টিকা প্রদান
বিশ্বে করোনা আক্রান্ত ২২ কোটি ৭৬ লাখ ছাড়াল
বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনাভাইরাসের বিভিন্ন নতুন ধরনের কারণে রোগী ও আক্রান্তদের মৃত্যু সংখ্যা আবার বাড়তে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২২ কোটি ৭৬ লাখ ২ হাজার ৭২৫ জন এবং মোট মৃতের সংখ্যা ৪৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৬৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট ৫৮৫ কোটি ৬৯ লাখ ৮৭ হাজার ৩৭৮ ডোজ করোনার টিকা প্রদান করা হয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৪ কোটি ১৯ লাখ ৯২ হাজার ৯১৯ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৫ জন।
অপরদিকে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৫৭৩ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২ কোটি ১০ লাখ ৮০ হাজার ২১৯ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে বুধবার পর্যন্ত মোট ৩ কোটি ৩৩ লাখ ৮১ হাজার ৭২৮ জনের সংক্রমণ নিয়ে বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমণের স্থানে অবস্থান করছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৪৪ হাজার ২৪৮ জনে।
আরও পড়ুন: করোনায় কমেছে মৃত্যু, বেড়েছে শনাক্ত
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গেলো ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনা শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ৯০৭ জনের। নতুন মৃত্যুসহ দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাড়িয়েছে ২৭ হাজার ১৪৭ জনে। আর এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৪০ হাজার ১১০ জনে।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ২৯ হাজার ৭৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এসময় শনাক্তের হার ৬.৪১ শতাংশ। দেশে মৃত্যুর হার ১.৭৬ শতাংশ। এই পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ১৪ লাখ ৯৪ হাজার ৯ জন। দেশে সুস্থতার হার ৯৭.২০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যের ‘রেড লিস্ট’ থেকে বাংলাদেশের নাম প্রত্যাহার
এসাইনমেন্ট জমার সাথে টাকার কোন সম্পর্ক নেই: শিক্ষামন্ত্রী
৩ বছর আগে
সিলেটে ৭ আগস্ট থেকে গণটিকাদান শুরু
সারাদেশের ন্যায় সিলেটে আগামী ৭ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে করোনার টিকাদান শুরু হবে। এছাড়া নগরের ২৭টি ওয়ার্ডেও আলাদা আলাদা কেন্দ্র করে টিকাদান শুরু হবে।
সিলেটের সিভিল সার্জনের কার্যলয় সূত্র জানায়, জেলায় ১০০ ইউনিয়নে ১০০ টিকাদান কেন্দ্রে টিকা দেয়া হবে। টিকা কেন্দ্রগুলো যাছাই বাছাইয়ের কাজ চলছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিজ নিজ উপজেলাভুক্ত ইউনিয়নগুলোর টিকাদান কেন্দ্রের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এই তালিকা যাছাই বাছাই করছে সিভিল সার্জন কার্যালয়। এছাড়া টিকা দান কর্মীদের প্রশিক্ষণের কাজ চলছে।
এদিকে, সিলেট সিটি করপেোরেশনের (সিসিক) ২৭টি ওয়ার্ডে মোট ৮১টি টিকাদান কেন্দ্র করা হবে। প্রতি ওয়ার্ডে হবে ৩টি কেন্দ্র। তবে এখন পর্যন্ত টিকা কেন্দ্র চূড়ান্ত হয়নি। মঙ্গলবারের মধ্যে টিকাদান কেন্দ্র চূড়ান্ত করে মন্ত্রণালয়ে তালিকা পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন সিসিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
সিটি করপোরেশনেও টিকাদান কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণে সহায়তা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফ। সোমবার নগর ভবনে ৪২ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে টিকা প্রদানের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: কেসিসি এলাকায় ৭ আগস্ট থেকে টিকা দেয়া শুরু
