পূর্ব বিরোধ
পাবনায় পূর্ব বিরোধের জেরে প্রতিবেশীর ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
পূর্ব বিরোধের জেরে পাবনা শহরে আবুল কাশেম নামের এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে।
রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে পাবনা শহরের শালগাড়িয়ার তালবাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবুল কাশেম তালবাগান এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে।
এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, সম্প্রতি ওই এলাকায় একটি ওয়াজ মাহফিলকে কেন্দ্র করে আবুল কাসেমের সঙ্গে একই এলাকার সামির হোসেনসহ কিছু যুবকের সঙ্গে বিরোধ চলছিল।
আরও পড়ুন: সুপারি পাড়া নিয়ে দ্বন্দ্ব: ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুনের অভিযোগ
রবিবার আবুল কাশেম তার বাড়ি থেকে সামির হোসেনের বাড়ির দিকে গেলে সামিরের বাবা লাড্ডু সুলতান সেটা দেখতে পান৷ পরে তিনি বাড়ি থেকে চাকু এনে আবুল কাশেমকে চাকু দিয়ে আঘাত করতে থাকেন৷ এসময় সামির ও তার বাবার নেতৃত্বে ৭-৮ জন যুবক সেখানে উপস্থিত হয়ে তারাও এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করতে শুরু করেন।
এক পর্যায়ে আবুল কাশেমের নিথর দেহ মাটিতে পড়ে গেলে সেখান থেকে পালিয়ে যান অভিযুক্তরা। পরে স্থানীয়রা তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
তিনি আরও জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: স্টেশনে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল ট্রেনযাত্রীর
উখিয়ায় ছুরিকাঘাতে রোহিঙ্গা খুন
৮ মাস আগে
চবিতে আবারও ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ
পূর্ব বিরোধের জেরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে আবারও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে ছাত্রলীগের বিজয় ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে সংঘর্ষ শুরুর এক ঘণ্টা পর পুলিশ ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে দুই পক্ষকে সরিয়ে দেয়। বর্তমানে বিজয় গ্রুপ সোহরাওয়ার্দী হল ও সিক্সটি নাইন গ্রুপ শাহজালাল হলে অবস্থান করছেন। তবে এ ঘটনায় উভয় গ্রুপে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সংঘর্ষে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: চবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন
সংঘর্ষে জড়ানো বিজয় গ্রুপের নেতা-কর্মীরা শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা-কর্মীরা নিজেদের সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
এর আগে গতকাল বুধবারও বিজয় গ্রুপের কর্মী কামরুল ইসলামের গ্রুপ পরিবর্তন নিয়ে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
জানা যায়, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের কামরুল ইসলাম ২০১৯ সালের দিকে সিক্সটি নাইনের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে তিনি বিজয় গ্রুপে যোগ দেন। এ নিয়ে সিক্সটি গ্রুপের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের কর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই কামরুলের বিরোধ হয়ে আসছে। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে গত রবিবার কামরুলকে মারধর করেন সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা।
পরে বুধবার রাতে সোহরাওয়ার্দী হলে সিক্সটি নাইন গ্রুপের এক কর্মী রাতের খাবার খেতে এলে কামরুলের সঙ্গে তার হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর বিজয় গ্রুপের নেতা-কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে আর সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা-কর্মীরা শাহজালাল হলের সামনে অবস্থান নেন। পরে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। এ সময় দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা একে অপরের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।
আরও পড়ুন: চবি সাংবাদিকতা বিভাগ অ্যালামনাইয়ের বার্ষিক পুনর্মিলনী উপলক্ষ্যে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
এ ঘটনার জের ধরে সিক্সটি নাইনের নেতা-কর্মীরা বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে বিজয়ের এক কর্মীকে কলা ঝুপড়ি এলাকায় মারধর করে। এ খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে বিজয়ের কর্মীরা লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়। পরে সিক্সটি নাইনের কর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেলে নিক্ষেপে লিপ্ত হয় গ্রুপ দুইটি।
শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয়ের একাংশের নেতা সাখাওয়াত হোসাইন বলেন, শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী রাশেদকে পূর্বের ঘটনার জের ধরে আজকের চলমান পিঠা উৎসবে মারধর করে তারা। সেই মারধরের ঘটনা রূপ নেয় সংঘর্ষে।
চবি'র সহকারী প্রক্টর নাজেমুল মুরাদ বলেন, দুই পক্ষকেই হলে পাঠানো হয়েছে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।
আরও পড়ুন: চবিগামী শাটল ট্রেনে কাটা পড়ে যুবক নিহত
৯ মাস আগে
পূর্ব বিরোধের জেরে মাগুরায় ২৫০ গাছ কর্তন!
মাগুরার সদরের দেড়ুয়া গ্রামে পূর্ব বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন এক কৃষকের ২৫০টি গাছ কেটে ফেলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
৪ বছর আগে