নিরপেক্ষ
ভয়ভীতি মুক্ত ও নিরপেক্ষ থেকে মানুষের সেবায় কাজ করে যাব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
নিরপেক্ষ ও ভয়ভীতি মুক্ত থেকে মানুষের সেবায় কাজ করে যাবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
তিনি বলেন, আমি কোনো রাজনৈতিক নেতা নই, আমি নির্বাচনও করিনি। মানুষের সেবা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী আমাকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিশেষ মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিদেশি রোগীও মেডিকেল ভিসায় বাংলাদেশে চিকিৎসা নিতে আসতে শুরু করেছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, মানুষের সেবায় আমি আমার কাজ নিরপেক্ষ ও ভয়ভীতি মুক্ত থেকে করে যাব।
এসময় জেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সকলকে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। জেলার স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে দিক নির্দেশনাও দেন তিনি।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে আরেকটি সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মেডিকেল শিক্ষার্থীদের মনোযোগের সঙ্গে পড়াশোনা করার মাধ্যমে প্রথমত ভালো চিকিৎসক হতে হবে। এর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই সৎ ও আদর্শিক মানসিকতা নিয়ে চিকিৎসা পেশায় নিজেকে নিযুক্ত করতে হবে। আমরা শুধু হাজার হাজার ডাক্তার চাই না, আমরা চাই ভালো ডাক্তার, এই কথার অর্থ শিক্ষার্থীদের বুঝতে হবে।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নির্মাণ কাজ অচিরেই শুরু করা হবে বলে আশ্বাস দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী কক্সবাজার শহরের হাসপাতাল সড়কের ইউনিয়ন হসপিটাল লিমিটেড এবং ২৫০ শয্যা কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: বাঙালির ঐতিহ্য-সংস্কৃতি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
পরিদর্শনকালে বেসরকারি হাসপাতালটির বিভিন্ন অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
হাসপাতালটি তার লাইসেন্স এর পরিধি বহির্ভূতভাবে আইসিইউ, সিটি স্ক্যান মেশিন, অপারেশন থিয়েটার ও পোস্ট অপারেটিভ রুম সমূহ পরিচালনা করে আসছিল। বিধায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসপাতালটির বর্ণিত অংশ সমূহ বন্ধ করার নির্দেশ দেন।
একইসঙ্গে অননুমোদিত আইসিইউ এবং পোস্ট অপারেটিভ রুমে ভর্তি থাকা রোগীদের জরুরি ভিত্তিতে ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করার নির্দেশনাও দেন।
পরে মন্ত্রী ২৫০ শয্যা কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, মহিলা মেডিসিন বিভাগ, সিসিইউ, শেখ রাসেল নবজাতক সেবা ইউনিটটিতে (স্ক্যানু) রোগী ও দায়িত্বরত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং রোগীদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।
মন্ত্রী হাসপাতালেই সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করার জন্য হাসপাতালের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।
আরও পড়ুন: দেশে ওষুধের চাহিদার ৯৮ শতাংশই স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এসময় তিনি জরুরি বিভাগ, আউটডোর ও ইনডোর রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।
পরে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর চিকিৎসকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।
এছাড়া রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়ন উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শন করেন এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে চিকিৎসা ও পরিবার পরিকল্পনা সেবার চিত্র প্রত্যক্ষ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
১০ মাস আগে
নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ইসির নির্দেশ
কমিশনের নিরপেক্ষতা ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা সমুন্নত রাখতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে- কোনো পক্ষের প্রভাব ও হস্তক্ষেপ থেকে নির্বাচনের নিরপেক্ষতা রক্ষার পাশাপাশি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ভোটারদের তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগে উদ্বুদ্ধ করা।
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রবিবার জারি করা প্রজ্ঞাপন নম্বর-৯ এ এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘আইন, বিধি ও আচরণবিধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, এটি নিশ্চিত করতে হবে যাতে কোনো অর্পিত প্রান্তের কোনো ধরনের প্রভাব বা অনুমান নির্বাচনের নিরপেক্ষতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে।’
