ভাংচুর
নরসিংদীতে বহিষ্কৃত ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ভাংচুর করল বিএনপির কার্যালয়
নরসিংদী জেলা বিএনপির কার্যালয় ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের চিনিশপুরের বাসায় হামলা ও ভাঙচুর করেছে বহিষ্কৃত ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
এসময় হামলাকারীরা বিএনপি কার্যালয়ের গেটের সামনে এক টিভি সাংবাদিকের মোটরসাইকেলও ভাংচুর করে।
আরও পড়ুন: বরিশালে বাস টার্মিনালের দখল নিয়ে হামলা ভাংচুর
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খোকন বলেন, ‘হামলাকারীরা অপরাধী। প্রশাসনের নাকের ডগায় বারবার এই হামলা প্রমাণ করে প্রশাসন তাদের প্রশ্রয় দিয়েছে। আমরাও এদেশের নাগরিক, আমাদের নিরাপত্তা দেওয়া প্রশাসনের দায়িত্ব।’
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে খোকন ঢাকা থেকে আসার পর ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা জেলা বিএনপির চিনিশপুর কার্যালয়ের প্রবেশপথ বন্ধ করে দেয়। পরে বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রধান ফটক দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন।
পরে সব উপজেলায় বিএনপির ৮ এপ্রিলের কর্মসূচি নিয়ে প্রস্তুতি সভা করেন খোকন।
সভা শুরুর পরপরই একদল বহিষ্কৃত ছাত্রদল নেতা-কর্মী অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা চালায় এবং পাঁচ-সাতটি ককটেল বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।
হামলাকারীরা চলে যাওয়ার পর বিএনপি কার্যালয়ের দিকে নিক্ষিপ্ত আট থেকে ১০টি অবিস্ফোরিত ককটেল বোমা উদ্ধার করেন কার্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক।
খবর পেয়ে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়াসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ বিএনপি কার্যালয় পরিদর্শন করে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি।
গত ২৬ জানুয়ারি থেকে বহিষ্কৃত ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা খোকনের গাড়ি, বাড়ি ও জেলা বিএনপির কার্যালয়ে একাধিকবার হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশ লুটপাট, ভাংচুর করেছে: খন্দকার মোশাররফ
বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর, বিএনপির ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
১ বছর আগে
বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশ লুটপাট, ভাংচুর করেছে: খন্দকার মোশাররফ
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন সোমবার অভিযোগ করে বলেছেন, ৭ ডিসেম্বর অভিযানে পুলিশ নয়াপল্টনে তাদের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে টাকা লুটপাটের পাশাপাশি ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ ধ্বংসযজ্ঞ ও ভাঙচুর করেছে।
দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বিএনপি কার্যালয়ের পাঁচ তলা ভবনের প্রতিটি কক্ষ পরিদর্শন শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিজয়ের মাসে বিএনপি কার্যালয় ভাংচুর ও লুটপাট করেছে পুলিশ। তারা নগ্নভাবে সন্ত্রাসের আশ্রয় নিয়েছে। অপ্রত্যাশিত বর্বরতা।’
আরও পড়ুন: বর্তমান ইসির সঙ্গে বিএনপি সংলাপে যাবে না: খন্দকার মোশাররফ
বিএনপি নেতা বলেন, পুলিশ তাদের দলীয় চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ের প্রথম তলায় দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং ঘরের ভেতরের সবকিছু ভাংচুর করে এবং সব ছবি নষ্ট করে দেয়।
তিনি বলেন, পুলিশ তাদের অফিস থেকে সব সিপিইউ, হার্ডডিস্ক, প্রিন্টারসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে গেছে।
‘আমাদের অ্যাকাউন্ট বিভাগ থেকে সবকিছু লুট করা হয়েছে। নিচতলায় জিয়াউর রহমানের ম্যুরালও ভাঙচুর করা হয়। বিজয়ের মাসে এমন বর্বর ঘটনা কেউ দেখবো বলে আশা করেনি,’ বলেন মোশাররফ।
তিনি অভিযোগ করেন, ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে আমাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সরকারের আগ্রাসী মনোভাব প্রমাণ করেছে যে এটি একটি ফ্যাসিবাদী, সন্ত্রাসী ও দখলদার সরকার।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘ঘটনার নিন্দা করার মতো উপযুক্ত শব্দ আমাদের কাছে নেই। আমি মনে করি এটি বাংলাদেশে একটি নজিরবিহীন ঘটনা। বিশ্বে এমন নজির নেই…এমনকি মুক্তিযুদ্ধের সময়ও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এ ধরনের হামলা চালায়নি।’
