কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মুর‍্যাল  দুর্বৃত্তরা ভাংচুর করেছে । বৃহস্পতিবার রাতের অন্ধকারে জেলা শহরের আখড়া বাজার ব্রিজ সংলগ্ন সৈয়দ নজরুল ইসলাম চত্বরে অবস্থিত এই ম্যুরাল ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় কিশোরগঞ্জ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. আশরাফুজ্জামান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করেছেন।

আরও পড়ুনঃ সৈয়দ আশরাফ ছিলেন সজ্জন ও স্বচ্ছ রাজনীতিবিদ: তথ্যমন্ত্রী

এদিকে এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরই বিক্ষুব্ধ জনতা প্রতিবাদে ফেটে পড়ে।

ঘটনার খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম, পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার), কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. পারভেজ মিয়া, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল কাদির মিয়া, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহামুদুল হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, ‘দুষ্কৃতিকারীরা জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের পুত্র সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মুর‍্যালটির দুই-একটি জায়গার ক্ষতিসাধন করেছে। আমি পুলিশ সুপারকে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছি। এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনায় যে বা যারা জড়িত তাদেরকে খুঁজে বের করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছি ।‘

পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার) বলেন, কে বা কারা রাতের আঁধারে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মুর‍্যালটিতে আঘাত করার চেষ্টা করেছে এবং কিছু অংশ ভাংচুর করেছে। এটি খুব ন্যাক্কারজনক ঘটনা।

 এ ঘটনার নিন্দা জানান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. এম.এ আফজল, সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহম্মেদ তৌফিক, পৌর মেয়র মো. পারভেজ মিয়া।

আরও পড়ুনঃ সাবেক ডেপুটি স্পিকার অধ্যাপক আলী আশরাফ আর নেই

 এদিকে শুক্রবার সকালে মুর‍্যাল  ভাঙ্গার প্রতিবাদে নাগরিক অধিকার সুরক্ষা মঞ্চের ব্যানারে এক বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। নাগরিক অধিকার সুরক্ষা মঞ্চের আহবায়ক শেখ সেলিম কবীরের নেতৃত্বে ঘন্টাব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশে অবিলম্বে দায়ী ও দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও কঠোর শাস্তি দাবি করা হয়।

উল্লেখ্য যে, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার উদ্যোগে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মুর‍্যাল  নির্মিত হচ্ছে।