মুদ্রাস্ফীতি
বিবিএসের জিডিপি ও মুদ্রাস্ফীতির তথ্য নতুন পদ্ধতিতে হালনাগাদে সন্তুষ্ট আইএমএফ
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে (বিবিএস) দেওয়া শর্তাবলী বাস্তবায়নের অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট হয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি প্রতিনিধি দল।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিবিএস কার্যালয়ে বিবিএসের সঙ্গে এক বৈঠকে আইএমএফ দল এ সন্তোষ প্রকাশ করে।
বৈঠকে আইএমএফ গতানুগতিক পদ্ধতির পরিবর্তে মুদ্রাস্ফীতি (ভোক্তা মূল্য সূচক), জিডিপি (গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট) এবং ত্রৈমাসিক জিডিপি সম্পর্কিত হালনাগাদ তথ্য জানতে চায়।
বৈঠকে এসব বিষয়ে আইএমএফকে অবহিত করেছে বিবিএস।
সূত্র জানায়, আইএমএফ প্রতিনিধিদল স্বাধীনতার পর গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিক তথ্যও চেয়েছে।
বিবিএসের মহাপরিচালক মতিয়ার রহমান ইউএনবিকে বলেন, আইএমএফ মুদ্রাস্ফীতির নতুন পদ্ধতিতে যাওয়ার অগ্রগতি জানতে চায়।
তিনি বলেন, ‘আমরা যেভাবে মুদ্রাস্ফীতি গণনা করি তা আর এভাবে করা হয় না, এটি পরিবর্তিত হচ্ছে। প্রায় ৯৫ শতাংশ দেশ আইএমএফের মিশ্র পদ্ধতি ব্যবহার করে মুদ্রাস্ফীতি পরিমাপ করে, বাংলাদেশ নতুন পদ্ধতি অনুসরণ করবে।’
আরও পড়ুন: আইএমএফ-বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈঠক: সমন্বিত এক্সচেঞ্জ রেট ও প্রতিযোগিতামূলক ঋণের হারকে অগ্রাধিকার
নতুন মূল্যস্ফীতিতে খাদ্যপণ্যের দাম হবে ১৫৩টির পরিবর্তে ২৬৩টি। পণ্য ৭২০টি। তারা (আইএমএফ দল) বিষয়টির অগ্রগতি জেনে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে জানান বিবিএস মহাপরিচালক ।
বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশই তাদের জিডিপি পরিসংখ্যান ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে প্রকাশ করে। বাংলাদেশ বছরে একবার করে। নিম্নমুখী হলে প্রকৃত জিডিপি প্রকাশ করতে দেড় থেকে দুই বছর সময় নেওয়ার উদাহরণও রয়েছে দেশে। আবার বিবিএসের যে কাজগুলো করার কথা তা অনেক সময় অর্থ মন্ত্রণালয় করে থাকে।
ত্রৈমাসিক জিডিপি প্রসঙ্গে মতিয়ার বলেন, সরকার বছরে চারবার জিডিপির তথ্য প্রকাশ করবে। তবে এটি ২০২৪ ক্যালেন্ডার বছর থেকে শুরু হবে। তথ্য-উপাত্তের কাজ এগিয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কিছুটা স্বস্তির জন্য আইএমএফের ঋণ নিয়েছে বাংলাদেশ: আইএমএফের এমডিকে প্রধানমন্ত্রী
কর কমাতে মুদ্রাস্ফীতি কমার জন্য অপেক্ষা করতে হবে: ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী
ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী জেরেমি হান্ট বলেছেন, কর কমানোর চেয়ে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা আরও গুরুত্বপূর্ণ।
শুক্রবার ব্যবসায়ী এবং ভোটারদের তাৎক্ষণিক কর বন্ধের জন্য শাসক রক্ষণশীল পার্টির কিছু লোকের আহ্বানকে প্রত্যাখ্যান করে তিনি এ কথা বলেন।
লন্ডনে এক বক্তব্যে চ্যান্সেলর অব দ্য এক্সচেকার জেরেমি হান্ট বলেন, ‘বর্তমানে সেরা কর কমানো হলো মুদ্রাস্ফীতি কমানো।’
যুক্তরাজ্যের বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির হার অক্টোবরে চার দশকের সর্বোচ্চ ১১ দশমিক এক শতাংশে পৌঁছেছে। যা জীবনযাত্রার খরচ-সঙ্কট এবং ক্রমবর্ধমান খাদ্য ও জ্বালানির দামের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের ধর্মঘটে নামিয়েছে। এরপর থেকে এটি হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু এখনও ডিসেম্বরে একটি কষ্টদায়ক সাড়ে ১০ শতাংশতে পৌঁছেছে এবং ১৯৮০ সালের পর এটি সর্বোচ্চ।
প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক মূল্যস্ফীতির হার বছরের শেষ নাগাদ ওই স্তর থেকে অর্ধেকে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
হান্ট বলেছেন, তিনি ব্রিটেনকে একটি কম করের অর্থনীতির দেশ বানাতে চান। তবে ‘অস্থির বাজার এবং উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির মধ্যেই অর্থনীতিতে প্রথমে ভালো পর্যায়ে আসতে হবে’। গত মার্চ এ দেয়া তার বার্ষিক বাজেট বিবৃতিতে তিনি কর মওকুফ করবেন না বলে একটি ইঙ্গিত দেন।
