মিডিয়া
ইসরাইলি সেনার গুলিতে ফিলিস্তিনি কিশোরের মৃত্যুর অভিযোগ
ইসরাইলি সেনারা অধিকৃত পশ্চিম তীরে এক ফিলিস্তিনি কিশোরকে গুলি করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে, শনিবার ভোরে অধিকৃত পশ্চিম তীরে সংঘর্ষ শুরু হলে ওই কিশোরের মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর কাছ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
মন্ত্রণালয় মৃত কিশোরকে আমজাদ আল-ফাইয়েদ (১৭) হিসেবে শনাক্ত করেছে।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় অনির্দিষ্টকালের জন্য স্কুল বন্ধ ঘোষণা
এছাড়া মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ইসরাইলিদের বন্দুকের গুলিতে আহত ১৮ বছর বয়সী আরেক কিশোর গুরুতর আহত হয়েছে। তবে আল-ফাইয়েদ কীভাবে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার নয়।
এর আগে ১১ মে আল-জাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ ওঠে ইসরাইলের বিরুদ্ধে।
ইসরাইল বলেছে, তারা পশ্চিম তীর ও ইসরাইলে সাম্প্রতিক মারাত্মক হামলার পরিকল্পনাকারী জঙ্গি এবং পরিকল্পনাকারীদের আটক করতে ‘সন্ত্রাস-বিরোধী কার্যক্রম’ চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভারতে লবণ কারখানার দেয়াল ধসে ১২ জনের মৃত্যু
২ বছর আগে
‘আস্থার ঘাটতি দূর করে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে চাই’
নির্বাচন কমিশন তাদের ওপর আস্থার ঘাটতি দূর করে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে চায় বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিন বলেছেন, ‘আস্থার সংকট দূর করে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আমরা আপনাদের (মিডিয়া ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ) সঙ্গে সংলাপের ব্যবস্থা করেছি। আমরা আস্থার সংকট দূর করে পক্ষপাতদুষ্টতার ঊর্ধ্বে নির্বাচন করতে চাই।’
সোমবার নগরীর আগারগাঁও এলাকার নির্বাচন ভবনে গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্যে সিইসি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহ্বান নতুন সিইসি’র
হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাদের মতামত নিবো এবং তা পর্যালোচনা করব। সংলাপের মতামত নিয়েই আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরি করা হবে।’
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে গঠিত সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন তিন দফায় শিক্ষাবিদ, সুশীল সমাজের সদস্য এবং প্রিন্ট মিডিয়ার সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন।
আরও পড়ুন: নতুন সিইসি কট্টর আ’লীগ সমর্থক: বিএনপি
২ বছর আগে
মিডিয়া সেশনে জিটি ২ প্রো এবং ১৫০ ওয়াট দ্রুত চার্জিংয়ের জিটি নিও ৩ প্রদর্শন করলো রিয়েলমি
দেশের তরুণদের পছন্দের স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি তাদের দুটি প্রিমিয়াম ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন - রিয়েলমি জিটি ২ প্রো উন্মোচন করে এবং গণউৎপাদিত স্মার্টফোনের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত চার্জিং ১৫০ ওয়াটের জিটি নিও ৩ এর চার্জিং প্রযুক্তি প্রদর্শন করেছে। সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বার্সেলোনায় অনুষ্ঠিত মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে (এমডাব্লিউসি) এই দুইটি স্মার্টফোনের দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা তুলে ধরার জন্য একটি মিডিয়া সেশনের আয়োজন করে রিয়েলমি।
মিডিয়া সেশন চলাকালীন, সম্মানিত সাংবাদিকদের রিয়েলমি জিটি নিও ৩ এবং সবচেয়ে প্রিমিয়াম ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন রিয়েলমি জিটি ২ প্রো -এর লিপ-ফরওয়ার্ড পারফরম্যান্সের অভিজ্ঞতা নেয়ার সুযোগ দেয়া হয়। ইতোমধ্যে গণউৎপাদন শুরু হয়ে যাওয়া এই স্মার্টফোনটিতে আছে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির ১৫০ ওয়াট চার্জিং।
গণউৎপাদন শুরু হয়ে যাওয়া বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির ১৫০ ওয়াট চার্জিং ক্ষমতাসম্পন্ন রিয়েলমি জিটি নিও ৩ স্মার্টফোনটিতে ০-৫০ শতাংশ চার্জ দেয়া যাবে মাত্র ৫ মিনিটে। এই আল্ট্রা ডার্ট চার্জিং আর্কিটেকচার (ইউডিসিএ) আপনার স্মার্টফোনের ব্যাটারিকে আরও সুরক্ষিত রাখে এবং ব্যাটারি লাইফ পারফর্মেন্স বৃদ্ধি করে, পাশাপাশি আপনার স্মার্টফোন থাকবে নিরাপদ।
আরও পড়ুন: রিয়েলমি ৯ আই: ৩৩ ওয়াট ডার্ট চার্জিং এবং স্ন্যাপড্রাগন ৬৮০ প্রসেসরের সেরা পারফর্মার
২ বছর আগে
