ওসমানী বিমানবন্দর
গ্রেপ্তারের ৩ ঘন্টার মধ্যে ছাড়া পেলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মুক্তাদির
সিলেটে গ্রেপ্তারের তিন ঘন্টার মধ্যে ছাড়া পেলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির।
মুক্তাদিরের আইনজীবীরা থানায় মুক্তাদিরের জামিনের কাগজপত্র প্রদর্শন করলে শনিবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এরআগে শনিবার বিকাল ৩টার দিকে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরের সামনে থেকে মুক্তাদিরকে গ্রেপ্তার করে সিলেট কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা খন্দকার মুক্তাদির কারাগারে
মুক্তাদিরকে থানা থেকেই ছেড়ে দেওয়ার তথ্য নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) সুদীপ দাস বলেন, ‘যে মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয় তাতে মুক্তাদির জামিনে ছিলেন। আজ গ্রেপ্তারের পর তার আইনজীবীরা থানায় রি-কল দেখালে সন্ধ্যার দিকে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়।’
সুদীপ বলেন, পুরনো একটি নাশকতার মামলায় মুক্তাদিরের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ছিলো। সে মামলায় বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো।
জানা যায়, গ্রেপ্তারের পর মুক্তাদিরকে কোতোয়ালি থানাতেই রাখা হয়। সেখানে দলীয় নেতাকর্মীরা ভিড় করেন। ইফতারের আগ মূহূর্তে ছাড়া পান মুক্তাদির।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকালে কেন্দ্রিয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১০ দফা দাবিতে সিলেটেও অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে বিএনপি। এই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্যই শনিবার সিলেটে আসেন মুক্তাদির। বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার পরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির গত সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ আসনে বিএনপির নেতৃত্বাধিন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ছিলেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার মুক্তাদির গ্রেপ্তার
নেতাকর্মীদের পুলিশি হয়রানির অভিযোগ বিএনপি প্রার্থী মুক্তাদিরের
১ বছর আগে
সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর ওসমানী বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক
উড্ডয়নের সময় বিমানের চাকা ফেটে যাওয়ার ঘটনার সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টার পর বিমানবন্দরটিতে পুনরায় স্বাভাবিকভাবে বিমান চলাচল শুরু হয়।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশা: ঢাকা বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট গেল হায়দরাবাদে, ৭টি বিলম্বিত
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ উদ্দিন আহমদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, চাকা ফেটে রানওয়েতে উড়োজাহাজ আটকে থাকার কারণে ওসমানীতে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। চাকা মেরামত করে ওই উড়োজাহাজ রানওয়ে থেকে সরানো হয়। এরপর ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এর আগে দুপুর ১টার দিকে রানওয়ে দিয়ে উড্ডয়নের সময় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমানের চাকা ফেটে যায়। এতে শতাধিক যাত্রী নিয়ে রওয়ানা হওয়া বিমানটি অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায়। এসময় পুরো উড়োজাহাজে ঝাঁকুনি শুরু হয়।
এরপর থেকে বিমানবন্দরটিতে বিমান ওঠানামা সাময়িক বন্ধ ছিল। এতে আতংকিত হয়ে পড়েন উড়োজাহাজটির ১৪৮ যাত্রী। তবে এতে যাত্রীদের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
