জিয়া
খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর
মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খালেদা জিয়াকে স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি, সিসিইউতে স্থানান্তর
এদিকে জুমার নামাজের পর সারাদেশে মহানগর, জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে তার জন্য বিশেষ মোনাজাত করে বিএনপি।
৭৮ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন ২০২০ সালে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে পুরান ঢাকার কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর দুর্নীতির আরেকটি মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাসায় অবস্থান এবং দেশ ত্যাগ না করার শর্তে সাময়িকভাবে মুক্তি দেয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া নিবিড় পর্যবেক্ষণে: ব্যক্তিগত চিকিৎসক
খালেদা জিয়াকে সিসিইউ থেকে কেবিনে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে
১ বছর আগে
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জিয়ার প্রতি বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে দলটির নেতা-কর্মীরা।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জিয়ার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক তোয়াব খানকে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন
তারা জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী; ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শাহজাহান ওমর, আহমেদ আজম খান ও এজেডএম জাহিদ হোসেন; চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, আমানউল্লাহ আমান, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, হাবিবুর রহমান হাবিব; জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী; যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন; হাবিব উন নবী খান সোহেল; প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
দলের বিভিন্ন ইউনিট ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা প্রয়াত রাষ্ট্রপতির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সারা দেশে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো।
দিনটি উপলক্ষে সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশে বিভিন্ন কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এ উপলক্ষে বিকাল ৩টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে দল ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বর্ণাঢ্য র্যালি বের করার কথা রয়েছে। র্যালিটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রাজধানী মার্কেটের কাছে গিয়ে শেষ হবে।
জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ১৯ দফা সনদ নিয়ে দলটি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে তাকে হত্যার পর তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দলের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন।
দলটি ৪ বার ক্ষমতায় ছিল এবং ২ বার প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করেছে। ২০০৭ সালে এক-এগারোর রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর থেকে ১৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে রয়েছে দলটি।
আরও পড়ুন: ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে নয়া দিল্লির বাংলাদেশ মিশন
ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন
১ বছর আগে
১৫ আগস্টের পেছনে জিয়া, ২১ আগস্টের পেছনে তারেক: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, '১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘটিয়েছিল জিয়াউর রহমান। আর বেগম খালেদা জিয়ার জ্ঞাতসারে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ঘটিয়েছিল তারেক রহমান।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবসের সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের হাতে নিহত বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের সমাধিতে দলীয় শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন। এর আগে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে দলীয় শ্রদ্ধা নিবেদনে অংশ নেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার স্ত্রী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে হত্যা করা হয়েছিল। জাতির ইতিহাসে এতো বেদনাবিধূর দিন আর কখনও আসেনি।
আরও পড়ুন: বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যেই প্রমাণ হয় তারা জঙ্গিদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, কারবালার প্রান্তরে হযরত ইমাম হোসেনকে যখন জবাই করে হত্যা করা হয়, তখনও নারী এবং শিশুদের হত্যা করা হয়নি। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালোরাত্রিতে ১০ বছরের শিশু শেখ রাসেল, ৪ বছরের শিশু সুকান্ত বাবু, ৮ বছরের শিশু আরিফ সেরনিয়াবাত, ১২ বছরের শিশু বেবি সেরনিয়াবাত, অন্তঃসত্ত্বা আরজু মনিকে হত্যা করা হয়েছিল। শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ নাসেরসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের কাউকে ঘাতকেরা রেহাই দেয়নি।
হাছান মাহমুদ বলেন, 'বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। হত্যার মাধ্যমে তিনি ক্ষমতা দখল করেন এবং খুনের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে ছিলেন।’
