সমাজ
সাংবাদিকের কাজ সমাজের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা: কাদের গনি চৌধুরী
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, সাংবাদিকরাই কেবল সাংবাদিকতা বাঁচাতে পারেন। আর এ জন্য দরকার ঐক্য। সাংবাদিকতার জন্য দরকার সত্যবাদিতা, ন্যায্যতা, সততা, স্বাধীনতা এবং জবাবদিহিতা।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের চারযুগ পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব বলেন। যশোরের জেলা প্রশাসক আজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আবদুল মজিদ, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা টিএস আইয়ুব, খুলনা মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আনিসুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক রানা, আলাউদ্দিন এবং প্রেসক্লাব যশোর সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সভাপতি আকরামুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক এসএম ফরহাদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান কবীর, সাইফুল ইসলাম সজল, সাইফুর রহমান সাইফ, সাবেক সভাপতি এম আইউব, সরোয়ার হোসেন, হানিফ ডাকুয়া, জুয়েল মৃধা, টিআই তারেক, জুবায়ের আহমেদ, গোলাম মোস্তফা মুন্না, এম আর খান মিলন প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সাবেক সভাপতি শহিদ জয়, সহ-সভাপতি বিএম আসাদ, যুগ্ম সম্পাদক গালিব হাসান পিল্টু, কোষাধাক্ষ্য এম আর মশিউর রহমান, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক কাজী রফিকুল ইসলাম সিনিয়র সদস্য রাজেক জাহাঙ্গীর শেখ আব্দুল্লাহ হুসাইন, মো রফিকুল ইসলাম, আশরাফুল আজাদ, ফিরোজ গাজী প্রমুখ।
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকতা একটি মহৎ পেশা। এ পেশার মূল লক্ষ্য হলো মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করা। মানুষের কথা বলা। মানুষের সমস্যা, সমাজের নানা অসঙ্গতি অনিয়ম অবিচার তুলে ধরা। রাজধানী ঢাকার মতো মফস্বলেও এ পেশায় আত্মনিয়োগ করে সাংবাদিকরা জনসেবা ও সমাজকল্যাণ কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। কিছু পাওয়ার জন্য নয়, নিতান্ত ভালোবাসা ও জনসেবার মহৎ উদ্দেশ্য থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এ পেশায় আসেন একজন প্রকৃত সাংবাদিক। একজন ভালো সাংবাদিককে যেমন সাহসী হতে হয়- তেমনি সত্যনিষ্ঠ ও নীতির প্রশ্নে আপসহীন এবং ন্যায়ের প্রশ্নে অবিচল থাকতে হয়।
তিনি বলেন, একজন সাংবাদিকের কাজ সমাজের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা। সে জন্য গণমাধ্যমকে সমাজের দর্পণ বলা হয়। সাংবাদিক বলা হয় সমাজের ওয়াচডগ। এই দর্পণে প্রতিবিম্বিত হয় সমাজের প্রতিচিত্র। অন্যায়, অনিয়ম, নিগ্রহ, শোষণ-বঞ্চনা ও অধিকার হরণের বিরুদ্ধে একজন সাংবাদিককে সোচ্চার থাকতে হয় সবসময়। চোখ রাঙানোকে তোয়াক্কা না করে নির্ভীক ও নিরলসভাবে কাজ করতে হয়। প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থার চিত্র প্রত্যক্ষ করতে হয়। মানুষের সমস্যার কথা তুলে ধরার দায়িত্ব পালন করতে হয়। অনেক বাধা বিপত্তির মধ্যে তাদের দিন যায়। ক্ষমতাধরদের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে সাহসিকতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে হয়। অভাব অনটনের ভেতর শিরদাঁড়া সোজা করে দাঁড়াতে হয়। পরিশ্রম করতে হয় অনেক। এটা সত্য যে, সততা নীতি ও আদর্শ নিয়ে যারা সাংবাদিকতা করেন অর্থাভাব তাদের নিত্যসঙ্গী। টানাপড়েনের ভেতর দিয়ে তাদের চলতে হয়। সংসার চালানো তাদের জন্য বড় কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। দারিদ্রের ঘেরাটোপে বন্দি থেকে তাদের জীবন কাটাতে হয়।
২৪ দিন আগে
অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করবে ইউএনডিপি ও নরওয়ে
সবার জন্য শান্তিপূর্ণ দেশ গড়ে তুলতে সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্যে একটি চুক্তি সই করেছে নরওয়ে এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বাংলাদেশে অবস্থিত নরওয়ে দূতাবাসে এই চুক্তি সই হয়। চুক্তিটির মেয়াদ ২০২৫ সাল পর্যন্ত থাকবে।
