ড. অজিৎ সিং সিকান্দ
বঙ্গবন্ধুর সমগ্র জীবনই সকলের জন্য একটা বার্তা: ড. অজিৎ সিং
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনটাই সবার জন্য একটা বার্তা বলে মন্তব্য করেছেন জার্মানির গুটেনবার্গ ইউনিভার্সিটি অব মাইনজ’র এমিরেটাস প্রফেসর ড. অজিৎ সিং সিকান্দ।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জীবন তরুণদের জন্য, বাঙালির জন্য, মানবজাতির জন্য একটি বার্তা। মাহাত্মা গান্ধী যেমন বলেছে ‘মাই লাইফ ইজ মাই ম্যাসেজ।’ তেমনি বঙ্গবন্ধুর জীবন সবার জন্য একটি ম্যাসেজ। যার মধ্য দিয়ে সমগ্র জীবনাচরণ, আদর্শ, মহানুভবতা এবং জীবন সংগ্রাম ফুটে ওঠে।’
রবিবার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটি কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় তিনি এই মন্তব্য করেন।
এসময় বঙ্গবন্ধুকে মহাত্মা গান্ধী, মার্টিন লুথার কিং, নেলসন মেন্ডেলা, জহরলাল নেহেরু এর মতো বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে তুলনা করেন প্রফেসর ড. সিং।
১৯৭৫ সালের পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘আমরা কখনো সেই কুৎসিত ভয়ংকর রাতের কথা ভুলবো না। যে রাতে নৃশংসভাবে শেখ মুজিব আর তার পরিবারকে হত্যা করা হয়েছে। সেটা মানুষের স্মৃতিতে চিরদিন থাকবে। যিনি স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন তাকে মনে রেখেই আগামীর পথ চলতে হবে। তাকে মনে রাখতে হবে তার অবদান ও তার ত্যাগের জন্য। মনে রাখতে হবে, তিনি চেয়েছিলেন ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। আমাদের তার সেই ভাবনা আর স্বপ্নের পথটাই বাস্তবায়ন করতে হবে।’
শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক দূরদর্শিতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু খুব সাবলীল বক্তব্য দিতেন। মহত্মা গান্ধী ও শেখ মুজিব সাধারণ মানুষের ভাষা বুঝতে পারতেন। তারা সততা ও আদর্শ দিয়ে সাধারণ মানুষের খুব কাছে যেতে পারতেন। তাই সমসাময়িক রাজনৈতিক নেতাদের থেকে আলাদা গ্রহণযোগ্যতা ছিল নেতা মুজিবের। পাকিস্তানি মিলিটারিদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, তোমরা আমাদের ভাই। সুতরাং আমাদের বুকে গুলি চালাবে না।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুকে যারা অস্বীকার করে তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই: তথ্যমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলবদের চিহ্নিত করতে নিরপেক্ষ কমিশন: আইনমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু বাঙালির অনুপ্রেরণার বাতিঘর: খাদ্যমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস অফিসার ও সাবেক রাষ্ট্রদূত এম. শফিউল্লাহ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কূটনৈতিক ছিলেন না কিন্তু কূটনীতি খুব ভালো বুঝতে পারতেন। একবার তিনি কুয়েতের আমীরকে বলেছিলেন, ‘তুমি তেলের শেখ আর আমি হলাম পানির শেখ।’ মূলত বঙ্গবন্ধরু দূরদর্শিতার করণেই মধ্যপ্রাচ্য থেকে দ্রুত স্বাধীনতার স্বীকৃতি লাভ করে বাংলাদেশ।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) বঙ্গবন্ধু ফেলো-২০২১ প্রফেসর ড. আফজাল হোসেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ধর্ম নিরপেক্ষ ও বৈশ্বিক শান্তি গড়তে চেয়েছেন যাতে সকল ধর্মের মানুষ সমান অধিকার ভোগ করতে পারে।’
প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটির উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মেসবাহ কামাল সভাপতির বলেন, ‘আমরা অনেক চড়া দামে আমাদের স্বাধীনতা পেয়েছি। সুতরাং যে মূল উদ্দেশ্য বা মূলনীতি নিয়ে আমরা স্বাধীনতা লাভ করেছি তা রক্ষা করতে হবে। শেখ মুজিবর রহমানের দর্শন, চিন্তা চেতনাকে আমাদের বার বার বোঝার চেষ্টা করতে হবে।’
৩ বছর আগে