জিয়াউর রহমান ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ২১ বছর এ দেশকে অন্ধকারে রেখেছিল বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের একটি ষড়যন্ত্রে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। এই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভুলুণ্ঠিত করা হয়েছিল। বাংলাদেশের ভবিষ্যতকে বদলে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। খুনিদের পুরস্কৃত করা হয়েছিল। আইনের শাসনকে ধ্বংস করা হয়েছিল।
বুধবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কখনও ক্ষমতার লোভে রাজনীতি করেননি। তিনি মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিয়ে দলকে সংগঠিত করেছিলেন। দেশের আনাচে-কানাচে গিয়ে দেশের মানুষকে তাদের অধিকার ও স্বাধিকার সম্পর্কে সচেতন করেছেন এবং জনগণকে সংগঠিত করে দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ছাড় দেয়া হবে না: আইনমন্ত্রী
আনিসুল হক বলেন, ১৯৭২ সালে দেশে ফিরেই বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেন এবং তা দ্রুত গতিতে বাস্তবায়ন করতে থাকেন। কিন্তু দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে এদেশের কুলাঙ্গার, বেঈমান ও বিশ্বাস ঘাতক দল তাঁকে সপরিবারে হত্যা করে। তারা বুঝতে পেরেছিল যে, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু অবিচ্ছেদ্য।
এছাড়া এটাকে ভাগ করতে হলে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে হবে। কিন্তু বাংলার মানুষ বঙ্গবন্ধুকে ভুলেনি। তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার দায়িত্ব দিয়েছে, যোগ করেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা ২০১২ সালে কথা দিয়েছিলেন দেশীয় অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করবেন, সেটা করে দিয়েছেন। কথা দিয়েছিলেন ২০২১ সালে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করবেন, তাও করেছেন। তিনি ২০৪১ সালে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাও নির্মাণ করে দিবেন, ইনশাল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, ষড়যন্ত্র কিন্তু এখনও থেমে নেই। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড মেরে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। কোন সভ্য দেশে কোন সরকারের অধীনে এত বড় ঘৃণ্য বর্বরোচিত কাজ হতে পারে না, যেটা বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে হয়েছে। শুধু তাই নয় এ পর্যন্ত ১৯ বার তাঁকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ মুসলিম নিকাহ রেজিস্ট্রার সমিতির সভাপতি কাজী মো. খলিলুর রহমান সরদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শহিদুল আলম ঝিনুকসহ সমিতির নেতারা বঙ্গবন্ধুর জীবন আদর্শ নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠান শেষে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু ভূমি ব্যবস্থাপনার অভাবেই মামলাজট: আইনমন্ত্রী