দুই সংস্থার পক্ষ থেকে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এস্পেন রিক্টার এবং ইউএনডিপি'র আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার এই চুক্তিতে সই করেন।
নরওয়ে ও ইউএনডিপি ২০২১ সাল থেকে ইউএনডিপির প্রকল্প ‘পার্টনারশিপ ফর এ মোর টলারেন্ট ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ (পিটিআইবি)’ বাস্তবায়নে একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ভুল তথ্য ও বিদ্বেষের প্রচার প্রতিরোধ করে একটা সহনশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
আরও পড়ুন: জলবায়ু সহনশীলতা জোরদারে ইউএনডিপির সঙ্গে ফ্রান্সের ১.২ মিলিয়ন ইউরোর চুক্তি
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এস্পেন রিক্টার বলেন- ‘ইতিবাচক মতবাদ তৈরির মাধ্যমে একটি সহনশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে পিটিআইবি প্রকল্পটি কাজ করে যাচ্ছে।’
ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার সহযোগিতার জন্য নরওয়েকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
তিনি আরও বলেন, ‘নরওয়ের সঙ্গে আমাদের এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমরা তরুণ ও নাগরিক সমাজকে সম্পৃক্ত করে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে কাজ করছি। নরওয়ের সঙ্গে চলমান এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা ডিজিটাল সাক্ষরতা বিষয়ে কাজ করব, যা এসডিজি লক্ষ্য ১৬ অর্জনে অবদান রাখতে পারে।’
আরও পড়ুন: শিক্ষা প্রশাসনের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করবে ইউএনডিপি
২০৯ দিন আগে
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সমাজের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করার আহ্বান স্পিকারের
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সমাজের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, অটিজম একটি বিশেষায়িত বিষয়, সমাজের সবাইকে এ বিষয়ে সচেতন করতে যথাযথ প্রচার চালাতে হবে।
সোমবার (১৩ মে) বাংলাদেশ বিমানবাহিনী পরিচালিত বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের স্কুল ‘ব্লু স্কাই’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্পিকার।
আরও্র পড়ুন: রাজনৈতিক দলগুলোতে নারীর অন্তর্ভুক্তি দেশকে আরও কার্যকর গণতন্ত্রের দিকে পরিচালিত করে: স্পিকার
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধানে শিশুদের অধিকার সংরক্ষণ করেছেন। বঙ্গবন্ধু শিশুদের কল্যাণে বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুদের জন্য সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করে চলেছেন। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের কল্যাণে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড গ্রহণ করেছেন তিনি।
শিরীন শারমিন চৌধুরী আরও বলেন, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন প্রত্যেক শিশুকে গুরুত্ব দিয়ে তাদের উন্নয়নে কাজ করে যেতে হবে। তাদের প্রতিভা ও মেধাকে বিকশিত করার সুযোগ করে দিতে হবে। সমাজের সবাইকে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু ও তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে হবে।
অন্তর্ভুক্তিমূলক মানবিক সমাজ গঠনে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে আহ্বান জানান স্পিকার।
এ সময় তিনি অটিস্টিক শিশুদের নিয়ে কাজ করার জন্য সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের 'ব্লু স্কাই' স্কুল নির্মাণের জন্য বিমানবাহিনীকে ধন্যবাদ জানান।
এরপর স্পিকার 'কবিতায় মুজিব' ও 'বঙ্গমাতা' বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন এবং 'ব্লু স্কাই' স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
এ সময় স্পিকারকে ক্রেস্ট ও সম্মাননা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান এবং ঢাকা মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান গ্রুপ ক্যাপ্টেন আবু জাফর চৌধুরী (অবসরপ্রাপ্ত) বক্তব্য দেন।