নির্বাচনের মতো একটি সংবেদনশীল ও গুরুত্বপূর্ণ কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তারা যাতে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বা স্থানীয় জনগণের সামনে নিজেদের অপমানিত করে এমন কোনো কাজ না করতে পারে সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছে ইসি।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহের ডিসিকে প্রত্যাহার, সুনামগঞ্জের ডিসিকে বদলির নির্দেশ ইসির
ইসি বলেছে, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনকে নিজ নিজ এলাকায় স্থানীয় জনগণের যৌথসভা করে সবাইকে ভোটে উৎসাহিত করতে হবে। এ ব্যাপারে মাঠ প্রশাসনকে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলা হয়।
ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ও স্বাচ্ছন্দ্যে ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে পারে তার জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে কমিশন এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির মোবাইল টিমের মাধ্যমে নিবিড় টহল দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
ইসি রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ও গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা জোরদার করতে এবং যেকোনো ধরনের অশুভ কর্মকাণ্ড রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সতর্ক থাকার জন্য কঠোর নির্দেশ দিতে বলেছে।
ভোটকেন্দ্রের অবস্থান সম্পর্কে জনগণকে জানাতে ব্যাপক প্রচার চালাতে বলেছে কমিশন।
এছাড়া রিটার্নিং অফিসারদের নিজ নিজ জেলা ও মহানগর এলাকায় বিভিন্ন দপ্তরের স্থানীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টিম গঠন করতে বলা হয়েছে। যাতে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয় এবং এই নিরপেক্ষতা জনগণের সামনে দৃশ্যমান হয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ওসিদের পর ইউএনওদের বদলি চেয়েছে ইসি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ওসিদের বদলির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ ইসি’র
১ বছর আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান সিইসির
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্থানীয় কর্মকর্তারা তাদের ভূমিকায় যে সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন তা সর্বদা মনে রাখার আহ্বান জানান তিনি।
সিইসি বলেন, 'নির্বাচন আয়োজন একটি ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। যেহেতু দায়িত্বটিও আপনার উপর বর্তায়, তাই এই দায়িত্ব অবশ্যই নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে হবে। নির্বাচন অবশ্যই জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে ছাড়া নির্বাচন অসম্পূর্ণ থাকতে পারে: সিইসি
তিনি বলেন, 'নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে তা জনগণের কাছে তুলে ধরা অপরিহার্য। আমরা যদি নিশ্চিত করতে পারি যে জনগণ অবাধে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, তবে এটি হবে একটি বড় সাফল্য।’
নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, 'আমি অতীতের সমালোচনা নিয়ে মাথা ঘামাতে চাই না। তবে অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আসুন আমরা সম্মিলিতভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দৃষ্টান্ত স্থাপন করি।’
তিনি আরও বলেন, 'আমার মতে, আপনারা মাঠ পর্যায়ে নির্বাচন কমিশনের বিশ্বস্ত সহকারী, আমাদের প্রতিনিধিত্ব করছেন। আমরা শপথ নেওয়ার পর আপনারা নির্বাচনে শতভাগ নিরপেক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন, রিটার্নিং কর্মকর্তাকে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেছেন। এর ফলে প্রতিটি নির্বাচন সহিংসতামুক্ত, উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।’
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মকর্তাদের প্রথম ধাপের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ শুরু হচ্ছে আজ
১ বছর আগে
বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
মঙ্গলবার পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রেল সংযোগের উদ্বোধনকালে মাওয়ায় এক জনসভায় তিনি বলেন, ‘কিছু মানুষ আছেন যারা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে দেশ অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখেছে।’
জনসভায় যোগ দেওয়ার আগে তিনি পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন।
যারা তার আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে ছুড়ে ফেলার কথা বলে তাদের সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রেল সংযোগের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আর যারা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলে তারা প্রতিদিন আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা বলে। আসলে তারা নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় না।’