তিনি বলেন, ‘জনগণের পিঠ এখন দেয়ালে ঠেকেছে, তাই জনগণ আমাদের বার্তা দিয়েছে যে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার জন্য বলপ্রয়োগ করে দেশকে ধ্বংস করছে এবং তাদের পক্ষে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, অর্থনীতি মেরামত, নিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। বিচার ব্যবস্থায় এবং আইনশৃঙ্খলা বিভাগে স্বাধীনতা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, তাদের পক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমানো অসম্ভব। তাই বাংলাদেশের জনগণ, গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলায় জনগণ এই সরকারের হাত থেকে দেশকে বাঁচানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এর আগে সোমবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডক্টর আবদুল মঈন খান ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ কয়েকজন বিএনপি নেতাকে নিয়ে মোশাররফ দলীয় কার্যালয়ে যান।
এদিকে গত ৭ ডিসেম্বর পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মকবুলের পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে।
মকবুলের স্ত্রী হালিমা আক্তার বিএনপি নেতাদের কাছ থেকে এক লাখ টাকা পেয়েছেন। আর মেয়ে মিথিলার পড়াশোনার দায়িত্ব নেন ঢাকা উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের আহ্বান খন্দকার মোশাররফের
সরকার স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে জনগণ বাধ্য করবে: খন্দকার মোশাররফ
২ বছর আগে
নড়াইলে ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫ জন রিমান্ডে
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া গ্রামে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ এনে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা,ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনকে তিনদিনের রিমান্ডে দিয়েছে আদালত। সোমবার বিকালে লোহাগড়া আমলী আদালতের বিচারক জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. মোরশেদুল আলমের আদালত এ নির্দেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান তাদের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। বিচারক শুনানী শেষে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন-সাদেকুর রহমানের ছেলে মাসুম বিল্লাহ (৩২), আমিনউদ্দিনের ছেলে সাইদ শেখ (২৫), বারিক শেখের ছেলে রেজাউল শেখ (৪০), এসহাক শেখের ছেলে রাসেল মৃধা (৩৮) ও আজিজুল গাজীর ছেলে কবীর গাজী (৪০)।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হেনা মিলন বলেন, ‘অজ্ঞাত ২৫০ জনের নামে মামলা হয়েছে।ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে পাঁচজনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি।’
আরও পড়ুন: নড়াইলে ভাঙচুর: গ্রেপ্তার যুবকের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
প্রসঙ্গত, গত ১৫ জুলাই লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া সাহাপাড়ার কলেজছাত্র আকাশ সাহার ফেসবুকে ধর্ম নিয়ে কটূক্তির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ তুলে সাহাপাড়ার গোবিন্দ সাহা, তরুণ সাহা, দিলীপ সাহা, পলাশ সাহার বাড়িসহ বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। এসময় তারা গোবিন্দা সাহার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
ভাংচুর ঘটনায় ১৭ জুলাই লোহাগড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাকফুর রহমান বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় ২৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা করে মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে, সাহা পাড়ার অশোক সাহার ছেলে আকাশ সাহার বিরুদ্ধে ফেসবুকে মহানবী (সা.)কে নিয়ে কটুক্তির অভিযোগে ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে দাঙ্গা সৃষ্টির অপরাধ’ সংক্রান্ত মামলা হয়েছে। গত ১৬ জুলাই লোহাগড়া থানায় মামলাটি করেন দিঘলিয়া গ্রামের সালাহ উদ্দিন কচি সরদার।
এরপর এদিন রাতে খুলনা থেকে আকাশ সাহাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১৭ জুলাই বিকালে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোরশেদুল আলমের আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লোহাগড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাকফুর রহমান সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিচারক শুনানি শেষে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে হিন্দু বাড়ি ও দোকান ভাঙচুর
