারীদের নতুন নেটওয়ার্কে স্থানান্তর ও নেটওয়ার্কের বিকাশকে ত্বরাণ্বিত করতে অপারেটররা ফোরজি’র চেয়ে উন্নত অভিজ্ঞতা প্রদান করছে। এসব দেশে ২০ শতাংশেরও গ্রাহক বেশি ফাইভজি’তে সেবা নিতে শুরু করেছে যার ফলে ব্যবহারকারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি হয়েছে এবং ব্যবসায়িক আয় ও নেটওয়ার্ক নির্মাণে ইতিবাচক প্রবণতা এনেছে।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ডে ‘প্রাইম মিনিস্টার অ্যাওয়ার্ড’ পেলো হুয়াওয়ে
উচ্চমানের ফাইভজি নেটওয়ার্ক মোবাইল ডেটা ট্রাফিকের দ্রুত বৃদ্ধি ঘটাবে। ধারণা করা যায় যে, ২০৩০ সালের মধ্যে প্রত্যেক ব্যবহারকারীর মাসিক ডেটা ট্র্যাফিক ৬শ’ জিবিতে পৌঁছাবে। ডিং বলেন, আইসিটি শিল্পের গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমণ ৪৫ শতাংশ কমাতে উচ্চ পারফরম্যান্স ও কম জ্বালানি খরচের গ্রিন নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে অপারেটরদেরকে বিদ্যমান পাওয়ার সাপ্লাই, বিতরণ, ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনায় উদ্ভাবন চালিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।
বক্তব্যের শেষে ডিং বলেন, সৌদি আরব, গ্রিস, পাকিস্তান ও সুইজারল্যান্ড সহ ১শ’র বেশি দেশে হুয়াওয়ে লো-কার্বন সাইট সল্যুশন স্থাপন করেছে, যা অপারেটরদের ৪০ মিলিয়ন টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ হ্রাসে সহায়তা করছে। টেলিযোগাযোগ খাতের প্রতিষ্ঠান হিসেবে, সবুজ বিপ্লবকে কেন্দ্র করেই হুয়াওয়ে সব কার্যক্রম পরিচালনা করে এবং সবুজ-বান্ধব ফাইভজি নেটওয়ার্ক তৈরিতে বিশ্বজুড়ে অপারেটরদের সাথে উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে কাজ করে।
৩ বছর আগে
রিয়েলমি জিটি সিরিজের দুটি চমৎকার স্মার্টফোন বাজারে
বিশ্বব্যাপী ১০ কোটি স্মার্টফোন বিক্রয়ের মাইলফলক অর্জন উপলক্ষে স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি বাজারে এনেছে তাদের জিটি সিরিজের দুটি চমৎকার স্মার্টফোন রিয়েলমি জিটি মাস্টার এডিশন ও রিয়েলমি জিটি এক্সপ্লোরার মাস্টার এডিশন। ১৮ আগস্ট এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী পণ্যগুলো উন্মোচন করা হয়। স্মার্টফোনের পাশাপাশি, অনুষ্ঠানে রিয়েলমি’র প্রথম ল্যাপটপ ‘রিয়েলমি বুক’ও উন্মোচন করা হয়।
আরও পড়ুনঃ রিয়েলমি নিয়ে এল দ্রুত ম্যাগনেটিক ওয়্যারলেস চার্জিং সল্যুশন 'ম্যাগডার্ট
রিয়েলমি’র প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও স্কাই লি বলেন, ‘রিয়েলমি প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমরা সব সময়ই তরুণ প্রজন্মের জন্য লিপ-ফরওয়ার্ড পণ্য নিয়ে এসেছি। অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, আমরা তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত ও সন্তুষ্ট করতে পারে এমন উন্নত ফিচার ও তাদেরকে ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী ১০ কোটি ব্যবহারকারীরা জন্য এআইওটি পণ্য নিয়ে আসছি।’
প্রখ্যাত ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইনার নাওতো ফুকাসো’র ডিজাইন করা রিয়েলমি জিটি মাস্টার এডিশন সিরিজ এ বছরের সেরা ফ্ল্যাগশিপ ডিজাইন। ইতিহাসে এই প্রথম স্মার্টফোনের ডিজাইনে কনকেইভ ভেগান-লেদার ব্যবহার করা হয়েছে। প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও চমৎকার ডিজাইনের সমন্বয়ে তৈরি রিয়েলমি জিটি মাস্টার এডিশন সিরিজ তরুণ প্রজন্মকে অন্বেষণ করতে ও সৃজনশীল ক্ষমতার বিকাশে উৎসাহিত করবে।