বিএনপির নাম না নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই দলটি অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ব্যক্তি কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত। ভোট কারচুপি করে তারা ক্ষমতায় এসেছে।’
কিন্তু ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত ২০ দলীয় জোট ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে মাত্র ২৯টি আসন পায়। এরপর থেকে তারা নির্বাচন থেকে দূরে রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন বর্জনের পাশাপাশি তারা অগ্নিসংযোগ, নিরীহ মানুষ হত্যা ও সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের পথ বেছে নিয়েছে।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সফর সামনে রেখে ভাঙ্গায় উৎসবমুখর পরিবেশ
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বাঙালি জাতির ভাগ্য নিয়ে স্বার্থান্বেষী মহল যাতে ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেজন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছে এবং তারা কাউকে তা ধ্বংস করতে দেবে না।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শধারণ করে বাংলাদেশ বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-ভাঙ্গা ট্রেনের ভাড়া ৪০ শতাংশ কমানোর দাবি জাতীয় কমিটির
১ বছর আগে
বিদেশি পর্যবেক্ষক আসুক আর না আসুক, নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে: তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিদেশি পর্যবেক্ষক আসুক আর না আসুক, আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনটা হচ্ছে আমাদের। তাই এরই মধ্যে স্থানীয় সরকারসহ যে সমস্ত নির্বাচন হয়েছে সেগুলো অত্যন্ত সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজী পুকুর লেনস্থ ওয়াইএনটি সেন্টারে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আমরা নির্বাচনের মাঠে সবার সঙ্গে খেলে জিততে চাই, আর বিএনপি চায় পালাতে: তথ্যমন্ত্রী
এসময় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নির্বাচন কেউ পর্যবেক্ষণ করল, কী করল না- এতে কিছুই আসে যায় না। এটি নিয়ে বিএনপিকেও আর দেশ অস্থিতিশীল করার সুযোগ দেওয়া হবে না।
ভারতে যখন নির্বাচন হয় তখন বিদেশি পর্যবেক্ষকরা সেখানে যান কি না- এমন প্রশ্ন রেখে হাছান মাহমুদ বলেন, সেখানে এটি নিয়ে এত কথাবার্তা হয়? কিংবা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যখন নির্বাচন হয় সেখানে কি আমাদের দেশ থেকে কিংবা অন্য কোনো দেশ থেকে পর্যবেক্ষক যায়? যায় না।
তিনি বলেন, আমাদের দেশেই নির্বাচন এলে কে পর্যবেক্ষণ করল, কে করল না- এগুলো নিয়ে নানা মাতামাতি হয়। যদি বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আসেন, তাহলে তাদের স্বাগত জানাই, না এলেও কোনো অসুবিধা নেই।
মন্ত্রী বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছোট আকারের পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে বলেছে। তাদের বাজেট স্বল্পতার কথাও তারা চিঠিতে উল্লেখ করেছে। ইইউর পর্যবেক্ষক যে আকারেই আসুক বা না আসুক আমাদের দেশে ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম আছে, সার্কভুক্ত বিভিন্ন দেশের পর্যবেক্ষকরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আসবে।
বিএনপি লংমার্চ কর্মসূচিতে হরতাল-অবরোধের মতো কঠিন কর্মসূচির জন্য নেতা-কর্মীদের প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে, এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ এবং সরকারের প্রস্তুতি আছে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়া অবরোধের ডাক দিয়ে দেশের মানুষকে একশ দিন অবরুদ্ধ করে রেখেছিল।
তিনি আরও বলেন, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে শত শত মানুষ পুড়িয়েছিল, হাজার হাজার মানুষকে ঝলসে দিয়েছিল আগুনে। দেশে এ ধরনের নৃশংস ঘটনা বিএনপি আর করতে পারবে না, দেশের মানুষ করতে দেবে না। সেই অপচেষ্টা করলে দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করা হবে।
আরও পড়ুন: শুধু শমসের-তৈমুর নয় আরও অনেকেই বিএনপি থেকে চলে যাবে: তথ্যমন্ত্রী
যত অপপ্রচারই হোক, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আ. লীগ ক্ষমতায় আসবে: কানাডায় তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপি নেতারা ঐক্যবদ্ধ: নজরুল
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যকে ‘ মিথ্যা নির্ভর’ বলে অভিহিত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন,‘শুধু অনেক নেতা কেন? আমরা সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাই, কিন্তু এই সরকারের অধীনে নয়, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে।’
