আয়
বার্ষিক আয় কমলেও ৫ বছরে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সম্পদ বেড়েছে ৪ গুণ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের সংসদ সদস্য হাসানুল ইনুর আয় তেমন না বাড়লেও গত ৫ বছরে তার সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৪ গুণ।
এই সময়ে তার বার্ষিক আয়ের পরিমাণ সামান্য কমে ৩৩ লাখ ৭৪ হাজার ৮০৪ টাকায় দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে, গত ১০ বছরে ইনুর স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে ২৯ গুণ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে কুষ্টিয়ায় রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়নের সঙ্গে দাখিল করা হলফনামা থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
হলফনামায় দেওয়া তথ্যানুযায়ী, পেশায় রাজনৈতিক কর্মী ও প্রকৌশলী হাসানুল হক ইনু। তার আয়ের বড় অংশ আসে ব্যবসা, বেতন-ভাতা, ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ ও টিভি টকশো থেকে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জমা দেওয়া হলফনামায় ইনু ব্যবসা থেকে বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ৭ লাখ ৬২ হাজার ১৪৯ টাকা, বেতন-ভাতা থেকে তার আয় ২৩ লাখ ২৭ হাজার ৫৮০ টাকা, টিভি টকশো ও ব্যাংক সুদ থেকে পেয়েছেন ২ লাখ ১৬ হাজার ৭০ টাকা। সব মিলিয়ে তার বার্ষিক আয় ৩৩ লাখ ৭৪ হাজার ৮০৪ টাকা।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেওয়া হলফনামায় তিনি আয় দেখিয়েছিলেন ৩৪ লাখ ৬১ হাজার ৬২৩ টাকা। সে হিসেবে ইনুর বার্ষিক আয় একটু কমে গেছে।
তা সত্বেও, গত পাঁচ বছরে হাসানুল হক ইনুর সম্পদ বেড়ে প্রায় ৪ গুণ হয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেওয়া হলফনামায় তিনি সম্পদের পরিমাণ উল্লেখ করেছিলেন ১ কোটি ১৫ লাখ ৭ হাজার ৮৬৬ টাকা।
আরও পড়ুন: বিএনপির নেতারা গণতন্ত্রের ফেরেশতা নয়: ইনু
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় দেওয়া তথ্যে এর পরিমাণ ৩ কোটি ৯২ লাখ ৭৬ হাজার ২২৯ টাকা।
বর্তমানে ইনুর নগদ অর্থের পরিমান ৩ কোটি ৫৬ লাখ ১৫৫ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তার নামে জমা রয়েছে ১৪ লাখ ৮৪ হাজার ৯২৪ টাকা, সোনা রয়েছে ২৫ ভরি।
১৯৭৪ সালের দাম অনুযায়ী এই সোনার দাম দেখানো হয়েছে ২৫ হাজার ৫০০ টাকা।
এছাড়া, তার ৪ লাখ টাকা মূল্যের একটি জিপ গাড়ি আছে। আর রাজধানীর পূর্বাচলে ১০ কাঠার একটি প্লট রয়েছে, যার মূল্য দেখানো হয়েছে ১৬ লাখ ১০ হাজার টাকা।
তবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী হলফনামায় ইনুর স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে অবিশ্বাস্যভাবে।
স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে তার বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ৮৫ লাখ ৫২ হাজার ২৫৮ টাকা।
এর মধ্যে নগদ অর্থ রয়েছে ১ কোটি ৬১ লাখ ৫৪ হাজার ৮৪৩ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ১৬ লাখ ৩৭ হাজার ২৭০ টাকা, তার নামে ৭ লাখ ৪৮ হাজার ১৪৫ টাকার একটি অ্যাপার্ন্টমেন্ট আছে।
এছাড়া, তার স্ত্রীর ৪০ ভরি সোনা আছে, ১৯৭৪ সালের বাজার মূল্য অনুযায়ী এ সোনার দাম দেখানো হয়েছে ১২ হাজার টাকা।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় হাসানুল হক ইনু তার স্ত্রীর সম্পদের পরিমাণ দেখিয়েছিলেন ৬০ লাখ ৩ হাজার ২৫৮ টাকা।
আর দশম সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় জাসদ সভাপতি তার স্ত্রীর সম্পদের পরিমাণ দেখিয়েছিলেন ৬ লাখ ৩৮ হাজার ১৯০ টাকা।
আরও পড়ুন: সংবিধান পর্যালোচনার জন্য সংসদীয় কমিটি গঠনের প্রস্তাব ইনুর
