গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়
বুকের রক্ত দিয়ে স্বাধীনতাকে পূর্ণতা দিয়েছে ছাত্ররা: উপদেষ্টা আদিলুর
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, ১৯৭১ সালের লক্ষ্য ছিল বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা। ছাত্ররা ২০২৪ সালে বুকের রক্ত দিয়ে এই স্বাধীনতাকে পূর্ণতা দিয়েছে। ২০২৪ এর চেতনাকে ধারণ করে নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় আমাদের কাজ করতে হবে। যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হবে সত্যিকারের বৈষম্যহীন বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে বিজয় দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা, স্বেচ্ছায় রক্ত দান কর্মসূচি ও কর্মচারীদের মাঝে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে ঢামেকে উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান
শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকী, জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলমসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
আলোচনা পর্ব শেষে শিল্প মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা স্বেচ্ছায় রক্ত দান করেন এবং কর্মচারীদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।
৯৫ দিন আগে
বস্তিবাসীর মধ্যে ফ্ল্যাট হস্তান্তর করলেন প্রধানমন্ত্রী
মুজিববর্ষ উপলক্ষে বস্তিবাসীদের জন্য মঙ্গলবার মিরপুরে নির্মিত স্বল্প ভাড়াভিত্তিক ৩০০টি ফ্ল্যাট উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন ১৪তলার তিনটি ভবনের ফ্ল্যাটের বরাদ্দ কাগজপত্র হস্তান্তর করেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ফ্ল্যাট হস্তান্তর অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এতে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হত্যায় ষড়যন্ত্রকারীদের নাম একদিন বের হবে: প্রধানমন্ত্রী
২০১৭ সালের ২৬ অক্টোবর প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। প্রতিটি ভবনে লিফট, প্রশস্ত সিঁড়ি, জেনারেটর, সৌর বিদ্যুত, কেভিএ সাব-স্টেশন, খোলা জায়গা ও সৌন্দর্যবর্ধনের লাইটিংসহ অনেক আধুনিক সুবিধা রয়েছে।
প্রতিটি ৬২০ থেকে ৭১৯ বর্গফুট আয়তনের ফ্ল্যাটে রয়েছে দুটি করে বেডরুম, একটি বারান্দা, একটি ড্রয়িং রুম, বেসিন, রান্নাঘর ও দুটি বাথরুম। দৈনিক ১৫০ টাকা এবং মাসিক ভাড়া ৪ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় নিজস্ব অর্থায়নে রাজধানীর মিরপুর ১১ এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে। বস্তির বাসিন্দাদের উন্নত আবাসনে স্থানান্তরিত করার এটি প্রথম পর্যায়।
পড়ুন: করোনা পরীক্ষায় অনিহা দেখাবেন না: প্রধানমন্ত্রী
সবাই টিকা পাবে: প্রধানমন্ত্রী
এ ধরনের আরও দুটি ভবন নির্মাণাধীন রয়েছে যা ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে এবং প্রকল্প এলাকার পরিবারগুলোর মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বরাদ্দ দেয়া হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে একটি বস্তি ছিল।
এ প্রকল্পে প্রায় ১০ হাজার ফ্ল্যাট থাকবে যার জন্য ১৪৮ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এর দ্বিতীয় পর্যায়ে ফ্ল্যাটগুলো আরও ১ হাজার এক পরিবারের মধ্যে দেয়া হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য রাজধানীর মতিঝিল, আজিমপুর, মিরপুর, মালিবাগ ও তেজগাঁও এলাকায় পাঁচটি আবাসন প্রকল্প উদ্বোধন করেন।
আজিমপুর সরকারি কলোনিতে রয়েছে ১৭টি ২০তলা ভবনে ১ হাজার ২৯২টি ফ্ল্যাট, মিরপুরে ২৮৮টি ফ্ল্যাট, মালিবাগে চারটি ২০ তলা ভবনে ৪৫৬টি ফ্ল্যাট এবং মতিঝিলে পাঁচটি ২০ তলা ভবনে ৩৮০টি ফ্ল্যাট। এছাড়াও রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আটতলার দুটি আবাসিক ভবন।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে কয়েকজন বস্তিবাসীর মাঝে ফ্লাটের বরাদ্দপত্র হস্তান্তর করেন।
১৩২৮ দিন আগে