পদসীমার উপরে পদ্মার পানি
ফরিদপুরে বিপদসীমার উপরে পদ্মার পানি, তীব্র ভাঙন
ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে ফরিদপুরে পদ্মার পানি এখন বিপদসীমা অতিক্রম করছে। এছাড়া জেলার পাঁচ উপজেলার কয়েকটি স্থানে নদী পাড় তীব্রভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মার গোয়ালন্দ পয়েন্টে ১৪ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যারা ফলে এই পানি জেলার মধুমতি, কুমার নদী ও আড়িয়াল খাঁ নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চলে প্রবেশ করছে।
ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বের্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ জানান, প্রতিদিনই ফরিদপুরের পদ্মা, মধুমতি ও আড়িয়ালখাঁর পানি বাড়ছে। মঙ্গলবার সকালে তা বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফরিদপুরের বিপদসীমার লেভেল ৮ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে নদী থেকে বালু উত্তোলন, দণ্ডিত ৮
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মার পানি বেড়েছে ১৪ সেন্টিমিটার। বর্তমানে গোয়ালন্দ পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি ৮ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি ফলে পাঁচটি উপজেলার কয়েকটি স্থানে নদী পাড় ভাঙন শুরু হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেল প্রাথমিক প্রটেকশনের জন্য।
জেলার সদর উপজেলার গোলডাঙ্গী এলাকার গৃহিনী নাছিমা বেগম বলেন, হঠাৎ করে গত ৪-৫ দিন হলো পানি বাড়ছে। বৃদ্ধির হারও বেশি।
আমাদের বাড়ি আশেপাশে পানি চলে এসেছে। মাঠে ধান ও ধুনচে গাছ তলিয়ে যাচ্ছে।
একই উপজেলার ডিগ্রীরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টু বলেন, আমার ইউনিয়নের বেশিরভাগই চরাঞ্চল। স্বাভাবিকভাবেই পানি বাড়ায় চরের মাঠ-ঘাট তুলিয়ে গেছে এবং আউশ ধান ও অন্যানো ফসলের খেত পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে মধুমতি নদীতে ভাঙন
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, পানি বৃদ্ধির বিষয়টি আমরা সতর্কভাবেই দেখছি। জেলার বিভিন্ন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে খোঁজ খবর রাখতে। কোথাও জনমানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, যে সব এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে সে সব স্থানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলা হয়েছে।
৩ বছর আগে