আফসান চৌধুরী
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, আফসান চৌধুরীসহ ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার পেলেন ৬ লেখক
বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী এবং গবেষক ও সংবাদ সংস্থা ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশের (ইউএনবি) এডিটর এট লার্জ আফসান চৌধুরীসহ ছয়জনকে ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ২০১৯ ও ২০২০ সালের পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়।
২০২০ সালে প্রবন্ধ, আত্মজীবনী, ভ্রমণ ও অনুবাদ বিভাগে আফসান চৌধুরী ‘১৯৭১ গণনির্যাতন – গণহত্যা, কাঠামো, বিবরণ ও পরিসর’ শিরোনামের বইটির জন্য পুরস্কার জিতেছেন। কবিতা ও উপন্যাস বিভাগে ‘পথিক পরাণ’ শিরোনামের বইয়ের জন্য কবি মোহাম্মদ রফিক এবং ‘হুমায়ূন আহমেদ তরুণ লেখক’ বিভাগে ‘বাংলাদেশের লোকধর্ম’ শিরোনামের বইটির জন্য রঞ্জনা বিশ্বাস পুরস্কার জিতেছেন।
আরও পড়ুন: ফরিদা হোসেন: বাংলা সাহিত্যের এক স্বপ্ন শিল্পী
২০১৯ সালে প্রবন্ধ, আত্মজীবনী, ভ্রমণ ও অনুবাদ বিভাগে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী তার ‘দীক্ষাগুরুর তৎপরতা’ শিরোনামের বইয়ের জন্য পুরস্কার জিতেছেন। কবি হেলাল হাফিজ কবিতা ও উপন্যাস বিভাগে তার ‘বেদনাকে বলেছি কেঁদো না’ শিরোনামের বইয়ের জন্য, মোজাফফর হোসেন তার ‘পাঠে বিশ্লেষণে বিশ্বগল্প: ছোটোগল্পের শিল্প ও রূপান্তর’ শিরোনামের বইটির জন্য ‘হুমায়ূন আহমেদ তরুণ লেখক’ বিভাগে পুরস্কার বিজয়ী হয়েছেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
এই দুই বছরে তিন ক্যাটাগরির পুরস্কারের জন্য এক হাজারের বেশি বই জমা পড়েছে। তার মধ্য থেকে সেলিনা হোসেন, খালিকুজ্জামান ইলিয়াস, বিশ্বজিৎ ঘোষ এবং আবিদ আনোয়ারের সমন্বয়ে গঠিত জুরি প্যানেল প্রতি বছর তিনটি সেরা বই নির্বাচিত করেন।
পুরস্কার বিজয়ী লেখক ও কলামিস্ট আফসান চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক সীমাবদ্ধতার কারণে আমাদের দেশে সবার বদলে গুটিকয়েক মানুষের ইতিহাস লিখেছি আমরা। বিদ্রোহী কৃষক সমাজের নেতৃত্বে ২০০ বছরের দীর্ঘ সংগ্রামের পর বাংলাদেশের জন্ম। ১৯৭১ সেই মুহূর্ত যখন এই সংগ্রাম সফল হয়েছিল। এটি কেবল একটি রাষ্ট্র বা সমাজের নয়, সকলের। তাই আমাদের গুটিকয়েক বা গোষ্ঠীর বদলে সবার ইতিহাস লিখতে হবে।
আরও পড়ুন: ‘মুক্তিযুদ্ধে নারীর ভূমিকা অস্বীকার করা মানে বাংলাদেশকে অস্বীকার করা’
টাইমস মিডিয়া লিমিটেডের এমডি এ কে আজাদ বলেন, ‘সমকালের জন্য এটা আনন্দের এবং গর্বের বিষয় যে আমরা লেখক ও সাহিত্যিক ব্যক্তিত্বদের অনুপ্রাণিত ও সম্মানিত করতে পেরেছি।’
ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি ও সিইও সেলিম আর এফ হুসেন বলেন,‘এই পুরস্কারটি বাংলা সাহিত্য জগতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে এবং আমরা এটির অংশ হতে পেরে সম্মানিত।’
২ বছর আগে
৭১-এ নারীর ভূমিকা নিয়ে ইউএনবিতে পডকাস্ট
মুক্তিযুদ্ধে নারীর ভূমিকা নিয়ে ‘ ৭১-এ নারী ’ শিরোনামে চার পর্বের পডকাস্ট সম্প্রচারিত হচ্ছে ইউএনবিতে। বুধবার সম্প্রচারিত হয়েছে এই সিরিজের দ্বিতীয় পর্ব ‘১৯৭১-এ নারী যোদ্ধা’।
‘ ৭১-এ নারী’ সিরিজের প্রথম পর্ব ‘১৯৭১ সালে নারীদের ভূমিকা’ ইতোমধ্যেই সম্প্রচার হয়েছে। ইউএনবি পডকাষ্টঃ ৭১-এ নারী-১৯৭১ সালে নারীদের ভূমিকা | পর্ব-০১
চার পর্বের এই পডকাস্ট সিরিজে আলোচনা করছেন ইউএনবি’র এডিটর এট লার্জ আফসান চৌধুরী। তিনি একজন শিক্ষক, সাহিত্যিক, গবেষক ও সাংবাদিক। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১৮ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন আফসান চৌধুরী।
৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বরের গৌরবময় দিনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৭১ সালের এই দিনেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে। আর এ বছর বাংলাদেশ পালন করে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। এছাড়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর মিলে যাওয়ায় এবারের বিজয় দিবসের বিশেষ তাৎপর্যও ছিল।
কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নারীদের অবদানকে তেমন গুরুত্ব দিয়ে স্বীকার করা হয় না। মুক্তিযুদ্ধে নারীর অবদানকে তুলে ধরাই হলো ‘৭১-এ নারী’ শিরোনামে চার পর্বের এই পডকাস্ট সিরিজের মূল উদ্দেশ্য।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তান: বিপদে শিশুরা, বিবাদে তালেবান আর অথর্ব জাতিসংঘ
নয়া তালেবান, পুরান তালেবান: তফাৎ কী?
