মুদ্রাস্ফীতি
গণতন্ত্রে প্রভাবিত হ্যারিস সমর্থক, আর মুদ্রাস্ফীতি ও অভিবাসনে ট্রাম্প সমর্থকরা
মঙ্গলবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট প্রদানকারী কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভোটারদের কাছে গুরুত্বের বিষয় ছিল সম্পূর্ণরূপে আলাদা। যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান সমস্যাগুলো নিয়ে জাতির মধ্যে একটি বৃহত্তর বিভাজন স্পষ্ট হয়ে উঠে এ নির্বাচনে।
দেশজুড়ে ১ লাখ ১৫,০০০ এরও বেশি ভোটার নিয়ে পরিচালিত জরিপ এপি ভোটকাস্টে দেখা গেছে, গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ হ্যারিসের সমর্থকদের জন্য প্রধান অনুপ্রেরণা। প্রচারের শেষ দিকে ট্রাম্পকে ধারাবাহিকভাবে ফ্যাসিবাদী হিসেবে অভিযুক্ত করেছিলেন হ্যারিস। সেটিই সম্ভবত কার্যকর হয়েছে।
এতে আরও দেখা গেছে, দেশটি নেতিবাচকতা ও পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষায় ডুবে রয়েছে। ট্রাম্পের সমর্থকরা মূলত অভিবাসন ও মুদ্রাস্ফীতির উপর ফোকাস করছিলেন—দুটি সমস্যা যা সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট তার প্রচারণার শুরু থেকেই তুলে ধরেছেন।
ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিদেশি পণ্যে শুল্ক আরোপের। এতে স্থানীয় কারখানার কর্মসংস্থান বাড়বে। একই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ তেল উৎপাদন বাড়িয়ে দাম কমিয়ে আনবে।
সামগ্রিকভাবে, জাতি, শিক্ষা ও সম্প্রদায়ের ধরনের উপর ভিত্তি করে প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের জোটগুলো ২০২০ সালের ফলাফলের সঙ্গে মূলত একই রকম দেখা গেছে।
প্রাথমিক এপি ভোটকাস্টের ফলাফলে দেখা গেছে, কিছু ডেমোগ্রাফিক গোষ্ঠীর মধ্যে পরিবর্তনের ইঙ্গিত রয়েছে, যা চূড়ান্ত ফলাফলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। বিশেষ করে তরুণ, কৃষ্ণাঙ্গ ও হিস্পানিক ভোটারদের মধ্যে।
মূল অগ্রাধিকারের বিষয়ে ভোটারদের পরস্পরবিরোধী দৃষ্টিভঙ্গি লক্ষ করা গেছ। বিশ্বের প্রধান অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তির নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত যিনিই জয়ী হবেন তার জন্য এটি চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে। ভোটাররা একেক প্রার্থীর গুণাবলীকে একেকভাবে দেখেছেন। তারা হ্যারিসের চেয়ে ট্রাম্পকে একজন শক্তিশালী নেতা হিসেবে বর্ণনা করছেন। তবে প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় নৈতিক চরিত্রের অধিকারী হিসেবে হ্যারিসকে এগিয়ে রেখেছেন ভোটাররা।
আরও পড়ুন: শুরুতেই ট্রাম্প এগিয়ে থাকলেও দোদুল্যমাণ রাজ্যগুলোর ফলাফল এখনো ঘোষণা হয়নি
হ্যারিস ও ট্রাম্পের ভোটাররা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে একমত হতে পারেননি।
হ্যারিসের ভোটারদের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ বলেছেন, গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ তাদের ভোটের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। উচ্চ মূল্য, গর্ভপাত নীতি, দেশে বাক স্বাধীনতার ভবিষ্যৎ বা প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সম্ভাবনা- অন্য কোনো বিষয় তার সমর্থকদের জন্য এত বড় বিষয় ছিল না।
অন্যদিকে ট্রাম্পের ভোটাররা অর্থনৈতিক ইস্যু ও অভিবাসন নিয়ে বেশি উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। প্রায় অর্ধেক ভোটার বলেন, উচ্চ মূল্য তাদের নির্বাচনি সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ইস্যু ছিল। যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে এমনটাই বলেছেন অনেকে। ট্রাম্পের মাত্র এক-তৃতীয়াংশ ভোটার বলেছেন, গণতন্ত্র তাদের ভোটের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর।
ট্রাম্পের প্রায় অর্ধেক সমর্থক দেশটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হিসেবে অর্থনীতি ও চাকরির বিষয়কে উল্লেখ করেছেন। প্রায় এক তৃতীয়াংশ জানিয়েছেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হচ্ছে অভিবাসন।
এদিকে, হ্যারিসের সমর্থকরা সেই তুলনায় আরও বিস্তৃত সমস্যা নিয়ে মনোযোগী ছিলেন। প্রায় ৩ জনের মধ্যে একজন অর্থনীতিকে প্রধান সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। প্রায় দুইজনের মধ্যে একজন বলেছেন গর্ভপাত এবং প্রায় ১০ জনের মধ্যে একজন স্বাস্থ্যসেবা অথবা জলবায়ু পরিবর্তনকে প্রধান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
