মজুরি
আমেরিকা প্রতি ঘণ্টার মজুরি বাড়ালে আমরা সে পথ অবলম্বন করব: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে চাই। এই অগ্রযাত্রার জন্যই দেশের মান-ইজ্জত অনেক বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সিলেটে নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো সংঘাত চাই না। আমরা শান্তি ও স্থিতিশীলতা চাই এবং গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে চাই।’
সিলেট-১ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা মোমেন বলেন, গত ১৫ বছরে দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে এবং সেই উন্নয়ন নিরবচ্ছিন্ন থাকা দরকার।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও মানবতা প্রতিষ্ঠার জন্য এই দেশের মানুষ তাদের জীবন উৎসর্গ করেছে।
আরও পড়ুন: কোনো সমস্যায় জড়াতে চাই না: যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মন্তব্য সম্পর্কে মোমেন
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, বিএনপি একটি ভুল করেছে এবং রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য তাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়া উচিৎ ছিল।
২৮ অক্টোবর থেকে পুলিশ সদস্য হত্যা এবং সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তিতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা একটি সুযোগ হারিয়েছে এবং গ্রহণযোগ্যতাও হারিয়েছে।’
বিএনপির নেতৃত্ব ও পরিপক্কতার অভাব রয়েছে উল্লেখ করে মোমেন বলেন, রাজনীতি জনগণ ও দেশের কল্যাণের জন্য, তাদের ধ্বংসের জন্য নয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে জনগণ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে ভোটকেন্দ্রে আসবে।
অনেক শিক্ষিত মানুষ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভোটারদের উপস্থিতি বাড়াতে আমরা সর্বত্র যাব।’
মোমেন বলেন, ‘আমি তাদের ভোট দিতে আসার জন্য অনুরোধ করব। আমি তাদেরকে আমাকে ভোট দিতে বলব না… তারা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন। আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও সংঘাতবিহীন নির্বাচন চাই। পৃথিবীকে আমরা আদর্শ দেখাতে চাই।’
সম্প্রতি আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের (এএএফএ) প্রেসিডেন্ট ও সিইও স্টিফেন লামারকে চিঠি দিয়ে মার্কিন কংগ্রেসের ৮ সদস্য বলেছেন, তারা মনে করেন বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের জন্য নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি যথেষ্ট নয়। এ বিষয়ে মোমেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। তারা একটা কাজ করতে পারে। নিউ ইয়র্কে প্রতি ঘণ্টায় মজুরি ১৫ ডলার। যদি তারা বাড়িয়ে ৪৫ ডলার করতে পারে ও আদর্শ তৈরি করে, তখন আমরাও তাদের পথ অবলম্বন করব। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে আমেরিকার মানুষ কষ্ট পাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: বহির্বিশ্বের চাপ নেই, আমরা আমাদের নিজেদের চাপের মধ্যে আছি: মোমেন
নতুন মজুরি ডিসেম্বর থেকেই বাস্তবায়ন করবে পোশাক শিল্প
সরকারের গঠন করা মজুরি বোর্ড ঘোষিত নতুন মজুরি কাঠামো চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকেই বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
তিনি বলেন, আমরা গত ৩১ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দিয়েছিলাম, সরকার নতুন যে বেতনকাঠামো ঘোষণা করবে, আমরা পোশাক শিল্পের সব উদ্যোক্তা সেটিই মেনে নেব, শিল্পে যত প্রতিকূলতাই থাকুক না কেন। আমরা ঘোষিত মজুরি মেনে নিয়েছি। যত কষ্টই হোক, এই মজুরি বাস্তবায়ন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। নতুন মজুরি কাঠামো আগামী ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
চলমান শ্রমিক বিক্ষোভের মধ্যে বুধবার (৮ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) নূন্যতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা ঘোষণা করেছে সরকার গঠিত ন্যূনতম মজুরি বোর্ড। ঘোষিত নতুন মজুরি কাঠামোতে শ্রমিকদের দাবি অনুযায়ী ৭টি গ্রেডের জায়গায় ৫টি গ্রেড করা হয়েছে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, নতুন মজুরি কাঠামো অনুযায়ী মজুরি ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। অনেক উদ্যোক্তার জন্য এই মজুরি দেওয়াই কঠিন হবে। এছাড়াও প্রতি বছর ৫ শতাংশ হারে মজুরি বাড়ানো বহাল রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা পোশাক রপ্তানিতে প্রভাব ফেলবে না: বিজিএমইএ