বিশ্বজুড়ে অন্যদের মতো যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিও মহামারির বিধিনিষেধ এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের ধাক্কায় বিপর্যস্ত। ব্রিটেনও গত বছর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে লিজ ট্রাসের সংক্ষিপ্ত মেয়াদের স্ব-প্ররোচিত ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। বিলিয়ন বিলিয়ন অর্থবিহীন ট্যাক্স কাটছাঁটের পরিকল্পনার কারণে তিনি অক্টোবরে পদত্যাগ করেন। আর্থিক বাজারকে ক্ষতির মধ্যে ফেলে ঋণ নেয়ার খরচ বাড়িয়ে দেয় এবং ডলারের বিপরীতে পাউন্ডের দাম রেকর্ড পরিমাণ কমে যায়।
হান্টকে ট্রাসের সাত সপ্তাহের মেয়াদের শেষ দিনগুলোতে অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার জন্য নিযুক্ত করা হয়েছিল এবং তার উত্তরসূরি সুনাক তাকে রেখেছিলেন।
মুদ্রাস্ফীতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরো মুদ্রা ব্যবহারকারী ২০টি দেশের তুলনায় বেশি। বেশিরভাগ পূর্বাভাসক ২০২৩ সালের প্রথমার্ধে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি সংকুচিত হবে বলে আশা করছেন।
নিউজ এজেন্সি ব্লুমবার্গের সদর দপ্তরে তার বক্তব্যে হান্ট যুক্তি দিয়েছিলেন যে আর্থিক বিধি এবং অন্যান্য নিয়মের পরিবর্তনগুলো ব্রেক্সিট দ্বারা সম্ভব হবে এবং যুক্তরাজ্যের একগুঁয়ে কম উৎপাদনশীলতার হারকে বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করবে।
ব্রিটেন আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার তিন বছর এবং বিভক্ত হওয়ার দুই বছরেরও বেশি সময় পরে রক্ষণশীল সরকার এখনও ব্রেক্সিটপন্থী রাজনীতিবিদদের প্রতিশ্রুত অনেক অর্থনৈতিক সুবিধা প্রদানের জন্য সংগ্রাম করছে।
আরও পড়ুন: সিটবেল্ট ব্যবহার না করায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে জরিমানা
বেশিরভাগ অর্থনীতিবিদ একমত যে ব্রেক্সিট ইইউ-এর ২৭-দেশের সঙ্গে বাণিজ্য করা যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ব্যবসার জন্য কঠিন করে দিয়ে অর্থনীতিকে জটিল করেছে।
ডিজিটাল প্রযুক্তি, সবুজ শক্তি এবং জীবন বিজ্ঞানের নেতা হান্ট বলেছিলেন যে পরিবর্তনগুলো ‘প্রয়োজনীয়, শক্তিশালী এবং ব্রেক্সিট’ ব্রিটেনকে ‘বিশ্বের পরবর্তী সিলিকন ভ্যালি’ বানাতে সাহায্য করবে।
হান্ট বলেছিলেন যে ব্রিটেন দ্বিতীয় স্বাবলম্বি দেশ হবে। ইইউ’র একটি নিয়ম যা নির্ধারণ করে যে বীমাকারীদের কত টাকা রিজার্ভ রাখতে হবে। হান্ট বলেছেন যে বিধিনিষেধ শিথিল করা বড় অবকাঠামো এবং নিরাপদ জ্বালানি প্রকল্পের জন্য এক দশক ধরে ১০০ বিলিয়ন পাউন্ড(১২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলা) বিনিয়োগ উন্মুক্ত করতে পারে।
ব্যবসায়িক গোষ্ঠীগুলো হান্টের বক্তব্যে স্বাগত জানিয়েছে, তবে তারা বলেছে যে এর সুনির্দিষ্টতার ঘাটতি রয়েছে। ব্রিটিশ শিল্পের প্রধান টনি ড্যাঙ্কার বলেছেন যে এটি ‘বৃদ্ধির জন্য একটি শক্তিশালী কাঠামো প্রদান করেছে।’ যদিও ব্রিটিশ চেম্বার অব কমার্সের শেভান হ্যাভিল্যান্ড বলেছেন হান্টের দৃষ্টিভঙ্গির ‘বিষয়বস্তু অস্পষ্ট’ ছিল।
বিরোধী লেবার পার্টির অর্থনীতির মুখপাত্র র্যাচেল রিভস বলেছেন, ‘২০১০ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা রক্ষণশীলদের ‘এখন কোনো পরিকল্পনা নেই এবং ভবিষ্যতের জন্য কোন পরিকল্পনা নেই।’
আরও পড়ুন: নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন হিপকিন্স
মুদ্রাস্ফীতি ও বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণে সতর্কতামূলক মুদ্রানীতি বাংলাদেশ ব্যাংকের
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) রবিবার মুদ্রাস্ফীতি এবং বিনিময় হারের ওপর চাপ কমানোর লক্ষ্যে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের জন্য একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ সতর্কতামূলক মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে।