মিরপুরে খালে পড়ে নিখোঁজ ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার
রাজধানীর মিরপুর ১২ নম্বরের কালসি এলাকায় সুয়ারেজ লাইনের খালে পড়ে নিখোঁজ ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে।
নিখোঁজের ছয় ঘন্টা পর বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল তাকে উদ্ধার করে। এরপর তাকে পল্লবী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স সদরদপ্তরের মিডিয়া সেলের স্টেশন অফিসার মো. রায়হান জানান, সকাল ৯টায় কালসি এলাকার সুয়ারেজ লাইনের একটি ড্রেনে পড়ে ৪০ বছর বয়সী এক পুরুষ নিখোঁজ হয়েছেন। এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ডুবুরি ইউনিট উদ্ধার কাজ চালায়।
আরও পড়ুন: প্রথমবারের মতো দিয়াবাড়ি থেকে মিরপুর পর্যন্ত চললো মেট্রো রেল
৩ বছর আগে
শিগগিরই তৈরি হবে আইপি টিভি রেজিস্ট্রেশন নির্দেশিকা: তথ্যমন্ত্রী
খুব শিগগিরই আইপি টিভির রেজিস্ট্রেশন দেয়া হবে এবং তার আগে নির্দেশিকা তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।আইপি টিভিকে নিউ মিডিয়ার একটি মাধ্যম হিসেবে বর্ণনা করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই নিউ মিডিয়া আরও বিকশিত হোক। কিন্তু পাশাপাশি এটি যেন কোনোভাবেই ভিন্নভাবে ব্যবহৃত না হয়, আমাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য যাতে সংরক্ষিত হয়। আমাদের নতুন প্রজন্ম এই মাধ্যমকে যেন জীবন গড়ার কাজে লাগাতে পারে, তারা যাতে জীবন গড়ার ক্ষেত্রে আরও প্রত্যয়ী হয়, তাদের মধ্যে দেশপ্রেম, দেশাত্মবোধ, মূল্যবোধ, মমত্ববোধ এগুলো যাতে আরো বিকশিত হয়, যন্ত্র ব্যবহারের সাথে মানুষ যেন যন্ত্র হয়ে না যায়, মানবিকতা টিকে থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রাখা জরুরি। সেই লক্ষ্যে আমরা কতগুলো নির্দেশিকা ঠিক করছি এবং এই খাতটাকে আরও বিকশিত করাই আমাদের উদ্দেশ্য। নিয়মনীতির ভিত্তিতে দেশের প্রয়োজনে এবং ভবিষ্যত প্রজন্ম গড়ার প্রয়োজনে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ঠিকানায় দেশটাকে নিয়ে যাওয়ার স্বার্থে যেন এটি ব্যবহৃত হয়, সে লক্ষ্যেই আমরা এই কাজগুলো করছি।’
আরও পড়ুন: নিউজপোর্টালের শৃঙ্খলায় হাইকোর্টের নির্দেশনা সহায়ক: তথ্যমন্ত্রী
বুধবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ‘আইপি টিভি’র রেজিস্ট্রেশন প্রদান সংক্রান্ত পর্যালোচনায় আন্তমন্ত্রণালয় সভা’য় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন এবং বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন-বিটিআরসি এবং তথ্য অধিদপ্তরের প্রধানদের সাথে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আইপি টিভি’র পাশাপাশি আজকের বৈঠকে ওটিটি প্লাটফর্ম নীতিমালা এবং নিউ মিডিয়ার অন্যান্য মাধ্যমগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ক্রমবিকশমান বহুমুখী এই মাধ্যম নিয়ে আমরা নানা পর্যালোচনা করেছি এবং বৈঠকে আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। খুব সহসা আইপি টিভির রেজিস্ট্রেশন দেয়া হবে, তার আগে নির্দেশিকা তৈরি করা হবে।’
আরও পড়ুন: ৩০ সেপ্টেম্বরের পর দেশে ক্লিন ফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল চলবে না: তথ্যমন্ত্রীড. হাছান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় আজকে বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত হয়েছে। এই ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণাটি আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের কাছ থেকেই এসেছে, যেটি প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যার হাত ধরে বাস্তবায়িত হয়েছে। এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের দেশে বহুমুখী সম্প্রচার কার্যক্রম হচ্ছে। আগে সম্প্রচার শুধুমাত্র রেডিও-টেলিভিশনের মাধ্যমে হতো। এখন নিউ মিডিয়ার মাধ্যমে সম্প্রচার হচ্ছে।’তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে আইপি টিভি রেজিস্ট্রেশন দেয়ার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছি, ছয়শ’র মতো আবেদন জমা পড়েছে। আমরা যাচাই বাছাই করে রেজিস্ট্রেশন দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছি এবং অনেকগুলোর বাছাই কাজ সম্পন্ন হয়েছে। রেজিস্ট্রেশন দেয়ার আগে একটি নির্দেশিকা অর্থাৎ রেজিস্ট্রেশন শর্তাবলী নির্ধারণ করার লক্ষ্যেই আমাদের আজকের বৈঠক। এই বিষয়টি যদিওবা আমরা দেখভাল করছি, কিন্তু এই বিষয়টির সাথে অন্যান্য মন্ত্রণালয়গুলো যুক্ত, বিশেষ করে টেলিকম ও আইসিটি।’
