বিসিসি
বরিশাল সিটি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু
সোমবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।
রির্টানিং কর্মকর্তা হুমায়ন কবির বলেন, সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে নগরের ৩০টি ওয়ার্ডের ১২৬টি কেন্দ্রের সবগুলোতেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) চলবে এই ভোটগ্রহণ।
নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন ৭ জন। নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত নগরের কালিবাড়িরোডস্থ সরকারি বরিশাল কলেজ কেন্দ্রে তার ভোট দিয়েছেন। এছাড়া জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস গোরস্থান রোডের সৈয়দ আব্দুল মান্নান ডিডিএফ আলিম মাদরাসা কেন্দ্রে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বরিশাল নগরের রূপাতলী হাউজিং আ. রব সেরনিয়াবাত মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে, জাকের পার্টির গোলাপফুল প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান বাচ্চু ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের চহুতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন। টেবিলঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন ভোট দেন কালুশাহ সড়কের আলেকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে।
আরও পড়ুন: রাত পোহালে বরিশাল সিটি নির্বাচন
এবারের নির্বাচনে বরিশাল সিটিতে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮। ১০৬টি কেন্দ্রকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। সকাল থেকেই কেন্দ্রগুলোতে লক্ষ্য করা গেছে ভোটারদের ভীড়।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবেই চলছিল ভোটগ্রহণ। ১০ প্লাটুন বিজিবি এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাড়ে ৪ হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন এই নির্বাচনে।
এবার মোট প্রার্থী হয়েছেন ১৬৭ জন, মেয়র পদে ৭ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১৮ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৪২ জন।
আরও পড়ুন: বরিশাল সিটি নির্বাচনের ১২৬ কেন্দ্রে পৌঁছেছে ইভিএম
বরিশাল সিটি নির্বাচন: সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন চলছে, শেষ হবে শনিবার
১ বছর আগে
৮ ভোজ্যতেল শোধনাগারের বিরুদ্ধে বিসিসির মামলা
ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর অসৎ উদ্দেশ্যের অভিযোগে আটটি ভোজ্যতেল পরিশোধন কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করেছে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন (বিসিসি)।
বুধবার প্রতিযোগিতা কমিশন আইনের ১৫ ও ১৫ (২) ধারায় জাতীয় স্বার্থে মামলাটি দায়ের করেছে কমিশন।
আরও পড়ুন: খুলনায় সয়াবিন ও পাম তেল জব্দ, ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
বিসিসি সূত্র জানায়, প্রতিযোগিতা কমিশন আইনের ১৫ (২) (বি) ধারায় আটটি কোম্পানির বিরুদ্ধে উৎপাদন, সরবরাহ, বাজার, কারিগরি উন্নয়ন, বিনিয়োগ বা পরিষেবার বিধান সীমাবদ্ধ বা নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আটটি কোম্পানি হলো: সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেড, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড (বিইওএল), মেঘনা অ্যান্ড ইউনাইটেড এডিবল অয়েল রিফাইনারি লিমিটেড, বসুন্ধরা অয়েল রিফাইনারি মিল, শবনম ভেজিটেবল অয়েল, প্রাইম এডিবল অয়েল লিমিটেড ও গ্লোব এডিবল অয়েল লিমিটেড।
২ বছর আগে
দুর্নীতির দায়ে বিসিসির ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত
দুর্নীতির দায়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। শনিবার জনসংযোগ কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) রাতে তাদের কাছে বরখাস্তের চিঠি পৌঁছে দেয়া হয় বলে জানা গেছে। তবে চাকরিচ্যুতির বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক হোসেন।
তিনি জানান, এ বিষয়টি আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে গণমাধ্যমকে জানাবো। তার আগে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত বলতে পারব না।
চাকরিচ্যুত কর্মকর্তারা হলেন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আব্দুল মতিন, নির্বাহী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির, বিদ্যুৎ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী কাজী মনিরুল ইসলাম, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার কমল ও জহিরুল ইসলাম, চিফ অ্যাসেসর মো. আজম, জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. রোমেল, হিসাবরক্ষক মো. মাইনুদ্দিন, সম্পত্তি শাখার অ্যাস্টেট অফিসার মাহাবুবুর রহমান শাকিল, আইন সহকারী রফিকুল ইসলাম, অফিস সহকারী আব্দুস সালাম ও হায়তুল ইসলাম।