চাহিদার হার ও মুদ্রাস্ফীতি রোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতিগত সুদের হার ০ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং ভোক্তাদের ঋণের হার ১২ শতাংশে উন্নীত করেছে।
নতুন মুদ্রানীতি কাঙ্খিত ৬ দশমিক ৫ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি (জিডিপি প্রবৃদ্ধি) সমর্থন করার জন্য টার্ন লোনের (শিল্প ঋণ) ওপর ৯ শতাংশ সুদের হার জারি রাখে। যা অর্থনীতির উৎপাদনশীল ও কর্মসংস্থানের সুযোগে তহবিলের প্রয়োজনীয় প্রবাহ নিশ্চিত করে।
রবিবার বিকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার নতুন 'মনিটারি পলিসি স্টেটমেন্ট (এমপিএস)' প্রকাশ করেন। ২০২২ সালের ১২ জুলাই গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর এটি তার প্রথম মুদ্রানীতি ঘোষণা।
নীতি ঘোষণা করার সময় গভর্নর বলেছিলেন যে মুদ্রা বাজার প্রবাহ এবং সুদের হার নিয়ন্ত্রণ করে মুদ্রাস্ফীতি রোধ করার লক্ষ্যে মুদ্রানীতি তৈরি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এনপিএল (নন-পারফর্মিং লোন) কমাতে এবং ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে কাজ করবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং কাঙ্খিত প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়ন করে।
আরও পড়ুন: জানুয়ারি থেকে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট থাকবে না: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর
দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় মুদ্রানীতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে দেশীয় ঋণ, অর্থ সরবরাহ, দেশীয় সম্পদ, বিদেশি সম্পদ কতটা বাড়বে বা কমবে তার একটি পরিকল্পনা পেশ করা হয়েছে।
এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল, কাজী সাঈদুর রহমান, আবু ফারাহ মো. নাসের, একেএম সাজেদুর রহমান খান, বিএফআইইউ প্রধান মাসুদ বিশ্বাস, প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. হাবিবুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেসবাউল হকসহ বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চলতি অর্থবছর ২০২২-২৩-এর দ্বিতীয়ার্ধে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহের লক্ষ্যমাত্রা ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগের অর্থবছরে এটি ছিল ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ।
তবে বাজেট ঘাটতির কারণে সরকারি খাতে ঋণের পরিমাণ কমেনি বরং ৩৭ দশমিক ৭০ শতাংশ বেড়েছে।
মূল্যস্ফীতির চাপ কমাতে এবং সেইসঙ্গে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের জন্য ঋণ সরবরাহ নিশ্চিত করতে রেপো রেট বা পলিসি রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে ৬ শতাংশ করা হয়েছে।
এর অর্থ হলো ব্যাংকগুলো জরুরি প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা নিলে তাদের অতিরিক্ত সুদ দিতে হবে।
এছাড়া, রিভার্স রেপোও ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৪ শতাংশ থেকে ৪.২৫ শতাংশ করা হয়েছে। এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকে টাকা রাখলে ব্যাংকগুলো আগের চেয়ে বেশি সুদ পাবে।
এছাড়া অর্থ সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা ১২ দশমিক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১১ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হয়েছে।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৬ শতাংশে রাখতে হবে। কিন্তু গত নভেম্বর শেষে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৮৫ শতাংশে।
বাজেট ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক ঋণ নেবে সরকার। সরকার ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি মেটাতে এক দশমিক ৬ লাখ কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিচ্ছে।
