প্রতিবেশীর বাড়িতে রাত্রি যাপন
ঘরের অভাবে প্রতিবেশীর বাড়িতে ঘুমায় মেয়েরা!
দারিদ্র্যের নির্মম কষাঘাতে জর্জরিত মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার জাহাঙ্গীর মোল্যা (৩৮)। তিনি পেশায় একজন ভ্যান চালক। চড়া সুদে ঋণ নিয়ে ভ্যান কিনেছেন। করোনা পরিস্থিতিতে কাজ বন্ধ। গত এক মাস ঘরবন্দী হয়ে পরিবার নিয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে দিন যাপন করছেন।
আরও পড়ুন: একটি ঘরের অপেক্ষায় গৌরদাস
জাহাঙ্গীর মোল্লা মাগুরা সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের দক্ষিনপাড়া গ্রামের মৃত আতিয়ার মোল্যার ছেলে। তার পরিবারে পাঁচ জন সদস্য। তিন কন্যা সন্তানের মধ্যে বড় মেয়ে রিনা খাতুন (১৭) মানসিক ভারসাম্যহীন ও শারিরীক প্রতিবন্ধী। মিনজা খাতুন (১১) বিনোদপুর বিকে হাইস্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। ছোট মেয়ে মানছুরা খাতুন (১০), শিরিজদিয়া পূর্বপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণির ছাত্রী।
সংশ্লিষ্টরা জানান, দ্ররিদ জাহাঙ্গীরের নিজের বলতে কোন জায়গা জমি নেই। মায়ের নামে আড়াই শতক জমি আছে। ওই জমিতে মা ও ছোট ভাইয়ের দুইটি ঘর আছে। কোন রকম পাশেই টিনের খুপড়ি ছাপড়া ঘর পেতে বসবাস করেন তিনি। পাটকাঠি ও পলিথিন দিয়ে জোড়াতালি দেয়া ঘরের বেড়া। ঘরের চালের টিনে ফুটো থাকায় বৃষ্টির দিনে ঘরে কাঁদাপানি। মেঝে ও স্যাঁতস্যাঁতে। রাতে ঘুমানোর জায়গা না থাকায় প্রতিবেশি মো: রাশেদ মন্ডলের বাড়িতে রাত্রি যাপন করেন ওই তিন মেয়ে।
আরও পড়ুন: একটি ঘরের অপেক্ষায় অসহায় কদবানু
জমি ও গৃহহীনতের জন্য আশ্রায়ন প্রকল্পে প্রধান মন্ত্রীর ঘর প্রদান কর্মসূচির একটি ঘর এই পরিবার চেয়েছেন। অসহায় এই পরিবারের ওপর সুদৃষ্টির জন্য মহম্মদপুর উপজেলা প্রশাসন ও মাগুরা জেলা প্রশাসকের প্রতি বিশেষ অনুরোধ করা যাচ্ছে।
৩ বছর আগে