জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস: স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও ডাটা কার্ড অবমুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ১০ টাকা মূল্যের ডাকটিকিট ও উদ্বোধনী খাম এবং ৫ টাকা মূল্যের ডাটা কার্ড প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন বলেন, এ উপলক্ষে একটি বিশেষ সিলমোহরও ব্যবহার করা হয়।
আরও পড়ুন: স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও ডাটা কার্ড আজ ঢাকা জিপিও'র ফিলাটেলিক ব্যুরো থেকে বিক্রি করা হবে। পরবর্তীতে দেশের অন্যান্য জিপিও এবং প্রধান ডাকঘরেও এগুলো পাওয়া যাবে।
উদ্বোধনী খামের জন্য ৪টি জিপিওতে বিশেষ সিলমোহরের ব্যবস্থাও রয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কমনওয়েলথ মহাসচিব
১০ মাস আগে
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১৮তম বার্ষিকী আজ
বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে অন্যতম কলঙ্কজনক অধ্যায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু তনয়া এবং দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে আওয়ামী লীগের র্যালিতে নারকীয় গ্রেনেড হামলার ১৮তম বার্ষিকী আজ।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনগুলো নানা কর্মর্সূচির মধ্য দিয়ে গ্রেনেড হামলার ১৮তম বার্ষিকী পালন করছে।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়।
হামলায় দলের তৎকালীন মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন প্রাণ হারান। অল্পের জন্য ওই হামলা থেকে বতর্মান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে ফিরলেও, তার শ্রবণশক্তি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
হামলার প্রায় ১৪ বছর পর ২০১৮ সালের অক্টোবরে গ্রেনেড হামলার মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালাত।
এছাড়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।
আরও পড়ুন:২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: রায় কার্যকর দেখে মরতে চান রেনু
দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনগুলো সারাদেশে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে সকাল সাড়ে ১০টায় আলোচনা সভা শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ উপলক্ষে আজ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ২১ আগস্ট শহীদদের স্মরণে বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দিনব্যাপী রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে যানজট পরিহার করার জন্য প্রেসক্লাব, পল্টন ও জিরো পয়েন্ট এলাকায় যাতায়াত এড়িয়ে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করতে নগরবাসীকে অনুরোধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দিবসটির শহীদদের স্মরণে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের সম্মান জানাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আওয়ামী লীগের সকল নেতা-কর্মী, সমর্থক, শুভাকাঙ্খী ও সর্বস্তরের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনকে দিবসটি পালনের আহ্বান জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ওই দিন হামলায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন লোক নিহত হন। এছাড়া আহত হন আরও পাঁচ শতাধিক মানুষ, যাদের অনেকে আজীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।
সেদিনের হামলায় যারা নিহত হয়েছিলেন তাদের মধ্যে রয়েছে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতার নিরাপত্তা কর্মী ল্যান্স করপোরাল (অবসরপ্রাপ্ত) মাহবুবুর রশিদ, আবুল কালাম আজাদ, রেজিনা বেগম, নাসির উদ্দিন সরদার, আতিক সরকার, আব্দুল কুদ্দস পাটোয়ারি, আমিনুল ইসলাম মোয়াজ্জেম, বেলাল হোসেন, মামুন মৃধা, রতন শিকদার, লিটন মুন্সি, হাসিনা মমতাজ রীনা, সুফিয়া বেগম, রফিকুল ইসলাম, মোশতাক আহমেদ সেন্টু, মো. হানিফ, আবুল কাশেম, জেহাদ আলী, মমিন আলী, এম শামছুদ্দিন এবং ইসহাক মিয়া।
এছাড়া গ্রেনেড হামলায় স্প্রিন্টারের আঘাতে মারাত্মক আহত হয়েছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আমির হোসেন আমু, আব্দুর রাজ্জাক, সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত, ওবায়দুল কাদের, মোহাম্মদ হানিফ, অধ্যাপক আবু সায়্যিদ এবং এএফএম বাহাউদ্দিন নাসিম।
আরও পড়ুন:২১ আগস্ট রাজধানীতে যান চলাচল সীমিত
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১৮তম বার্ষিকীতে আ.লীগের নানা কর্মসূচি
২ বছর আগে
বাবা-মা এবং ভাইদের কী অপরাধ ছিল: প্রধানমন্ত্রী
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা এবং তার ভাইদের নির্মম হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘একটাই প্রশ্ন সব সময়-আসলে কেন এই হত্যাকাণ্ড, আমার বাবা, মা এবং ভাইদের অপরাধ কি ছিল?’
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
আবেগাপ্লুত কণ্ঠে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এবং আমার ভাইয়েরা নিজের জীবন উৎসর্গ করলেন, জীবনের সুখ, শান্তি একটা জাতির স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য বিলিয়ে দিলেন, কিন্তু সেই বাঙালিই তাদের হত্যা করলো?
বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার বড় কন্যা হাসিনা বলেন, ‘ধৈর্য, সাহস এবং সঠিক ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত এবং সেগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্বাধীনতার সংগ্রামকে এগিয়ে নিতে বঙ্গমাতা অনেক অবদান রেখেছেনন। আমার মা প্রতিটি আন্দোলনে অনেক অবদান রেখেছেন।’
তিনি বলেন, বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুকে সারাজীবন উৎসাহ দিয়েছেন যাতে তিনি দেশ ও জাতির জন্য কাজ করতে নিজেকে উৎসর্গ করতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গমাতা সবসময় বিশ্বাস করতেন যে প্রত্যেক নারীর শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত এবং আর্থিক স্বচ্ছলতা অর্জন করা উচিত। তার উপলব্ধি ছিল যে শুধু অধিকারের জন্য চিৎকার করলে নারীদের জন্য কিছু আসবে না। অধিকার অর্জনের জন্য সকল নারীর উচিত শিক্ষা গ্রহণ করা এবং নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য আর্থিক স্বচ্ছলতা অর্জন করা।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য নিষ্ঠার সঙ্গে দেশের জন্য কাজ করার সুযোগ তৈরি করার জন্য তার ব্যক্তিগত ইচ্ছা এবং চাহিদা উপেক্ষা করেছেন। বঙ্গমাতার কোনো ব্যক্তিগত চাহিদা ছিল না এবং পারিবারিক বিষয়ে বঙ্গবন্ধুকে কখনো বিরক্ত করেনি।
দেশের স্বাধীনতায় বঙ্গমাতার ভূমিকার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, বঙ্গমাতা রাজনীতিতে বিভিন্ন সংকটময় সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসন অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান চেমন আরা তৈয়ব মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এমপি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বঙ্গমাতার জীবন ও কর্মের ওপর একটি ভিডিও চিত্র পরিবেশিত হয়।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির ছেলে হয়েও কামাল সাদাসিধে জীবন-যাপন করত: হাসিনা
বস্তিবাসীর মধ্যে ফ্ল্যাট হস্তান্তর করলেন প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু হত্যায় ষড়যন্ত্রকারীদের নাম একদিন বের হবে: প্রধানমন্ত্রী
৩ বছর আগে