দুঃখজনক হলেও সত্য, বিএনপি এখনও সেই হত্যা-খুনের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'তারা ঘৃণা ও হিংসার রাজনীতি করে, ১৫ আগস্ট মিথ্যা জন্মদিন পালন করে, কেক কাটে। দেশে যদি সুস্থ রাজনীতির ধারা চালু রাখতে হয়, তাহলে বিএনপির এই অপরাজনীতি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।'
আরও পড়ুন: ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতায় বিএনপি ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
আবেদন করলেই শর্তসাপেক্ষে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে: আইনমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার স্বজনরা আবেদন করলেই নির্বাহী আদেশে বিএনপির চেয়ারপার্সন এর মুক্তির মেয়াদ আবারও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। শনিবার বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ও সমপর্যায়ের বিচার কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
খালেদা জিয়াকে সরকারের নির্বাহী ক্ষমতার জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হবে কি না জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, তাদের আবেদনের অপেক্ষায় আছি আবেদন করলে অবশ্যই মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হবে।
আরও পড়ুন: আ.লীগ জনগণের দল, আমাদের শক্তি জনগণের শক্তি: আইনমন্ত্রী
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তারিখে এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার কারাবাস ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে।
দুর্নীতির দুটি মামলায় সরকার কয়েকবার তার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছে।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিশেষ আদালতে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের পর সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: দেশকে অন্ধকারে রেখেছিল জিয়া ও এরশাদ: আইনমন্ত্রী
পরে তিনি দ্বিতীয় দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন।
কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে গুলশানের বাসায় অবস্থান করছেন ৭৬ বছর বয়সী বিএনপি চেয়ারপার্সন। তার চিকিৎসার তদারকি করছে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের একটি বিশেষ দল।
আরও পড়ুন: জিয়া মারা না গেলে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামি হতেন: আইনমন্ত্রী
২ বছর আগে
দেশকে অন্ধকারে রেখেছিল জিয়া ও এরশাদ: আইনমন্ত্রী
জিয়াউর রহমান ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ২১ বছর এ দেশকে অন্ধকারে রেখেছিল বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের একটি ষড়যন্ত্রে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। এই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভুলুণ্ঠিত করা হয়েছিল। বাংলাদেশের ভবিষ্যতকে বদলে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। খুনিদের পুরস্কৃত করা হয়েছিল। আইনের শাসনকে ধ্বংস করা হয়েছিল।
বুধবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কখনও ক্ষমতার লোভে রাজনীতি করেননি। তিনি মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিয়ে দলকে সংগঠিত করেছিলেন। দেশের আনাচে-কানাচে গিয়ে দেশের মানুষকে তাদের অধিকার ও স্বাধিকার সম্পর্কে সচেতন করেছেন এবং জনগণকে সংগঠিত করে দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ছাড় দেয়া হবে না: আইনমন্ত্রী
আনিসুল হক বলেন, ১৯৭২ সালে দেশে ফিরেই বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেন এবং তা দ্রুত গতিতে বাস্তবায়ন করতে থাকেন। কিন্তু দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে এদেশের কুলাঙ্গার, বেঈমান ও বিশ্বাস ঘাতক দল তাঁকে সপরিবারে হত্যা করে। তারা বুঝতে পেরেছিল যে, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু অবিচ্ছেদ্য।
এছাড়া এটাকে ভাগ করতে হলে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে হবে। কিন্তু বাংলার মানুষ বঙ্গবন্ধুকে ভুলেনি। তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার দায়িত্ব দিয়েছে, যোগ করেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা ২০১২ সালে কথা দিয়েছিলেন দেশীয় অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করবেন, সেটা করে দিয়েছেন। কথা দিয়েছিলেন ২০২১ সালে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করবেন, তাও করেছেন। তিনি ২০৪১ সালে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাও নির্মাণ করে দিবেন, ইনশাল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, ষড়যন্ত্র কিন্তু এখনও থেমে নেই। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড মেরে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। কোন সভ্য দেশে কোন সরকারের অধীনে এত বড় ঘৃণ্য বর্বরোচিত কাজ হতে পারে না, যেটা বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে হয়েছে। শুধু তাই নয় এ পর্যন্ত ১৯ বার তাঁকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ মুসলিম নিকাহ রেজিস্ট্রার সমিতির সভাপতি কাজী মো. খলিলুর রহমান সরদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শহিদুল আলম ঝিনুকসহ সমিতির নেতারা বঙ্গবন্ধুর জীবন আদর্শ নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠান শেষে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু ভূমি ব্যবস্থাপনার অভাবেই মামলাজট: আইনমন্ত্রী