এক আলোচনা সভায় বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়ন পরিষদ ও সিটি নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচন বর্জন করে আসছে এবং নির্বাচনে যোগদানকারী কয়েকজন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
নজরুল বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বিএনপি ও এর নেতাদের নিয়ে বেপরোয়া মন্তব্য করে নিজেদের খারাপ রুচির পরিচয় দিচ্ছেন। ‘আমরা আরও শুনেছি যে আওয়ামী লীগের অনেক লোক সামনে খারাপ সময়ের ভয়ে দেশ ছাড়তে চায়। কিন্তু এটা কি বক্তব্য দেওয়ার ব্যাপার? আমরা এমন মন্তব্য করি না কারণ আমাদের অবস্থান খুব নীচু নয়।’
আরও পড়ুন: অর্থনীতি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থায় নেই, দেশ চালাতে সর্বত্র বৈদেশিক ঋণ খুঁজছে সরকার: মোশাররফ
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল নেতা মাইনুল আহসান পিংকুর ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে শহীদ পিংকু স্মৃতি পরিষদ।
নজরুল বলেন, বাংলাদেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এখন বিশ্বাস করে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, এমনকি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরও বলে আসছেন বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। ১৪ দলীয় জোটে যারা আছেন তাদের অনেকেই একই কথা বলছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করা এখন জনগণের দাবিতে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি মাঠে নেমেছে, অধিকার আদায় করেই ঘরে ফিরবে : মির্জা ফখরুল
বিএনপি নেতা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে স্থানীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে করতে না পারলে জাতীয় নির্বাচন কীভাবে সুষ্ঠু হবে। তাই আগামী জাতীয় নির্বাচন নির্দলীয় সরকারের অধীনে হতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান ‘দখলকারী’ শাসনের পতন নিশ্চিত করে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের দলের আন্দোলন সফল হবে।
বিএনপি নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার এত অপকর্ম, নির্যাতন, নিপীড়ন, দুর্নীতি ও লুণ্ঠন করেছে যে এখন ক্ষমতা ছাড়তে ভয় পাচ্ছে। ‘তারা এখন ভয় পায় যে তারা ক্ষমতা হারানোর পরে জনগণের ক্রোধ এড়াতে পারবে না কারণ জনগণ তাদের ক্ষমা করবে না।’
আরও পড়ুন: ফের প্রধানমন্ত্রীকে ‘হত্যার হুমকি’: সিরাজগঞ্জে বিএনপি নেতার স্লোগানের ভিডিওতে আ.লীগের নিন্দা
১ বছর আগে
আওয়ামী লীগ আজকে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে ভয় পায়: মঈন খান
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, মুখে যত কথাই বলুক তাদের অন্তরে জানা হয়ে গেছে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
সেটা জানে বলেই তারা আজকে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে ভয় পায়।
আরও পড়ুন: বিএনপি রাজপথে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে: মঈন খান
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের ১৭ কোটি জনগণের জন্য যদি এতই ভালো কাজ করে থাকে তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে এত ভয় কেন?
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে তাঁতী দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুল মঈন খান বলেন, অনেকেই বলেন আপনারা এত বড় রাজনৈতিক দল। কেন নির্বাচনে যাবেন না। নির্বাচনে না গেলে কীভাবে ক্ষমতায় যাবেন।
এছাড়া ছোট্ট একটি উত্তর দিচ্ছি-বিএনপি কোনো দিন বলে নাই তারা নির্বাচনে যাবে না।
তিনি বলেন, বিএনপি গণতান্ত্রিক দল, গণতন্ত্র বিশ্বাস করে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সরকার পরিবর্তনের একটি মাত্র উপায় রয়েছে সেটি হচ্ছে নির্বাচন।
এছাড়া আমরা নির্বাচন অতীতে করেছি আমরা নির্বাচনে বিশ্বাস করি আমরা নির্বাচন ভবিষ্যতে করব।
তিনি বলেন, আমরা যে নির্বাচনে যাব সেই নির্বাচন হতে হবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। এমন কোনো নির্বাচনে যাব না-যেখানে ফলাফল পূর্ব নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।
এমন কোনো নির্বাচন যে নির্বাচনের চারটি বাটন টিপলে ফলাফল বেরিয়ে আসে।
চারটি বাটন হচ্ছে-ডিসি, ওসি, ইউএনও ও এসপি।
ঢাকা থেকে আওয়ামী লীগ সরকার যখন নির্বাচনের চারটি বাটন চাপ দেয় তখন ফলাফল প্রিন্ট আউট হয়ে বেরিয়ে যায়।
এছাড়া নির্বাচন কী হয়েছে না হয়েছে তার সঙ্গে সে প্রিন্ট আউটের কোনো সম্পর্ক থাকে না। সেই নির্বাচনে বিএনপি কোনোদিন যাবে না।
মঈন খান বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য স্পষ্ট। আমরা এ দেশে জনগণের সরকার চাই। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করার একটি মাত্র উপায় সেটি হচ্ছে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন।
