বনায়ন
বনভূমি জবরদখলমুক্ত করে বনায়ন করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
জবরদখলকৃত বনভূমি পুনরুদ্ধার ও বনায়ন করতে সরকার সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
মঙ্গলবার (৪ জুন) সচিবালয়ে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সেচ পাম্পের জ্বালানি নবায়নযোগ্য করলে সাশ্রয় হতে পারে ৫০০০ মেগাওয়াট: পরিবেশমন্ত্রী
বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে আসার আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
তিনি আরও বলেন, এর ফলে অক্টোবর ২০২০ হতে এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত সারা দেশে প্রায় ৩০ হাজার একর বনভূমি জবরদখলমুক্ত করা হয়েছে এবং বনায়ন সম্পন্ন হয়েছে।
পরিবেশ সংরক্ষণ ও ভূমির অবক্ষয় রোধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ভূমি অবক্ষয় কমিয়ে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সরকার বিভিন্ন প্রকল্প যেমন টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন করছে।
তিনি আরও বলেন, ইটভাটায় টপ সয়েলের ব্যবহার কমাতে সরকারি নির্মাণ কাজে ইটের পরিবর্তে ব্লক ব্যবহারের রূপরেখা দেওয়া হয়েছে।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, সরকার বনায়ন ও বন সংরক্ষণ, অবক্ষয়িত বন পুনরুদ্ধার এবং টেকসই বন ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম চালু রেখেছে।
তিনি বলেন, ২০০৯-২০১০ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত মোট ২ লাখ ১৭ হাজার ৪০২ হেক্টর ব্লক এবং ৩০ হাজার ২৫২ সিডলিং কিলোমিটার স্ট্রিপ বাগান সৃজন এবং ১১ কোটি ২১ লাখ চারা বিতরণ ও রোপণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ বছর বর্ষা মৌসুমে সারা দেশে ৮ কোটি ৩৩ লাখ ২৭ হাজার চারা রোপণ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন- মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. মোশাররফ হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (পদূনি) তপন কুমার বিশ্বাস, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ এবং বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর এবং বন অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: পরিবেশ সুরক্ষা ও টেকসই উন্নয়নে যুব সমাজের অংশগ্রহণ অপরিহার্য: পরিবেশমন্ত্রী
৫ মাস আগে
এ বছর সারাদেশে ৫০ লাখ চারা বিতরণ করবে ‘বনায়ন’
‘গাছ লাগিয়ে যত্ন করি, সুস্থ প্রজন্মের দেশ গড়ি’- এ বছরের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দেশজুড়ে চারা বিতরণ কর্মসূচি শুরু করেছে দেশের বেসরকারি খাত পরিচালিত সর্ববৃহৎ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ‘বনায়ন’।
বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে একযোগে পরিবেশ দিবসে বনায়ন ২০২৩ সালে বনায়ন ৫০ লাখ গাছের চারা বিতরণ করার ঘোষণা দিয়েছে।
পরিবেশ রক্ষায় বনায়ন উদ্যোগের এই যাত্রার ৪৩ বছর পূর্ণ হয়েছে সোমবার বিশ্ব পরিবেশ দিবসে। এছাড়া বন বিভাগের দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৯৮০ সালে বনায়ন প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয়।
আরও পড়ুন: বজ্রপাতের প্রভাব হ্রাসে ৩৮ লাখ তালগাছের চারা রোপন হয়েছে: এনামুর
এ কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য দেশজুড়ে ১৮টির বেশি নার্সারিতে এই চারাগুলো তৈরি করা হয়েছে। পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় অবদান রাখতে এই কার্যক্রমের আওতায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কৃষক ও অংশীজনদের এখন পর্যন্ত প্রায় ১২ কোটি বনজ, ফলজ ও ঔষধি জাতীয় গাছের চারা বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।