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে ক্ষমতাবাজী বন্ধ এবং বৈষম্যের অবসান করতে হবে: ইনু
১১ মাস আগে
অনলাইনে ছবি বিক্রি করে আয় করবেন যেভাবে
নেশা বা পেশা যাই বলা হোক না কেন; ফটোগ্রাফি এখন আর চারপাশের প্রকৃতি ও মানুষকে ফ্রেমবন্দি করার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ডিজিটাল কন্টেন্টের অবতারণা দারুণভাবে প্রভাবিত করছে সৃজনশীলতাকে। ছবি তোলার পরেও অকৃত্রিম কন্টেন্টগুলোতে নৈপুণ্যের পরশ দিয়ে সৃষ্টি করা হচ্ছে নতুন ধরনের শিল্প। ফলে অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনেও তৈরি হয়েছে নজরকাড়া এই শিল্পের বাজার। এভাবে সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে দক্ষ ফটোগ্রাফারদের জন্য। আজকের নিবন্ধটি অনলাইনে ছবি বিক্রি করে অর্থ উপার্জন সেরা কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম নিয়ে। চলুন, ঘুরে আসা যাক ছবির ডিজিটাল বাজার থেকে।
অনলাইনে ছবি বিক্রি করে আয় করার সেরা ৭টি প্ল্যাটফর্ম
অ্যাডোবি স্টক
বিখ্যাত সফটওয়্যার কোম্পানি অ্যাডোবির উচ্চ মানের গ্রাফিক পরিষেবা অ্যাডোবি স্টক। পেওনিয়ার সাপোর্ট করায় ১৮ বছরের যে কোনো বাংলাদেশি সহজেই এই সাইট থেকে আয়ের চেষ্টা করতে পারবেন।
তাদের ওয়েবসাইটের কন্ট্রিবিউটর পাতায় গিয়ে ‘জয়েন নাউ’তে ক্লিক করে খুব সহজেই খুলে নেওয়া যাবে একটি অ্যাডোবি আইডি। নিবন্ধনের সময় অন্যান্য তথ্যগুলোর সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে ট্যাক্স ফর্ম পূরণ করতে হবে। এখানে বাংলাদেশিরা ডব্লিউ-৮বিইএন ফর্মের মাধ্যমে ট্যাক্স তথ্যাদি জমা দিবেন।
সাইন-আপ প্রক্রিয়া শেষ করার পর পরই আপলোড করা যাবে নিজের তোলা সেরা ছবিগুলো। অবশ্য ছবিগুলো কোনও স্বীকৃত ব্যক্তি বা অন্য কারও ব্যক্তিগত সম্পদের হলে, সেগুলোতে যে তার স্বত্ব আছে- এই মর্মে তার স্বাক্ষর প্রয়োজন হবে।
এই সাইট প্রতিটি স্টক ছবির জন্য ৩৩ শতাংশ রয়্যালটি দেয়। সাধারণত কন্ট্রিবিউটররা প্রতি ছবি বাবদ কমপক্ষে শূন্য দশমিক ৩৩ (৩৬ দশমিক ২৩ বাংলাদেশি টাকা) (১ মার্কিন ডলার = ১০৯ দশমিক ৭৭৫৬ বাংলাদেশি টাকা) থেকে সর্বোচ্চ ২১ দশমিক ১২ মার্কিন ডলার (২ হাজার ৩১৮ দশমিক ৪৬ বাংলাদেশি টাকা) (১ মার্কিন ডলার = ১০৯ দশমিক ৭৭৫৬ বাংলাদেশি টাকা) পেয়ে থাকেন। এভাবে নূন্যতম ২৫ মার্কিন ডলার (২ হাজার ৭৪৪ দশমিক ৩৯ বাংলাদেশি টাকা) (১ মার্কিন ডলার= ১০৯ দশমিক ৭৭৫৬ বাংলাদেশি টাকা) জমা হলে তারা অর্থপ্রাপ্তির জন্য আবেদন করতে পারেন।
আরও পড়ুন: কর্ম জীবনে উন্নতির জন্য কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতেই কিভাবে প্রফেশনাল নেটওয়ার্ক তৈরি করবেন
শাটারস্টক
উচ্চমানের ছবির জগতে সুপরিচিত একটি নাম শাটারস্টক। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বের যে কোনো ফটোগ্রাফি উৎসাহী যুক্ত হতে পারবেন এর বিশাল কম্যুনিটিতে। নিবন্ধনের জন্য সরাসরি চলে যেতে হবে তাদের ওয়েবসাইটের সাবমিট পাতায়। এখানে নাম, ইমেল ও মেইলিং ঠিকানা দেওয়ার মাধ্যমে খুব সহজেই সাইন-আপ সম্পন্ন করা যাবে।
তারপর কয়েকটি ছবি জমা দিতে হবে। যেগুলো শাটারস্টকের নিজস্ব পর্যালোচকদের মাধ্যমে যাচাই করা হবে। কন্ট্রিবিউটরকে খেয়াল রাখতে হবে, ছবির কপিরাইট যেন শুধুমাত্র তার নিজের হয়।
বাংলাদেশিদের অবশ্যই ডব্লিউ-৮বিইএন ফর্মে ট্যাক্সের তথ্য জমা দিতে হবে। সাইটটি পেওনিয়ার সাপোর্ট করায় বাংলাদেশিরা সহজেই পেমেন্ট নিজেদের ব্যাংকে নিতে পারবেন।