চলতি অর্থবছরে ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এই সংখ্যা ২৯ হাজার ৮৮২ কোটি টাকা বেশি। চলতি অর্থবছরের বাজেটে ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: ঋণ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে আইএমএফ দল
প্রবাসীরা ১০ হাজার ডলারের বেশি কাছে রাখতে পারবেন না: বাংলাদেশ ব্যাংক
মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদহার বাড়াল বাংলাদেশ ব্যাংক
মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদহার বাড়িয়ে পাঁচ দশমিক ৭৫ শতাংশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরআগে যা ছিল ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত মুদ্রানীতি কমিটির (এমপিসি) ৫৬তম সভায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত নেয়।
বিশ্ববাজারে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির মধ্যে বাংলাদেশেও একই অবস্থা দেখা যাচ্ছে।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কমিটি সুদহার বাড়িয়েছে, যা আগামী ২ অক্টোবর (রবিবার) থেকে কার্যকর হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিপরীতে বর্তমান ৪ শতাংশে সুদহার অপরিবর্তিত থাকবে।
আরও পড়ুন: পোশাক শিল্প উন্নয়ন তহবিলে ঋণের সুদের হার কমাল বাংলাদেশ ব্যাংক
মুদ্রানীতির অনুযায়ী মূলত ঋণের প্রাপ্যতা, মুদ্রাস্ফীতি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্বল্প মেয়াদে ব্যাংকগুলোকে অর্থ ধার দেয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে কোভিড-১৯ পতনের পরে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার সত্ত্বেও, বিশ্বব্যাপী চাহিদা এবং সরবরাহের মধ্যে ভারসাম্যহীনতা এখনও বিদ্যমান। কারণ চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সরবরাহ চেইন সমস্যা আরও খারাপ হয়েছে।
এর ফলে ২০২১ সালের শুরু থেকে বিশ্ববাজারে বেশিরভাগ পণ্যের দাম বেড়েছে।
বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নীতিগত সুদের হার বাড়িয়েছে। বৈশ্বিক বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করেছেন যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সরবরাহ শৃঙ্খল বিঘ্নিত হওয়ার কারণে একটি নতুন মন্দা আসছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংক এখনও ভারতীয় রুপিকে বৈদেশিক বাণিজ্যে অনুমতি দেয়নি
প্রবাসীরা ১০ হাজার ডলারের বেশি কাছে রাখতে পারবেন না: বাংলাদেশ ব্যাংক
মূল সুদের হার বাড়াল শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংক
শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ২০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে তাদের মূল সুদের হার সর্বোচ্চ স্তরে উন্নীত করেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশটি সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। খাদ্য, জ্বালানি, গ্যাস এবং ওষুধের মতো প্রয়োজনীয় জিনিসের তীব্র ঘাটতি দেখা দিয়েছে দেশটিতে।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে বলেছেন, জ্বালানি আমদানিতে সাহায্য করতে ক্রেডিট সহায়তা দিতে তিনি রাশিয়ার নেতা ভ্লাদিমির পুতিনকে অনুরোধ জানিয়েছেন।
শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, তারা স্থায়ী আমানতের সুবিধার হার ১০০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ১৪ দশমিক ৫০ শতাংশ করেছে। এই পদক্ষেপটি ব্যাংকিং খাতে আরও তহবিল বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি স্থায়ী ঋণ সুবিধার হারও বাড়িয়েছে।
ব্যাংকটি বলছে, এটি মুদ্রাস্ফীতিকে সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ করতে তাদের মুদ্রানীতি আরও কঠোর করার আশা করছে, যা জুন মাসে প্রায় ৫৫ শতাংশ বেড়েছে, যেখানে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৮০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
আরও পড়ুন: জ্বালানি সংকটে শ্রীলঙ্কায় আরও এক সপ্তাহ স্কুল বন্ধ
গুলিবিদ্ধ শিনজো আবে মারা গেছেন
বাজেটে নিম্ন-মধ্যম আয়ের জনগণের জন্য কোনো সুখবর নেই: সিপিডি
