ইঞ্জিনিয়ার
কুড়িগ্রামে নিখোঁজের ৭দিন পর পুকুরে মিলল ইঞ্জিনিয়ারের লাশ
কুড়িগ্রামে নিখোঁজের সাতদিন পর পৌর শহরের একটি পুকুর থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৬ অক্টোবর) বিকালে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মাহমুদুল ফেরদৌস মামুন রাজারহাট উপজেলার ছিনাইহাট গ্রামের ছবরুল হকের ছেলে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
স্থানীয়রা জানায়, মামুন কিছুদিন আগে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্বিবদ্যালয় থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছে। এর মধ্যে গত ৯ অক্টোবর থেকে নিখোঁজ হয় মামুন।
ওইদিন সন্ধ্যায় মামুন তার বড় ভাই মাহবুবুল ফেরদৌস রতনকে মুঠোফোনে জানায় তাকে কয়েকজন আটকে রেখে পাঁচ হাজার টাকা দাবি করছেন। পরে তার ভাই টাকা পাঠানোর জন্য যোগাযোগ করতে চাইলে, আর যোগাযোগ করতে পারেননি। এঘটনায় রাজারহাট থানায় সাধারণ ডাইরি জিডি করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন জানান, নিহত যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে গত ৯ তারিখ রাজারহাট থানায় নিখোঁজ জিডি করা হয়েছিল।
তিনি আরও জানান, এ পরিপ্রেক্ষিতে অনুসন্ধান চালিয়ে গতরাতে ৩ জন আটক করি এবং থানায় মামলা রেকর্ড হয়। সোমবার আমরা নিখোঁজ যুবকের লাশ উদ্ধার করলাম।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কি না তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: রানীরবন্দরে কিশোরীর হাত বাঁধা লাশ উদ্ধার
কুড়িগ্রামে ধানখেত থেকে যুবকের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
রাজধানীতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ
রাজধানীর দক্ষিণখানে টাকা-পয়সা লেনদেন নিয়ে বিরোধ মেটাতে গিয়ে এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার দক্ষিণখান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন মিয়া জানান, নিহত মোসাব্বির হোসেন (২৭) ওই এলাকার মো. মোতালেব হোসেনের ছেলে।
এসআই জানান, দক্ষিণখান কসাইবাড়ী রেলগেট সংলগ্ন বটতলা এলাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীর মালিবাগে ট্রেনে কাটা পড়ে একজনের মৃত্যু
বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের ভাষ্যমতে, মোসাব্বিরের ছোট ভাই জাভেদের সঙ্গে টাকা নিয়ে ঝগড়া হয় কয়েকজনের। পরে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দুর্বৃত্তরা মোসাব্বিরকে ছুরিকাঘাত করে।
দক্ষিণখান থানার এসআই আনান-উল-আলম জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যু
১ বছর আগে
ভারতের নতুন সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে
ইঞ্জিনিয়ার কোরের প্রথম অফিসার হিসেবে লেফটেন্যান্ট জেনারেল মনোজ পান্ডে শনিবার ভারতীয় সেনাপ্রধানের দায়িত্ব গ্রহন করেছেন।
পূর্বে সেনাবাহিনীর উপপ্রধানের দায়িত্ব পালনকারী জেনারেল মনোজ পান্ডে জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানের স্থলাভিষিক্ত হন। তিনি কলকাতা শহরে অবস্থিত ইস্টার্ন আর্মি কমান্ডের প্রধান ছিলেন।
ন্যাশনাল ডিফেন্স একাডেমির সাবেক ছাত্র জেনারেল পান্ডে ১৯৮২ সালের ডিসেম্বরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার কোরে কমিশন লাভ করেন।
আগের দিন বিদায়ী সেনাপ্রধান ভারতের প্রেসিডেন্ট রাম নাথ কোবিন্দ, সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন সংকটের মধ্যেই ইউরোপ সফরে যাচ্ছেন মোদি
দেশটির প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের পক্ষ থেকে দেয়া এক টুইটে বলা হয়,‘সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানে ও তার স্ত্রী শ্রীমতি বীনা নারাভানে প্রেসিডেন্ট ভবনে প্রেসিডেন্ট রাম নাথ কোবিন্দ এবং তার স্ত্রী শ্রীমতি সবিতা কোবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।’
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংও এক টুইটে জানান, সেনাপ্রধান জেনারেল এম এম নারাভানের সঙ্গে এ অবিস্মরণীয় বৈঠক করা হয়েছে। তিনি ৪২ বছর ধরে জাতির সেবা করার পর আজ অবসর নিচ্ছেন। একজন সামরিক নেতা হিসেবে তার অবদান ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও সক্ষমতাকে
ভারতীয় সেনাবাহিনী বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সামরিক বাহিনী।
আরও পড়ুন: তামিলনাড়ুতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ১১ জনের মৃত্যু
মার্কিন আইনপ্রণেতার কাশ্মীর সফরের নিন্দা ভারতের
২ বছর আগে
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় দেশসেরা মীম ইঞ্জিনিয়ার হতে চেয়েছিলেন!
দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় দেশসেরা হওয়ায় উৎফুল্ল খুলনার সুমাইয়া মোসলেম মীম। তার এমন সাফল্যে পরিবারে বইছে আনন্দের বন্যা। এই সেরা হওয়ার গল্প শোনালেন মীম।
তিনি বলেন, ‘প্রথমে ইচ্ছা ছিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার। সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। তার মধ্যে করোনা আসলো। পড়াশোনায় ব্যাঘাতও ঘটেছিল। বেশ খানিকটা সময় গ্যাপ। তারপর আবার খুলনায় ফিরে পড়াশোনা শুরু করি। তখনও ইচ্ছা ছিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়বো। কিন্তু এইচএসসি পরীক্ষার এক থেকে দেড় মাস আগে আম্মুর ইচ্ছায় সিদ্ধান্ত বদলাই, না মেডিকেলেই পড়বো। তারপর এইচএসসি পরীক্ষা দিলাম। এরপর যে তিন মাস ছিল, পুরো সময় মেডিকেলের প্রস্তুতি নিলাম। সেখান থেকে আজকে এই অবস্থানে।’
মীম আরও বলেন, ‘আমরা দুই বোন। আব্বু-আম্মু আছেন। আমি কৃতজ্ঞ, এরকম একটা পরিবার আল্লাহ আমাকে দিয়েছেন। বিশেষ করে আমার আপুর কথা বলতেই হয়। এরকম একটা বোন আমি পাইছি। আপু আমাকে সবসময় সাপোর্ট দিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় সবার ওপরে খুলনার মীম
মীম খুলনার সরকারি এম এম সিটি কলেজের শিক্ষার্থী। তার বাবা মোসলেম উদ্দিন সরদার ডুমুরিয়া কলেজের সহযোগী অধ্যাপক। আর মা খাদিজা খাতুন সরকারি চাকরি করেন। ডুমুরিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের আরাজি এলাকায় তাদের বাড়ি। পরিবারের সঙ্গে বর্তমানে খুলনা শহরের মৌলভীপাড়ার ১৪ টিবি বাউন্ডারি রোড এলাকায় থাকেন মীম। মীমের স্বপ্ন ছিল ইঞ্জিনিয়ার হবেন। তবে মায়ের স্বপ্ন ছিল ভিন্ন। মায়ের ইচ্ছা ছিল তার মেয়ে একদিন ভালো চিকিৎসক হবেন। তাই মায়ের স্বপ্নকে প্রাধান্য দিয়ে তিন মাস অক্লান্ত পরিশ্রম করে মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়। নিজের প্রচেষ্টা, মা-বাবার দোয়া ও শিক্ষকদের সহযোগিতায় খুলনার সুমাইয়া মোসলেম মীম এখন মেডিকেল পরীক্ষায় দেশসেরা।
মীম আরও বলেন, আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তালার রহমত ও কৃপার কারণে আজ আমার এই অবস্থান। অবশ্য এতো বেশি প্রত্যাশা আমার ছিল না। তারপরও আল্লাহ আমাকে দিয়েছেন। এই সফলতার পেছনে প্রথমেই আমার আব্বু-আম্মুর অবদান রয়েছে। আমাদের গ্রামের বাড়ি ডুমুরিয়ায়। খুলনা শহরে এসে থাকি। আব্বু-আম্মু দু’জনে চাকরি করে। এখান থেকে যেয়ে কাজ করতে হয়েছে। আমার জন্য দুইটা বছর প্রচুর কষ্ট করতে হয়েছে তাদের। বিশেষ করে আমার আম্মুর কথা বলবো। তাকে অনেক কষ্ট করে যশোরের কেশবপুরে যেতে হয় চাকরি করতে। আমার জন্য আম্মু হাসিমুখে সব কষ্ট সহ্য করেছেন। যাতে আমি একটু ভালো করি। আজ তাদের মুখে হাসি দেখতে পারছি এটা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি প্রাপ্তি।