বিমানবন্দর সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশনের সংশ্লিষ্টরা চাকা ফেটে যাওয়া বিমানটি মেরামতে কাজ করছেন। তবে যাত্রীদের ঢাকায় আনার জন্য বিকল্প একটি বড় এয়ারক্রাফট আনা হচ্ছে। বিলম্ব হলেও বিকল্প উপায়ে বিকালের মধ্যেই তাদের ঢাকায় নেয়া হবে।
জানা যায়, দুপুরে বিমানের বোয়িং-৭৩৭ উড়োজাহাজটি ১৪৮ জন যাত্রী নিয়ে সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্য ১২টা ৫৫ মিনিটে উড্ডয়নের কথা ছিল। তবে উড়োজাহাজটি রানওয়েতে যাত্রা শুরুর পরপরই বিকট শব্দে এর পেছনের চাকা ফেটে যায়। ওই সময় পুরো উড়োজাহাজে তীব্র ঝাঁকুনির সৃষ্টি হয়। এমন ঘটনায় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। কেউ কেউ চিৎকারও শুরু করেন।
মোস্তাক হায়তা নামে এক যাত্রী জানিয়েছেন, ঝাঁকুনি শুরু হলে পাইলট বিমানের গতি কিছুটা মন্থর করেন। এরপর আবার উড্ডয়নের চেষ্টা করেন। তখন ফের ঝাঁকুনি শুরু হয়। পরে তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন পেছনের চাকা ফেটে গেছে।
তিনি বলেন, এ ঘটনার পর প্রায় ৪০ মিনিট আমরা বিমানের ভেতরে আটকে ছিলাম। পরে আমাদের বিমানবন্দরের লাউঞ্জে আনা হয়।
দুর্ঘটনার কারণে যাত্রীদের কোন ক্ষতি হয়নি জানিয়ে হাফিজ আহমদ বলেন, আটকে পড়া যাত্রীদের বিমান কর্তৃপক্ষ বিকল্প ফ্লাইটে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনার কথা জানান।
আরও পড়ুন: আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন থাকায় ঢাকার ৩টি ফ্লাইট নামলো সিলেটে
ঘন কুয়াশা: ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ৮টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ঘুরে গেছে, ৭টি বিলম্বিত
১ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: ওসমানী বিমানবন্দরে ৮ ফ্লাইটের জরুরি অবতরণ
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সৃষ্ট দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সোমবার রাতে আটটি ফ্লাইটের যাত্রীদের নিয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করেছে বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের বিমান।
এরমধ্যে সাতটি ফ্লাইট আন্তর্জাতিক রুটের আর অপরটি অভ্যন্তরীণ। তবে মঙ্গলবার সকাল থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে গতকাল সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট উড্ডয়ন বন্ধ হয়ে যায়। সবমিলিয়ে তিনটি ফ্লাইটের নিয়মিত উড্ডয়ন বাতিল করা হয়।
তবে ফ্লাইট উড্ডয়ন বন্ধ থাকলেও অবতরণ বন্ধ রাখা সম্ভব হয়নি। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য বিমানবন্দরগুলোর পরিস্থিতি ওসমানী বিমানবন্দরের চেয়ে বিপজ্জনক ছিল।
আরও পড়ুন: বন্যা: ৬ দিন পর সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে ফ্লাইট উঠা-নামা শুরু
ফলে বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ফ্লাইটগুলো ওসমানীতে এসে জরুরি অবতরণ করে।
ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,‘ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে ওসমানী থেকে ফ্লাইট উঠানামা বন্ধ ছিল। কিন্তু রাত সাড়ে ৯টা থেকে ১টা পর্যন্ত আটটি ফ্লাইট ওসমানীতে জরুরি অবতরণ করেছে। আমরা যাত্রীদের থাকার জন্য নিরাপদ ব্যবস্থা করেছি।
তিনি জানান, এদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট একটি ও বাকি সাতটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ছিল। অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটটি সৈয়দপুর থেকে উড্ডয়ন করেছিল যা ঢাকায় অবতরণ করার কথা ছিল। কিন্তু আবহাওয়া অনুকূল না থাকায় সিলেটে অবতরণ করে।