নূন্যতম মজুরি বোর্ড নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণা করার পর বেশ কিছু কারখানায় শ্রমিকদের ধর্মঘট ও কারখানা ভাঙচুর করায় দুঃখও প্রকাশ করেন বিজিএমইএ সভাপতি।
শিল্পের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় ও ক্রেতাদের আস্থা বিনষ্ট হয়- এমন কাজ না করতেও শ্রমিকদের প্রতি অনুরোধ করেন তিনি।
দেশ ও শিল্পের স্বার্থে এবং কর্মসংস্থানকে সুরক্ষিত রাখতে শ্রমিকরা বৃহস্পতিবার থেকে কারখানায় কাজ করবেন বলে আশা করছেন ফারুক হাসান।
আরও পড়ুন: নতুন ডিসিটিএস স্কিম যুক্তরাজ্যের সঙ্গে শক্তিশালী বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদারিত্ব তৈরি করতে পারে: বিজিএমইএ সভাপতি
সিলেটে দৈনিক ৫০০ টাকা মজুরির দাবিতে চা বাগান শ্রমিকদের বিক্ষোভ
প্রকাশিত সরকারি প্রজ্ঞাপন বাতিল করে দৈনিক মজুরি ৫০০ টাকা নির্ধারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে চা বাগানের শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার সিলেটের আমতলায় এই বিক্ষোভ করে চা শ্রমিকরা।
চলতি আগস্টের ১০ তারিখ সরকারের প্রকাশিত একটি প্রজ্ঞাপনের প্রতিবাদে তারা এই বিক্ষোভ করেন। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি এবং সুবিধাগুলোর মধ্যে ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
চা শ্রমিকদের ১০-দফা বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটির সমন্বয়ক এসএম শুভ বলেন, সরকারি প্রজ্ঞাপনে চা-শ্রমিকের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে বাগান মালিকের স্বার্থ রক্ষা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চা শ্রমিকদের ধর্মঘট অব্যাহত, মৌলভীবাজারে সড়ক অবরোধ
তিনি অবিলম্বে বিদ্যমান প্রজ্ঞাপন বাতিল করে দৈনিক মজুরি ৫০০ টাকা নির্ধারণ করে নতুন প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানান।
কমিটি জানিয়ে দেয় যে এই দাবিগুলো যদি সুরাহা না হয়, অন্যথায় চা-শ্রমিকরা আন্দোলনের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন বাতিল করতে সরকারকে বাধ্য করবে।
কমিটির আহ্বায়ক সবুজ তাঁতী তার বক্তব্যে বলেন, চা-শ্রমিকদের স্বার্থের পরিবর্তে সরকার আজ মালিকের স্বার্থ রক্ষা করছেন। চা-শ্রমিকদের পিঠ আজ দেয়ালে ঠেকে গেছে। বাঁচতে হলে চা-শ্রমিকের আজ লড়াই করেই বাঁচতে হবে। আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমেই চা-শ্রমিকদের অধিকার আদায় করে নিতে হবে।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল সিলেট সদর উপজেলা কার্যালয়ের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
আরও পড়ুন: কাজে ফিরেছেন চা শ্রমিকরা
সেখানে কমিটি সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে শ্রমমন্ত্রীর কাছে একটি স্মারকলিপি পেশ করে।
১০-দফা বাস্তাবায়ন সংগ্রাম কমিটির উপদেষ্টা- শ্রীবাস মাহালি, সমন্বয়কারী এস এম শুভ, বুরজান চা কারখানার পঞ্চায়েত সভাপতি বিলাস ব্যানার্জি এবং খাদিম চা সহ চা শ্রমিক সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা সমাবেশে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
র্যালিতে অন্যান্য ব্যক্তিদের অংশগ্রহণ করেন বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমল নায়েক, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আতাউর রহমান শামীম, শিক্ষক বিকাশ বাউরি, বুরজান চা কারখানা পঞ্চায়েত কমিটির কোষাধ্যক্ষ সুশান্ত চাষা, পাশাপাশি চা শ্রমিক নেতা অনিতা বসাক, কুমকুম, নায়েক, ও মধু ভূমিজ।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে ৭ দফা দাবিতে চা শ্রমিকদের মানববন্ধন
বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর দাবি
বিড়ি শিল্পের শ্রমিকরা তাদের মজুরি বৃদ্ধি এবং বিড়ি কারখানায় ৬ দিনের কর্ম সপ্তাহের ব্যবস্থা রাখার দাবি জানিয়েছেন।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মে দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন আয়োজিত সমাবেশ থেকে তারা এ দাবি জানান।
বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক শামীম ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সম্পাদক হারিক হোসেন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তারা বিড়ি শিল্পে শ্রমিকদের সুরক্ষার জন্য একটি আইন, ২০২৩-২০২৪ সালের বাজেটে বিড়ির ওপর বিদ্যমান শুল্ক হ্রাস এবং শিল্পটিকে বাঁচাতে বিড়ির ওপর ১০ শতাংশ অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা জানান, দেশের লাখ লাখ শ্রমিক শ্রমনির্ভর বিড়ি শিল্পে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে।
কিন্তু বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির ষড়যন্ত্রে এই ঐতিহ্যবাহী দেশীয় শিল্প ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তারা।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ড: ৭০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি দোকান মালিক সমিতির
ডিএসএ বাতিলের দাবি জানিয়েছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলো
ঈদের আগেই বিজিএমইএ আওতাধীন কারখানার মার্চ মাসের মজুরি পরিশোধ: বিজিএমইএ
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) আওতাধীন দুই হাজার ১৫১টি কারখানার সবকটিই ২০২৩ সালের মার্চ মাসের মজুরি পরিশোধ করেছে।
এর মধ্যে দুই হাজার ১৪৫টি কারখানায় (৯৯ দশমিক ৭২ শতাংশ) উৎসব বোনাস দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিএমইএ।
বাকি ছয়টি কারখানায় গতকালকের মধ্যে বোনাস পরিশোধের কাজ শেষ করার কথা ছিল।
এদিকে এক হাজার ৭৬৮টি কারখানা (৮২ দশমিক ১৯ শতাংশ) এপ্রিল মাসের অগ্রিম বেতন দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বৃদ্ধাশ্রমে ইফতার কর্মসূচির বাজেটে দান করবে বিজিএমইএ
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বিভিন্ন প্রতিকূলতা সত্ত্বেও শ্রমিকদের বেতন দিয়ে ঈদুল ফিতরের আনন্দ নিশ্চিত করার প্রচেষ্টার জন্য পোশাক শিল্পের সকল উদ্যোক্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
বিজিএমইএ জানিয়েছে, তারা প্রায় ৪৫০টি পোশাক কারখানাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণের আওতায় এনেছে, যারা তাদের শ্রমিকদের বেতন দিতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারে এবং তাদের সমস্যা সমাধানে সহায়তা করেছে।
ঈদের ছুটি প্রসঙ্গে বিজিএমইএ জানায়, সরকার ও ব্যবসায়ী সংগঠনের অনুরোধে পোশাক মালিকরা পর্যায়ক্রমে ঈদ উপলক্ষে শ্রমিকদের ছুটি দেওয়া শুরু করেছেন, যা ১৬ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে।
ফারুক হাসান ছুটির দিনে ব্যাংক খোলা রাখা এবং তৈরি পোশাক কারখানায় বেতন-বোনাস প্রদানের ব্যবস্থা করায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের ধন্যবাদ জানান।
তিনি বাস, ট্রেন ও লঞ্চে যাতে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী বহন করতে না পারে সেজন্য নজরদারি বাড়ানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান এবং ঈদযাত্রায় অপ্রীতিকর দুর্ঘটনা এড়াতে ট্রাকে যাতে যাত্রী পরিবহন না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান।
তিনি পোশাক শ্রমিকরা যাতে আনন্দের সঙ্গে ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে সহযোগিতা করার জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, নৌপরিবহন মন্ত্রী, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা, শ্রমিক নেতৃবৃন্দ এবং সাংবাদিকদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে হাইকমিশনের সহায়তা চায় বিজিএমইএ
পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবি ‘যৌক্তিক’: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির প্রেক্ষাপটে পোশাক শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির দাবি যৌক্তিক।
মুন্সী বলেন, ‘একটি মজুরি কমিশন গঠন করা এবং শ্রমিকদের জীবনযাত্রার ব্যয়,পণ্যের দাম,উৎপাদন ব্যয়ের সামগ্রিক দিকগুলোর ওপর একটি সমীক্ষা করা প্রয়োজন।’
শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের ১৬তম দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, শ্রমিক ও মালিকদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় পোশাক খাত আজ বর্তমান অবস্থায় পৌঁছেছে। তাই শ্রমিক ও মালিক উভয়ের স্বার্থ নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘এ জন্য শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরির পাশাপাশি পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা প্রয়োজন। শিল্পকে টিকিয়ে রাখার জন্য এই দুটি জিনিস খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