এ সময় আরও ছিলেন- বাফওয়া কেন্দ্রীয় পরিষদের সভানেত্রী তাহমিদা হান্নান, বিমানবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, ব্লু স্কাই শিক্ষকরা, শিক্ষার্থীরা ও তাদের পরিবার এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা।
আরও্র পড়ুন: নেপাল-ভুটানের সঙ্গে সংযোগ সহজ করবে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর: স্পিকার
৩১০ দিন আগে
সমাজে চাঁদাবাজির সংস্কৃতি বন্ধ করুন: আনিসুল ইসলাম মাহমুদ
বিরোধীদলীয় উপনেতা ও জাতীয় পার্টির সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, চাঁদাবাজি সমাজে একটি সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে।
সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, 'আমার সহকর্মী সংসদ সদস্যদের কাছে আমার আবেদন। আসুন আমরা এই একটি কারণে ঐক্যবদ্ধ হই, যেখানে কোনো পয়সা খরচ হবে না। কিছুই লাগবে না। আমরা তাদের সমর্থন করব না, শুধু তাদের প্রতিহত করব। আমার মনে হয়, এটা করলেই বাংলাদেশ টিকে থাকবে।’
একটি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ উল্লেখ করে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, পণ্য পরিবহনে চাঁদা দিতে হয়। এতে মোট দাম বাড়ে। বাড়ি নির্মাণ করতে হলে চাঁদা দিতে হয়।’
আরও পড়ুন: চলচ্চিত্র প্রযোজকের বিরুদ্ধে 'হত্যাচেষ্টা ও চাঁদাবাজির' অভিযোগ এনে শাকিব খানের মামলা
কেউ যদি চাঁদার টাকা দিতে না চায় তাহলে তাকে রড, ইট, সিমেন্ট বা বালু সরবরাহের কাজ দিতে হয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘গরিব হকারদের কাছেও চাঁদাবাজি করা হয়, রিকশা স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজরাও থাকে। চাঁদাবাজি একটি ভয়াবহ ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে।’
এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে সামনে ভয়ংকর সমস্যা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি সব সংসদ সদস্যকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে চাঁদাবাজদের সমর্থন না করতে এবং তাদের প্রতিহত করার শপথ গ্রহণের আহ্বান জানান।
অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির আরেক সদস্য ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখিয়ে বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফরম বিক্রির টাকা উপাচার্য, উপউপাচার্য ও অন্যান্য শিক্ষকদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হচ্ছে।
‘চবি ছাত্রলীগ এই অর্থ ভাগাভাগির অংশীদার হতে চায়, যা তারা আগেও করেছে।’
শিক্ষামন্ত্রীর উদ্দেশে মুজিবুল হক বলেন, এটা যদি সঠিক হয়, তাহলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জনগণকে জানাতে হবে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে চাঁদাবাজি ও অপহরণ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
রাণীশংকৈলে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে ২ যুবক গ্রেপ্তার
৩৯৫ দিন আগে
বিএনপি রাষ্ট্র, সমাজ ও সাংবাদিকদের শত্রু: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘এই রাষ্ট্র-সমাজ ও সাংবাদিকদের শত্রু বিএনপি, এরা মানবতারও শত্রু। এদের প্রতিহত করতে হবে।’
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে সাপ্তাহিক ‘চাঁটগার সংবাদ’ পত্রিকার ১১তম বর্ষপূর্তি আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিদেশে বসে গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দেশে মামলা হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘বিএনপি দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে গিয়ে এখন ইঁদুরের গর্তে ঢুকেছে। তাদের নেতারা গর্তের মধ্য থেকে একটু একটু করে তাকিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করে।’