২ সপ্তাহ আগে
মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলায় নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা
মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের জন্য বুধবার(১৭ জানুয়ারি) সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার বলেন, 'কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অগ্রাধিকার হচ্ছে যেকোনো মূল্যে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা। ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি রোধে আরেকটি পদক্ষেপের জন্য আমরা ব্যাংকের বাইরে মুদ্রা প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের নীতি নির্ধারণ করেছি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি মালিকানাধীন শিপিং এবং এয়ারলাইন কোম্পানিগুলো বৈদেশিক মুদ্রা অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে: বিবি
আর্থিক খাতে চলমান চ্যালেঞ্জ বিবেচনায় বাংলাদেশ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস প্রাথমিক ৭ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ করেছে।
মুদ্রানীতির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভোক্তা মূল্য ক্রমাগত উচ্চমাত্রায় থাকায় কর্তৃপক্ষ মুদ্রাস্ফীতির পূর্বাভাস ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত করেছে।
গভর্নর বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক জুনের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি সাড়ে ৭ শতাংশে নামিয়ে আনতে চায়। এ জন্য নতুন মুদ্রানীতিতে সুদের হার ২৫ শতাংশ পয়েন্ট বাড়িয়ে ৮ শতাংশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শুক্র-শনিবার খোলা থাকবে ব্যাংক: বিবি
তিনি বলেন, অর্থ সরবরাহ রোধে আর্থিক লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে জুন মাসে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি ১১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী সুদের হার ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৮ শতাংশ করা হচ্ছে।
এর ফলে অন্য ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যে পরিমাণ অর্থ ঋণ নেবে, তার সুদের হার বাড়বে।
এছাড়া রিভার্স রেপো রেট (বর্তমানে স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি বা এসডিএফ নামে পরিচিত) ন্যূনতম সুদের হার ৭৫ শতাংশ পয়েন্ট বাড়িয়ে ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ করার ইঙ্গিত দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাজারে উদ্বৃত্ত টাকা থাকলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিভার্স রেপোর মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে।
আরও পড়ুন: চিংড়ি-মাছ রপ্তানিতে নগদ সহায়তা দিতে বিবি’র নতুন নীতিমালা জারি
পলিসি ইন্টারেস্ট করিডোরে স্পেশাল রেপো বা স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটি (এসএলএফ) সুদের হারের সীমা ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হয়েছে। এতে ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকটের সময় বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার খরচ কমবে।
চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে (ডিসেম্বর পর্যন্ত) ঘোষিত মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ দশমিক ৯ শতাংশ। কিন্তু মুদ্রাস্ফীতির মতো ঋণ প্রবৃদ্ধির এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। আর গত নভেম্বর পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ শতাংশ কম।
আরও পড়ুন: মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলায় ঋণের সুদের হার বাড়াল বিবি
১০ মাস আগে
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরবর্তী মুদ্রানীতির মূল ফোকাস মুদ্রাস্ফীতি ও বিনিময় হার
মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও বিনিময় হারের চাপ কমাতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের জন্য আগামী বুধবার (১৭ জানুয়ারি) মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রস্তুতির অংশ হিসেবে রবিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বোর্ড সভায় মুদ্রানীতির খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: আইএমএফ ফর্মুলায় ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির পর বাংলাদেশের রিজার্ভ ২০.২৫ বিলিয়ন ডলার: বাংলাদেশ ব্যাংক