মন্ত্রী বলেন, শ্রম আইন অনুযায়ী একটি শ্রমিক সংগঠন গড়ে তুলতে হবে। ‘শ্রমিক সংগঠন ও নেতা উভয়কেই শিক্ষিত ও দায়িত্বশীল হতে হবে।’
টিপু মুনশী সবাইকে সংগঠনের স্বার্থে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন,‘কোম্পানি টিকে না থাকলে শ্রমিক বা মালিক কেউই বাঁচবে না।’
আরও পড়ুন: এলডিসি থেকে বেরিয়ে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা চায় বাংলাদেশ: ডব্লিউটিও’র এমসি-১২তে বাণিজ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, সরকার শ্রমিক ও মালিকদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখবে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির শক্ত ভিত্তির জন্য শ্রমিকদের অবদান অনেক।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় এক কোটি তালিকাভুক্ত পরিবার ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে তেল, মসুর ডাল ও চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু পণ্য কিনছে।
টিসিবির বিক্রয় কার্যক্রমে চালও যোগ করার চেষ্টা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ এতে উপকৃত হচ্ছেন।
ওই তালিকায় পোশাক শ্রমিকদের একটি অংশকে অন্তর্ভূক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
পোশাক শিল্পের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দায়িত্বশীল হতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক: চা-শ্রমিকদের মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ
দেশের ১৬৭টি চা বাগানের চা-শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে সোমবার থেকে চা শ্রমিকদের কাজে যোগ দেয়ার অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে চা-বাগান মালিকদের বৈঠকের পর গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস।
তিনি জানান, শনিবার বিকালে চা শ্রমিকদের চলমান আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এস শাহ আলমের নেতৃত্বে ১৩ জন মালিককে নিয়ে বৈঠকে এ সিন্ধান্ত হয়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শিগগিরই চা শ্রমিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে আলোচনা করবেন।
আরও পড়ুন: ‘প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে চা শ্রমিকদের ধর্মঘট স্থগিত, প্রত্যাহার নয়’
শুক্রবার রাতে গণমাধ্যমে খবর প্রচারিত হওয়ার পর বাংলাদেশ চা শ্রমিকদের ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বালিশিরা ভ্যালির সভাপতি বিজয় হাজরা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আমরা সাধারণ চা শ্রমিকরা প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে একমত ও খুশি। তাই সোমবার থেকে আমরা কাজে ফিরছি।
সাতগাঁও চা বাগানের পঞ্চায়েত সাধারণ সম্পাদক সুদিপ কৈরী বলেন, আপাতত আমরা মিছিল ও মিটিং করছি না, বরং প্রধানমন্ত্রী যে রায় দিয়েছেন মেনে নিলাম।
উল্লেখ্য, স্থানীয় প্রশাসন ও মালিকপক্ষের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকের পরও চা-শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির বিষয়টি সমাধান হয়নি। ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে ৯ আগস্ট থেকে চার দিন দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি ও পরে ১৩ আগস্ট থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট পালন করে আসছিল চা-শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: চা শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার, আগের মজুরিতেই ফিরছেন কাজে
মধ্যরাতে সিদ্ধান্ত বদল, চা শ্রমিকদের ধর্মঘট অব্যাহত
মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে শনিবার চা বাগান মালিকদের সঙ্গে বসবেন প্রধানমন্ত্রী
