হিমাচল প্রদেশ
ভারতের শিমলায় ভূমিধসে ২১ জনের মৃত্যু: মুখ্যমন্ত্রী সুখু
ভারতের হিমাচল প্রদেশের শিমলায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট ভূমিধসে সোমবার (১৪ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে শিমলার সামার হিল এলাকায় শিবমন্দির ধসে পড়ে ৯ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের নিচে বেশ কয়েকজন আটকে পড়েছেন বলে ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হতাহতের ঘটনায় হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু শোক প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, সামার হিল এলাকায় ধসে পড়া মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকে পড়া লোকদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
এক টুইটে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন এখনও আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধারের চেষ্টা করছে।’
রাজ্যের মন্ত্রী বিক্রমাদিত্য সিং ও মুখ্যমন্ত্রী সুখু ধসে পড়া শিবমন্দির পরিদর্শন করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখনো ২০-২৫ জন মানুষ ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকে আছে। ভারী বৃষ্টির কারণে রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ২১ জন মারা গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মানুষকে বাড়িতে থাকার জন্য এবং নদী ও ভূমিধসপ্রবণ এলাকার কাছাকাছি না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। বৃষ্টি থামার সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারাভিযান শুরু হবে।’
আরও পড়ুন: ভারতের উত্তরাখণ্ডে ভূমিধসে ৫ তীর্থযাত্রী নিহত
এর আগে শিমলার পুলিশ সুপার (এসপি) সঞ্জীব কুমার গান্ধী বলেন, ‘ধসে পড়া মাটি মন্দিরের ওপর পড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আশেপাশের ভবনগুলোও হুমকিতে রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বেশ কিছু মানুষ আটকে পড়েছে। আমরা বিস্তারিত তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছি।’
এসডিআরএফ, এনডিআরএফ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারে অভিযান চালাতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী সুখু বলেন, ‘আমি মান্ডিতে আমার পূর্বনির্ধারিত অনুষ্ঠান বাতিল করেছি। ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি যথারীতি চলবে, তবে আমাদের অগ্রাধিকার হলো (দুর্ঘটনাকবলিতদের) জীবন বাঁচানো।’
রাজ্যের মন্ত্রী বিক্রমাদিত্য সিং জানান, সামার হিলে মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ থেকে কয়েকজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
সিং বলেন, ‘এখনও ১০-১৫ জন ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়ে আছে। আটকে পড়া মানুষদের নিরাপদে উদ্ধারের জন্য প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে রাজ্যের মান্ডি জেলায় ১২-১৫ জন মারা গেছে।
এর আগে, সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট (এসডিএম) কান্দাঘাট সিদ্ধার্থ আচার্য জানান, রাজ্যের সোলান জেলার কান্দাঘাট মহকুমার জাদন গ্রামে আকস্মিক ভারী বৃষ্টিতে সাতজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুটি ঘর ও একটি গোয়ালঘর ভেসে গেছে।
মুখ্যমন্ত্রী সুখু নিহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং কর্তৃপক্ষকে সমস্ত সম্ভাব্য সাহায্য- সহায়তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভারতে সেতু নির্মাণে ব্যবহৃত ক্রেন ধসে ১৬ শ্রমিক নিহত
সুখু পৃথক টুইটে বলেন, ‘সোলান জেলার কান্দাঘাট মহকুমার জাদন গ্রামে আকস্মিক ভারী বৃষ্টিতে সাতটি মূল্যবান প্রাণ ঝড়ে যাওয়ায় গভীর মর্মাহত। আমি শোকাহত পরিবারগুলোর প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। এই কঠিন সময়ে আমরা আপনাদের পাশে আছি।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সব ধরনের সাহায্য-সহায়তা করতে কর্তৃপক্ষকে আমরা নির্দেশ দিয়েছি।’
হিমাচল প্রদেশে গত ২৪ ঘণ্টা ধরে অবিরাম বর্ষণের ফলে ভূমিধস হয়েছে।
শিমলা-চণ্ডিগড় সড়কসহ বেশ কয়েকটি সড়ক প্লাবিত হওয়ায় যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শিক্ষাসচিব ১৪ আগস্ট সব সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন।
মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিবের পাশাপাশি সমস্ত জেলা কালেক্টরকে দুর্যোগ পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রশাসনিক কর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে এবং রাস্তা, বিদ্যুৎ ও পানির সুষ্ঠু ব্যবস্থা বজায় রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: ভারতে ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৭
১ বছর আগে