পাশাপাশি সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া এ সিরিজের উন্নত মানসম্পন্ন স্মার্টফোন তরুণদের ক্ষমতায়নেও সাহায্য করবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ।
আরও পড়ুনঃ এখন বাংলাদেশেই তৈরি হচ্ছে রিয়েলমি সি২১
জিটি এক্সপ্লোরার মাস্টার এডিশনে রয়েছে ১২ জিবি পর্যন্ত র্যা ম সমৃদ্ধ কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮৭০ প্রসেসর এবং জিটি মাস্টার এডিশনে রয়েছে ৮ জিবি পর্যন্ত র্যা ম সমৃদ্ধ স্ন্যাপড্রাগন ৭৭৮জি ফাইভজি প্রসেসর। দুটো ফোনেই ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট সহ অ্যামোলেড স্ক্রিন ব্যবহার করা হয়েছে, ফলে ফোনের স্ক্রিনে যেকোনো দৃশ্য হয়ে উঠবে প্রাণবন্ত ও স্পষ্ট। জিটি এক্সপ্লোরার মাস্টার এডিশনে ৫৬ ডিগ্রীর কার্ভড ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে। অন্যদিকে, স্বাচ্ছ্যন্দে ব্যবহারের জন্য জিটি মাস্টার এডিশন ভ্যাপার চেম্বার কুলিং সিস্টেম সাপোর্টেড করে তৈরি করা হয়েছে।
রিয়েলমি জিটি মাস্টার এডিশনে রয়েছে ৩২ মেগাপিক্সেল সনি সেলফি ক্যামেরা ও ৬৪ মেগাপিক্সেল মূল ক্যামেরা। অন্যদিকে, জিটি এক্সপ্লোরার মাস্টার এডিশনে রয়েছে ওআইএস সহ ৫০ মেগাপিক্সেল সনি আইএমএক্স৭৬৬ মূল ক্যামেরা। এ সিরিজের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা প্রথমবারের মতো চমৎকার স্ট্রিট ফটোগ্রাফি মোড উপভোগ করতে এবং প্রাণবন্ত ছবি তুলতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ রিয়েলমির ‘৫জি একাডেমি’ চালু
একইসাথে, প্রযুক্তি-সচেতন মানুষের জন্য ২কে ডিসপ্লে ও লিপ-ফরওয়ার্ড পারফরম্যান্স নিয়ে রিয়েলমি বাজারে এনেছে তাদের প্রথম ল্যাপটপ- রিয়েলমি বুক। ১৪.৯ মিলিমিটার ফুল মেটাল বডির সুপার স্লিম রিয়েলমি বুক পাওয়া যাবে নীল ও ধূসর এ দুটি রঙে। এই ল্যাপটপে রয়েছে ১৪ ইঞ্চি ২কে ফুল ভিশন ডিসপ্লে, ৪০০ নিট পিক ব্রাইটনেস ও ৩:২ অনুপাতের স্ক্রিন।
১১ প্রজন্মের ইন্টেল কোর প্রসেসর সমৃদ্ধ রিয়েলমি বুক ল্যাপটপটির র্যা ম ১৬ জিবি পর্যন্ত এবং এর স্টোরেজ ৫১২ জিবি পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা যাবে। ৬৫ ওয়াটের সুপার-ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি সম্পন্ন এ ল্যাপটপটি দিবে ১১ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যাটারি লাইফ। এর ডিটিএস এইচডি স্টেরিও সাউন্ড ইফেক্ট, ডুয়াল মাইক নয়েজ ক্যান্সেলেশন ও ফোন সিঙ্ক করার জন্য ‘পিসি কানেক্ট’ অপশন ব্যবহারকারীদের অনলাইনে কাজ করতে ও কোনো ঝামেলা ছাড়াই পড়াশোনা করতে সাহায্য করবে। এ ল্যাপটপে তিন-লেভেলের ব্যাকলিট কীবোর্ড ব্যবহার করা হয়েছে এবং এটি নতুন ওয়াইফাই ৬ প্রযুক্তিকে সমর্থন করে।
৩ বছর আগে
২০২৫ সালের মধ্যে ৩০০ বিলিয়ন ডলারের বাজার হবে অগমেন্টেড রিয়েলিটি
হুয়াওয়ে এবং বিশেষজ্ঞদের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মধ্যে অগমেন্টেড রিয়েলিটির (এআর) বাজার দাঁড়াবে ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। এ বিষয়টির ওপর আবারও জোর দিলেন হুয়াওয়ে ক্যারিয়ার বিজনেস গ্রুপের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা বব কাই।