এই কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে কৃষকদের সহযোগিতায় ‘বনায়ন’ ১১৯টির অধিক ঔষধি বাগান তৈরি করেছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এসডিজি-১৫ (স্থলজ জীবন) অর্জনে সরাসরি অবদান রাখছে বনায়ন।
এ ছাড়া ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের মোট ভূমির ২৫ শতাংশ বৃক্ষ দ্বারা আচ্ছাদনে বাংলাদেশ সরকারের লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে এই উদ্যোগ।
বর্তমানে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, রংপুর, রাজশাহী, লালমনিরহাট, নাটোর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, যশোর, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার, রাঙামাটি ও নোয়াখালী (ভাসানচর) সহ দেশজুড়ে ২২টিরও বেশি জেলায় পরিচালিত হচ্ছে ‘বনায়ন’ প্রকল্পের কার্যক্রম।
‘বনায়ন’ পাঁচবার সম্মানসূচক প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার এবং একবার প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে।
পাশাপাশি, গ্রিন লিডারশিপের জন্য ‘এন্টারপ্রাইজ এশিয়া’ থেকে ‘বনায়ন’ অর্জন করেছে ‘এশিয়া রেসপন্সিবল অন্ট্রারপ্রনারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ এবং এসডিজি অন্তর্ভুক্তি শ্রেণিতে অর্জন করেছে ‘বাংলাদেশ ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড ২০২১’।
সম্প্রতি বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে ইতিবাচক প্রভাব রাখার জন্য সম্প্রতি এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ডস ২০২৩ -এ জলবায়ু ও পরিবেশ বিভাগে সম্মানজনক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে বনায়ন।
সবুজ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ‘বনায়ন’ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার, রাজশাহী সিটি করপোরেশন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ অসংখ্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করছে।
'বনায়ন' সম্পর্কে আরও জানতে ভিজিট করুন: www.facebook.com/Bonayan1980
আরও পড়ুন: বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস উপলক্ষে ইউএনডিপি’র ‘ক্লিক ফর ওয়াইল্ডলাইফ’ প্রচারাভিযান
মুজিববর্ষ উপলক্ষে সংসদ চত্বরে বৃক্ষের চারা রোপণ
১ বছর আগে
সীতাকুণ্ড উপকূলে ভেসে এলো মৃত ডলফিন
বঙ্গোপসাগরের চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপকূল থেকে একটি মৃত ডলফিন উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে উপজেলার ১নং সৈয়দপুর ইউনিয়নের বগাচতর সাগর উপকূলে কেওড়া বনে কাজ করার সময় বনকর্মীরা মৃত ডলফিনটি দেখতে পায়।
সাড়ে ৬ ফুট লম্বা ও ২ মন ওজনের মৃত ডলফিনটি উদ্ধারের পর সংরক্ষিত উপকূলীয় বনে মাটিচাপা দেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুনঃ কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো মৃত ডলফিন
উপকূলীয় বন বিভাগের বগাচতর বিট কার্যালয়ের বিট কর্মকর্তা এইচ এম জলিলুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজ শুক্রবার সকালে বগাচতর সাগর উপকূলে সাগর থেকে মৃত অবস্থায় ভেসে আসে ডলফিনটি। ধারণা করা হচ্ছে, ডলফিনটি পাঁচ থেকে সাত দিন আগে সাগরে মারা যেতে পারে। পরে পানিতে ভেসে উপকূলে চলে আসে। ওই এলাকায় বনায়নের কাজ করার সময় বন বিভাগের কর্মীরা মৃত ডলফিনটি দেখতে পায়।
আরও পড়ুনঃ বোয়ালখালীর খালে ভাসছে মৃত ডলফিন
তিনি বলেন, সৈকতে ভেসে আসা ডলফিনটি গঙ্গা নদীর। ঠিক কী কারণে এর মৃত্যু হয়েছে, তা বলা যাচ্ছে না। এ প্রজাতির ডলফিনগুলো সাধারণত মাছ খেয়ে বেঁচে থাকে। ধারণা করা হচ্ছে, জেলেদের মাছ ধরার জালে আটকে ডলফিনটির মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। আবার বয়সের কারণেও এরা অনেক সময় মারা যায়। জোয়ারের পানিতে ভেসে মৃত ডলফিন তীরে চলে আসে।
৩ বছর আগে