তিনি আরও বরেন, ‘তারা গাড়িতে চোরাগুপ্তা হামলা চালায়, মানুষের উপর হামলা চালায়, স্কুল-ঘর পুড়িয়ে দেয়, ৩২ জন সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করেছে। বিএনপির নেতা-কর্মীরা সাংবাদিকের বেশ ধরে গাড়িতে আগুন দিতে যায়।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে দেশকে ধ্বংস করার জন্য বায়তুল মুকাররমে আগুন দেওয়া হয়েছিল। পবিত্র কোরআনে আগুন দেওয়া হয়েছিল, শত শত মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল। সাড়ে তিন হাজার গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। বহু ট্রেন-লঞ্চে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছিল। শতাধিক ড্রাইভারকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে বিএনপি-জামাত।’
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই অগ্নিসন্ত্রাসকে মোকাবিলা করে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছি উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৮ সালেও সেই একই অপচেষ্টা হয়েছিল, তারা সফল হয়নি। এবারও দেশের বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে, এখনও হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করতে হবে।’
চাঁটগার সংবাদ পত্রিকার জন্য শুভকামনা জানিয়ে গণমাধ্যমের উদ্দেশে ড. হাছান বলেন, আজকে যে দেশটা বদলে গেল, মানব উন্নয়ন, সামাজিক, অর্থনৈতিকসহ সব সূচকে আমরা যে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছি, পাকিস্তান যে আজকে আমাদের দিকে তাকিয়ে হা-হুতাশ করে, বাংলাদেশ কীভাবে তাদের পেছনে ফেলে এগিয়ে গেল।
তিনি আরও বলেন, আমরা মানব উন্নয়ন, সামাজিক ও স্বাস্থ্য সূচকে ভারতকেও পেছনে ফেলেছি। এমনকি মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে ভারতকে আমরা অতিক্রম করেছি, সেই সত্যটা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হতে হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সব প্রতিকূলতা ও প্রতিবন্ধকতাকে উপড়ে ফেলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলো, সেই গল্পটাও গণমাধ্যমে আসা দরকার।
আরও পড়ুন: বিএনপির আগুনসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কলম ধরুন: সাংবাদিকদের প্রতি তথ্যমন্ত্রী
নির্বাচনে আসার জন্য সরকার কাউকে চাপ সৃষ্টি করছে না: তথ্যমন্ত্রী
৪৮১ দিন আগে
সমাজের জন্য অনুসন্ধানী রিপোর্টিং প্রয়োজন: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মানুষ যে দিকে তাকায় না, সমাজ যেটি নিয়ে ভাবে না, দায়িত্বশীলদের দৃষ্টি যে দিকে কাজ করে না, সেক্ষেত্রে বিশেষ রিপোর্টিং দায়িত্বশীলদের দৃষ্টি খুলে দেয় এবং সমাজকেও ভাবায়।
তিনি বলেন, এমন অনেক রিপোর্ট পত্রিকার পাতায় ও টেলিভিশনে প্রচারের ফলে সমাজের তৃতীয় নয়ন উন্মোচিত হয়। দেশ ও সমাজের জন্য এ ধরনের অনুসন্ধানী রিপোর্টিং খুবই দরকার।
রবিবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে ঢাকা রিপোর্টারস ইউনিটি আয়োজিত বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: তথ্যমন্ত্রী সম্পর্কে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
মন্ত্রী বলেন, যারা অনুসন্ধানী রিপোর্ট করেন তাদের অনেক সময় অনেক হুমকির মুখে পড়তে হয়। এখন তো এমন একটি সময় এসেছে যে, অনেকেই নিজের ব্যবসার পাহারাদার হিসেবে পত্রিকা বের করে ও টেলিভিশন খোলে।
আমি তথ্যমন্ত্রী হিসেবে বলছি, সেখানে থেকে কাজ করা অনেক কঠিন হয়। কিন্তু অনেক সাংবাদিক ঝুঁকি নিয়েই কাজ করে। তারা অনেক সময় রিপোর্ট নিয়ে আসে কিন্তু সম্পাদক সেটি সংবাদপত্রে ছাপান না, এ রকম ঘটনাও আছে।
তিনি বলেন, আমি যখন এ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলাম না, তখনও রিপোর্টার্স ইউনিটির সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল, ভবিষ্যতেও যে পরিস্থিতিতেই থাকি না কেন আমি আপনাদের পাশে থাকব।
তিনি আরও বলেন, আমার ছোটবেলার অনেক বন্ধু সাংবাদিক। আমি এই সাংবাদিক বন্ধুদের কাছ থেকে জানি যে, সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে কত প্রতিবন্ধকতা এবং যারা সাংবাদিকতায় ঢোকে তারা অনেক মেধাবী। আমার যতটুকু সুযোগ ও সামর্থ্য থাকবে সবসময় আপনাদের সঙ্গে থাকব।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সিনিয়র সাংবাদিক শাহজাহান সরদার, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট জালাল আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- পুরস্কার জুরি বোর্ডের সদস্য জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মনোয়ার হোসেন, মোস্তফা কামাল মজুমদার ও ডিআরইউ সদস্যরা।
