ভারতের চারটি রাজ্যে শুক্রবার রাত থেকে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে কর্মকর্তারা রবিবার জানিয়েছেন।
এর মধ্যে শুধু হিমাচল প্রদেশে গত ৩৬ ঘণ্টায় ২২ জন নিহত হয়েছে। সেখানে সেতু এবং বাড়িঘর ভেসে যাওয়ার পর বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে।
একজন সিনিয়র দুর্যোগ কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘মান্দি, কাংড়া এবং চাম্বা জেলা থেকে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ১০ জন নিখোঁজ বলেও জানা গেছে।’
তিনি বলেন, বন্যায় মান্দিতে সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে। যেখানে এখন পর্যন্ত ১৩ জন মারা গেছে।
স্থানীয় টিভি চ্যানেলগুলো হিমাচলের উদ্ধার অভিযানের ফুটেজ প্রচার করেছে। তবে অনেক জায়গায় ভারী বর্ষণে কারণে উদ্ধার অভিযান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
ভারতের বিরোধী দলীয় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সোশ্যাল মিডিয়ায় মৃত্যু খবরে শোক জানিয়েছেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্থদের ত্রাণ দেয়ার জন্য হিমাচল সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন।
গান্ধী আজ সকালে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ভূমিধস ও বন্যার কারণে হিমাচল প্রদেশে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে।’
হিমাচল ছাড়াও পার্শ্ববর্তী উত্তরাখণ্ড এবং পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ওড়িশা থেকে চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ঝাড়খণ্ডে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, উত্তরাখণ্ড রাজ্য জুড়ে আকস্মিক বন্যা এবং ভূমিধসে এ পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
আরেকজন কর্মকর্তা বলেছেন, ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে চারজন ওড়িশার বাসিন্দা।