আরও পড়ুন: কোনো সাংবাদিক অহেতুক হয়রানির শিকার হবেন না: তথ্যমন্ত্রীতথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক সম্প্রসারণের যুগে এখন বিনোদন, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ প্রত্যেকটির মাধ্যমগুলো পরিবর্তন হয়েছে। এক সময় যা শুধু ইলেক্ট্রনিক বা প্রচলিত প্রিন্ট মিডিয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল, এখন নতুন নতুন মাধ্যম যেমন সোশ্যাল মিডিয়া, ইন্টারনেট প্রটোকল টেলিভিশন ও রেডিও, ওভার দি টপ (ওটিটি) প্লাটফর্ম, ভিডিও স্ট্রিমিং, ভিডিও অন ডিমান্ড এরকম অসংখ্য নতুন প্রযুক্তিনির্ভর সম্প্রচার মাধ্যম তৈরি হয়েছে।’এই নতুন সম্প্রচার মাধ্যমগুলো দেশে বিকশিত হোক, আমাদের তরুণরা, শিল্পী, সাহিত্যিক, সংস্কৃতিমনা, প্রযুক্তিবিদরা এর উদ্যোক্তা হোক সেটা আমরা চাই উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ‘পাশাপাশি বাংলাদেশের শিল্প, সাহিত্য-সংস্কৃতি, ধর্মীয় অনুভূতি এগুলো যেন সংরক্ষিত থাকে, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং আমাদের সামাজিক মূল্যবোধ যেন আঘাতপ্রাপ্ত না হয় এবং আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যাতে বিকৃত সংস্কৃতি বা বিকৃত বিনোদনে উৎসাহিত না হয়, সেজন্য সময়ের দাবি যে আইপি টিভি এবং আইপি রেডিও’র একটি নির্দেশিকা প্রয়োজন।তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মিজান-উল-আলম ও খাদিজা বেগম, তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য অফিসার মো. শাহেনুর মিয়া, বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. রফিকুল মতিন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. আবদুস সাত্তার সরকার, বিটিআরসি পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল রেজা, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রুজিনা বেগম, আইন কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান গাজী প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।সাংবাদিক নেতারা সঙ্গে তথ্যমন্ত্রীর বৈঠকএর আগে সাংবাদিক সংগঠনের নেতাদের সাথে বৈঠক করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সচিবালয়ে তার দপ্তরে বৈঠকে মিলিত হন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব মো. আব্দুল মজিদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি-ডিআরইউ সভাপতি মুরসালীন নোমানী, সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খান।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসাব তলবে উদ্বেগের কারণ নেই: তথ্যমন্ত্রীবৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাংবাদিকরা আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসাব তলব নিয়ে কেউ যেন পানি ঘোলা না করতে পারে এবং সরকারের সাথে সাংবাদিকদের হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক নষ্ট করতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এতে কোনোভাবেই ভুলবুঝাবুঝির অবকাশ নেই। আমি তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে বিষয়টা দেখছি।’
৩ বছর আগে
প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়ায় ‘বঙ্গবন্ধু মিডিয়া সেন্টার’ উদ্বোধন
ভারতের নয়াদিল্লিতে প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়ায় ‘বঙ্গবন্ধু মিডিয়া সেন্টার’ উদ্বোধন করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে নয়াদিল্লির রাইসানা রোডের প্রেসক্লাব অব ইন্ডিয়ার দ্বিতীয় তলায় সোমবার দুপুরে এই সেন্টার উদ্বোধন করেন ভারত সফররত তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান।
আরও পড়ুন: পাঞ্জাবের বিশ্ববিদ্যালয়ে হচ্ছে বঙ্গবন্ধু কর্নার
এসময় তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুই দেশের সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। এই সুসম্পর্ককে এগিয়ে নিতে দুই দেশের জনগণের মধ্যে আরও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের জন্য আমাদের উদ্যোগ নিতে হবে। প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়ায় ‘বঙ্গবন্ধু মিডিয়া সেন্টার’ নি:সন্দেহে এক্ষেত্রে একটি মাইলফলক।