বোর্ড সভায় অংশ নেওয়া কর্মকর্তারা ইউএনবিকে বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার বাজার এখনও স্থিতিশীল না হওয়ায় আসন্ন মুদ্রানীতিতে বিনিময় হার প্রকৃত বাজারভিত্তিক হবে না।
সরকারের নীতিনির্ধারকরা ক্রলিং পেগ পদ্ধতি অনুসরণ করে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার নির্দেশনা দেন।
আরও পড়ুন: রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে ৯০ দিনের ঋণ দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক
আর্থিক নীতিবিবরণী প্রণয়নের সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘ক্রলিং পেগগুলো মুদ্রার গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে, বিশেষত যখন অবমূল্যায়নের হুমকি থাকে। পেগ ক্রলিং এর উদ্দেশ্য হচ্ছে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা।’
মুদ্রানীতি ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের উপর গুরুত্বারোপ করবে। এটি গত আট মাস ধরে একটি আলোচিত ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্টাফবাসে আগুন
মুদ্রানীতি কমিটিতে রয়েছেন অর্থনীতিবিদ ও পিআরআইয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ড. সাদিক আহমেদ, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক বিনায়ক সেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান মাসুদা ইয়াসমিন।
১০ মাস আগে
মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলায় ঋণের সুদের হার বাড়াল বিবি
মুদ্রাস্ফীতির ক্রমবর্ধমান প্রবণতা নিয়ন্ত্রণে ঋণের সুদের হার ৫০ পয়েন্ট বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধান ও নীতি বিভাগ (বিআরপিডি) এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।
ব্যাংকগুলোর ঋণের হার ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ১০ দশমিক ২০ শতাংশ থেকে ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
যে পদ্ধতির ভিত্তিতে এখন ঋণের সুদের হার নির্ধারণ করা হচ্ছে, তা 'স্মার্ট' বা ট্রেজারি বিলের ছয় মাসের চলমান গড় হার নামে পরিচিত। কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি মাসের শুরুতে এই হার জানিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: এমএফএস’র ২১৭২৫ অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছে বিএফআইইউ
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক সাংবাদিকদের বলেন, ব্যাংকগুলো এখন রেফারেন্স লেন্ডিং রেটের সঙ্গে সাড়ে ৩ শতাংশ যোগ করতে পারবে, যা ৭ দশমিক ২০ শতাংশের স্মার্ট রেট নামেও পরিচিত।
প্রি-শিপমেন্ট রফতানি ঋণের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো স্মার্টের সঙ্গে আড়াই শতাংশ যোগ করতে পারে, যা আগে ছিল ২ শতাংশ।
মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলায় পলিসি রেট (রেপো রেট) ৭৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানোর পর ঋণের হার বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রার পরিসংখ্যান মিলছে না: অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো সেপ্টেম্বরের 'স্মার্ট' রেটের সঙ্গে সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ শতাংশ হারে মার্জিন বা সুদ যোগ করে অক্টোবর মাসে ঋণ দিতে পারবে।
চলতি মাসে বড় ঋণের ক্ষেত্রে ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ সুদ নেওয়া যাবে। প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানি ঋণের সুদের হার হবে ৯ দশমিক ৭০ শতাংশ। কৃষি ও পল্লী ঋণের ক্ষেত্রে আগের মতোই সর্বোচ্চ সুদ নেওয়া যাবে ৯ দশমিক ২০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রিজার্ভ-সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা পর্যালোচনা করছে আইএমএফ
১ বছর আগে
পলিসি রেট ৭৫ পয়েন্ট বাড়িয়ে ৭.২৫ শতাংশ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক বুধবার পলিসি রেট ৬ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ৭৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ করেছে।