সদ্য ঘোষিত বাজেটে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের জনগণের জন্য কোনো সুখবর নেই বলে মন্তব্য করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতির হার ৬.২৯ শতাংশ (বিবিএস অনুসারে এপ্রিলে) থেকে ৫.৬ শতাংশে নেমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করলে সিপিডি নেতারা এ ব্যাপারে সরকারের সক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, মুদ্রাস্ফীতি ১০ শতাংশের ওপরে পৌঁছেছে।
১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া আসন্ন অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশের ৬ দশমিক ৭৮ ট্রিলিয়ন টাকার জাতীয় বাজেট পেশের একদিন পর শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে সিপিডি এ পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: বাজেট অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে: অর্থমন্ত্রী
সিপিডির মতে, নিম্ন, মধ্যবিত্ত এবং স্থির আয়ের গোষ্ঠীগুলো একটি পরিবার চালানোর জন্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে কেননা মুদ্রাস্ফীতির প্রবণতা বেশি থাকলে পণ্যের দাম কমার সম্ভাবনা নেই।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ডা. ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল, খাদ্যপণ্যসহ সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়ছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করার পর থেকে বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম বাড়ছে।
তিনি বলেন, বাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানোর পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। চাল-ডালসহ ২৯টি পণ্যের দাম কমানোর প্রয়োজন ছিল, কিন্তু তা হয়নি। সিপিডি এক্ষেত্রে কর কমানোর সুপারিশ করেছিল কিন্তু তাও রাখা হয়নি।
ফাহমিদা খাতুন আরও বলেন, অর্থমন্ত্রী অর্থনীতির চ্যালেঞ্জগুলোর কথা উল্লেখ করলেও তিনি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পথ উল্লেখ করেননি।
সিপিডি বলছে, বেসরকারী খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে যা বাজেট ঘাটতি মেটাতে সরকার ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে ঋণ নিলে প্রভাবিত হবে।
এক্সচেঞ্জ রেট ২৩ অর্থবছরে গড়ে প্রতি মার্কিন ডলারের জন্য ৮৬.২ টাকায় পৌঁছাবে বলে বলা হলেও কীভাবে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে তা বাজেটে বলা হয়নি।
কৃষি খাতে এবং খাদ্য উৎপাদনে ভর্তুকি বাড়ানোর জন্য বাজেটের প্রশংসা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২২-২৩: কৃষিযন্ত্রে বিশাল ভর্তুকি
চলতি বছরে তেলের দাম ৪২ শতাংশ বাড়তে পারে: বিশ্বব্যাংক
ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ ব্যাপক খাদ্য ঘাটতি এবং ‘মুদ্রাস্ফীতি’ র সম্ভাব্য ঝুঁকি বৃদ্ধি করবে বলে সর্তক করেছে বিশ্বব্যাংক।
বিশ্বব্যাংক আশঙ্কা করছে, এই বছর তেলের দাম ৪২ শতাংশ বাড়বে এবং অন্যান্য দ্রব্যের দাম প্রায় ১৮ শতাংশ বাড়বে। তবে এটি ২০২৩ সালে তেল এবং অন্যান্য পণ্যের দাম আট শতাংশ হ্রাসের পূর্বাভাস দিয়েছে।
সংস্থাটি ভবিষ্যদ্বাণী করেছে যে এই বছর বিশ্ব অর্থনীতি দুই দশমিক ৯ শতাংশ প্রসারিত হবে। এটি ২০২১ সালে পাঁচ দশমিক সাত শতাংশ বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি থেকে কম হবে এবং ২০২২ সালের জানুয়ারিতে চার দশমিক এক শতাংশ হতে পারে।
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস বলেছেন,‘অনেক দেশের জন্য এ মন্দা এড়ানো কঠিন হবে।’
আরও পড়ুন: দেশে তেলের দাম কমবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
সংস্থাটি ২০২৩-২৪ উভয় বছরের জন্য মাত্র তিন শতাংশ বৈশ্বিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে।
ম্যালপাস সতর্ক করে বলেছেন,সামনের সময়গুলোতে অপুষ্টি ও ক্ষুধা এমনকি দুর্ভিক্ষের তীব্র ঝুঁকি রয়েছে।
উদীয়মান বাজার এবং উন্নয়নশীল অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ২০২১ সালের ৬ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ করা হয়েছে।