নড়াইলে অধ্যক্ষ হেনস্তা: ১ শিক্ষক ও কলেজ পরিচালনা পরিষদকে শোকজ
২ বছর আগে
বরিশালে বাস টার্মিনালের দখল নিয়ে হামলা ভাংচুর
বরিশাল নগরীর রূপাতলী বাস টার্মিনালের কর্তৃত্ব নিয়ে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম অনুসারী শ্রমিক নেতাকর্মীর ওপর হামলা ও অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ অনুসারীদের বিরুদ্ধে। তবে মেয়র অনুসারীরা বলছেন, হামলা তারা নয়, তাদের ওপর একাধিকবার হামলা চালানো হয়েছে। উভয় পক্ষের অভিযোগ মতে এই ঘটনায় আহত হয়েছে ছয়জন।
আহতরা হলেন- পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী অনুসারী বরিশাল জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সুলতান মাহামুদ, তার অনুসারী শ্রমিক মানিক, শামীম, নাসির এবং পাল্টা কমিটি বরিশাল জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি, মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারী পরিমল চন্দ্র দাসের সমর্থক কালাম ও দিপু সিকদার।
শনিবার দুপুর ১টার দিকে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারীরা মোটরসাইকেল বহর নিয়ে রুপাতলী বাস টার্মিনাল সংলগ্ন সুলতান মাহামুদের অফিসে ভাঙচুর করে এবং তার ওপর হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীদের সঙ্গে আগ্নেয় ও ধারালো অস্ত্র ছিল বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
আহত সুলতান মাহামুদ বলেন, আমি আমার ব্যক্তিগত অফিসে বসা ছিলাম। হঠাৎ করে শ্রমিক নেতা দাবীদার রইজ আহম্মেদ মান্না, জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি সাজ্জাদ, মুনিম, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিবসহ দুই শতাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী শর্টগান ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমার ওপর হামলা করে। এতে আমিসহ আমার সঙ্গে থাকা কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়। এরা সব মেয়র সাদিকের কথায় আমার ওপর হামলা চালিয়েছে। সাদিক রুপাতলী বাস টার্মিনাল কন্ট্রোলে নিতে পারছে না আমার কারণে, সে জন্য আমার ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। আমার অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সিনেমা দেখেছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে বাস টার্মিনালের দখল নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
সুলতান বলেন, আমি এবং আমার অনুসারীরা কেউ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেয়ার সাহস পাচ্ছি না, নিজ বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছি। হাসপাতালে ভর্তি হলে আমাদের ওপর আবার হামলা করা হবে।
অপরদিকে সিটি মেয়র অনুসারী বরিশাল জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক পরিমল চন্দ্র দাস জানান, আমরা কারও ওপর হামলা করিনি। যাদের নাম বলছে তারা তো টার্মিনালেই আসেনি। বরং সুলতান মাহামুদ আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে আমাদের দুই শ্রমিককে আহত করেছে। তাদের চিকিৎসার জন্য মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার বাবু বলেন, আমরা সকাল থেকে টার্মিনালে ছিলাম। কিন্তু কোথাও কোনো ঝামেলার খবর শুনিনি। উল্টো আমাদের ওপর হামলা হয়েছে। যেখানে আমাদের শ্রমিক পাচ্ছে সেখানেই মারধর করা হচ্ছে।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী সুলতান মাহামুদের অফিস সংলগ্ন অগ্রণী ব্যাংকের ম্যানেজার জিয়াউর রহমান বলেন, গন্ডগোল দেখে আমি ব্যাংকের গেট আটকে দেই। কারা ভাঙচুর করছে সেটা বলতে পারবো না।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার সহকারি কমিশনার শারমিন সুলতানা রাখি বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানানো হবে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এনামুল হক বলেন, এখানে এসে একটি অফিস ভাঙচুর অবস্থায় দেখতে পেয়েছি। বিচ্ছিন্নভাবে এসে এই ঘটনা ঘটনো হয়েছে। যারাই এই অপরাধ করেছে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজগুলো পর্যালোচনা করে দেখবো আমরা। পুলিশের সামনে এই ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ ছিল তবে ঘটনাস্থলে নয়, তাছাড়া পুলিশের কোনো গাফলতি নেই।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ কয়েকদিন ধরেই রুপাতলী মিনিবাস টার্মিনাল দখল নিয়ে প্রতিমন্ত্রী ও মেয়র সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ চলে আসছিল। শুক্রবার দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে।
