সিলেট এম এ জি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যুক্তরাজ্য প্রবাসী নারীকে রেখে ফ্লাইট ছেড়ে যাওয়ার ঘটনায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে একটি এবং সিভিল এভিয়েশনের পৃথক তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। কমিটির সদস্যরা সোমবার সরেজমিনে ওসমানী বিমানবন্দর পরিদর্শন করেছেন।
বাংলাদেশ বিমানের তদন্ত কমিটির প্রধান জিএম (কাস্টমার সার্ভিস) মো. মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে কমিটির তিন সদস্য ওসমানী বিমানবন্দর পরিদর্শন করেন। এছাড়া, সিভিল এভিয়েশনের পক্ষ থেকে ওসমানী বিমানবন্দরের সহকারী পরিচালক নজরুল ইসলামকে প্রধান করে এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিমানের সিলেট ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার (ডিএম) ফারুক আলম জানান, সোমবার দুপুর থেকে কাজ শুরু করেছে তদন্ত কমিটি। কমিটি এ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথাও বলেছে।
ওসমানী বিমানবন্দরের একটি সূত্র জানায়, সিভিল এভিয়েশনের কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
ভুক্তভোগী যুক্তরাজ্য প্রবাসী জামিলা চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, লন্ডনে অবস্থানরত তার স্বামী জানিয়েছেন তার বাচ্চা অসুস্থ। এ কারণে তিনি উদ্বিগ্ন এবং মানসিকভাবে কিছুটা বিপর্যস্ত।
পড়ুন: সিলেটে নারী যাত্রী হয়রানি, ২ বিমান কর্মকর্তার শাস্তি
প্রসঙ্গত, গত ২৮ জুলাই সিলেট থেকে লন্ডন সরাসরি ফ্লাটের বাংলাদেশ বিমানের বিজি-২০১ এর যাত্রী ছিলেন ভুক্তভোগী প্রবাসী জামিলা চৌধুরী। তার অভিযোগ ওসমানী বিমানবন্দরের কতিপয় কর্মকর্তার অসৌজন্যমূলক ও অন্যায় আচরণের জন্য তিনি ওইদিন যুক্তরাজ্য যেতে পারেননি। এ ঘটনায় বিমানের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে গ্রাউন্ড সার্ভিস অফিসার মোখলেছুর রহমানকে প্রত্যাহার ও গ্রাউন্ড সার্ভিস সুপারভাইজার কাওসার আলী মন্ডলকে বরখাস্ত করা হয়েছে।