৩ বছর আগে
মুরুব্বি, এইটারে কিরকিট খেলা কয়?
বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ানগো যা দিলো হেইটারে হার/পরাজয়, বিজয়, এই সব সুট বুট মার্কা কথায় বোজান যাইবো না। এইটা হইলো গিয়া প্যাদানি। মানে আচ্ছা কইরা, কইসা পিসনে হাত বাইন্দা এক হাত, দুই হাত, পাঁচ হাত দিয়া মহল্লা স্টাইলে মাইর।
এই রকম মাইর অসি বাবুরা আগে কোনোদিন নাকি খায় নাই। টি-২০ খেলায় হেগো এদ্দিনের সব চাইতে কম স্কোর। মানে আমাগো স্কুলের সব চাইতে বড় মাস্তানের পয়সা খাইয়া বেরাইম্মা পোলা সাইজা স্কুলে অংকে চুরি কইরা যা পাইসিল, তার চাইতে কম। এর নিচে অসি ক্রিকেট নামে নাই বলা যায়। ওদের লাইগা একটু কানতাম, কিন্তু মনটা আইসা আচ্ছা লাগতাসে যে পারলাম না।
ভাইয়া আবার আইসেন, এইবার তো রাস্তা চিনসেন, বুড়িগঙ্গার পানি এবার ড্রামে কইরা আপনাগো লাইগা রাইখা দিমু। দেখলেন তো, কত জলে কত পানি। আসল কথা টাইমটা আর পিচটা আমাগো আসিল। আপ্নেরা রঙ টাইমে আইসিলেন ফল পাড়তে। মানে যারে কয়, ধরা খাইসেন আর কি। মজা না?
বাংলাদেশ কি দেখাইলো?
ব্যাটিং তেমন কিসু করে নাই, খালি পরথমে এট্টুক পিটায় রাখসে যাতে রাতে খাবার শর্ট না পড়ে। ঠিকই একটু কমতি কমতি হইসে কিন্তু আগার-মাগার কইরা ১২১ হইসে। এই মাঠে এইটাই কেউ পারে না, কিন্তু বুঝেনি তো সব, মহল্লার মানুষ, সাকিবরে আবার যদি কতল কইরা দেয়। কিন্তু প্রথম উইকেট পরসে জলদি, তবে হেগো কাপ্তান নিজেই চালু আসিল এবং ছক্কাও মারসে। তবে সাকিব মিয়ার ছক্কা পার্টিরে ডাইকা আনা হইসিল উপরে, কিন্তু হে ভাবসে আবার মাঘ মাস আইসে। অমনি ধরা, গেসে গা প্রথম ওভারেই।
হেদের কি বাথরুম প্রব্লেম হইসিল
ধরেন গিয়া ৪ উইকেট ত্বক কইতে পারেন কিরিকেট খেলসে, কিন্তু তারপর যা হইসে সেইটা মনে হয় বুড়া মানুষ বহুতখন বাইরে থাকার পর যহন হিসু ধরে, আর হে বাসায় দৌঁড়াইতে দৌঁড়াইতে ফিরা ওয়াশরুম খোঁজে, অনেকটা সেই রকম আর কি!
অথবা মানে যদি আমগো ওয়াসার কলের পানি খাইলেন না ফুটাইয়া, কয়েকবার আর কি। তহন টয়লেট রে 'যান আমার প্রাণ আমার’ কইয়া খালি দেহা করতে যান, সেই রকম আর কি। আশা যাওয়ার মধ্যে থাকা কওয়া যায়। জন্মের আগেই হগলটি আউট।
আবার আইসেন, কিমুন?
এইটা কোনও কথা হইলো। আমগো বাড়ির জামাই বাবাজি ঘুম থিকা উইঠা টিভি খুইলা দেহে সব ফক ফকা। খোমা হেভি বেজার। কয় এইডা কিমুন বাড়ি, কিরিকেট দেহন যায় না।
কি আর করুম কন, কি আর বলুম। সবই আল্লা'র ইস্সা।
তয় কিনা দাওয়াত রইলো আব্বাজানেরা। আবার আইসেন। পকেটে ফুইসা কম থাকলে খবর দিয়েন, চাঁদা তুইলা টিকেটের দাম পাঠামু, আঃ-বাহ্ ফ্রি, খালি এইবারের মতো ঠুশ মাইরা খেইলেন। হাগু মুতু নো চিন্তা, ডু ফুর্তি।
৩ বছর আগে