বরখাস্ত হওয়া এই ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে স্থায়ীভাবে বরখাস্তের চিঠিতে বরখাস্তের কারন উল্লেখ করা হয়নি বলে দাবি করেছেন চাকরিচ্যুতরা।
চাকরিচ্যুত হওয়া বিসিসির পানি শাখার হিসাব সহকারী আব্দুস সালাম জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে সিটি করপোরেশনের একজন লোক বাসায় এসে বরখাস্তের চিঠি দিয়ে গেছেন। চিঠিতে বলা হয়েছে তিন মাসের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। কিন্তু সেই টাকা আমি পাইনি। তাছাড়া সিটি করপোরেশনের কাছে ১৫ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী কাজী মনিরুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে তা সঠিক নয়। অনিয়মতান্ত্রিকভাবে আমাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি থেকে তারা ওএসডি ছিলেন। ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট চতুর্থ পরিষদের নবম সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩ মাসের বেতন পরিশোধপূর্বক ১২ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয় বলে বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক আহমেদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর দুর্নীতির অভিযোগে বিসিসির প্রধান বাজেট কাম হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমানকে উৎকোচ গ্রহণ ও ভুয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ঠিকাদারকে বিল প্রদান, ট্রেড লাইসেন্স সুপারিনটেনডেন্ট আজিজ শাহীনকে নামে বেনামে স্বজনদের বিপরীতে করপোরেশনের স্টল বরাদ্দ দেয়া, একই অভিযোগে বাজার সুপারিনটেনডেন্ট নুরুল ইসলাম এবং একটি প্রতিষ্ঠানকে বিসিসির রাস্তা খুঁড়তে সহায়তা করায় উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছিল।
এনিয়ে গত দুই বছরে দুর্নীতির দায়ে বরিশাল সিটি করপোরেশন থেকে চাকরি হারালেন ১৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলায় ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট
করোনা মোকাবিলায় তথ্য নয় বরং দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করুন: টিআইবি
৩ বছর আগে
জীবন বাঁচাতে হিন্দু পরিচয়ে থাকতে হয়েছে: মেয়র সাদিক
বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) মেয়র এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্য সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ১৫ আগস্টের হত্যার কথা স্মরণ করে জানিয়েছেন, জীবন বাঁচাতে একটা সময় হিন্দু পরিচয়ে থাকতে হয়েছে।
বিসিসি মেয়র বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে একটি গোষ্ঠী পাকিস্তান বানাতে চেয়েছিল। কিন্তু তা দেশের জনগণ হতে দেয়নি।
আরও পড়ুন: বরিশালে পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষ, আহত ৩
শনিবার দুপুরে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বরিশাল সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন বরিশালের সিটি মেয়র।
সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমার দাদা আব্দুর রব সেরনিয়াবাতসহ আমার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে ৭৫ এর সেই রাতে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সেই মিন্টো রোডের বাসায় আমি মায়ের কোলে ছিলাম। আমার মা মরহুমা সাহানারা বেগমও গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। জীবন বাঁচাতে আমরা ভারতে হিন্দু পরিচয়ে ছিলাম। যাতে কারও সন্দেহ না হয়। সে সময় আমাদের পেলেও মেরে ফেলতো।’
আরও পড়ুন: বরিশালে একদিনে ২৩ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৯৫
তিনি বলেন, জনগণের টানে শত প্রতিকূলতার মধ্যেও আমরা দেশে ফিরে এসেছি। সেই জনগণের সেবা ছাড়া অন্য কোন লক্ষ্য আমার নেই। অতীতে বরিশালের অবকাঠামোগত উন্নয়ন টেকসইয়ের গ্যারান্টি দিয়ে নির্মাণ করেছি। যা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। এছাড়াও নগরীতে নতুন সড়ক নির্মাণ, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ ও খালের নাব্যতা রক্ষায় কাজ করেছি। এই মহৎকাজে সবসময় বরিশালের জনগণকে পাশে চাই।
সাংবাদিক ইউনিয়ন বরিশাল এর সভাপতি সাইফুর রহমান মিরন এর সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক ফিরদাউস সোহাগ, সিনিয়র সাংবাদিক মুরাদ আহমেদ, মাহমুদ হোসেন চৌধুরী, সহ-সভাপতি রাহাত খান, সাবেক সভাপতি গোপাল সরকার প্রমূখ।
আলোচনা সভা শেষে বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়।
৩ বছর আগে