আরও পড়ুন: বরিশালে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা-ভাঙচুর, গ্রেপ্তার ৭
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মারামারি
২ বছর আগে
ইবিতে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের হাতাহাতি, শ্রদ্ধাঞ্জলি ভাংচুর
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) স্মৃতিসৌধে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করাকে কেন্দ্র করে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে ক্যাম্পাসের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষকদের মধ্যে বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
শনিবার সকালে তিন দফায় শিক্ষকদের মধ্যে এই হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিটের শ্রদ্ধাঞ্জলি বেদি ভাঙচুর করা হয়।
ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ থাকলেও সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
এদিকে, ঘটনার প্রতিবাদে বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের পাদদেশে মানববন্ধন করে বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিট।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া।
আরও পড়ুন: ইবির প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু ২১ মার্চ
পরে শিক্ষক সংগঠন, ছাত্র সংগঠন, হলসমূহ, বিভাগসমূহ একে একে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানায়। শ্রদ্ধা নিবেদনের একপর্যায়ে বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিটের নাম ঘোষণা না করায় তারা বেদিতে উঠতে চেষ্টা করে। এ সময় সহকারী প্রক্টর ড. শফিকুল ইসলাম তাদের বাধা দেন। এতে বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিটের শহিদুল ইসলামের সঙ্গে সহকারী প্রক্টরের বাগ্ বিতণ্ডা হয়। এ সময় বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিটের সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী আখতার, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দারসহ অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান, অধ্যাপক ড. আহসান উল আম্বিয়া, অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ, সহকারী অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম, নাহিদ হাসান, হাফিজুল ইসলামসহ প্রায় ২৫ জন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
বাগ্বিতণ্ডার পরে বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিটের শিক্ষকেরা বেদিতে ওঠার চেষ্টা করলে অপর পক্ষ তাদের বাধার সৃষ্টি করলে অন্য গ্রুপের শিক্ষকদের সঙ্গে তাদের হাতাহাতি হয়। এতে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্র ঘোষিত অংশের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান, অধ্যাপক দেবাশীষ শর্মা, অধ্যাপক মিজানুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক বাকি বিল্লাহ বিকুল, সাজ্জাদ হোসেন, সহকারী প্রক্টর শফিকুল ইসলামসহ প্রায় ১৫ জন শিক্ষক তাদের ওপরে চড়াও হন।
একপর্যায়ে শিক্ষক ইউনিটের ফুলের তোড়া ভেঙে ফেলে তারা। এরপর দুই গ্রুপের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষক মূল বেদিতে সবার সামনে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। প্রায় ২০ মিনিটের এ ঘটনায় তিন দফায় হাতাহাতি করেন শিক্ষকরা।
এ সময় শিক্ষক ইউনিটের নেতা–কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আলমগীর হোসেন ভূঁইয়ার কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে ফের বাধা দেয় অপর পক্ষ। পরে তাদের সামনে ধাক্কা দিয়ে শিক্ষক ইউনিটের শিক্ষকদের বেদি থেকে নামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে তারা। এ সময় প্রক্টর পরিবেশ শান্ত করার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে শিক্ষক ইউনিটের শিক্ষকেরা বেদি থেকে নেমে যায়।
আরও পড়ুন: ইবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ, আহত ২০
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্র ঘোষিত অংশের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাহবুবুল আরফিন বলেন, তাদের জুনিয়র শিক্ষকরা আমাদের সিনিয়রদের সঙ্গে বেয়াদবি করায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এটি পূর্বপরিকল্পিত ঘটনা। আমরা কেন্দ্রকে জানিয়েছি।