শাটারস্টক থেকে ১৫ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত রয়্যালটি উপার্জন করা যায়। ধরা যাক, কোনো গ্রাহক ৩০টি ছবির জন্য ১১১ দশমিক ২০ মার্কিন ডলারের প্যাকেজটি কিনলেন। এখানে ১৫ শতাংশ রয়্যালটি পাওয়া কন্ট্রিবিউটররা তাদের প্রতি ছবির জন্য ৫৬ সেন্ট (৬১ দশমিক ৪৪ বাংলাদেশি টাকা) (১ মার্কিন ডলার= ১০৯ দশমিক ৭৭৫৬ বাংলাদেশি টাকা) করে পাবেন। এভাবে নূন্যতম ২৫ (বাংলাদেশি টাকায় ২ হাজার ৭৪৪ দশমিক ৩৯ টাকা) (১ মার্কিন ডলার= ১০৯ দশমিক ৭৭৫৬ বাংলাদেশি টাকা) জমা পড়লেই টাকাটা তোলার জন্য তারা আবেদন করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ইউটিউব ভিডিও স্ক্রিপ্ট রাইটিংকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা
১ বছর আগে
আগস্টে রপ্তানি আয় বেড়ে হয়েছে ৪.৭৮ বিলিয়ন ডলার
গত অর্থবছরের (২০২২-২৩ অর্থবছরের) তুলনায় আগস্টে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৩ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে ৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
সোমবার(৪ সেপ্টেম্বর) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এই তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, সামগ্রিক রপ্তানি আয়ে বড় অবদান রেখেছে দেশের পোশাক খাত।
আগস্টে রেমিট্যান্স কমে যাওয়ার মধ্যে এটিকে সুসংবাদ হিসেবে দেখছে এই খাত সংশ্লিষ্টরা।
২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালের আগস্টে রপ্তানি আয় ৩ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে। তবে, সরকারের লক্ষ্য পূরণ হয়নি। ওই মাসে সরকারের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি।
আরও পড়ুন: আগস্টে রেমিট্যান্স ৬ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন ১.৬ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছর ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আগস্ট মাসে পোশাক, ওষুধ, চামড়াসহ ২৬ ধরনের পণ্য বিশ্ববাজারে রপ্তানি হয়েছে। সেখান থেকে আগস্ট মাসে আয় হয়েছে ৪ দশমিক ৭৮ কোটি ডলার।
২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে রপ্তানি আয় ছিল ৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। সে অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় আয় বেড়েছে ১৭ দশমিক ৫১ কোটি মার্কিন ডলার, যা বৃদ্ধির প্রায় ৩ দশমিক ৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বেশি দামে ডলার বিক্রির জন্য ১৩ ব্যাংকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
১ বছর আগে
এনবিআর ২৩’ অর্থবছরে ভ্যাট থেকে সর্বোচ্চ ১.২৫ লাখ কোটি টাকা আয় করেছে
২০২২-২৩ অর্থবছরে ৯২ শতাংশ ভ্যাট আদায়ে বড় সাফল্য অর্জন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
২৩’ অর্থবছরে এনবিআরের মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বিভাগের সংগ্রহ ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে এই অর্থবছরে ১ দশমিক ২৫ লাখ কোটি টাকা আয় করেছে। ২২’ অর্থবছরে এই আয় ছিল ১ দশমিক ৮ লাখ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) অর্থনীতিতে বহুমুখী চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বার্ষিক কর্মক্ষমতা প্রতিবেদনে এই অর্জনকে 'ব্যতিক্রমী' বলে অভিহিত করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি শাখা অর্থ বিভাগ।
এনবিআরের ভ্যাট বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সদ্য সমাপ্ত ২২ অর্থবছরের তুলনায় ১৭ হাজার ৪ কোটি টাকা বেশি ভ্যাট সংগ্রহ করা হয়েছে।
এর মধ্যে অর্থবছরের শেষ মাস জুন মাসে এনবিআরের অর্জন উল্লেখযোগ্য।
জুন মাসে ১৭ দশমিক ৭০ শতাংশ প্রবৃদ্ধিসহ ভ্যাট আদায়ের পরিমাণ ১৫ হাজার ৬১৪ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: টিআইএনধারীদের জন্য ন্যূনতম ২০০০ টাকা করের পক্ষে এনবিআর চেয়ারম্যান
সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে সংগৃহীত ভ্যাট থেকে সর্বোচ্চ রাজস্ব সংগ্রহের জন্য দায়ী সিগারেট। যার পরিমাণ ৩২ হাজার ৮১৮ কোটি টাকা। এরপর রয়েছে মোবাইল ফোন অপারেটরদের অবস্থান। যা থেকে ৯ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকা ভ্যাট আদায় করা হয়েছে।
এনবিআরের ভ্যাট বাস্তবায়ন ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সদস্য মইনুল খান ইউএনবিকে বলেন, অর্থবছরে অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতি ছিল। ব্যয় নিয়ন্ত্রণ নীতির কারণে বেশ কয়েকটি প্রকল্প থেকে ভ্যাট পাওয়া যায়নি।
ব্যবসায়ীরা জানান, অনেক কোম্পানি নিয়মিত এলসি খুলে পণ্যের কাঁচামাল আমদানি করতে না পারায় স্বাভাবিক উৎপাদন করতে পারছে না।
এছাড়া ভোজ্যতেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু পণ্যকে ভ্যাট অব্যাহতি দিতে হবে। এই চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, ‘আমি মনে করি ভ্যাটের ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি একটি বড় অর্জন।’
আরও পড়ুন: রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এনবিআর-বেসরকারি খাতের অংশীদারিত্ব জরুরি: ডিসিসিআই সভাপতি
আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ল: এনবিআর
১ বছর আগে
রপ্তানি আয়ের জন্য ডলারের বিনিময় হার বেড়ে ১০৭.৫ টাকা
রপ্তানি আয়ের জন্য মার্কিন ডলারের বিনিময় হার প্রতি ডলারে ৫০ পয়সা বাড়িয়ে ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছে।
সোমবার অনুষ্ঠিত বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের সঙ্গে জড়িত ব্যাংকগুলোর শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে বাফেদা ও এবিবি’র একটি যৌথ কমিটিকে বিশ্বের রিজার্ভ মুদ্রা মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হার নির্ধারণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
অর্থনীতিবিদরা একাধিক বিনিময় হারের ব্যাপকতাকে নিন্দা করে একক ও একীভূত বিনিময় হারের দিকে অগ্রসর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু বাফেদা-এবিবি কমিটি এখনও পর্যন্ত সেই চাহিদা উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হয়েছে।
আজকের ঘোষণার পর রপ্তানিকারকরা প্রতি ডলারের বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রায় পাবেন ১০৭টাকা ৫০ পয়সা।
অন্যদিকে প্রবাসী আয়ের (রেমিটেন্স) ক্ষেত্রে ডলারের দাম ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা অপরিবর্তিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: ডলারের আন্তঃব্যাংক বিনিময় হার লাফিয়ে বেড়ে ১০৯ টাকায় পৌঁছেছে
এদিকে সর্বোচ্চ আন্তঃব্যাংক রেট হবে প্রতি মার্কিন ডলার ১০৯ টাকা, তাও অপরিবর্তিত।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের মার্চ থেকে দেশে ডলার সংকট প্রকট হয়ে ওঠে।
এ সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাংক শুরুতে ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণ করলে এতে সংকট আরও তীব্র হয়।
পরে গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক আনুষ্ঠানিকভাবে বিনিময় হার নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে আসে।
এবিবি ও বাফেদাকে এ দায়িত্ব দেওয়া হলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করেই দাম পরিবর্তন করা হয়।