অনুষ্ঠানে ১৯ ক্যাটাগরিতে ২০ জন সাংবাদিককে পুরস্কৃত করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে দৈনিক সমকালের আবু সালেহ রনি, শিক্ষা বিষয়ে ডেইলি নিউ এইজের শাহীন আক্তার, অপরাধ বিষয়ে ঢাকা পোস্টের আদনান রহমান, তথ্য বিষয়ে দৈনিক জনকণ্ঠের রহিম শেখ, রাজনীতি বিষয়ে জাগো নিউজের জাহাঙ্গীর আলম, ক্রীড়া বিষয়ে দৈনিক কালের কণ্ঠের রাহেনুর ইসলাম, স্বাস্থ্য বিষয়ে দৈনিক যুগান্তরের হক ফারুক আহমেদ, সেবাখাতে দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশের ফয়সাল খান, কৃষি বিষয়ে চ্যানেল আই অনলাইনের আরেফিন তানজীব, আর্থিক খাতে দৈনিক কালবেলার মোহাম্মদ ইউসুফ (ইউসুফ আরেফিন), বৈদেশিক বিষয়ে দৈনিক সমকালের আবুযর আনছার উদ্দীন আহাম্মদ (রাজীব আহাম্মদ), নারী বিষয়ে দৈনিক ভোরের কাগজের বর্ণা মণি, বিদ্যুৎ বিষয়ে শেয়ার বিজের ইসমাইল আলী, সুশাসন বিষয়ে দৈনিক প্রথম আলোর আরিফুর রহমান, পোশাক খাতে সারাবাংলা ডটনেটের এমদাদুল হক তুহিন, সামগ্রিক অর্থনীতি বিষয়ে ফিনানসিয়াল এক্সপ্রেসের দৌলত আক্তার মালা, অর্থনীতিতে ফিনাসিয়াল এক্সপ্রেসের জসিম উদ্দিন হারুন, কৃষি বিষয়ে যুগ্মভাবে চ্যানেল২৪ এর মাকসুদ উন নবী ও মাছরাঙ্গা টিভির আবু জাহেদ মুহ. সেলিম, নারী-শিশু বিষয়ে চ্যানেল২৪ এর মাসউদুর রহমান।
এদের সবার হাতে ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং সম্মাননা তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ডিস লাইন ডিজিটালাইজড করার সময় বাড়ানো হবে: তথ্যমন্ত্রী
হামলার দায় ফেসবুক এড়াতে পারে না: তথ্যমন্ত্রী
৪৮৬ দিন আগে
দেশ ও সমাজ বিনির্মাণে গণমাধ্যম অনবদ্য ভূমিকা পালন করতে পারে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশ ও সমাজ বিনির্মাণে এবং একইসঙ্গে মানুষকে স্বপ্ন দেখানোর কাজে গণমাধ্যম অনবদ্য ভূমিকা পালন করতে পারে।
তিনি বলেন, গণমাধ্যম সমাজের তৃতীয় নয়ন ও উন্মোচিত নয় এমন বিষয় উন্মোচন করতে পারে, যেখানে দায়িত্বশীলদের দৃষ্টি পড়ে না, সেখানে দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে পারে।
সোমবার সন্ধ্যায় দৈনিক কালবেলা পত্রিকার প্রথম বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর বেইলী রোডে অফিসার্স ক্লাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির আন্দোলনে জনসমর্থন নেই: হাছান মাহমুদ
তিনি বলেন, ‘আমি কালবেলাকে অসংখ্য অভিনন্দন জানাই যে অত্যন্ত অল্প সময়ে, প্রকাশের কয়েক মাসের মধ্যে এটি ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। পত্রিকাটি শতবর্ষী হোক।’
তিনি আরও বলেন, দৈনিক কালবেলা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে সমাজের দর্পণ হিসেবে কাজ করে, একইসঙ্গে দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও ভূমিকা পালন করছে।
মন্ত্রী বলেন, সবার আগে সংবাদ পরিবেশনার প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে অসত্য সংবাদ পরিবেশন করে সমাজে অস্থিরতার অবস্থা যাতে তৈরি না হয়, সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
এ সময় কালবেলার সম্পাদক আবেদ খান, নির্বাহী সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, প্রকাশক নজরুল ইসলাম, সম্পাদকীয় দল, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, সম্পাদক, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা হাছান মাহমুদের
ফিলিস্তিনের বিষয়ে মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করছে ইউরোপীয় দেশগুলো : ড. হাছান মাহমুদ
৫১৯ দিন আগে
জনপ্রতিনিধিরা সমাজে আদর্শ হলে ইতিবাচক পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
জনপ্রতিনিধিরা আদর্শবান হলে সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধিরা যতটা মানুষের কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ পায় তা অন্য কোনো পেশার মানুষের পক্ষে সম্ভব হয় না। নির্বাচনের জন্য হোক অথবা মানুষের সেবা করার জন্য হোক, সমাজে জনপ্রতিনিধিদের মানুষের সঙ্গে মিশে থাকতে হয়।