ইউরো কারেন্সি ভাগ করা ১৯ ইউরোপীয় দেশ এই বছর প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৫ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে নামিয়ে ২ দশমিক ৫ শতাংশ করেছে। জানুয়ারিতে যাদের লক্ষমাত্রা ছিল ৪ দশমিক ২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে তেলের দাম বেড়েছে: কাদের
বিশ্বব্যাপী দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে সকলকে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও করোনা মহামারির কারণে বিশ্বব্যাপী উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি ও দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে জনগণকে মিতব্যয়ী হওয়ার পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, এটা সত্য জিনিসপত্রের দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে দাম কতটা বাড়বে তা এখনও অনিশ্চিত। এটা শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বে। বরং আমরা এগুলো অন্তত (কিছু পরিমাণে) নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি। আমরা আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।’
মঙ্গলবার ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সভায় সভাপতিত্বও করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, এই যুদ্ধ দ্রুত শেষ হবে বলে মনে হয় না। ‘আমাদের সবাইকে মিতব্যয়ী হতে হবে। আমাদের মনোযোগ দিতে হবে যাতে খাবার কোনোভাবেই নষ্ট না হয়।’
আরও পড়ুন: জনশুমারি শুরুর প্রাক্কালে ১৪ জুন জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, পণ্য পরিবহনের জন্য জাহাজ ভাড়া ৮০০ মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ২৫০০-৩০০০ মার্কিন ডলার হয়েছে।
বেতন বাড়ানোর জন্য তৈরি পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলনের দিকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশি পোশাকের রপ্তানি বাজারে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাসের কঠিন সময়ে এই খাতে কোনো অস্থিরতা তৈরি হলে তারা (শ্রমিকরা) চাকরি হারাতে পারেন।
তিনি বলেন, ‘কারও কথায় কোনো ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি হলে তা শুধু দেশের নয়, শ্রমিকদেরও ক্ষতি করবে। এটা সবাইকে মাথায় রাখতে হবে। আমি মনে করি বিষয়টি শ্রমিক ও তাদের নেতাদের জানানো উচিত।’
তিনি বলেন, শ্রমিক নেতারা কোনো সমস্যায় পড়বে না। কারণ তারা উসকানিদাতাদের কাছ থেকে ভালো পরিমাণ অর্থ পাবে। কিন্তু শ্রমিকদের ভাগ্যে কী হবে? রাস্তায় নামলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আরও পড়ুন: বাড়ি থেকে অনলাইনে বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবা পাবেন গ্রামবাসী: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার বিভিন্ন সময়ে পোশাক শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি করেছে। একজন শ্রমিক এখন মাসে আট হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পান। কিন্তু আগে বেতন ছিল মাত্র এক হাজার ৬০০ টাকা।
১৯৬৬ সালের ৭ জুন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে বাঙালিদের ম্যাগনা কার্টা ছয় দফা দাবির ভিত্তিতে পাকিস্তানিদের অপশাসনের বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন শুরু করেছিলেন।
মুদ্রাস্ফীতি ও অস্থিতিশীল বৈদেশিক মুদ্রার হার প্রধান চ্যালেঞ্জ: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেছেন, করোনা পরবর্তী বর্তমান সময়ে ব্যাংকিং খাত মুদ্রাস্ফীতি এবং অস্থিতিশীল বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হারের বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে।
তিনি বলেন, এসব কারণে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এটি মোকাবিলায় শুধু বাংলাদেশ ব্যাংক নয়, সব সরকারি ও বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংককে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