ভারতে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে ৩১ জনের মৃত্যু
ভারতের চারটি রাজ্যে শুক্রবার রাত থেকে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে কর্মকর্তারা রবিবার জানিয়েছেন।
এর মধ্যে শুধু হিমাচল প্রদেশে গত ৩৬ ঘণ্টায় ২২ জন নিহত হয়েছে। সেখানে সেতু এবং বাড়িঘর ভেসে যাওয়ার পর বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে।
একজন সিনিয়র দুর্যোগ কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘মান্দি, কাংড়া এবং চাম্বা জেলা থেকে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ১০ জন নিখোঁজ বলেও জানা গেছে।’
তিনি বলেন, বন্যায় মান্দিতে সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে। যেখানে এখন পর্যন্ত ১৩ জন মারা গেছে।
স্থানীয় টিভি চ্যানেলগুলো হিমাচলের উদ্ধার অভিযানের ফুটেজ প্রচার করেছে। তবে অনেক জায়গায় ভারী বর্ষণে কারণে উদ্ধার অভিযান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
ভারতের বিরোধী দলীয় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সোশ্যাল মিডিয়ায় মৃত্যু খবরে শোক জানিয়েছেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্থদের ত্রাণ দেয়ার জন্য হিমাচল সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন।
গান্ধী আজ সকালে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ভূমিধস ও বন্যার কারণে হিমাচল প্রদেশে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে।’
হিমাচল ছাড়াও পার্শ্ববর্তী উত্তরাখণ্ড এবং পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ওড়িশা থেকে চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ঝাড়খণ্ডে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, উত্তরাখণ্ড রাজ্য জুড়ে আকস্মিক বন্যা এবং ভূমিধসে এ পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
আরেকজন কর্মকর্তা বলেছেন, ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে চারজন ওড়িশার বাসিন্দা।
পড়ুন: উপকূলীয় ১৫ জেলার নিম্নাঞ্চল বন্যার ঝুঁকিতে
ইরানে বন্যায় ২১ জন নিহত, ৩ জন নিখোঁজ
২ বছর আগে
ভারতে বাস খাদে পড়ে নিহত ১৬
উত্তর ভারতে যাত্রীবাহী বাস পাহাড়ি রাস্তা থেকে পিছলে গভীর খাদে পড়ে স্কুলছাত্রীসহ ১৬ জন নিহত হয়েছে।
সোমবার দেশটির একজন সরকারি কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হিমাচল প্রদেশ রাজ্যের কুল্লু জেলার সিনিয়র অ্যাডমিনিস্ট্রেটর আশুতোষ জর্জ সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন, উদ্ধারকর্মীরা গাড়ির ধ্বংসাবশেষ থেকে গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
অপর এক কর্মকর্তা প্রশান্ত সিরকেক সিং জানান, বাসটিতে প্রায় ২০ জন যাত্রী ছিলেন।
তাৎক্ষণিকভাবে দুর্ঘটনার সঠিক কারণ জানা যায়নি।
দুর্ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
আরও পড়ুন: ভারতের মণিপুরে ভূমিধসে নিহত বেড়ে ৪২
পাকিস্তানে বাস খাদে পড়ে নিহত ১৯
২ বছর আগে
ভারতে ভূমিধসে ১১ জনের মৃত্যু
ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য হিমাচল প্রদেশে বুধবার ভূমিধসে কমপক্ষে ১১ জন নিহত হয়েছে। ৩০ জনেরও বেশি মানুষ মাটির নিচে চাপা পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভূমিধসে একটি বাসসহ কয়েকটি যানবাহন ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়ায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
হিমাচল প্রদেশের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী সিমলা থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে রাজ্যের কিন্নর জেলার রেকং পিও-সিমলা মহাসড়কে এই মর্মান্তিক ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। স্থানীয় পুলিশ ছাড়াও প্যারা মিলিটারি ইন্দো-তিব্বতীয় বর্ডার ফোর্স (আইটিবিপি) উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।
আইটিবিপি টুইট করেছে, হিমাচল প্রদেশের কিন্নর জেলার রেকং পিও-শিমলা হাইওয়েতে আজ (বুধবার)একটি ভূমিধসের খবর পাওয়া গেছে। এতে একটি ট্রাক, একটি বাস ও কয়েকটি যানবাহন ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়ে অনেকেই আটকা পড়ে আছে।
এক পুলিশ কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, নিহতদের নিকটবর্তী একটি হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। যাদের উদ্ধার করা হয়েছে তাদেরও একই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক টুইট বার্তায় বলেছে, নরেন্দ্র মোদি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন।
আরও পড়ুন: ভারতে বন্যা ও ভূমিধসে নিহত শতাধিক
গ্রিসের ১০ হাজার একরের বনাঞ্চল দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত
জম্মু ও কাশ্মীরে হঠাৎ বন্যায় ৬ জনের প্রাণহানি, নিখোঁজ ২৬
৩ বছর আগে