নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া গ্রামে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ এনে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা,ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনকে তিনদিনের রিমান্ডে দিয়েছে আদালত। সোমবার বিকালে লোহাগড়া আমলী আদালতের বিচারক জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. মোরশেদুল আলমের আদালত এ নির্দেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান তাদের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। বিচারক শুনানী শেষে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন-সাদেকুর রহমানের ছেলে মাসুম বিল্লাহ (৩২), আমিনউদ্দিনের ছেলে সাইদ শেখ (২৫), বারিক শেখের ছেলে রেজাউল শেখ (৪০), এসহাক শেখের ছেলে রাসেল মৃধা (৩৮) ও আজিজুল গাজীর ছেলে কবীর গাজী (৪০)।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হেনা মিলন বলেন, ‘অজ্ঞাত ২৫০ জনের নামে মামলা হয়েছে।ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে পাঁচজনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি।’
আরও পড়ুন: নড়াইলে ভাঙচুর: গ্রেপ্তার যুবকের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
প্রসঙ্গত, গত ১৫ জুলাই লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া সাহাপাড়ার কলেজছাত্র আকাশ সাহার ফেসবুকে ধর্ম নিয়ে কটূক্তির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ তুলে সাহাপাড়ার গোবিন্দ সাহা, তরুণ সাহা, দিলীপ সাহা, পলাশ সাহার বাড়িসহ বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। এসময় তারা গোবিন্দা সাহার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
ভাংচুর ঘটনায় ১৭ জুলাই লোহাগড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাকফুর রহমান বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় ২৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা করে মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে, সাহা পাড়ার অশোক সাহার ছেলে আকাশ সাহার বিরুদ্ধে ফেসবুকে মহানবী (সা.)কে নিয়ে কটুক্তির অভিযোগে ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে দাঙ্গা সৃষ্টির অপরাধ’ সংক্রান্ত মামলা হয়েছে। গত ১৬ জুলাই লোহাগড়া থানায় মামলাটি করেন দিঘলিয়া গ্রামের সালাহ উদ্দিন কচি সরদার।
এরপর এদিন রাতে খুলনা থেকে আকাশ সাহাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১৭ জুলাই বিকালে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোরশেদুল আলমের আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লোহাগড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাকফুর রহমান সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিচারক শুনানি শেষে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে হিন্দু বাড়ি ও দোকান ভাঙচুর
নড়াইলে অধ্যক্ষ হেনস্তা: ১ শিক্ষক ও কলেজ পরিচালনা পরিষদকে শোকজ