নিজের স্বপ্নের বিষয়ে মীম বলেন, ছোটবেলা থেকে ডাক্তার হবো এমন কোনো আশা আমার ছিল না। শুধুমাত্র আম্মুর জন্য ডাক্তারীতে পড়তে আসা। আর যেহেতু এতো ভালোভাবে এই জায়গাতে আসতে পেরেছি, সেটা অনেক বেশি ভালো লাগার একটা বিষয়। আমার সাফল্যের জন্য আম্মুর অবদান সবচেয়ে বেশি। পরীক্ষার পর থেকে এখন পর্যন্ত টেনশনে তার মুখে আমি হাসি দেখিনি। কারণ আমি পরীক্ষা দিয়ে বলেছিলাম আমার পরীক্ষা ভালো হয়নি।
তিনি বলেন, ছোটবেলা থেকে শিক্ষকদের অনেক অবদান ছিল। শিক্ষকরা আমাকে অনেক বেশি সাপোর্ট করেছেন। সকলের দোয়ায় আজকে আমার এই অবস্থান। ৫ম শ্রেণিতে আমার প্রথম শিক্ষক সামছুর রহমান বলতেন আমি ভালো কিছু করতে পারবো। তার কথা ও মর্যাদা রাখতে পেরেছি সেটা আমার ভালো লাগার একটা জায়গা।
আরও পড়ুন: বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে শৃঙ্খলা নিশ্চিতে সংসদে বিল উত্থাপন
মীম বলেন, আমি ডুমুরিয়ার মেয়ে। ডুমুরিয়া গলফ গার্লস মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং খুলনা নগরীর সরকারি এম এম সিটি কলেজে আমি লেখাপড়া করেছি। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছি।
মেডিকেল ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বুঝে পড়তে হবে। যেটাই পড়তে হবে কনসেপ্টটা ক্লিয়ার করে পড়তে হবে। যেটা আমি করেছি। মেডিকেলে সবাই ভাবে যে মুখস্ত করতে হবে। কিন্তু মুখস্ত করার চেয়ে জরুরি বুঝে পড়া। আজকে মুখস্ত করছি, কাল আর মনে থাকছে না। এমন হতে পারে। কিন্তু বুঝে পড়লে সফলতা পাওয়া যায়। আমার অনুজদের প্রতি পরামর্শ থাকবে তোমরা যেটুকু পড়বা বুঝে পড়বা, কেন পড়ছো, কি পড়তেছো সেটা বুঝতে হবে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিষয়ে মীম বলেন, একজন ভালো ডাক্তার হওয়া, সবার প্রথম ভালো মানুষ হওয়া। যাতে মানুষের সেবা করতে পারি। যেহেতু সেবামূলক পেশায় যাচ্ছি, সেই সেবাটা যেন করতে পারি।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে একটা ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে ডাক্তাররা কসাই, সেই ব্যাপারটা থেকে যেন একটু বের করে আনা যায়। সেটাই চেষ্টা করবো।
মীম বলেন, আমার আব্বু কলেজের শিক্ষক এবং আম্মু স্বাস্থ্যবিভাগে চাকরি করেন। আমরা দুই বোন। আমার আম্মুর ইচ্ছা ছিল দুই বোনের মধ্যে একজন ডাক্তার হবে। কিন্তু আপুর ক্ষেত্রে সেটা হয়নি। ফলে আমার প্রতি তার ইচ্ছা ছিল যে ডাক্তার বানাতেই হবে। তার স্বপ্ন পূরণে আমি ডাক্তারি পেশাকে স্বপ্ন হিসেবে বেছে নিয়েছি।
মীমের বাবা মোসলেম উদ্দিন বলেন, ‘আমার মেয়ে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় সারা দেশের মধ্যে প্রথম হওয়ায় আমরা গর্বিত। সে ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় খুব মনোযোগী। পঞ্চম শ্রেণিতে উপজেলায় প্রথম স্থান অধিকার করে। এসএসসি পরীক্ষায় যশোর বোর্ডে তৃতীয় অবস্থানে ছিল। এইচএসসি পরীক্ষাতেও গোল্ডেন পায়। আমি মহান আল্লাহ পাকের