দেশের ১৬৭টি চা বাগানের শ্রমিকদের মজুরি ১২০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা করার দাবিতে শুক্রবার ১৮তম দিনের মতো অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট অব্যাহত থাকায় শনিবার চা বাগান মালিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দেওরাছড়া চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি সুবোদ কুর্মি বলেন, শ্রমিকরা আজ কাজে যোগ দেননি, তবে তারা কোনো বিক্ষোভ দেখায়নি।
আরও পড়ুন: মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে সিলেটে ২৩ চা বাগানে কর্মবিরতি পালন
তিনি বলেন, শুক্রবার জেলার ৯২টি বাগানে পঞ্চায়েত কমিটি নিজ নিজ বাগানের নাচঘরে বৈঠকে বসবেন। ওই বৈঠকে মজুরি ও পরবর্তী শ্রমিক আন্দোলনের বিষয়ে আলোচনা হবে।
চা শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার, আগের মজুরিতেই ফিরছেন কাজে
ধর্মঘট প্রত্যাহার করে পূর্বের ১২০ টাকা মজুরিতেই কাজে ফিরছেন চা শ্রমিকরা। সোমবার থেকেই তারা কাজে যোগ দেবেন।
রবিবার রাতে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের সাথে শ্রমিক নেতাদের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠকে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে কাজে ফেরার সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে চা শ্রমিক ইউনিয়নের অর্থ-সম্পাদক পরেশ কালিন্দি বলেন, আপাতত আমরা পূর্বের মজুরিতেই কাজে যোগ দেব। তবে দ্রুততম সময়ে প্রধানমন্ত্রী আমাদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে আলাপ করে নতুন মজুরি নির্ধারণ করবেন। আর ধর্মঘট চলাকালীন ১০ দিনের মজুরিসহ সকল সুবিধাদি মালিকপক্ষ প্রদান করবে।
তবে শ্রমিক নেতাদের এমন সিদ্ধান্তে সাধারণ শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা আজ বৈঠক করে করণীয় নির্ধারণ করবেন বলে জানা গেছে।
জানা যায়, রবিবার রাতে নিজ কার্যালয়ে চা-শ্রমিক নেতাদের নিয়ে বসেন মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান। এ সময় চা- শ্রমিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠকে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, বিভাগীয় শ্রম দপ্তর উপ-পরিচালক মো. নাহিদুল ইসলাম, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে জেলা প্রশাসকের প্যাডে একটি যৌথ বিবৃতি দেয়া হয়। এতে উল্লেখ করা হয়- প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা রেখে তার সম্মানে বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়ন তাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে ২২ আগস্ট থেকে কাজে যোগদান করবেন। আপাতত চলমান মজুরি অর্থাৎ ১২০ টাকা হারেই শ্রমিকরা কাজে যোগদান করবেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স পরবর্তীতে মজুরির বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর সদয় বিবেচনার পর চূড়ান্তভাবে নির্ধারিত হবে।
আরও পড়ুন : মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে কাল থেকে চা শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট
৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে চা শ্রমিকরা
মধ্যরাতে সিদ্ধান্ত বদল, চা শ্রমিকদের ধর্মঘট অব্যাহত
দফায় দফায় সিদ্ধান্ত বদল করে ধর্মঘট অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন চা শ্রমিক নেতারা। ৩০০ টাকা মজুরির দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
শনিবার (২০ আগস্ট) মধ্যরাতে এক ভিডিও বার্তায় আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়ে চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল বলেন, শনিবার বিকালে শ্রম অধিদপ্তরের সাথে আমরা বৈঠকে বসি। সেখানে আমাদের মজুরি ২৫ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হয় এবং প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর শেষে ফিরে আমাদের সাথে বসবেন জানিয়ে আমাদের ধর্মঘট প্রত্যাহারের অনুরোধ করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সম্মান জানিয়ে ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেই। তবে আমি কোনো চুক্তিতে স্বাক্ষর করিনি।
তিনি বলেন, বৈঠক শেষে বেরিয়ে আমি সাধারণ চা শ্রমিকদের ক্ষোভ আঁচ করতে পারি। তারা ২৫ টাকা মজুরি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যেতে চান। আমরাও তাদের সাথে একমত। তাই আমি আমার আগের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