তিনি বলেন, মানুষের অভাব অনটন থেকে শুরু করে দুঃখ-দুর্দশা এবং বিভিন্ন মতবিরোধে বিচার সালিশ করতে হয় জনপ্রতিনিধিদেরই। তাই জনপ্রতিনিধিরা যখন সমাজের সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়, মানুষ তাদের সব সমস্যা নির্দ্বিধায় জনপ্রতিনিধিদের বলতে পারে তখন সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী।
তিনি রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের জন্য আয়োজিত “সিটি কর্পোরেশন সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ” কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: প্রকল্পে অংশীদারদের মতামতের সমন্বয় জরুরি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী শক্তিশালী স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার জন্য শুধুমাত্র অর্থ বরাদ্দের প্রয়োজন এ ধারণার বিরোধিতা করে বলেন, সরকারি যেকোনো অর্থ একটি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে খরচ হয়, সেখানে নিজের খেয়াল খুশি মতো খরচ করার সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, অর্থ বরাদ্দের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে তৃণমূল পর্যায়ে উন্নয়নের সঙ্গে মানুষের অংশগ্রহণ যাতে সবাই নিজ নিজ সম্ভাবনাকে বিকশিত করার সুযোগ পায়।
মন্ত্রী এ সময় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের নিজ নিজ এলাকায় সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে নগরায়ন হলে তার সুবিধা সবাই ভোগ করবে। অপরিকল্পিত নগরায়ন হলে তা টেকসই হয় না বরং মানুষের ভোগান্তি বাড়ে।
এক্ষেত্রে কাউন্সিলরদের নিজ নিজ এলাকার উন্নয়নে আরও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
তাজুল ইসলাম বলেন, বিশ্বায়নের এই যুগে মানুষ একা বেঁচে থাকতে পারে না। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের টিকে থাকতে হবে।
ডেঙ্গু রোগের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, আপনি একা সচেতন হলে সামগ্রিকভাবে তা ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর হচ্ছে না। পাড়া-প্রতিবেশী থেকে শুরু করে সবাই যখন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেবে তখনই ডেঙ্গুর মতো রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
একা স্বার্থপরের মতো টিকে থাকার সময় শেষ উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিজ এলাকা এবং দেশের উন্নয়নে সবাইকেই সামগ্রিকভাবে অংশগ্রহণ এবং সচেতন হতে হবে।
জনগণকে জাগিয়ে তোলা এবং সচেতন করার ক্ষেত্রে কাউন্সিলরদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আপনি আপনার এলাকার মানুষের যতটা কাছে যেতে পারবেন তা কোনো সরকারি কর্মকর্তা কিংবা কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জায়েদা খাতুন।
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সালেহ আহমেদ মোজাফফর এবং সভাপতিত্ব করেন- স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম।
আরও পড়ুন: পৌরসভা পর্যায়ে পরিবেশবান্ধব পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অপরিহার্য: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
সন্ধ্যার মধ্যেই কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
৫৪৯ দিন আগে
সৃজনশীল সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, জনপ্রতিনিধিদের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সৃজনশীল সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করতে হবে।
শনিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের জাতীয় স্থানীয় সরকার ইন্সটিটিউটে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরদের প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধিরা হলেন সমাজের পথ প্রদর্শক৷ শুধু ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে নয় সামাজিক উন্নয়নেও জনপ্রতিনিধিদের অবদান রাখতে হবে। উন্নয়ন করতে হবে পরিকল্পিতভাবে৷