এছাড়া এদেশে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন এই সরকারের অধীনে হবে না।
তাঁতী দলের আহ্বায় আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সরকার ক্ষমতাকে অন্যায় ও অগণতান্ত্রিকভাবে দীর্ঘায়িত করতে চায়: মঈন খান
বিপত্তি ঠেলে সিলেটে শান্তিপূর্ণ গণসমাবেশ হয়েছে : ড. মঈন খান
১ বছর আগে
আ.লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাম্প্রতিক ছয়টি সংসদীয় আসন ও রংপুর সিটি করপোরেশনের উপ-নির্বাচনের পর আ.লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে তা নিয়ে কারও উদ্বেগ প্রকাশ করা উচিত নয়।
তিনি বলেন, এসব প্রমাণ করেছে যে, আওয়ামী লীগের আমলে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়।
বুধবার সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, মাত্র কয়েকদিন আগে ছয়টি উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে যেখানে একটি আসনে জয়ী হয়েছে জাতীয় পার্টি। আরেকটি আসনে সংসদ থেকে পদত্যাগ করা বিএনপির এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ফিরেছেন।
তাছাড়া, আমরা একটি রাশেদ খান মেননের দলে ছেড়ে দিয়েছি যেখানে জাতীয় পার্টির প্রার্থী জয়ী হয়েছিল। আরেকটি হাসানুল হক ইনুর দলকে দেয়া হয়েছিল এবং এই দল বগুড়ায় জয়ী হয়েছে।
আরও পড়ুন: এসডিজি বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, শুধু বগুড়া ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। রংপুরের মেয়র নির্বাচন নিয়ে কেউ অভিযোগ করতে পারেনি। কিন্তু ওই নির্বাচনে জাতীয় পার্টি জিতেছে, আওয়ামী লীগ হেরেছে।
তাই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে তা আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি। আমি আশা করি এরপর (উপনির্বাচন ও মেয়র নির্বাচন) নির্বাচন নিয়ে কেউ কিছু বলার সুযোগ পাবে না।
তিনি উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণের ভোটের অধিকারের জন্য লড়াই করেছে।
তিনি বরেন, আমি মনে করি ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। এছাড়া সরকার নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে, যা একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ ছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই একটি সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বদলে দিয়েছে। যারা আগে ভেবেছিল বাংলাদেশ কখনও মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না তারা ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত’
১৯৭৫ সালের ট্র্যাজেডির (জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যা) পর যারা ক্ষমতা দখল করেছিল তারা এটাই চেয়েছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মর্যাদা বেড়েছে বলেই প্রমাণ করেছে দেশটি পারে। সব এলাকায় ডিজিটাল সেবা চালু করা হচ্ছে এবং এখন জমির কাগজপত্র ঘরে বসেই নেয়া যাবে এবং বাড়ি থেকে যে কোনো বিল পরিশোধ করা যাবে।
তিনি বলেন, সরকার দেশের মানুষের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
জিয়াউর রহমানের আমলের নির্বাচনের কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, জনগণ দেখেছে কিভাবে ১৯৮১ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কারচুপি হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, তার আমলে জেনারেল এরশাদ (জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা) ৪৮ ঘণ্টা গণনা স্থগিত করে নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তন করেছিলেন।
তিনি স্মরণ করেন যে ১৯৯১ সালের নির্বাচনে কোনো দলই এককভাবে সরকার গঠন করতে পারেনি এবং তাই বিএনপি সরকার গঠনে জামায়াতের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল।
আরও পড়ুন: বিরোধীরা আমার ব্যর্থতা খুঁজে পেলে সংশোধন করব: সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের গ্যাস বিক্রি নিয়ে ২০০১ সালে ষড়যন্ত্র হয়েছিল।
তিনি বলেন, তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় বাংলাদেশ মেডিকেল টিম, ওষুধ, শুকনো খাবার পাঠাচ্ছে।
১ বছর আগে
স্বচ্ছ, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় ইসি
নির্বাচন কমিশন (ইসি) স্বচ্ছ, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল৷
বুধবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনোত্তর মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
সিইসি বলেন, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কিছু সংকটের কথা শোনা গেছে। ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণে ধীরগতি হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভবিষ্যতে এমন সমস্যা কোন ভোটে দেখতে চায়না ইসি। তাই সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ নেবে না: আনিসুর রহমান