তিনি বৃহস্পতিবার চীন থেকে অনলাইনে আয়োজিত হুয়াওয়ের বেটার ওয়ার্ল্ড সামিট ২০২১ -এ ‘ফাইভজি + এআর, টার্নিং ড্রিমস ইনটু রিয়েলিটি’ শীর্ষক মূল বক্তব্যের সময় এ বিষয়ে কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ইসলামী ব্যাংক ঢাকা নর্থ জোনের শরী‘আহ পরিপালন বিষয়ক ওয়েবিনার
তিনি বলেন, ‘ফাইভজি এআর চালু করবে এবং এআর ফাইভজি প্রযুক্তিকে আরও ত্বরান্বিত করবে। শিক্ষা, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং, কেনাকাটা, ভ্রমণ ও নেভিগেশন এবং গেমিং-এই পাঁচটি শিল্পখাত প্রথমেই এআর প্রযুক্তিকে বিস্তৃতভাবে গ্রহণ করবে। জড়জগৎ আর ডিজিটাল জগতকে একসাথে করার মাধ্যমে আমাদের কল্পনাগুলোকে বাস্তবে পরিণত করবে এআর।’
আরও পড়ুন: ‘উপায়ে’ কর্মীদের বেতন দেবে ফ্যালকন গ্রুপ
সামিটে শেনঝেন কমিউনিকেশন ম্যানেজমেন্ট ব্যুরো’র পরিচালক হে চেংজিয়ান, স্ট্রাটেজি অ্যানালিটিক্স’র নির্বাহী পরিচালক ডেভিড ম্যাকক্যুইন, শেনঝেন টিভি স্টেশনের প্রধান নির্মাতা হুয়াং হে, রিয়েলম্যাক্স’র সিইও ওয়েই রঙ্গজি, মিলিপ সিইও হিরোশি ফুকুদা, এইচএডিও চীন রিজিওন’র প্রতিনিধি লিয়াং জিনহাও এবং শেনজেন এআর অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী পরিচালক ফু জি বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: আনসাং ওমেন ন্যাশন বিল্ডার্স অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৬ নারী
তারা এআর-এর সাম্প্রতিক ব্যবহার এবং এআর প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ প্রবণতা সম্পর্কে তাদের চিন্তাভাবনা সবার সামনে তুলে ধরেন।
৩ বছর আগে
চীনে গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার উদ্বোধন করল হুয়াওয়ে
চীনের ডংগুয়ানে নিজেদের সর্ববৃহৎ গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি ও প্রাইভেসি প্রটেকশন ট্রান্সপারেন্সি সেন্টার উদ্বোধন করেছে হুয়াওয়ে।
বৃ্হস্পতিবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জিএসএমএ, এসইউএসই, ব্রিটিশ স্ট্যান্ডার্ড ইন্সটিটিউশনের প্রতিনিধিরা এবং সংযুক্ত আরব-আমিরাত ও ইন্দোনেশিয়ার নিয়ন্ত্রকরা বক্তব্য দেন ।
নতুন সেন্টার চালু করার পাশাপাশি হুয়াওয়ে এর প্রোডাক্ট সিকিউরিটি বেজলাইনও প্রকাশ করেছে। যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি প্রথমবারের মতো প্রডাক্ট সিকিউরিটি বেজলাইন ফ্রেমওয়ার্ক ও ব্যবস্থাপনা অনুশীলন পুরো খাতের জন্য উন্মুক্ত করে হুয়াওয়ে। এ পদক্ষেপ প্রতিষ্ঠানটির খাতজুড়ে সাইবার নিরাপত্তা শক্তিশালী করতে ক্রেতা, সাপ্লায়ার, মানদণ্ড সংশ্লিষ্ট নির্ধারক সংস্থা এবং অন্যান্য অংশীদারদের সাথে যৌথভাবে কাজের প্রচেষ্টা গ্রহণের বিস্তৃত পদক্ষেপের অংশ বলে উল্লেখ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুনঃ উন্নত সেবার জন্য বিকাশ থেকে অ্যাওয়ার্ড পেল হুয়াওয়ে