এ ঘটনার পর মানববন্ধনে বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার বলেন, ‘শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর অধিকার সবার আছে। আমরা বঙ্গবন্ধুর কর্মী হয়ে আমাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করতে না দিয়ে বিএনপির লোকদের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনাটি আমরা ভিসিকে জানানোর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ভিসি ফোন রিসিভ না করায় আমরা বেদিতেই উপস্থিত প্রো ভিসির কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য গিয়েছিলাম। এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত ঘটনা। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার দাবি করছি। ’
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমাদের শিক্ষকরা মুখেই বলি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী। স্মৃতিসৌধের বেদিতে যে ঘটনা ঘটেছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। সহকারী প্রক্টরের ভূমিকায় তিনি বলেন, ‘ভিডিও ফুটেজ দেখে এ বিষয়ে আমি বলতে পারব। ’
আরও পড়ুন: ইবিতে বিএড ও এমএড ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
২ বছর আগে
চুয়াডাঙ্গায় দুর্গাপূজার প্রতিমা ভাঙচুর
চুয়াডাঙ্গায় একটি মন্দিরে দুর্গাপূজার প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার শহরতলীর দৌলতদিয়ার দক্ষিণ পাড়া মন্দিরে দুস্কৃতিকারীরা এই প্রতিমা ভাঙচুর করে বলে সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতারা জানিয়েছেন।
এই ঘটনায় সমগ্র চুয়াডাঙ্গা জেলায় দূর্গাপূজা আয়োজকদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এমন ঘটনায় তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক, এএসপি (সদর) কনক কুমার দাস ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহম্মদ মহসিন পিপিএম।
আরও পড়ুন: নিকলীতে প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় আটক ৫, একজনের স্বীকারোক্তি
ওসি জানান, কি কারণে এধরনের ঘটনা ঘটেছে পুলিশ তা তদন্ত করছে।
জেলার নেতৃবৃন্দ জানায়, কারিগররা প্রতিমার কাজ করে রাতে বিশ্রামে চলে যায় । বিকেলে এসে ভাঙচুরের ঘটনা দেখতে পেলে পুলিশে খবর দেয়।
এদিকে আজ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের জেলা নেতারা আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের জোর দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেছে। অন্যথায় তারা কঠোর কর্মসুচি ঘোষণা করবেন বলে জানান।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা উপলক্ষে বেনাপোল দিয়ে ভারতে গেলো ২০৯ মেট্রিক টন ইলিশ
৩ বছর আগে
সৈয়দ আশরাফের মুর্যাল ভাংচুর, অজ্ঞাতদের নামে মামলা
কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মুর্যাল দুর্বৃত্তরা ভাংচুর করেছে । বৃহস্পতিবার রাতের অন্ধকারে জেলা শহরের আখড়া বাজার ব্রিজ সংলগ্ন সৈয়দ নজরুল ইসলাম চত্বরে অবস্থিত এই ম্যুরাল ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় কিশোরগঞ্জ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. আশরাফুজ্জামান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করেছেন।
আরও পড়ুনঃ সৈয়দ আশরাফ ছিলেন সজ্জন ও স্বচ্ছ রাজনীতিবিদ: তথ্যমন্ত্রী
এদিকে এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরই বিক্ষুব্ধ জনতা প্রতিবাদে ফেটে পড়ে।
ঘটনার খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম, পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার), কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. পারভেজ মিয়া, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল কাদির মিয়া, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহামুদুল হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, ‘দুষ্কৃতিকারীরা জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের পুত্র সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মুর্যালটির দুই-একটি জায়গার ক্ষতিসাধন করেছে। আমি পুলিশ সুপারকে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছি। এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনায় যে বা যারা জড়িত তাদেরকে খুঁজে বের করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছি ।‘
৩ বছর আগে