প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়ার সভাপতি উমাকান্ত লাখেরার সভাপতিত্বে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান, প্রেস মিনিস্টার শাবান মাহমুদ, বাংলাদেশের জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়ার সাবেক সভাপতি গৌতম লাহিড়ী এবং সংস্থার সাধারণ সম্পাদক বিনয় কুমার অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধনপ্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়া এবং নয়াদিল্লিস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের যৌথ উদ্যোগে গড়ে তোলা আধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তি সম্বলিত ‘বঙ্গবন্ধু মিডিয়া সেন্টার’ এ একটি গ্রন্থাগার এবং প্রজেকশন হল রয়েছে। কর্নারের রক্ষণাবেক্ষণে দুই সংস্থার মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষরিত হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু কর্নারের বই কেনায় জালিয়াতি: স্বাধীন তদন্তের নির্দেশএর আগে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ নয়াদিল্লির রাজ ঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় মন্ত্রী পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন এবং সমাধি চত্বর ঘুরে দেখেন। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর তথ্যমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা।
৩ বছর আগে
‘মুক্তিযুদ্ধ পদক' প্রবর্তন
মহান মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ এবং চেতনা বিকাশে ব্যক্তি ও সংগঠন/সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সম্মানিত ও উৎসাহিত করার জন্য ‘মুক্তিযুদ্ধ পদক’ প্রবর্তন করেছে সরকার। এজন্য মুক্তিযুদ্ধ পদক নীতিমালা-২০২১ এর প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সোমবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৭ ক্যাটাগরিতে মুক্তিযুদ্ধ পদক প্রদান করা হবে। সেগুলো হচ্ছে-
(ক) স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনে ভূমিকা (খ) সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন (গ) স্বাধীনতা পরবর্তীকালে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন (ঘ) মুক্তিযুদ্ধ/ স্বাধীনতা বিষয়ক সাহিত্য রচনা (ঙ) মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র/তথ্যচিত্র/নাটক নির্মাণ/সংস্কৃতিক কর্মকান্ড (চ) মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিষয়ক গবেষণা (ছ) মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ। এছাড়া সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোন ক্ষেত্রে এ পদক দেয়া হবে।
প্রতি বছরের ১৫ ডিসেম্বর ‘মুক্তিযুদ্ধ পদক’ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদান করা হবে।
পদকপ্রাপ্তদের ১৮ (আঠার) ক্যারেট মানের ২৫ গ্রাম স্বর্ণ দিয়ে নির্মিত একটি পদক, পদক এর একটি রেপ্লিকা এবং দুই লাখ টাকা দেয়া হবে।
পদক প্রাপ্তির যোগ্যতা :
ব্যক্তি পর্যায়ে এ পদকের জন্য মনোনীত ব্যক্তিকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। তবে, মহান মুক্তিযুদ্ধে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা বিদেশি নাগরিককেও এ পদক প্রদান করা যাবে।পদক প্রদানের জন্য ব্যক্তির সামগ্রিক জীবনের কৃতিত্ব ও অবদানকে গুরুত্ব প্রদান করা হবে।
বেসরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বীকৃত কোন প্রতিষ্ঠান অথবা যুদ্ধকালীন বা যুদ্ধ পরবর্তী সর্বজনবিদিত সংগঠন হতে হবে।মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালনে অনন্য হতে হবে।
সরকারি দপ্তর, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে সরাসরি অবদান রাখা মন্ত্রণালয়/ বিভাগ, মন্ত্রণালয় বিভাগের অধীন দপ্তর, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান বিবেচিত হবে।
পদক প্রাপ্তির অযোগ্যতা:
ক) রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে/ফৌজদারি আইনে শাস্তিপ্রাপ্ত বা ফৌজদারি অপরাধে দন্ডিত বা দেউলিয়া কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ পদক প্রাপ্তির জন্য বিবেচিত হবেন না।
খ) একবার পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পরবর্তী ১০ (দশ) বছরে একই বিষয়ে পুনরায় পদকের জন্য বিবেচিত হবেন না।
গ) মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে এ পদক প্রদান করা হবে না।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বছরের নির্দিষ্ট সময়ে মুক্তিযুদ্ধ পদক প্রদানের লক্ষ্যে মনোনয়ন আহবান করবে। মনোনয়ন আহ্বান করা হলে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে ব্যাপকভাবে জানানো হবে।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধা ভাতা: আগামী অর্থ বছরে প্রায় ৬৭ শতাংশ হারে বাড়ছে
যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ফল-মিষ্টি পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী
৩ বছর আগে