এছাড়াও, আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের মধ্যে আসা বিমানগুলোর মধ্যে সিঙ্গাপুর থেকে দুইটা, টরেন্টো থেকে একটা, ব্যাংকক থেকে একটা, কলকাতা থেকে একটা, চেন্নাই থেকে একটা, দুবাই থেকে একটা সহ মোট সাতটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সিলেট বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এ সকল বিমানের মধ্যে ইউএস বাংলার পাঁচটি উড়োজাহাজ ও বাংলাদেশ বিমানের তিনটি উড়োজাহাজ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আজ সকাল থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ফ্লাইটগুলো শিডিউল অনুসারে গন্তব্যে যাচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, সোমবার সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে বাংলাদেশ বিমানের সিলেট-ঢাকা রোডের রাত সাড়ে ৯টা ও ১০টা ১০ মিনিটের ফ্লাইট বাতিল করা হয়। তবে রাত সাড়ে ৯টা থেকে একটা পর্যন্ত একএক করে আটটি ফ্লাইট ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিং করে ওসমানীতে।
আরও পড়ুন: বন্যা পরিস্থিতির অবনতিতে ওসমানী বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠা-নামা বন্ধ
শিগগিরই ওসমানী বিমানবন্দর থেকে বিভিন্ন দেশে সরাসরি ফ্লাইট চালু হবে
২ বছর আগে
বন্যা: ৬ দিন পর সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে ফ্লাইট উঠা-নামা শুরু
বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় ছয়দিন পর সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট উঠা-নামা শুরু করেছে বলে জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। রানওয়ে থেকে পানি নেমে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ফ্লাইট ওঠানামা শুরু হয়।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ওসমানী বিমানবন্দর থেকে সিলেট-লন্ডন রুটে দুটি ফ্লাইট আসা যাওয়া করেছে। ম্যানচেস্টারের উদ্দেশে একটি ফ্লাইট ছেড়ে গেছে। এছাড়া সিলেট-ঢাকা রুটে একাধিক ফ্লাইট আসা ও যাওয়া করেছে।
আরও পড়ুন: বন্যায় নিহতের সংখ্যা ৪২ জনে পৌঁছেছে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
বিমানবন্দরের পরিচালক মো. হাফিজ আহমদ জানান, বৃহস্পতিবার থেকে বিমানবন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম চলছে। কোনো সমস্যা নেই।
আরও পড়ুন:কুশিয়ারায় পানি বাড়ায় সিলেটের ৬ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
গত ১৭ জুন বন্যায় রানওয়েতে পানি উঠে যাওয়ায় বন্দরের ফ্লাইট কার্যক্রম তিনদিনের জন্য বন্ধের ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ। তিনদিন পর গত ২০ জুন ওসমানী বিমানবন্দর পরির্দশনে আসেন বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। পরিদর্শন শেষে তিনি জানান, রানওয়ে থেকে পানি নেমে গেলেও এপ্রোচ লাইট তলিয়ে থাকায় এই বিমানবন্দরের কার্যক্রম আরও কয়েকদিন বন্ধ থাকবে।
২ বছর আগে
ওসমানী বিমানবন্দর চালু হচ্ছে বৃহস্পতিবার
বন্যার পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে। দু’দিন পর বন্যার পানি নেমে গেলেও এপ্রোচ লাইট তলিয়ে থাকার কারণে গত ছয় দিন ধরে বন্ধ ছিল ওসমানী বিমানবন্দরে ফ্লাইট উঠানামা।
তবে বৃহস্পতিবার থেকে ফের চালু হচ্ছে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দরের স্টেশন ম্যানেজার আব্দুস সাত্তার।
জানা যায়, রানওয়েতে পানি উঠে পড়ায় গত শুক্রবার (১৭ জুন) দুপুরের পর থেকে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সব ধরনের ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ করে দেয়া হয়। পরিবর্তন করা হয় লন্ডন ফ্লাইটের শিডিউল। দু’দিন পর গত রবিবার রানওয়ের পানি নেমে গেলেও বিমান অবতরণের কাজে ব্যবহৃত এপ্রোচ লাইটগুলো তলিয়ে থাকায় বিমানবন্দর চালু করা সম্ভব হয়নি।
একটি সূত্র জানিয়েছে, পানি নেমে যাওয়ার পরও এপ্রোচ লাইটগুলো জ্বলছে না। এ অবস্থায়ও বিমানযাত্রীদের কথা বিবেচনায় বিমানবন্দর চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে রাতের ফ্লাইটগুলোর ব্যাপারে বিভিন্ন এয়ারলাইন্স এখনও পুরোপুরি সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি, দিনের ফ্লাইটগুলো শিডিউল অনুযায়ী উঠা-নামা করবে।