এর আগে বিকালে শ্রম অধিদপ্তরের সাথে বৈঠক শেষে বেরিয়ে নিপেন পাল বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে আমরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করছি। আমাদের মজুরি ২৫ টাকা বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর থেকে এসে আমাদের সাথে বসবেন বলে জানিয়েছেন। সেখানে আমাদের দাবি-দাওয়া তাঁকে জানানো হবে। তাই তাঁর আশ্বাসে আমরা আপাতত ধর্মঘট প্রত্যাহার করছি। রবিবার থেকে সব শ্রমিকরা কাজে যোগ দেবে।
দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা উন্নীতের দাবিতে গত ১৩ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেন চা শ্রমিকরা। ধর্মঘটের ৮ দিনের মাথায় শনিবার দুপুরে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের কার্যালয়ে শ্রম অধিপ্তর ও সরকারের প্রতিনিধির সাথে বৈঠকে বসেন চা শ্রমিক নেতারা।
পড়ুন: ‘প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে চা শ্রমিকদের ধর্মঘট স্থগিত, প্রত্যাহার নয়’
বৈঠক শেষে শ্রমিক নেতারা ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানানোর পরই ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাধারণ চা শ্রমিকরা। এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। তারা ২৫ টাকা মজুরি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দেন। এসময় নেতাদের বিরুদ্ধেও বিষেদগার করেন শ্রমিকরা।
অন্দোলন নিয়ে এই বিভক্তির প্রেক্ষিতে শনিবার রাতে সিলেট ভ্যালির চা শ্রমিক নেতাদের নিয়ে নিজ কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান।
বৈঠক শেষে রাত ১১ টায় চা শ্রমিক ইউনিয়নের সিলেট ভ্যালির সভাপতি রাজু গোয়ালা বলেন, আমরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করিনি। প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠক পর্যন্ত স্থগিত করেছি। প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর থেকে ফিরে আমাদের সাথে বসবেন বলে জানিয়েছেন। তাঁর সম্মানে আমরা ততদিন পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
রাজু গোয়ালা আরও বলেন, আমাদের মজুরি মাত্র ২৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এতে আমরা কেউই সন্তুষ্ট না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী যেহেতু আশ্বাস দিয়েছেন, ভারত থেকে ফিরে আগামী মাসে আমাদের সাথে বসবেন। আমাদের দাবি দাওয়া শুনবেন তাই আমরা তাঁর প্রতি সম্মান জানিয়ে ধর্মঘট আপাতত স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশা করি, প্রধানমন্ত্র্রী আমাদের দাবি দাওয়া শুনে একটি গ্রহণযোগ্য সমাধানের উদ্যোগ নেবেন।
রাজু বলেন, সারাদেশের কথা জানি না। তবে আমাদের সিলেট ভ্যালির ২৩ বাগানের শ্রমিকরা আন্দোলন স্থগিত করতে সম্মত হয়েছে। এখন আমরা আবার সব বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সাথে বসবো।
রবিবার থেকে শ্রমিকরা যথারীতি কাজে যোগ দেবে বলেও সেসময় জানান রাজু।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমানও জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সম্মান দেখিয়ে রবিবার থেকে চা শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে সম্মত হয়েছে।
তবে এর কিছুক্ষণ পরই নিজের মত পরিবর্তন করেন এই চা শ্রমিক নেতা। রাত ১টার দিকে ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে রাজু লিখেন, সিলেট ডিসি অফিসে মিটিং চলাকালীন সময়ে আমি কেন্দ্রীয় কমিটির পরিবর্তনকৃত সিদ্ধান্ত অবগত ছিলাম না। সিলেট ভ্যালি কার্যকরী পরিষদ বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়ন বি ৭৭ এর প্রত্যেকটি সিদ্ধান্তের সাথে ছিল, আছে, থাকবে। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে রাজু গোয়ালা বলেন, আমাদের আন্দোলন চলবে।
এরপর রবিবার সকাল থেকে ধর্মঘট শুরু করেন তারা।
মাত্র ২৫ টাকা মজুরি বাড়ানোতে শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ জানিয়ে চা শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের সভাপতি রিতেশ মোদী বলেন, শ্রমিকরা এই সমঝোতা মানে না। তারা আন্দোলন চালিয়ে যেতে চায়। আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে কাল থেকে চা শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট
চা শ্রমিকদের মজুরি ২০১৯ সালেই বৃদ্ধি করা উচিৎ ছিল: গবেষক আশ্রাফুল