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ধীরগতির কারণ পর্যালোচনাও করবে কমিশন বলেও জানান তিনি।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ফিঙ্গার প্রিন্টের সমস্যা কম ছিল। তবে নানা কারণে নির্বাচনে ভোট কাস্টিং এ ধীরগতি কম ছিল। ইভিএম এ ভোট সংকট দূর করতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
এর আগে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের নানা বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এতে নির্বাচন কভার করতে যাওয়া সাংবাদিকরা ভোটের দিনের নানা ত্রুটি-বিচ্যুতির কথা ইসিকে অবহিত করেন।
সভায় গণমাধ্যমকর্মীরা রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণের ক্ষেত্রে নিজেদের দেখা অভিজ্ঞতার বিষয়গুলো তুলতে গিয়ে ভোটারদের বাধা দেয়া, ইভিএম ত্রুটি ধরা পড়া, প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের সহযোগিতা না পাওয়ার কথা বলেন।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞ নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, ভোটাররা এখনও অভ্যস্ত হয়ে উঠেনি ইভিএমে। অনেকের হাতের ছাপ না মিলায় রংপুরে ভোটগ্রহণ ধীরগতি হয়েছে। আরও প্রশিক্ষণ প্রয়োজন।
মতবিনিময় সভায় সিইসি ছাড়াও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররা উপস্থিত ছিল।
পাশাপাশি গণমাধ্যমকর্মী, সদ্য সমাপ্ত রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসাররা, নির্বাচন পর্যবেক্ষকরাও অংশ নেন এই সভায়।
আরও পড়ুন: শর্ত পূরণ হলে নিবন্ধন পেতে পারে জামায়াত: নির্বাচন কমিশনার
সিসি ক্যামেরা ব্যবহারে ভোট কেন্দ্রে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে: নির্বাচন কমিশনার
১ বছর আগে
নিরপেক্ষ নির্বাচনের কাঠামো গঠনের পরামর্শ ড. কামালের
গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন দেশের রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে একটি স্বতন্ত্র ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কাঠামো গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, অর্থ ও ক্ষমতার লোভ বর্তমান রাজনীতিকে ভয়াবহ ব্যাধিতে আক্রান্ত করেছে। একটি সুস্থ রাজনীতি এই রোগ দূর করে মানুষের আশা-আকাঙ্খা পূরণ করতে পারে।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে গণফোরামের এক সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল এসব কথা বলেন।
ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি ও মিজানুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে গণফোরামের ১০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটিও ঘোষণা করা হয় এই সংবাদ সম্মেলনে।
আরও পড়ুন: অপকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান ড.কামালের
বেশিরভাগ বিরোধী দলের মতামত উপেক্ষা করে পরবর্তী নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্তকে উদ্বেগজনক লক্ষণ উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতি নিন্দা জানান তিনি।
প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ বলেন, ‘আমরা বর্তমান অনিশ্চয়তার অবস্থাকে চলতে দিতে পারি না। সংকট নিরসনে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কাঠামো গঠনের দাবিতে নাগরিক, সকল নাগরিক সংগঠন, ছাত্র, কর্মী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, শিক্ষক, সাংবাদিক, অন্যান্য পেশাজীবী এবং নারী সংগঠনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।’
ড. কামাল বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ইসির ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারে নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে এবং প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘জাতি ধ্বংস হওয়া নির্বাচনী ব্যবস্থা থেকে মুক্তি চায়। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশকে রক্ষা করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হলে অবশ্যই দেশ ও অর্থনীতিকে বাঁচানো সম্ভব হবে। আসুন একতাবদ্ধ হই, আপনাদের কাছে আমার এই আহ্বান। আসুন জনগণের ঐক্য ও নাগরিক ঐক্য গড়ে তুলি।’
ড. কামাল বলেন, ‘আপনারা নিজ এলাকায় যান এবং স্থানীয় জনগণকে বলুন যে এই দেশটি আমাদের সকলের। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশকে বাঁচাতে হবে। আমি ঐক্যের ওপর জোর দিতে চাই।’
সরকারের অবহেলা থেকে রাষ্ট্রকে বাঁচাতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যে ঐক্যের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি সেই ঐক্যের মাধ্যমেই আমাদের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতির হাত থেকে বাঁচাতে হবে।’
আরও পড়ুন: মোবাইল ব্যাংকিংয়ে মাসিক লেনদেন ১.১১ লাখ কোটি টাকার বেশি
অন্যদেশ থেকে পণ্য কিনে তৃতীয় দেশে রপ্তানি করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা
২ বছর আগে