প্রতি কৃতজ্ঞ। সাফল্যের জন্য তার সকল শিক্ষককে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘মীমের ইচ্ছা ছিল ইঞ্জিনিয়ার হবে। তবে তার মায়ের প্রচণ্ড ইচ্ছায় মেডিকেল কোচিংয়ে ভর্তি হয়। মায়ের অনুপ্রেরণায় তার এই সাফল্য। আমার মেয়ে যেন ভালো ডাক্তার ও মানুষ হয়ে গরিবের সেবা করতে পারে সেই দোয়া করি। সে যেন গ্রামের অসহায় মানুষের সেবা করে তার কাছে সেই প্রত্যাশা করি।’
কেশবপুর পাজিয়া উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ফার্মাসিস্ট ও মীমের মা খাদেজা খাতুন বলেন, ‘আমার মেয়ের এমন সাফল্যের জন্য আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। তার জন্য সবাই দোয়া করবেন।’
তিনি বলেন, আমার স্বপ্ন ছিল দুই মেয়ের একজন ডাক্তার হবে। বড় মেয়ে হতে পারেনি। ছোট মেয়ে মীম ম্যাথ এবং ফিজিক্সে অনেক ভালো। তার স্বপ্ন ছিল ইঞ্জিনিয়ার হবে। কিন্তু আমার ইচ্ছা ছিল ডাক্তার হোক। আমি মোডিফাই করার চেষ্টা করি। কিন্তু তখনও হয়নি। তবে আমার মেডিকেল অফিসার বলতেন ইঞ্জিনিয়ারিং করে কি করবে। তার এবং ডা. সিয়াম স্যারের পরামর্শে তাকে কোচিং করানো হয়। তিন মাস অক্লান্ত পরিশ্রম করে আজ সে প্রথম হয়েছে।
মীমের মা আরও বলেন, আমার প্রত্যাশা মেয়ে ভালো মানুষ হবে। ডাক্তার হয়ে অসহায় মানুষের পাশে থাকবে। কয়েকদিন ধরে রাতে ঘুমাতে পারিনি। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছি যেন ভালো ফলাফল করে। সকলের আশা মীম ভালো করবে। ভয় করতো যদি পিছলে যায়। আল্লাহ আমার ডাক শুনেছেন। আমার মেয়ে যেন অনেক ভালো মানুষ হতে পারেন, সমাজের গরীব-দুঃখীর পাশে দাঁড়াতে পারেন।
২ বছর আগে
ফের বিয়ে করলেন অভিনেত্রী সারিকা
ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও মডেল সারিকা সাবরিন সম্প্রতি বিয়ে করেছেন। ২ ফেব্রুয়ারি দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে এই শুভ কাজ সম্পন্ন হয়।
তার স্বামীর নাম বি. আহমেদ রাহি। তিনি পেশায় টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার।
সারিকা গণমাধ্যমে তথ্যটি নিশ্চিত করে বলেন, ‘পরিবারের সবার উপস্থিতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। সবাইকে আসলে ঘটা করে জানাতে চাইনি। দোয়া চাই সকলের। নতুন জীবন যেন সুন্দর করে কাটাতের পারি।’
আরও পড়ুন: গুঞ্জন সত্যি করে বিয়ে করলেন বিদ্যা সিনহা মিম
বিয়ের জন্য বেশ কয়েকদিন শুটিংয়ের বিরতিতে রয়েছেন সারিকা। তবে অভিনেত্রী জানান, ১২ ফেব্রুয়ারি আবারও তার ব্যস্ততা শুরু হবে। সামনে বিশেষ দিবসের কাজ নিয়েই তিনি এখন বেশি ব্যস্ত।
উল্লেখ্য, ক্যারিয়ারের তুঙ্গে থাকার সময় ২০১৪ সালে মাহিম করিমকে বিয়ে করেন সারিকা। এরপর থেকে পর্দায় অনিয়মিত তিনি। ২০১৬ সালে বিচ্ছেদ হয় তাদের। এরপর একমাত্র মেয়ে সেহরিশ আনায়াকেই সময় দিতেই ব্যস্ত হয়ে যান সারিকা। পরবর্তীতে আবারও নাটক ও বিজ্ঞাপনে নিয়মিত হন।