আরও পড়ুন: বন্যা পরিস্থিতির অবনতিতে ওসমানী বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠা-নামা বন্ধ
২ বছর আগে
বন্যা পরিস্থিতির অবনতিতে ওসমানী বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠা-নামা বন্ধ
সিলেটের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তিনদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বিমানবন্দরটিতে আজ (শুক্রবার) থেকে তিনদিন কোন ধরণের ফ্লাইট ওঠা-নামা করবে না।
হাফিজ আহমদ বলেন, বিমানবন্দরের রানওয়ের কাছাকাছি বন্যার পানি চলে এসেছে। এছাড়া সিলেটজুড়ে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় তিনদিনের জন্য বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
তিনি বলেন, আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রতিদিনের মতোই আমাদের ফ্লাইটগুলো বিমানবন্দরে অবতরণ ও বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করেছে। কিন্তু রানওয়ের কাছাকাছি বন্যার পানি চলে আসায় এখন থেকে আর কোনো ফ্লাইটের অবতরণ কিংবা উড্ডয়ন সম্ভব হচ্ছে না।
পড়ুন: সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হওয়ার শঙ্কা
এদিকে, সিলেটের কুমারগাওয়ের বিদ্যুতের গ্রিড লাইনের সাব স্টেশনে বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে সেনাবাহিনী, সিলেট সিটি করপোরেশন ও বিদ্যুৎ বিভাগ।
শুক্রবার (১৭ জুন) দুপুর থেকে কুমারগাও বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের চারপাশে বালির বস্তা দিয়ে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করে সেনাবাহিনী। এছাড়া সিলেট সিটি করপোরেশনের সাকার মেশিন দিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ঢুকে পড়া পানি শুকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, পানি যেভাবে বাড়ছে তাতে কুমারগাও সাব স্টেশন তলিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। এটি তলিয়ে গেলে পুরো সিলেট বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়বে। এতে যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। তাই আমরা এই কেন্দ্রটি চালু রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি। যাতে অন্তত নগরের বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকে।
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন, সেনাবাহিনী ও বিদ্যুৎ বিভাগ একসাথে মিলে এই কেন্দ্র সচল রাখার চেষ্টা করছি।
বিদ্যুৎ বিভাগের সিলেট অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল কাদির শুক্রবার দুপুরে বলেন, গত বুধবার রাতেই কুমারগাও বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে পানি ঢুকে পড়েছে। আর চার ইঞ্চি পানি বাড়লেই এই কেন্দ্র বন্ধ করে দিতে হবে। ইতোধ্যে সুনামগঞ্জ, ছাতক, কোম্পানীগঞ্জসহ কয়েকটি এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কুমারগাও উপকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেলে পুরো সিলেট বিদ্যুৎহীন হয়ে যাবে।
পড়ুন: বন্যা পরিস্থিতির অবনতিতে এসএসসি পরীক্ষা স্থগিত
২ বছর আগে
ওসমানী বিমানবন্দরে ৭ কোটি টাকার স্বর্ণসহ ৪ যাত্রী আটক
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সোমবার সকালে দুবাই থেকে আসা চার যাত্রীর কাছ থেকে ১১ কেজি ২২০ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার হয়েছে। এ সময় ওই চার জনকে আটক করে কাস্টমসের কর্মকর্তারা। উদ্ধার হওয়া স্বর্ণের মূল্য প্রায় সাত কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: ওসমানী বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল নির্মাণে চুক্তি
আটকরা হলেন- সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার কায়স্থ গ্রামের আব্দুল আহাদের ছেলে মকবুল আলী, কেউরিয়া হাওরের মনতাজ আলীর ছেলে বশির উদ্দিন ও বাঁশবাড়ি এলাকার নাজিম উদ্দিনের ছেলে সুলতান মাহমুদ ও হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার শেখ মো. জাহিদ।