এরপর থেকে এ দুটি সংস্থা যৌথভাবে রপ্তানি ও প্রত্যাবাসন আয় এবং আমদানি দায় পরিশোধের জন্য ডলারের মূল্য নির্ধারণ করে আসছে। মূলত বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করছে এ দুটি প্রতিষ্ঠান।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার থেকে রেমিট্যান্সের জন্য মার্কিন ডলারের দর ১০৮.৫ টাকা, রপ্তানির জন্য ১০৭ টাকা
১ জুলাই থেকে ডলারের পরিবর্তে টাকায় বিমান ভাড়া নির্ধারণ করতে হবে
১ বছর আগে
ফেসবুক ও গুগলের বিজ্ঞাপন আয়ের উপর ২০ শতাংশ করারোপ
ফেসবুক ও টেলিভিশন রেডিওসহ সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মের ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে রাজস্বের ওপর সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ কর কাটতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)।
সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ পলিসি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে নিয়োজিত অথরাইজড ডিলার (এডি) ব্যাংকগুলোকে অনাবাসিক প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে রেমিট্যান্স (পেমেন্ট) পাঠানোর ক্ষেত্রে আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪-এর নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলেছে।
নির্দেশিকা অনুযায়ী, দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে প্রচারিত বিজ্ঞাপন থেকে আয় ফেরত দেওয়ার সময় বিদেশি কোম্পানিকে ১৫ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।
অর্থাৎ ফেসবুক ও ইউটিউবের মতো সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলোকে এই কর দিতে হবে। 'টেলিভিশন-রেডিও' থেকে আয় নিলে ২০ শতাংশ কর দিতে হবে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: আইএমএফ-বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈঠক: সমন্বিত এক্সচেঞ্জ রেট ও প্রতিযোগিতামূলক ঋণের হারকে অগ্রাধিকার
সার্কুলার অনুযায়ী, সোশ্যাল মিডিয়া বা ওয়েবসাইটে কোন বিজ্ঞাপন, প্রচার বা সামগ্রীর বিপণন ডিজিটাল মার্কেটিং হিসাবে বিবেচিত হবে।
এই ক্ষেত্রে, প্রযোজ্য করের হার ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ১৫ শতাংশ। তবে টেলিভিশন বা রেডিওতে সম্প্রচারিত কোনও সামগ্রী বা বিজ্ঞাপন ডিজিটাল বিপণন হিসাবে বিবেচিত হবে না।
টেলিভিশন বা রেডিওতে প্রচারিত কোনো বিজ্ঞাপন শুধুমাত্র বিজ্ঞাপন সম্প্রচার হিসেবে বিবেচিত হবে। এই ক্ষেত্রে, করের হার ২০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বাজার ভিত্তিক সুদের হার, জুলাই থেকে সমন্বিত বিনিময় হার: বাংলাদেশ ব্যাংক
১ বছর আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে মাল্টা ও কমলা চাষে লাভবান চাষিরা
গাছে থোকায় থোকায় দুলছে মালটা, কমলা, বাদামি লেবু। এমনই দৃশ্য দেখা গেছে উত্তরের জনপদ ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্নস্থানে। জেলার সদর উপজেলা, রাণীশংকৈল ও পীরগঞ্জে গড়ে উঠেছে অনেক মাল্টা ও কমলার বাগান।
এ যেন এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। দেখলেই যেন চোখ জুড়িয়ে যায়। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ মাল্টা বাগান দেখতে আসছেন এখানে।
এমনি একটি বাগানের মালিক রানীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ করনাইট নতুন বাড়ি গ্রামের কৃষক মাহমুদুল হাসান মুকুল। কৃষক মাহমুদুল হাসান মুকুল জানান, তিনি সর্বপ্রথম বাগানে ২টি কমলা গাছ লাগান। এতে তেমন কোন ফলাফল না পাওয়ায় তিনি ২০১৫ সালে রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ শুরু করেন। আগ্রহ দেখে কৃষি বিভাগ তাকে মাল্টা-কমলা চাষের প্রশিক্ষণ শেষে বারি মাল্টা-১ জাতের ৮০টি, ছয়টি কমলা লেবু, ১২টি কলম্ব লেবু, ১০টি বাতাবি লেবুর চারা দেন। পরে তিনি চারাগুলো বাড়ির পেছনের চল্লিশ শতক জমিতে রোপণ করেন। গাছ লাগানোর তিন বছরের মধ্যে তার বাগানের তিন চতুর্থাংশ গাছে থোকায় থোকায় মাল্টা, কমলা এবং লেবু ধরতে শুরু করে।