টিকা প্রদানের জন্য সরকারি স্বাস্থ্যকর্মীর পাশপাশি স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগি সংস্থার সহায়তা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিটি করপোরেশন ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মেজয় দত্ত বলেন, জেলার ১০০টি ইউনিয়নে ১০০টি টিকাদান কেন্দ্র হবে। এখনও কেন্দ্রগুলো ফাইনাল হয়নি। যাছাই বাছাইয়ের কাজ চলছে। প্রতি কেন্দ্রে একজন টিকাদানকারী ও ৩-৪ জন স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাঠ কর্মী, কমিউনিউটি হাসপাতালের কর্মীরা এই কাজ করবেন। এছাড়া বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের সহায়তা নেয়া হবে। ইতোমধ্যে তাদের প্রশিক্ষণ কাজ শুরু হয়েছে। অনলাইনে তাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এছাড়া দু’একদিনের মধ্যে স্ব স্ব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
ডা জন্মেজয় বলেন, এখন আমরা প্রতি বুথে দিনে সর্বোচ্চ ২০০ টিকা দিয়ে থাকি। ইউনিয়ন কেন্দ্রগুলোতেও এই হিসেবে টিকা প্রদানের প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে তা নির্ভর করবে কি পরিমাণ টিকা আমরা পাচ্ছি তার উপর।
টিকা কেন্দ্রগুলোতে স্পট রেজিস্ট্রেশন করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে টিকা দেয়া হবে।
টিকা দান কেন্দ্র ও ভ্যাকসিন প্রাপ্তির বিষয়টি ৫ আগস্টের মধ্যে চূড়ান্ত হবে বলে জানান তিনি। টিকার মান রক্ষার আইসবক্সে করে কেন্দ্রগুলোতে টিকা নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান এই চিকিৎসক।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুর রহমান বলেন, আমরা নগরের প্রতিটি ওয়ার্ডে ৩টি করে কেন্দ্র করবো। কোনো ওয়ার্ডে ৩টি কেন্দ্র করা সম্ভব না হলে একটি কেন্দ্রে দুটি বুথ করবো। ওয়ার্ড কাউন্সিলররা স্থানীয় ব্যক্তিদের পরামর্শক্রমে কেন্দ্র ঠিক করছেন। মঙ্গলবারের মধ্যে কেন্দ্র চুড়ান্ত করে আমরা মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো।
টিকা প্রদানের জন্য আমাদের ১৬০-১৭০ জন কর্মী প্রয়োজন। তাদের বাছাই করে আমরা প্রশিক্ষণ শুরু করেছি। সোমবারও নগর ভবনে ৪২ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। ধাপে ধাপে বাকিদের দেয়া হবে। এনজিওদেরও সহযোগিতা নিচ্ছি আমরা।
আরও পড়ুন: সিলেটে করোনার টিকা নিবন্ধন সাময়িক বন্ধ
জাহিদ বলেন, আমরা প্রতি বুথে দিনে সর্বোচ্চ ২৫০ টিকা প্রদান করে থাকি। ওয়ার্ড পর্যায়ের বুথগুলোতেও এই হারে টিকা দেয়া হবে।
বর্মানে সিলেট নগরীর দুটি কেন্দ্রে টিকাদান কার্যক্রম চলছে। কেন্দ্র দুটি হচ্ছে ওসমানী মেডিকেল হাসপাতাল ও পুলিশ লাইনস হাসপাতাল। এদুটি কেন্দ্রে প্রতিদিন ১২শ থেকে ২ হাজারেরও বেশি মানুষ টিকা নিচ্ছেন।
৩ বছর আগে
কেসিসি এলাকায় ৭ আগস্ট থেকে টিকা দেয়া শুরু
আগামী ৭ আগস্ট থেকে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) এলাকায় ৩১টি ওয়ার্ডে ৯৩ কেন্দ্রে করোনা প্রতিষেক টিকা প্রদান শুরু হবে। শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত টিকা প্রদান করা হবে।
জানা গেছে, করোনা নির্মূলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনার আলোকে খুলনা সিটি করপোরেশন ১৯৬ জন ভ্যাক্সিনেটর প্রস্তুত করেছে। রবি ও সোমবার ছয় দফায় তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে করোনার টিকা নিবন্ধন সাময়িক বন্ধ
কেসিসি টিকাদান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য মাস্টারপ্লান করেছে। বয়োজ্যেষ্ঠ ও নারীদের প্রাধান্য দেয়া হবে। টিকাদানের সময়সূচি শেষ হওয়ার পর ভ্যাক্সিনেটরদের কেন্দ্রে এক ঘণ্টা অবস্থান করতে বলা হয়েছে। প্রশিক্ষণে ইপিআই কর্মী, নার্স, প্যারা মেডিকেলের ছাত্রী ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা অংশ নেন। কেসিসির স্বাস্থ্য ভবনে ২৮ হাজার ৩৯ ডোজ মডার্না ও ৫ হাজার ৪৭৮ ডোজ সিনোফার্মের টিকা মজুদ রয়েছে।
মহানগরীর পুলিশ হাসপাতাল, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতাল, শেখ আবু নাসের হাসপাতাল ও নেভী ক্যাম্পের উপশমে নিয়মিত টিকা দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: টিকা কেন্দ্রে স্বেচ্ছাসেবককে মারধর, দুজনের এক মাসের কারাদণ্ড
রবিবার প্রশিক্ষণ নেয়া যক্ষা প্রকল্পের কমিউনিটি ভলেন্টিয়ার সবিতা মজুমদার জানান, টিকাদান সম্পর্কে তিনি পরিপূর্ণ ধারণা পেয়েছেন। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বের যে কোন নারী-পুরুষ জাতীয় পরিচয়পত্র আনলেই তিনি টিকা গ্রহণ করতে পারবেন।
৩ বছর আগে