আরও পড়ুন: ওসমানী বিমানবন্দরে নতুন টার্মিনাল, শাহজালালে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উদ্বোধন
ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দায়িত্বরত কাস্টমসের উপকমিশনার মো. আল আমিন জানান, সকাল ৯টার দিকে দুবাই থেকে আসা ফ্লাইট বিজি ২৪৮ ওসমানীতে অবতরণ করে। এ সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চার যাত্রীর লাগেজ তল্লাশি করে ১১ কেজি ২২০ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলা প্রস্তুতি চলছে।
২ বছর আগে
সিলেটে নারী যাত্রীকে রেখে ফ্লাইট ছেড়ে যাওয়ার ঘটনায় তদন্ত শুরু
সিলেট এম এ জি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যুক্তরাজ্য প্রবাসী নারীকে রেখে ফ্লাইট ছেড়ে যাওয়ার ঘটনায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে একটি এবং সিভিল এভিয়েশনের পৃথক তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। কমিটির সদস্যরা সোমবার সরেজমিনে ওসমানী বিমানবন্দর পরিদর্শন করেছেন।
বাংলাদেশ বিমানের তদন্ত কমিটির প্রধান জিএম (কাস্টমার সার্ভিস) মো. মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে কমিটির তিন সদস্য ওসমানী বিমানবন্দর পরিদর্শন করেন। এছাড়া, সিভিল এভিয়েশনের পক্ষ থেকে ওসমানী বিমানবন্দরের সহকারী পরিচালক নজরুল ইসলামকে প্রধান করে এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিমানের সিলেট ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার (ডিএম) ফারুক আলম জানান, সোমবার দুপুর থেকে কাজ শুরু করেছে তদন্ত কমিটি। কমিটি এ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথাও বলেছে।
ওসমানী বিমানবন্দরের একটি সূত্র জানায়, সিভিল এভিয়েশনের কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
ভুক্তভোগী যুক্তরাজ্য প্রবাসী জামিলা চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, লন্ডনে অবস্থানরত তার স্বামী জানিয়েছেন তার বাচ্চা অসুস্থ। এ কারণে তিনি উদ্বিগ্ন এবং মানসিকভাবে কিছুটা বিপর্যস্ত।
পড়ুন: সিলেটে নারী যাত্রী হয়রানি, ২ বিমান কর্মকর্তার শাস্তি
প্রসঙ্গত, গত ২৮ জুলাই সিলেট থেকে লন্ডন সরাসরি ফ্লাটের বাংলাদেশ বিমানের বিজি-২০১ এর যাত্রী ছিলেন ভুক্তভোগী প্রবাসী জামিলা চৌধুরী। তার অভিযোগ ওসমানী বিমানবন্দরের কতিপয় কর্মকর্তার অসৌজন্যমূলক ও অন্যায় আচরণের জন্য তিনি ওইদিন যুক্তরাজ্য যেতে পারেননি। এ ঘটনায় বিমানের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে গ্রাউন্ড সার্ভিস অফিসার মোখলেছুর রহমানকে প্রত্যাহার ও গ্রাউন্ড সার্ভিস সুপারভাইজার কাওসার আলী মন্ডলকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
পড়ুন: সিলেট বিমানবন্দরে প্রবাসী নারীকে হয়রানির অভিযোগ
ঢাকা বিমানবন্দরে ৯ হাজার ইয়াবাসহ আটক ১
৩ বছর আগে
সিলেটে নারী যাত্রী হয়রানি, ২ বিমান কর্মকর্তার শাস্তি
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যুক্তরাজ্য প্রবাসী এক নারীকে হয়রানির ঘটনায় দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ। বিমানের জুনিয়র ট্রাফিক অ্যাসিস্ট্যান্ট (জেটিও) মোখলেছুর রহমানকে প্রত্যাহার ও কাওসার আলী মন্ডলকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আর এ অবস্থার মধ্যে ঘটনার তৃতীয় দিনে এসে এক্সেজ লাগেজের জন্য নির্ধারিত ফি পরিশোধ না করায় এবং এ বিষয়ে যাত্রী কর্তৃক সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্ব করায় অতিরিক্ত লাগেজ সংক্রান্ত সৃষ্ট জটিলতার কারণে সেই যাত্রী লন্ডনের ফ্লাইট ধরতে পারেননি বলে জানায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।