হুয়াওয়ের রোটেটিং চেয়ারম্যান কেন হু বলেন, ‘সাইবার নিরাপত্তা এখন যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি বলেন, ‘একীভূত শিল্পখাত হিসেবে আমাদের একসাথে কাজ করা প্রয়োজন এবং শাসন ব্যবস্থা, মানদণ্ড, প্রযুক্তি ও যাচাইকরণে নিজেদের মধ্যে সর্বোত্তম অনুশীলনীগুলো আদান-প্রদান করতে হবে। সাধারণ মানুষ এবং নিয়ন্ত্রকরা যেনো প্রতিদিনকার ব্যবহৃত পণ্য ও সেবার নিরাপত্তার ব্যাপারে আস্থা রাখতে পারেন, আমাদের সে কারণ তৈরি করতে হবে। একসাথেই আমরা ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল বিশ্বে নিরাপত্তা ও উন্নয়নের সঠিক ভারসাম্য বজায়ে কাজ করতে পারি।’
সাইবার গভর্নেন্স নিয়ে খাত-সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের দক্ষতার আদান-প্রদানে, পাশাপাশি প্রযুক্তিগত সমাধান নিয়ে একসাথে কাজ করার জন্য হুয়াওয়ে ডংগুয়ানে এর নতুন গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি ও প্রাইভেসি প্রটেকশন ট্রান্সপারেন্সি সেন্টার চালু করেছে। এ সেন্টারের মাধ্যমে নানা সমাধান প্রদর্শন করা হবে ও অভিজ্ঞতার আদান-প্রদান করা হবে, যোগাযোগ ও যৌথ উদ্ভাবন বৃদ্ধিতে কাজ করা হবে এবং সিকিউরিটি টেস্টিং ও ভেরিফিকেশনে সহায়তা প্রদান করা হবে।
সেন্টারটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা, স্বাধীন তৃতীয় পক্ষ টেস্টিং প্রতিষ্ঠান, মানদণ্ড সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং হুয়াওয়ের ক্রেতা, অংশীদার ও সাপ্লায়ারদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
জিএসএমএ’র মহাপরিচালক ম্যাটস গ্র্যানরিড হুয়াওয়ের নতুন সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যে বলেন, ‘ফাইভজি যুগে বিদ্যমান ও নতুন সেবা প্রদান বিশেষভাবে নির্ভর করবে মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠানগুলোর কানেক্টিভিটি সেবা এবং মূলত নির্ভর করবে এ প্রযুক্তি সুরক্ষা এবং এর ওপরে আস্থার ওপরে।‘ তিনি বলেন, ‘অংশীজনদের সহায়তা করতে জিএসএমএ ফাইভজি সিকিউরিটি নলেজ বেসের মতো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, যাতে তারা নেটওয়ার্কের ঝুঁকি বুঝতে পারেন এবং এ ঝুঁকি প্রশমনে কাজ করতে পারেন। অন্যদিকে, শিল্পখাতজুড়ে নেটওয়ার্ক সরঞ্জামের বিকাশ ও নিরাপত্তার উন্নয়নে শিল্পখাত সংশ্লিষ্ট সিকিউরিটি অ্যাসুরেন্স ফ্রেমওয়ার্ক ‘এনইএসএএস’ করা হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে পণ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় এক দশকেরও বেশি অভিজ্ঞতা, বিস্তৃত পরিসরের বাহ্যিক বিধিমালা অন্তর্ভুক্তিকরণ, কারিগরি মানদণ্ড এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রয়োজনীয় বিষয় সমন্বিত প্রডাক্ট সাইবার সিকিউরিটি বেজলাইন প্রকাশ করেছে হুয়াওয়ে।
হুয়াওয়ের গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রাইভেসি প্রটেকশন অফিসের পরিচালক শন ইয়াং বলেন, ‘প্রথমবারের মতো আমরা শুধুমাত্র আমাদের মূল সাপ্লায়ারই নয়, বরং সম্পূর্ণ খাতের সামনেই আমাদের সিকিউরিটি বেজলাইন ফ্রেমওয়ার্ক তুলে ধরেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ক্রেতা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, মানদণ্ড সংশ্লিষ্ট সংস্থা, প্রযুক্তি সেবা দাতা এবং টেস্টিং প্রতিষ্ঠান সহ সকল অংশীজনদের আমন্ত্রণ জানাই আমাদের সাথে কাজ যুক্ত হয়ে একসাথে সাইবার সিকিউরিটি বেজলাইন নিয়ে আলোচনা করার ও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য। একসাথে আমরা ধারাবাহিকভাবে এ শিল্পখাতে পণ্যের নিরাপত্তার উন্নয়নে কাজ করতে পারি।’
৩ বছর আগে