আ.লীগ জনগণের দল, আমাদের শক্তি জনগণের শক্তি: আইনমন্ত্রী
২ বছর আগে
সাক্ষ্যপ্রমাণই বলে দেয় জিয়া বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড.হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের সাক্ষ্যপ্রমাণই বলে দেয় জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন এবং তার সম্পৃক্ততা দিবালোকের মতো স্পষ্ট।
বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের (ডিএফপি) নবারুণ ও সচিত্র বাংলাদেশ মাসিক পত্রিকা দুটির মুজিববর্ষ সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
সচিব মো. মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং ডিএফপি’র মহাপরিচালক স. ম. গোলাম কিবরিয়া অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন।
‘জিয়া নয়, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে আওয়ামী লীগ জড়িত’ -মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই মন্তব্যের জবাবে ড. হাছান বলেন, ফখরুল সাহেবরা প্রতিবছর আগস্ট মাস এলেই এ কথাগুলো বলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের সময় সাক্ষী ও আসামিরা যে জবানবন্দি দিয়েছে সেগুলো রেকর্ডেড। তারা জবানবন্দিতে স্পষ্টভাবে বলেছে কখন, কোথায় জিয়াউর রহমানের সাথে বৈঠক হয়েছে, জিয়াউর রহমান কি বলেছে, কিভাবে সম্মতি দিয়েছে। তার সম্পৃক্ততা দিবালোকের মতো স্পষ্ট।
মন্ত্রী বলেন, আমি মির্জা ফখরুলকে এ ধরণের জঘন্য মিথ্যাচার পরিহার করে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচারের ‘প্রসিডিং’টা পড়ার জন্য অনুরোধ জানাবো, প্রয়োজনে বিচারের বৃত্তান্ত জনসম্মুখে নিয়ে আসবো। তাহলে মানুষ জানতে পারবে আসামিরা তাদের জবানবন্দিতে কি স্বীকার করেছে।
‘জিয়াউর রহমান যে বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে যুক্ত ছিল এটা কর্নেল ফারুক এবং রশিদ দু’জনই ১৯৭৬ সালে আগস্ট মাসে যুক্তরাজ্যের একটি টেলিভিশনে চ্যানেলের সাথে সাক্ষাৎকার দিয়ে স্বীকার করেছে’ উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘জিয়া যদি মোশতাকের আস্থাভাজনই না হয়, তাহলে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর জিয়াউর রহমানকে কেন সেনাপ্রধান করা হলো? বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সবচাইতে বড় সুবিধাভোগী হচ্ছে জিয়াউর রহমান এবং তার পরিবার।’
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর প্রজ্জ্বালিত স্বাধীনতার দীপশিখা অনন্তকাল ধরে জ্বলবে: তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জিয়াউর রহমান শুধু বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সাথে যুক্ত ছিল তা নয়, জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছদ্মাবরণে পাকিস্তানিদের দোসর ছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় কারো বাড়িতে কোনো মুক্তিযোদ্ধা আশ্রয় বা খাবার পেয়েছে জানতে পারলেই পাকিস্তানি সেনা কিম্বা রাজাকার, আলবদররা সেই বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে, নির্যাতন করেছে। আর জিয়াউর রহমান রণাঙ্গণে মুক্তিযুদ্ধ করে আর তার স্ত্রী এবং পুত্ররা পাকিস্তানিদের কাছে মেহমানের মতো থাকে, এ থেকেই তো গোমরটা বোঝা যায়, আসলে জিয়াউর রহমান কি ছিল! মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন জিয়াউর রহমানের কাছে পাকিস্তানি কর্নেল বেগের যে চিঠিতে লেখা ‘তুমি চিন্তা করো না, তোমার স্ত্রী-পুত্ররা ভালো আছে এবং তোমার কাজে আমরা সন্তুষ্ট’- এগুলো অস্বীকার করার উপায় নেই। তাই মিথ্যার ওপরেই দাঁড়িয়ে আছে বিএনপি। মিথ্যার ওপর দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে এখন তাদের দলও ছোট হয়ে আসছে।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেয়ার প্রয়োজন আছে কি না, প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর
মন্ত্রী এসময় নবারুণ ও সচিত্র বাংলাদেশ মাসিক পত্রিকার মুজিববর্ষ সংখ্যা প্রকাশের জন্য চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মের সামনে বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরার জন্য এ প্রকাশনাগুলো অত্যন্ত গুরুত্ববহ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বেই বাঙালি জাতি, জাতি সত্তা সৃষ্টি হওয়ার পর প্রথম বাংলাদেশ নামের এ রাষ্ট্রের রচনা করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাঙালিদের জন্য পৃথীবিতে এটিই একমাত্র জাতি রাষ্ট্র। তাই বঙ্গবন্ধুকে এবং তার আদর্শকে জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মিজান-উল-আলম এবং খাদিজা বেগম, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক সোহরাব হোসেন, প্রধান তথ্য অফিসার মো. শাহেনুর মিয়া, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক আহম্মদ কামরুজ্জামান, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বিধান চন্দ্র কর্মকার, প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ এর মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী মো. আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মো. নিজামুল কবীর, বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জসীম উদ্দিন, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুর রহমান প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জিয়া ও খালেদা দুজনই হত্যার রাজনীতির পথে হেঁটেছেন: তথ্যমন্ত্রী
৩ বছর আগে