শনিবার রাতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর উপ-মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপতিতে বলা হয়, বুধবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর সিলেট-লন্ডন ফ্লাইট নং বিজি-২০১ এর সম্মানিত যাত্রী জামিলা চৌধুরী সিলেট থেকে লন্ডন যাত্রার প্রাক্কালে, তার ভ্রমণ শ্রেণি মোতাবেক প্রাপ্য ৪০ কেজির স্থলে অতিরিক্ত ৪১ কেজি লাগেজ ফি পরিশোধ ছাড়া বোর্ডিং কার্ড ইস্যু করার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু যাত্রী কর্তৃক এক্সেজ লাগেজের নির্ধারিত ফি পরিশোধ না করায় এবং এক্সেজ লাগেজের বিষয়ে যাত্রী কর্তৃক সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্ব করায়, অতিরিক্ত লাগেজ সংক্রান্ত সৃষ্ট জটিলতার কারণে তিনি লন্ডন ফ্লাইট মিস করেন।
আরও পড়ুন: সিলেট বিমানবন্দরে প্রবাসী নারীকে হয়রানির অভিযোগ
বিষয়টি সিলেট স্টেশন ম্যানেজারের নজরে আসলে তিনি সম্মানিত যাত্রীকে তার অফিস কক্ষে বসিয়ে আলোচনাক্রমে বিষয়টি সুরাহা করেন এবং যাত্রীর চাহিদা মোতাবেক পরবর্তী ফ্লাইটে টিকেট রিসিডিউল করে দেন।
উক্ত যাত্রী কর্তৃক বোর্ডিং কার্ড ইস্যুর ডেস্কের সম্মুখে মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ ঘটনাত্তোর সময়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করলে এ বিষয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। উক্ত ভিডিও ফুটেজের প্রেক্ষিতে সৃষ্ট বিভ্রান্তি নিরসনের লক্ষ্যে এবং পেশাদারিত্ব বিবেচনায় বিমানের পক্ষ থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ পরের দিন উক্ত যাত্রীর বাসায় যেয়ে তার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীদের মধ্যে একজনকে অপেশাদারিত্বমূলক আচরণের জন্য সাময়িক বরখাস্ত এবং অপর একজনকে সিলেট স্টেশন হতে প্রত্যাহার করেছে। প্রকৃত ঘটনা তদন্তের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও সম্মানিত যাত্রীকে তার ইচ্ছানুযায়ী বিমানের পরবর্তী ফ্লাইটে লন্ডন পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে ৯ হাজার ইয়াবাসহ আটক ১
বিমানের সিলেটের জেলা ম্যানেজার ফারুক আলম জানিয়েছেন, ভুক্তভোগী ওই নারী আগামী ৪ আগস্ট বেলা ২টা ৪০ মিনিটের ফ্লাইটে লন্ডন যাবেন। বিমানের পক্ষ থেকে ওই নারীর সাথে দেখা করে তাকে সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি অন্য ফ্লাইটে তাকে লন্ডন পৌঁছে দেবার অনুরোধ করা হয়েছিল।
ভুক্তভোগী যুক্তরাজ্য প্রবাসী নারী জামিলা চৌধুরী জানিয়েছেন, বিমানের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল শুক্রবার রাতে তার কাছে দু:খ প্রকাশ করলেও তিনি ‘ফাইট’ চালিয়ে যাবেন। তিনি বলেন, বিমানের স্টেশন ম্যানেজারসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা পর্যন্ত তিনি লড়াই চালিয়ে যাবেন। টিকেট রিইস্যুর জন্য তাকে আরটি পিসিআর টেস্ট ছাড়াও হোটেল কোয়ারেন্টাইন বাবদ অতিরিক্ত অর্থ পরিশোধ করতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, বাবার অসুস্থতার খবর পেয়ে লন্ডনে সন্তানদের রেখে দেশে এসেছিলেন জামিলা চৌধুরী। গত বুধবার সিলেট থেকে লন্ডন সরাসরি ফ্লাইটে বাংলাদেশ বিমানের বিজি-২০১ এ তার যুক্তরাজ্য ফেরার কথা ছিল।
৩ বছর আগে
সেই প্রবাসী নারীর লন্ডন যাওয়ার ব্যবস্থা করল বিমান কর্তৃপক্ষ
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানের কয়েকজন কর্মকর্তার কারণে যুক্তরাজ্য প্রবাসী নারী জামিলা চৌধুরীকে রেখে বিমান চলে যায়। এ ঘটনায় সর্বত্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে বিমানবন্দরের একটি প্রতিনিধি দল শুক্রবার রাতে তার বাসায় গিয়ে ৪ আগস্ট তাকে লন্ডন পাঠানোর টিকিটের ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন।
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যুক্তরাজ্য প্রবাসী নারীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া এ ঘটনা দেশে এবং বিদেশে ব্যাপক সমালোচনার তৈরি করে।