বুধবার (৪ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত মুদ্রানীতি কমিটির ৬০তম বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাতারাতি রেপো পলিসির সুদের হার বিদ্যমান ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে ৭৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ করা হয়েছে।
এছাড়া পলিসি ইন্টারেস্ট করিডোর ক্যাপ স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটি (এসএসএফ) হার বিদ্যমান ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে ৭৫ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং পলিসি ইন্টারেস্ট করিডোর ফ্লোর স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি (এসডিএফ) হার বিদ্যমান ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে ৭৫ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। পয়েন্ট বাড়িয়ে তা পুনঃনির্ধারণ করা হয় ৫ দশমিক ২৫ শতাংশে।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: শিগগিরই এসক্রো বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক
১৪-১৮ বছর বয়সী নাগরিকরা এনআইডি ছাড়াই এমএফএস অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে: বাংলাদেশ ব্যাংক
১ বছর আগে
ভূ-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও মুদ্রাস্ফীতি ও ডলার সংকট স্বাভাবিক করতে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক
মার্কিন ডলার সংকট ও উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে সৃষ্ট অর্থনীতির ওপর চাপ কমাতে আশাবাদ নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থনীতি সম্পর্কিত একটি ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে এমন পর্যবেক্ষণের ওপর জোর দিয়েছে। এতে বলা হয়, চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এবং আর্থিক খাতের অস্থিতিশীলতার কারণে পণ্যের দাম বৃদ্ধি ও সরবরাহ ব্যাহত হওয়াসহ বহিরাগত প্রভাবের কারণে অর্থনীতি চাপের মধ্যে রয়েছে।
বিষয়টি ভূ-রাজনৈতিক সংঘাতের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং পরিস্থিতি রাতারাতি সমাধান হবে না। সুতরাং, ব্যাংক এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভবিষ্যতের আর্থিক পরিকল্পনায় সতর্ক থাকতে হবে, যেমনটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি তিন মাসে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির হালনাগাদ তথ্যসহ এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংক ৯% সুদের হার তুলে নিয়ে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো ভূ-রাজনৈতিক সংঘাতের চাপে পড়েছে। এর নেতিবাচক প্রভাব এখনো অর্থনীতিতে পড়েনি। কিন্তু অর্থনীতি চাপের মধ্যে রয়েছে। এক্ষেত্রে সতর্কতার সঙ্গে পদক্ষেপ নিতে হবে।
অর্থনীতির একটি বড় অংশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের বেশির ভাগই আসে এসব অঞ্চল থেকে। রপ্তানির প্রায় ৮২ শতাংশ যায় এসব দেশে।
অন্যদিকে, আমদানির ৭২ শতাংশ আসে ভারত ও চীন থেকে। এখন সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আসছে আমেরিকা থেকে। বর্তমানে যে ভূ-রাজনৈতিক সংঘাত দেখা দিয়েছে তাতে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ভূ-রাজনৈতিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের মতবিরোধ সামনে এসেছে। এই দুই দেশের ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ খুবই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
এছাড়া, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কঠোর সমালোচনা করছে। বাংলাদেশ এর সমালোচনা মানতে রাজি নয়, যদিও বলা হয় যে বাংলাদেশ সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার দিকে মনোনিবেশ করছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি নীতি এমনভাবে সাজানো হয়েছে যে গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় প্রায় ১২ শতাংশ কমেছে।
আরও পড়ুন: গরুর হাটে জাল নোট শনাক্তে ব্যাংকগুলোকে বুথ বসাতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া কিছু বিধিনিষেধ ও সাম্প্রতিক ভিসা নীতিমালার কারণে যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্স আকারে বাংলাদেশিদের অর্থ দেশে আসছে এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে হঠাৎ করে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ববাজারে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়ার নেতিবাচক প্রভাব বাংলাদেশ এরই মধ্যে মোকাবিলা করছে। এর প্রভাব এখনও আছে।