আরও পড়ুন: আবাদ মৌসুমে সারের দাম বৃদ্ধি, ফরিদপুরে আমন উৎপাদনে শঙ্কিত চাষিরা
২০১৯ সালে তার বাগান থেকে প্রথম ১২ হাজার টাকা আয় করেন। পরের বছরে ২০২০ সালে তাকে আর পিছনে ফিরে থাকাতে হয়নি। এবছর সব খরচ বাদ দিয়ে ৯০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন বলে ধারণা করছেন তিনি।
সরেজমিনে কথা হয় একই ইউনিয়নের কুমরগঞ্জ গ্রামের আরেক মাল্টা চাষী শিক্ষক সাদেকুল ইসলামের সাথে। তিনি জানান শিক্ষকতার পাশাপাশি ছয় বিঘা জমিতে তিনি মাল্টা আবাদ করেছেন। প্রতি বিঘা জমিতে একশত করে মাল্টা গাছ রোপন করেছেন। তার দুই একর জমিতে এবার ৫০ মনের অধিক মাল্টা উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছেন। এবারই প্রথম পর্যায়ে দেড় লক্ষ টাকার মত বাগানের মাল্টা বিক্রি করবেন বলে আশা করেছেন। উৎপাদিত ফল জেলার চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দেশের অন্যান্য স্থানেও পাঠানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সৌদি খেজুর চাষে সফল চাঁপাইনবাবগঞ্জের রুবেল
অপরদিকে তার মাল্টার পাশাপাশি প্রায় এক একর জমিতে ২০০ টি কমলালেবু ও ১০০ টি ড্রাগন গাছও রয়েছে। যা থেকে পরবর্তীতে বাগান পরিচর্যার মাধ্যমে আরও বেশি সাফল্যের আশা করছেন।
লাভজনক হওয়ার কারণে দিন দিন মাল্টার চাষে ঝুঁকছেন স্থানীয় কৃষকরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্র জানায়, রাণীশংকৈল উপজেলায় নতুন পুরাতন বাগান মিলে ১৬ হেক্টর জমিতে মাল্টা চাষ হয়েছে। অনেকে আগ্রহী হয়ে নতুন মাল্টা বাগানের কাজ শুরু করেছেন।
আরও পড়ুন: বারোমাসি থাই আম চাষে সাফল্য
রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি অফিসার সঞ্জয় দেবনাথ জানান, আবহাওয়া ও মাটি চাষের উপযোগী হওয়ার কারণে ভালো ফলন পাচ্ছেন বাগান মালিকরা। স্থানীয় বাজারে গত কয়েক বছর থেকে এখানকার উৎপাদিত কমলা ও মাল্টা পাওয়া যাচ্ছে। মান ভালো হওয়ায় চাহিদাও রয়েছে স্থানীয় বাজারে।
৩ বছর আগে
১৯ বছরে সর্বোচ্চ রাজস্ব আয় বরিশাল সিটি করপোরেশনের
১৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায় করেছে বরিশাল সিটি করপোরেশন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এত টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়নি।
মঙ্গলবার বিকালে প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার পর এই তথ্য জানান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।
আরও পড়ুনঃ রাজস্ব আদায়ের লক্ষমাত্রা পূরণে হিমশিম খাচ্ছে এনবিআরতিনি বলেন, ২০২০-২১ অর্থ বছরে বরিশাল সিটি করপোরেশনের রাজস্ব আয় হয়েছে ৭৭ কোটি ৩৪ লক্ষ ৩১ হাজার ৫৪৭ টাকা। যা গত ১৯ বছরে মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে রাজস্ব আয় ছিল ৫৩ কোটি ৬০ লক্ষ ৩৭ হাজার ৩১৭ টাকা।
তবে ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে ১১৩ কোটি ৫৬ লক্ষ ৭০ হাজার ২২ টাকা রাজস্ব আয়ের আশা প্রকাশ করেন মেয়র সাদিক।
আরও পড়ুনঃ যশোরে দুদকের মামলায় রাজস্ব কর্মকর্তা কারাগারে
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিকালে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪১৫ কোটি ৭২ লক্ষ ৩৭ হাজার ৩৬৬ টাকার প্রস্তবিত বাজেট ঘোষণা করেন মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। এটি সিটি করপোরেশনের ১৯ তম বাজেট এবং মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর তৃতীয় প্রস্তাবিত বাজেট।
৩ বছর আগে