বিরোধীদলীয় উপনেতা ও জাতীয় পার্টির সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, চাঁদাবাজি সমাজে একটি সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে।
সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, 'আমার সহকর্মী সংসদ সদস্যদের কাছে আমার আবেদন। আসুন আমরা এই একটি কারণে ঐক্যবদ্ধ হই, যেখানে কোনো পয়সা খরচ হবে না। কিছুই লাগবে না। আমরা তাদের সমর্থন করব না, শুধু তাদের প্রতিহত করব। আমার মনে হয়, এটা করলেই বাংলাদেশ টিকে থাকবে।’
একটি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ উল্লেখ করে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, পণ্য পরিবহনে চাঁদা দিতে হয়। এতে মোট দাম বাড়ে। বাড়ি নির্মাণ করতে হলে চাঁদা দিতে হয়।’
আরও পড়ুন: চলচ্চিত্র প্রযোজকের বিরুদ্ধে 'হত্যাচেষ্টা ও চাঁদাবাজির' অভিযোগ এনে শাকিব খানের মামলা
কেউ যদি চাঁদার টাকা দিতে না চায় তাহলে তাকে রড, ইট, সিমেন্ট বা বালু সরবরাহের কাজ দিতে হয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘গরিব হকারদের কাছেও চাঁদাবাজি করা হয়, রিকশা স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজরাও থাকে। চাঁদাবাজি একটি ভয়াবহ ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে।’
এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে সামনে ভয়ংকর সমস্যা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি সব সংসদ সদস্যকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে চাঁদাবাজদের সমর্থন না করতে এবং তাদের প্রতিহত করার শপথ গ্রহণের আহ্বান জানান।
অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির আরেক সদস্য ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখিয়ে বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফরম বিক্রির টাকা উপাচার্য, উপউপাচার্য ও অন্যান্য শিক্ষকদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হচ্ছে।
‘চবি ছাত্রলীগ এই অর্থ ভাগাভাগির অংশীদার হতে চায়, যা তারা আগেও করেছে।’
শিক্ষামন্ত্রীর উদ্দেশে মুজিবুল হক বলেন, এটা যদি সঠিক হয়, তাহলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জনগণকে জানাতে হবে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে চাঁদাবাজি ও অপহরণ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
রাণীশংকৈলে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে ২ যুবক গ্রেপ্তার