যুদ্ধের প্রভাবে সৃষ্ট বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এখনো বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আঘাত হানছে। আর্থিক খাতে অস্থিতিশীলতা ছিল। এখন তা সহজ হতে শুরু করেছে। ব্যাংকগুলোতে তারল্য সরবরাহ বাড়ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক আশাবাদ ব্যক্ত করেছে যে আগামী দিনগুলোতে এই পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংক রেট ক্যাপসহ 'বাজারভিত্তিক' ডলারের বিনিময় হার চালু করেছে
১ বছর আগে
মুদ্রাস্ফীতি রোধে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ঘোষণা
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) সুদের হারের সীমা তুলে নিয়ে এবং মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ওবিনিময় হার স্থিতিশীল করতে অগ্রাধিকার দিয়ে অর্থবছর ২০২৪ -এর জুলাই-ডিসেম্বরের জন্য একটি কঠোর মুদ্রানীতি বিবৃতি (এমপিএস) ঘোষণা করেছে।
রবিবার বিকাল ৩টায় জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে এক সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন।
প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. মোঃ হাবিবুর রহমান সামষ্টিক অর্থনীতির সঙ্গে প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে নতুন এমপিএসের ওপর একটি উপস্থাপনা দেন।
গভর্নর বলেন, ‘বিবি বিনিয়োগে সহায়ক এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে মূল্যস্ফীতির হারকে কাঙিক্ষত পর্যায়ে নামিয়ে আনতে একটি সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি গ্রহণ করেছে।’
বিবি গভর্নর বলেন, অর্থ প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ ও খরচ কমাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অবশেষে চলতি বছরের জুলাই থেকে পলিসি রেট (রেপো রেট) ০.৫ শতাংশ বাড়ানোর পাশাপাশি ঋণের সুদের হারের সীমা বর্তমান ৬শতাংশ থেকে তুলে নিয়েছে।
রউফ বলেন, যদিও এটি একটি সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি, কেন্দ্রীয় ব্যাংক খাদ্য উৎপাদন ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে কৃষি ও গ্রামীণ ঋণের জন্য অর্থ প্রবাহ নিশ্চিত করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ২০২৩-২৪ সালে অর্থনীতির সব খাতে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছে: প্রতিবেদন
সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে এবং চাহিদা কমাতে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য এই ব্যবস্থাগুলো সাধারণত গৃহীত হয়। আমানতের ওপর ৬ শতাংশ এবং ঋণের (আমানত-ঋণ) ওপর ৯ শতাংশ সুদের হারের ক্যাপ শেষ হয়েছে। এটি একটি বাজার-চালিত স্মার্ট রেফারেন্স রেট দিয়ে প্রতিস্থাপিত হবে, যা হবে গড় ট্রেজারি বিলের হার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে।
মুদ্রানীতিতে গৃহীত স্মার্ট রেট সূত্র অনুযায়ী, রেফারেন্স রেট গণনা করা হবে ট্রেজারি বিলের ছয় মাসের চলমান গড় হার হিসাবে ব্যাঙ্কগুলির জন্য ৩ শতাংশ এবং নন-ব্যাঙ্ক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ৫ শতাংশ মার্জিন সহ।
বর্তমানে, ৬ মাসের ট্রেজারি বিলের হার দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ১০ শতাংশ, তাই ব্যাংক ঋণের জন্য সর্বোচ্চ ঋণের হার হবে ১০ শতাংশ প্লাস এবং এনবিএফআইগুলোর জন্য ১২ শতাংশ প্লাস।
আরও পড়ুন: ডলারের আন্তঃব্যাংক বিনিময় হার লাফিয়ে বেড়ে ১০৯ টাকায় পৌঁছেছে
গভর্নর আবদুর রউফ বলেন, মুদ্রানীতি ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সুদের হারের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, যা বাহ্যিক প্রভাবে তৈরি হয়েছিল।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্থিতিশীল বিনিময় হার এবং মানসম্মত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এই মুদ্রানীতির চ্যালেঞ্জ।
এমপিএস অর্থবছর ২৩-এর ১৪ শতাংশ থেকে ২০২৪ অর্থবছরে ১১ শতাংশ বেসরকারি খাতের ঋণ বৃদ্ধির অনুমান করেছে এবং সরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ৩৭ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ডেপুটি গভর্নর, নির্বাহী পরিচালকসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংক ৯% সুদের হার তুলে নিয়ে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে
১ বছর আগে
উচ্চাভিলাষী জিডিপি ও মুদ্রাস্ফীতির অনুমান, বাজেট বাস্তবায়নে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে: সিপিডি
থিঙ্ক ট্যাঙ্ক দ্য সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) শুক্রবার তার বাজেট-পরবর্তী পর্যালোচনায় বলেছে, প্রস্তাবিত বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতি উভয় ব্যাপারে উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে; বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ সংকটের আলোকে সেগুলো অর্জনের জন্য কোনো বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ না রেখে।
সিপিডি বলেছে, বাজেট কর-জিডিপি অনুপাত বাড়ানোর দিকে মনোনিবেশ করেছে, তবে রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবসম্মত নয়, তাই ঘাটতি অর্থায়নের পরিমাণ শেষ পর্যন্ত বাড়বে।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন গুলশানের একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত বাজেট পরবর্তী পর্যালোচনার নেতৃত্ব দেন এবং কয়েকটি টিভি চ্যানেল তা সরাসরি সম্প্রচার করেন।
তিনি বলেন, বাজেট এমন এক সময়ে পেশ করা হয়েছে যখন বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ব্যক্তিগত ঋণের প্রবৃদ্ধি ১৫ শতাংশে অনুমান করা হয়েছিল, যা ২০২২-২৩ সালে ছিল ১৪ দশমিক ১ শতাংশ। ২০২৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১১ দশমিক ৩ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বাজেট অবাস্তব, এভাবে মূল্যস্ফীতি রোধ করা সম্ভব নয়: সিপিডি
একটি প্রশ্নের উত্তরে সিপিডি’র বিশিষ্ট ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ২০২৩-২৪ সালে রাজস্ব আয় ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রকৃত রাজস্ব অর্জনের তুলনায় প্রায় ৩৯ শতাংশ বাড়াতে হবে। যা ‘একেবারে উচ্চাভিলাষী’ বা বলা যায় অতিউচ্চাভিলাষী। একটি ভুল ধারণার উপর ভিত্তি করে বাজেটের প্রবৃদ্ধি অনুমান করা হয়েছে।
মোস্তাফিজ বাজেটের আলোকে আর্থিক নীতি এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মতো একটি মুদ্রানীতির আশা করেছেন।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বাজেটে কৌশলগতভাবে পুঁজিবাজার উন্নয়ন নীতিকে এড়িয়ে গেছে, যা এ ধরনের উন্নয়নশীল অর্থনীতির জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।
তিনি আরও বলেন, ‘একটি বাস্তবসম্মত ও টেকসই পুঁজিবাজার প্রতিষ্ঠা ছাড়া বিনিয়োগের অর্থায়ন বাড়তে পারে না, সরকারি প্রণোদনাভিত্তিক পুঁজিবাজার নতুন বিনিয়োগে ভূমিকা রাখতে পারে না।’
সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, বহিরাগত অর্থ বকেয়া বা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের বিষয়ে কোনো উল্লেখ পাওয়া যায়নি।
সিপিডি প্রক্ষেপণে বলা হয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা বর্তমান বাজেট অর্জনের তুলনায় প্রায় ৩৯ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা হবে এবং ১ দশমিক ৪২ লাখ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ৭৫ হাজার কোটি টাকার কম রাজস্বে বাড়বে বাজেট ঘাটতি: সিপিডি
সম্পত্তি কর থেকে ৬ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত কর আদায় করা যাবে: সিপিডি
১ বছর আগে
মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, চলতি হিসাবের ভারসাম্য বাড়ানো এবং বৈদেশিক মুদ্রার হার স্থিতিশীল করা প্রধান চ্যালেঞ্জ: অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল বলেছেন, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, চলতি হিসাবের ভারসাম্য উন্নয়ন এবং বৈদেশিক মুদ্রার হার স্থিতিশীল করা দেশের অর্থনীতির প্রধান চ্যালেঞ্জ।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট উন্মোচনকালে তিনি বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে, আমাদের বর্তমান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা, চলতি হিসাবের ভারসাম্য পরিস্থিতির উন্নতি করা এবং বৈদেশিক মুদ্রার হার স্থিতিশীল করা।’