শনিবার রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে আল-আরাফাহ ইসলামি ব্যাংক বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফজলে কবির এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা আমদানির ওপর বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছি এবং এই মুহূর্তে বিলাসবহুল পণ্য আমদানি থেকে বিরত থাকলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাবে।
আরও পড়ুন: রেমিট্যান্স প্রবাহকে উৎসাহিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ বিধান
ফজলে কবির বলেন, সংকট নিরসনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে আমরা সরাসরি ডলার দিচ্ছি। এটা চলতে থাকবে। এছাড়া খাদ্য, শিশু খাদ্য, সার, জ্বালানি ও বিদ্যুৎসহ প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির সুযোগ দেয়া হয়েছে।যেসব পণ্য খুব প্রয়োজনীয় নয় আমরা সেসব পণ্য আমদানিতে নিরুৎসাহিত করছি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান সেলিম রহমান।
সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচির অধীনে, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক ২০১৯ সালে এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২০০ মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করেছে।
আরও পড়ুন: বিদেশি মুদ্রা পাঠানো ও অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাখ্যা
উচ্চ মূল্যের সরকারি ঋণ অর্থনীতিতে ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করতে পারে: সিপিডি
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)এক সমীক্ষায় বলছে, যদিও বাংলাদেশ সরকারি ঋণের ক্ষেত্রে একটি উপযুক্ত অবস্থানে রয়েছে। তবে অ-উৎপাদনশীল খাতে উচ্চ মূল্যের বৈদেশিক ঋণের ব্যয় বৃদ্ধির কারণে এটি আগামী ২৫ বছরে ভারসাম্যহীন পরিস্থিতির কারণ হতে পারে।
সমীক্ষা অনুসারে,সাম্প্রতিক অতীতে বাহ্যিক উৎস থেকে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রের ঋণ বেড়েছে, যা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে এবং বাণিজ্যের ভারসাম্যহীনতা বৃদ্ধি করবে।
সোমবার ভার্চুয়ালি আয়োজিত ‘ডিকনস্ট্রাকটিং পাবলিক ডেট অব বাংলাদেশ: ট্রেন্ডস, স্ট্যাটাস অ্যান্ড আউটলুক’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এই সমীক্ষা উপস্থাপন করা হয়।
আরও পড়ুন: মহামারি পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারের জন্য বাজেটের বাস্তবসম্মত ব্যয় পরিকল্পনা প্রয়োজন: সিপিডি
সিপিডির বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বাংলাদেশের ঋণের সার্বিক পরিস্থিতি উপস্থাপন করে বলেন, মোট জাতীয় ঋণ মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) চেয়ে দ্রুত হারে বাড়ছে।
তিনি বলেন, ঋণের টাকা অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় করার ব্যাপারে সরকার এখন থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা না নিলে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি চাপের মুখে পড়বে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, যদি জাতীয় ঋণের বর্তমান প্রবণতা অব্যাহত থাকে তাহলে অর্থনীতির বাহ্যিক ভারসাম্যের দুর্বলতা, অর্থ প্রদানের ভারসাম্যের অবনতি, রপ্তানি রাজস্ব, রেমিট্যান্স আয়, এফডিআই, বিদেশে সম্পদের আয়সহ বাহ্যিক আর্থিক প্রবাহে ঘাটতি দেখা যাবে। ফলস্বরূপ, ঋণ খেলাপি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাস, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস, বিনিময় হারের অবমূল্যায়ন, ক্রেডিট রেটিং হ্রাসের মতো পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ )এর তথ্যমতে, বাংলাদেশের মোট সরকারি ঋণ (জিডিপির শতকরা হিসাবে)৩৪ দশমিক ৭ শতাংশ, যা ২০ অর্থবছরে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বনিম্ন ছিল।
আরও পড়ুন: বিশ্ববাজারের তুলনায় বাংলাদেশে খাদ্যের দাম অনেক বেশি: সিপিডি
চলতি মূলধনের ঋণসীমা বাড়াল বাংলাদেশ ব্যাংক