গত ২৮ জুলাই সিলেট থেকে লন্ডন সরাসরি ফ্লাইটে বাংলাদেশ বিমানের বিজি-২০১ এর যাত্রী ছিলেন ভুক্তভোগী প্রবাসী জামিলা চৌধুরী। কিন্তু তিনি ওইদিন যুক্তরাজ্য যেতে পারেননি ওসমানী বিমানবন্দরের কতিপয় কর্মকর্তার অসৌজন্যমূলক ও অন্যায় আচরণের জন্য।
আরও পড়ুন: সিলেটে করোনার টিকা নিবন্ধন সাময়িক বন্ধ
শুক্রবার সন্ধ্যায় জামিলা চৌধুরীর বাসায় যান ওসমানী বিমানবন্দরের একটি প্রতিনিধি দল। বাসায় গিয়ে তাকে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা সান্তনা দেন এবং আগামী ৪ আগস্ট যুক্তরাজ্য যাওয়ার জন্য টিকেটের ব্যবস্থা করে দেয়ার আশ্বাস প্রদান করেন। সেই সঙ্গে তদন্তসাপেক্ষে দোষী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেরও আশ্বাস দেয় প্রতিনিধি দল।
জানা যায়, গত বুধবার জামিলা চৌধুরী নির্ধারিত সময়ে বাংলাদেশ বিমানের কাউন্টারে পৌঁছালে দায়িত্বরত কর্মকর্তা তার কাছে লোকেটর ফর্ম চান। তখন নিজ মোবাইলে লোকেটর ফর্মটি দেখালেও প্রিন্ট কপি চান এক কর্মকর্তা। এখান থেকেই মূলত ঘটনার শুরু।
এরপর ফর্ম প্রিন্টের বিষয়ে তর্ক-বিতর্ক থেকে শুরু করে অতিরিক্ত ওজনের জন্য নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত অর্থ দাবি করেন বলে অভিযোগ জামিলা চৌধুরীর।
আরও পড়ুন: সিলেট বিমানবন্দরে প্রবাসী নারীকে হয়রানির অভিযোগ
জামিলা চৌধুরী বলেন, ‘আমার লাগেজে অতিরিক্ত মালামালের কারণে আমার কাছে অনৈতিকভাবে টাকা দাবি করেন তারা। আমি তা দিতে অপারগতা জানাই এবং বলি অতিরিক্ত ওজনের লাগেজ ফিরিয়ে দিয়ে শুধুমাত্র একটি লাগেজ নিয়ে আমাকে বোর্ডিং পাস দেবার জন্য। কিন্তু সেই কর্মকর্তা উত্তেজিত হয়ে আমার উপর পাসপোর্ট ছুঁড়ে মারেন এবং অকথ্য ভাষা ব্যবহার করেন। আমাকে বোর্ডিং পাস না দিয়েই লাইন থেকে বের করে দেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি উপস্থিত অন্যন্য কর্মকর্তাকেও অনেক অনুরোধ করি, কিন্তু কেউ আমাকে সাহায্য করেনি।’ এসময় জামিলা চৌধুরী বিমানবন্দরে নিজের অভিযোগ জানাতে চাইলেও তার অভিযোগ কেউ গ্রহণ করেনি।
বিমানবন্দরে থাকা অবস্থায় নিজের মোবাইলে কয়েকটি ভিডিও করেন মিসেস চৌধুরী। একটি ভিডিওতে দেখা যায় কর্তব্যরত বিমান কর্মকর্তা বলছেন ‘আমাদের মধ্যে হিউমিনিটি (মানবতাবোধ) নেই। আপনি ম্যানেজারের কাছে যান, আমরা আপনাকে কোনো সাহায্য করতে পারবো না।’ আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, সাহায্য চাইতে গেলে এক কর্মকর্তা লাগেজ বেল্টের উপর দিয়ে লাফিয়ে চলে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে কল সেন্টারের মালামাল চুরি
তবে বিমান কর্মকর্তারা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ফ্লাইট ধরতে না পারার কারণ হিসেবে বলছেন- অতিরিক্ত ওজনের লাগেজের কথা।
সিলেট বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের স্টেশন ম্যানেজার চৌধুরী মো. ওমর হায়াত বলেন, ওই যাত্রীর সাথে নির্ধারিত ওজনের চেয়ে ৪৪ কেজি মালামাল বেশি ছিল। প্রতি কেজি ২ হাজার ৬১১ টাকা হিসেবে এক লাখ টাকার ওপরে পরিশোধ করার কথা। কিন্তু তিনি প্রথমে ওভার ওয়েটের মূল্য পরিশোধ করতে রাজি হননি। পরে যখন তিনি অতিরিক্ত লাগেজ ছেড়ে যেতে রাজি হন তখন কাউন্টার বন্ধ হয়ে গেছে।
বিমান বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে প্রতি কেজি অতিরিক্ত ওজনের জন্য ১০ পাউন্ড ফি উল্লেখ থাকার কথা বললে তিনি বলেন, ‘ওয়েবসাইটে কি আছে জানি না, তবে আমাদের এটাই ধার্য্য করা আছে এবং তা নিয়মমাফিকই নেয়া হচ্ছে।’
ওমর হায়াত আরও বলেন, নির্ধারিত সময়ের একঘন্টা আগে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের কাউন্টার বন্ধ করতে হয়। কিন্তু ওই যাত্রী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তার লাগেজের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। তাই তাকে রেখেই বিমান ছাড়তে হয়েছে।
৩ বছর আগে