আরও পড়ুন: বিয়ে করলেন মালালা ইউসুফ
২ বছর আগে
রেলওয়ের ৭ হাজার ফিস প্লেট গায়েব: তদন্ত কমিটি গঠন
গাইবান্ধার বোনারপাড়া রেলওয়ে জংশনের পিডাব্লিউ আই অফিসের স্টোর থেকে ৬০ টন লোহার ফিস প্লেট গায়েব হবার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বোনারপাড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি )তাপস পন্ডিত জানান, বোনাপাড়া রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ার বিভাগ একটি সুরক্ষিত এলাকা। এখানে রাত দিন পুলিশ ও রেলওয়ে বিভাগের লোকজন প্রহরা থাকে। রেল স্টেশনের পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একটি সুরক্ষিত স্টোর থেকে ৬০ টন ওজনের ৭ হাজার (রেল লাইনের ব্যবহারের জন্য) ফিস প্লেট গায়েব হয়ে গেল তা সত্যি রহস্যজনক।
আরও পড়ুনঃ কুষ্টিয়ায় রেলওয়ের হাসপাতাল গুঁড়িয়ে দিয়ে প্রভাবশালীদের মার্কেট নির্মাণ
বোনারপাড়া রেল স্টেশন ম্যানেজার খলিলুর রহমান জানান, ঊর্ধ্বতন সহকারী প্রকৌশলী হিসাবে কর্মরত ছিলেন আকবর আলী খান। কর্মরত থাকাকালীন তিনি রেলওয়ে প্রকৌশল বিভাগের স্টোর থেকে অনেক কিছু গোপনে বিক্রি করে দেন। সম্প্রতি তিনি বদলি হয়ে যান। তার বদলি হয়ে যাওয়ার সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সহকারী স্টোর কিপার দীপক কুমার সিংহ। আর অতিরিক্ত দায়িত্বে আসেন বগুড়া থেকে ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মাজেদ। তিনি শুধুমাত্র বেতন বিলের কাজে বোনারপাড়া এলেও রাতে থাকেননি।
অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা আব্দুল মাজেদ আজ বগুড়া থেকে বোনারপাড়ায় আসেন এবং স্টোর খুলে তাতে মালামাল কম থাকার বিষয়ে সন্দেহ হলে তিনি ফিস প্লেট গুনতে থাকেন। গণনা করার পর তিনি ওই স্টোরে ৭ হাজার পিস প্লেট কম দেখতে পান।
আরও পড়ুনঃ কোরিয়া থেকে ১৫০টি মিটারগেজ কোচ কিনছে রেলওয়ে
এ ব্যাপারে আব্দুল মাজেদ বলেন ‘,আমি তো অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি। আমার আগে যিনি ছিলেন হয়তো তার সময়ে এসব গায়েব হতে পারে।’
তিনি বলেন, রেলের স্টোর থেকে এতো বিপুল পরিমাণ লোহার ফিস প্লেট গায়েব হওয়ার বিষয়টি এ মুহূর্তে রহস্যজনক মনে হচ্ছে। কারণ পুলিশ ও আনছার সার্বক্ষণিক পাহাড়ায় থাকেন। তারপরও অন্যকেউ জড়িত থাকতে পারে। আগামীকাল স্টোরের দায়িত্বে থাকা দীপক কুমার বাদী হয়ে বোনারপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করবেন।
এদিকে রেলওয়ে বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন জানান, এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের ও বগুড়ার বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সাইদুর রহমানকে প্রধান করে একটি রেলওয়ে বিভাগের তদন্ত টীম গঠন করা হয়েছে। তাদের প্রতিবেদন পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
৩ বছর আগে