আরও পড়ুন: নিজ এলাকার মানুষের পাশে সাবেক প্রতিমন্ত্রী তাজুল ইসলাম
কুমিল্লা শহরকে আদর্শ শহর হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও কমিশনারদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি সম্পর্কে মন্ত্রী জানান, সরকার ডেঙ্গু মোকাবিলার জন্য কাজ করছে। এবছর অন্য সময়ের তুলনায় থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। মূলত আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্যই এবছর এসময়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তাজুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে ডেঙ্গুর অবস্থা বেদনাদায়ক কিন্তু সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইনসহ অনেক দেশের তুলনায় এখনো অনেক ভালো। ইতোমধ্যে মেয়রদের চিরুনি অভিযানসহ আরও নিবিড়ভাবে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আবুল মুহিত ছিলেন আলোকিত সফল মানুষ: তাজুল ইসলাম
সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সহযোগিতা করবে সরকার: তাজুল ইসলাম
৮৭৯ দিন আগে
সরকার বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একার পক্ষে সমাজকে মাদকমুক্ত করা সম্ভব নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সরকার বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একার পক্ষে সমাজকে মাদকমুক্ত করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
তিনি বলেন, ‘মাদকদ্রব্য আমাদের দেশে তৈরি না হলেও পাশের দেশ থেকে সেগুলো আসছে। মাদকের ছোবল থেকে নতুন প্রজন্মকে রক্ষা করতে হবে। এটি শুধু সরকার বা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একার পক্ষ করার সম্ভব নয়। সমাজ মাদকমুক্ত করতে সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন।’
মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী পুলিশ লাইন্সে ‘রাজশাহী পুলিশ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি জাদুঘর’ উদ্বোধনকালে এ তথ্য জানান তিনি। পরে তিনি জাদুঘর ঘুরে দেখেন এবং পরিদর্শন বইয়ে সাক্ষর করেন।
আরও পড়ুন:দুর্গাপূজায় পূজা মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা বাধ্যতামূলক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মিয়ানমার সীমান্তে বিজিবিকে আরও শক্তিশালী করা হয়েছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আরাকান আর্মিদের সঙ্গে সে দেশের সরকারের যুদ্ধ হচ্ছে। এ কারণে মাঝে মাঝে আমাদের সীমান্তেও গোলা পড়ছে। এর জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতিবাদ জানিয়েছে। মিয়ানমার সীমান্তে বিজিবিকে আরও শক্তিশালী করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, অচিরেই সীমান্তে গোলাগুলি বন্ধ হবে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘রাজশাহীতে বিএমডিএর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় যিনিই জড়িত থাকনা কেন; তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। তদন্ত করে সবাইকে আইনের মুখোমুখি করা হবে।’
এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজশাহী অঞ্চলে শতাধিক পুলিশ সদস্য শহীদ হয়েছেন। তাদের বীরত্বগাঁথা ও দেশপ্রেমের স্মৃতি নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে জাদুঘর প্রতিষ্ঠার করা হলো। এর মাধ্যমে শহীদদের স্মরণ করা হচ্ছে। তাদের অবদান কখনো ভুলবে না বাংলাদেশ।’
জাদুঘর উদ্বোধন শেষে মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে তিনি ‘মুক্তিযুদ্ধে রাজশাহী পুলিশ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন। পরে শহীদ পুলিশ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সম্মাননা প্রদান করেন তিনি।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের দিকে গুলি চালানোর বিরুদ্ধে মিয়ানমারকে সতর্ক করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রে এমআরপি পুনরায় চালুর বিষয়টি পর্যালোচনা করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৯১৮ দিন আগে