তিনি বলেন, ‘আগামী দিনে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে টেকসই উত্তরণ এবং উত্তরণ-পরবর্তী বাস্তবতা মোকাবিলার কৌশলগুলো এখনই নির্ধারণ করা দরকার। বিশেষ করে শুল্ক যৌক্তিককরণ, রাজস্ব ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ, ভর্তুকি/নগদ সহায়তা প্রত্যাহার বা বিকল্প অন্বেষণ ইত্যাদি এখন বিবেচনা করা উচিত।
তিনি উল্লেখ করেন, সামাজিক নিরাপত্তা ব্যয় মেটাতে এবং প্রয়োজনীয় উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদের ব্যবস্থা করার জন্য জিডিপির শতাংশ হিসাবে রাজস্বের পর্যাপ্ত প্রবৃদ্ধি, সরকারি ব্যয়ের কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করা এবং দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় অর্থায়ন সহজতর করা এবং দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা উচিত।
আরও পড়ুন: শিগগিরই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের উন্নতি হবে: বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রীর আশাবাদ
তিনি বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশের রূপরেখা সম্পর্কে আপনাদেরকে ইতোমধ্যেই জানানো হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশের রূপরেখা মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার জন্য আমরা একটি কৌশল প্রণয়ন করছি।
বাজেট বক্তৃতার সঙ্গে থাকে মধ্যমেয়াদী নীতি কৌশল সম্বলিত ‘মধ্যমেয়াদী সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতি (এমটিএমপিএস)’।
তিনি বলেন, এই নীতি বিবৃতি আমাদের সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জগুলোকে বিবেচনা করে মধ্যমেয়াদী সামষ্টিক অর্থনৈতিক উদ্দেশ্যগুলোকে ব্যাখা করে।
আরও পড়ুন: বাজেটে দাম বাড়ানো ও কমানো হয়েছে যেসব পণ্যের
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য তরুণ ও নারীদের প্রস্তুত করতে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ
১ বছর আগে
বিবিএসের জিডিপি ও মুদ্রাস্ফীতির তথ্য নতুন পদ্ধতিতে হালনাগাদে সন্তুষ্ট আইএমএফ
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে (বিবিএস) দেওয়া শর্তাবলী বাস্তবায়নের অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট হয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি প্রতিনিধি দল।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিবিএস কার্যালয়ে বিবিএসের সঙ্গে এক বৈঠকে আইএমএফ দল এ সন্তোষ প্রকাশ করে।
বৈঠকে আইএমএফ গতানুগতিক পদ্ধতির পরিবর্তে মুদ্রাস্ফীতি (ভোক্তা মূল্য সূচক), জিডিপি (গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট) এবং ত্রৈমাসিক জিডিপি সম্পর্কিত হালনাগাদ তথ্য জানতে চায়।
বৈঠকে এসব বিষয়ে আইএমএফকে অবহিত করেছে বিবিএস।
সূত্র জানায়, আইএমএফ প্রতিনিধিদল স্বাধীনতার পর গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিক তথ্যও চেয়েছে।
বিবিএসের মহাপরিচালক মতিয়ার রহমান ইউএনবিকে বলেন, আইএমএফ মুদ্রাস্ফীতির নতুন পদ্ধতিতে যাওয়ার অগ্রগতি জানতে চায়।
তিনি বলেন, ‘আমরা যেভাবে মুদ্রাস্ফীতি গণনা করি তা আর এভাবে করা হয় না, এটি পরিবর্তিত হচ্ছে। প্রায় ৯৫ শতাংশ দেশ আইএমএফের মিশ্র পদ্ধতি ব্যবহার করে মুদ্রাস্ফীতি পরিমাপ করে, বাংলাদেশ নতুন পদ্ধতি অনুসরণ করবে।’
আরও পড়ুন: আইএমএফ-বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈঠক: সমন্বিত এক্সচেঞ্জ রেট ও প্রতিযোগিতামূলক ঋণের হারকে অগ্রাধিকার
নতুন মূল্যস্ফীতিতে খাদ্যপণ্যের দাম হবে ১৫৩টির পরিবর্তে ২৬৩টি। পণ্য ৭২০টি। তারা (আইএমএফ দল) বিষয়টির অগ্রগতি জেনে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে জানান বিবিএস মহাপরিচালক ।
বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশই তাদের জিডিপি পরিসংখ্যান ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে প্রকাশ করে। বাংলাদেশ বছরে একবার করে। নিম্নমুখী হলে প্রকৃত জিডিপি প্রকাশ করতে দেড় থেকে দুই বছর সময় নেওয়ার উদাহরণও রয়েছে দেশে। আবার বিবিএসের যে কাজগুলো করার কথা তা অনেক সময় অর্থ মন্ত্রণালয় করে থাকে।
ত্রৈমাসিক জিডিপি প্রসঙ্গে মতিয়ার বলেন, সরকার বছরে চারবার জিডিপির তথ্য প্রকাশ করবে। তবে এটি ২০২৪ ক্যালেন্ডার বছর থেকে শুরু হবে। তথ্য-উপাত্তের কাজ এগিয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কিছুটা স্বস্তির জন্য আইএমএফের ঋণ নিয়েছে বাংলাদেশ: আইএমএফের এমডিকে প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে