আইন আদালত
শর্তে মুক্তি পাওয়া মাদক মামলার ২০ আসামির তালগাছ রোপন
ভোলা সদরে তালগাছের বীজ রোপনের শর্তে মুক্তি পাওয়া মাদক মামলার ২০ আসামি সড়কের পাশে তালগাছের বীজ রোপন করেছে।
প্রবেশন কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ শাহ্ তত্ত্বাবধানে মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার পরানগঞ্জ সংলগ্ন ভোলা-বরিশাল ভেদুরিয়া সড়কে প্রত্যেক আসামি ২০টি করে মোট ৪০০টি তালগাছের বীজ রোপন করেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক আফতাব হত্যা মামলায় ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল
এর আগে বিকালে ভোলা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের চত্বরে ভোলা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত-১ এর বিচারিক হাকিম মো. আলী হায়দার শর্তে মুক্তি পাওয়া আসামিদের মধ্যে তালগাছের বীজ বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: বজ্রপাতের প্রভাব হ্রাসে ৩৮ লাখ তালগাছের চারা রোপন হয়েছে: এনামুর
প্রবেশন কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ শাহ্ জানান, বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে শর্তে মুক্তি পাওয়া ২০ জন মাদক মামলার আসামি সড়কের পাশে তালগাছের বীজ রোপন করেছে। এতে করে মুক্তি পাওয়া আসামিরা সামাজিক কাজে উদ্ভুদ্ধ হবেন এবং তাদের ভুলগুলো সুধরাবেন।
২ বছর আগে
সাংবাদিক আফতাব হত্যা মামলায় ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল
একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ ফটোসাংবাদিক আফতাব আহমেদ হত্যা মামলায় পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। এছাড়া অপর আসামির সাত বছরের কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-বিল্লাল হোসেন কিসলু, হাবিব হাওলাদার, রাজু মুন্সি, রাসেল এবং গাড়িচালক হুমায়ুন কবির মোল্লা এবং দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সবুজ খান। এদের মধ্যে রাজু মুন্সি ও রাসেল পলাতক রয়েছেন।
এ মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদেও আপিল শুনানি করে বুধবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: যুদ্ধাপরাধী আজহারের মৃত্যুদণ্ড বহাল
রায় ঘোষণার সময় আদালত বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। এ কারণে বিচারিক আদালতের রায় বহাল রাখা হলো।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারানুম রাবেয়া মিতি। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তামান্না ফেরদৌস ও ফারজানা শম্পা। আসামিদের পক্ষে আইনজীবী এসএম শাহজাহান, হেলাল উদ্দিন মোল্লা, পলাতক রাসেল ও রাজুর পক্ষের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মঙ্গলবার একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ ফটোসাংবাদিক আফতাব আহমেদ হত্যা মামলায় ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন) ও আসামিপক্ষের আপিল আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়। বুধবার মামলার রায়ের জন্য দিন দার্য ছিল।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ সাংবাদিক আফতাব আহমেদ হত্যা মামলায় পাঁচ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুর রহমান সরদার।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় স্কুলছাত্রী ফারজানাকে ধর্ষণ ও হত্যা, হাইকোর্টে ২ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর পশ্চিম রামপুরা ওয়াপদা রোডে ৬৩ নম্বরের নিজ বাসায় খুন হন ফটো সাংবাদিক আফতাব আহমেদ। পরের দিন ২৫ ডিসেম্বর রামপুরায় নিজ বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে হত্যার দায় স্বীকার করে হুমায়ুন কবির, হাবিব হাওলাদার ও বিল্লাল হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তারা স্বীকারোক্তিতে বলা হয়, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আফতাব আহমেদের বাসায় ডাকাতি করার সময় তাকে গামছা দিয়ে বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। আসামি বিল্লাল হোসেন কিসলু আফতাব আহমেদের বাসার ড্রয়ার ভেঙে ৭২ হাজার টাকা লুট করেন। পরে তারা বৌবাজার নামক একটি জায়গায় এ টাকা ভাগাভাগি করে নেন।
আরও পড়ুন: স্ত্রীকে এসিড নিক্ষেপ: স্বামীর মৃত্যুদণ্ড বহাল
৬৯ বছর বয়স্ক সাংবাদিক আফতাব আহমেদ দৈনিক ইত্তেফাকের প্রবীণ ফটো সাংবাদিক ছিলেন। আলোকচিত্র সাংবাদিকতায় অনন্য অবদানের জন্য ২০০৬ সালে তিনি একুশে পদক পান।
২ বছর আগে
কুমিল্লার পূজামণ্ডপে কোরআন অবমাননা: মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে
গত বছর কুমিল্লায় দুর্গাপূজার সময় অস্থায়ী একটি পূজামণ্ডপে কোরআন অবমাননার অভিযোগে দায়ের করা ১২টি মামলার বেশির ভাগ তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গত বছর ১৩ অক্টোবর ইকবাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি মণ্ডপে একটি মূর্তির কোলে কুরআন রেখেছিলেন। অন্য অভিযুক্ত ইকরাম ‘পবিত্র ধর্মগ্রন্থের অবমাননা’ কথা জানিয়ে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল করেছিলেন। সে সময় ঘটনাটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
এ ঘটনায় কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও রংপুরসহ কয়েকটি জেলায় মন্দিরে সহিংসতা ও হামলা এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত আট জন নিহত ও বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন মুসলিম, তারা পুলিশের গুলিতে মারা যান।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে মন্দিরে হামলা ও লুঠপাটের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪
সহিংসতার ঘটনায় কুমিল্লায় ১২টি মামলা হয়েছে। এসব মামলার তদন্ত করছে সিআইডি, পিবিআই ও থানা পুলিশ।
কুমিল্লার সিআইডি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, আমাদের কাছে তদন্তে থাকা ৬টি মামলার মধ্যে ৫টি মামলারই অভিযোগপত্র দাখিল করেছি। অন্য মামলা ধারা পরিবর্তন করার কারণে প্রশাসনিক অনুমোদনের জন্য বিলম্ব হচ্ছে।
তিনি বলেন, ধর্মঅবমাননা ও সন্ত্রাস বিরোধী ধারায় যে মামলাটি কোতোয়ালি থানার মামলা নং ৫২ (ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮), এটিতে আকেটি ধারা সংযুক্ত করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। এছাড়া সন্ত্রাস দমন, বিশেষ ক্ষমতা আইন, ডিজিটাল নিরাপত্তা ও বিস্ফোরক আইনের মামলাগুলোর অভিযোপত্র দেয়া হয়েছে।
তদন্তাধীন চারটি মামলার মধ্যে একটি মামলায় একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পিবিআই। বাকি তিনটি মামলার তদন্তও শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন পিবিআই কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: ফেনীতে মন্দিরে হামলা-সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু
জেলা পুলিশ সুপার মো. আব্দুল মান্নান জানিয়েছেন, কুমিল্লায় মন্দিরের ঘটনায় দায়ের করা দুটি বড় মামলা জেলা পুলিশ তদন্ত করেছে, তবে তারা অভিযোগপত্র দাখিলের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা দুটি মামলা এবং সিআরপিসির অধীনে নাশকতা মামলা প্রশাসনিক অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে ।
কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান, গত বছর নানুয়া দীঘিরপাড় এলাকায় কোরআন অবমাননার ঘটনা ঘটেছিল সেখানে এ বছরও দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, গত বছরের সহিংসতার কথা বিবেচনা করে এ বছর দুর্গাপূজা উদযাপনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকারের ব্যর্থতায় মন্দিরে ভাঙচুর : ডা. জাফরুল্লাহ
কুমিল্লা জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্মল পাল জানান, এ বছর জেলায় ৭৯৪টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় এবারের পূজা সুষ্ঠুভাবে উদযাপিত হবে বলে আমরা আশা করছি।
২ বছর আগে
সুইস ব্যাংকের কাছে তথ্য না চাওয়ার কারণ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
সুইস ব্যাংকে অর্থ জমাকারীদের তথ্য কেন চাওয়া হয়নি তা জানাতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী রবিবারের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) এই তথ্য জানাতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।
এসময় আদালতে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক উপস্থিত ছিলেন।
আদালত এই বিষয়ে তাদের বক্তব্য শোনেন। পরে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞার পরও সাউথের আমজাদ কীভাবে পালালেন জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
এ বিষয়ে সুইস রাষ্ট্রদূতের দেয়া বক্তব্যে নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের অনুলিপিও দাখিল করতে বলেন।
আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, আদালত কারণ জানতে চেয়েছেন। দুদকের সঙ্গে কথা বলে রবিবার আমি আদালতকে জানাবো।
সুইস ব্যাংকে জমা রাখা অর্থের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির তথ্য চায়নি বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি শুয়ার্ড। বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিকাব) আয়োজিত ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ২০৬ হাসপাতাল-ক্লিনিক কেনো বন্ধ হবে না, জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
এক প্রশ্নের উত্তরে সুইস রাষ্ট্রদূত বলেন, সুইস ব্যাংকে জমা রাখা অর্থের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির জন্য তথ্য চায়নি। সুইস ব্যাংকের ত্রুটি সংশোধনে সুইজারল্যান্ড কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। তবে আমি আপনাদের জানাতে চাই, সুইজারল্যাণ্ডে কালো টাকা রাখার কোনো নিরাপদ ক্ষেত্র নয়।
তিনি বলেন, গত বছর সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশ থেকে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা জমা হয়েছে। তবে উভয় দেশের সম্মতিতে ব্যাংকিং তথ্য লেনদেন হতে পারে এবং সেটা সম্ভবও। এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি।
২ বছর আগে
জাহালমের ১৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
বিনাদোষে প্রায় তিন বছর কারাভোগ করা পাটকল শ্রমিক জাহালমকে ১৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য ব্র্যাক ব্যাংককে নির্দেশ দিয়ে ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণা করেছিলেন হাইকোর্ট। ওই রায়ের ৮৮ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে।
রায়ের পর্যবেক্ষণে দুদককে সতর্ক করে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে কোনো মামলায় কোনো ব্যক্তিকে এ ধরনের ভুলভাবে যেন জড়ানো না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান রবিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রায়ে ব্র্যাক ব্যাংককে বলা হয়েছিল, রায়ের কপি হাতে পাওয়ার এক মাসের মধ্যে জাহালমকে ১৫ লাখ টাকা দিতে হবে। আর টাকা দেয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার জেনারেলের কার্যালয়ে তা লিখিতভাবে জানাতে হবে।
দুদকের আইনজীবী জানান, ২০২০ সালে ব্র্যাক ব্যাংক এ রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে। এখন তারা পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পেলে লিভ টু আপিল করতে পারে। এখন আপিল বিভাগে বিষয়টি বিচারাধীন।
এর আগে সোনালী ব্যাংকের সাড়ে ১৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১২ সালের এপ্রিলে মোট ৩৩টি মামলা করে দুদক।
দুদক তদন্ত করে জানায়, জালিয়াত চক্র সোনালী ব্যাংকের ক্যান্টনমেন্ট শাখায় আবু সালেকসহ তিনজনের হিসাব থেকে ১০৬টি চেক ইস্যু করে। চেকগুলো ১৮টি ব্যাংকের ১৩টি হিসাবে ক্লিয়ারিংয়ের মাধ্যমে জমা করে ১৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। ওই ১৮টি ব্যাংকের মধ্যে একটি হলো ব্র্যাক ব্যাংক। এরপর দুদকের নবীন অনভিজ্ঞ তদন্ত কর্মকর্তাদের ভুলে সালেকের বদলে গ্রেপ্তার করা হয় টাঙ্গাইলের জাহালমকে। তাকে ‘আবু সালেক’ হিসেবে শনাক্ত করেছিলেন ব্র্যাক ব্যাংকের দুই কর্মকর্তা। সে কারণে ব্র্যাক ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে এই জরিমানা দিতে বলা হয়। আদালত রায়ে বলেছিলেন, এ ঘটনায় সোনালী ব্যাংকের কোনো ভুল না পাওয়ায় তাদের জরিমানা করা হয়নি। তবে দুদককে হাইকোর্ট সতর্ক করে দিয়েছেন, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি না হয়।
রায়ে হাইকোর্ট বলেন, দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা যথাযথভাবে তার দায়িত্ব পালন করেনি। তদন্ত রিপোর্টেও এটা উঠে এসেছে। কিন্তু সব দেখে মনে হয়েছে তার কোনো খারাপ উদ্দেশ্যে ছিল না। এখানে দুদকের ৩১ ধারা (সরল বিশ্বাসের ভুল) প্রযোজ্য। যদিও তারা অদক্ষ ও অযোগ্য। কিন্তু আমরা ওই অফিসারদের প্রতি ক্ষতিপূরণ আরোপ করছি না। এখানে সালেকের স্থলে জাহালমকে জড়ানোর কোনো উদ্দেশ্যে দেখছি না। দুদকের বিষয়ে হাইকোর্ট বলেন, দুদক একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে গঠিত স্বাধীন কর্তৃপক্ষ। আইন ও বিধি অনুসারে তাদের তদন্ত কার্যক্রম চালাবে, এবং ভবিষ্যতে কোনো মামলায় কোনো ব্যক্তিকে এ ধরনের ভুলভাবে যেন জড়ানো না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
ব্যাংক কর্মকর্তাদের সম্পর্কে আদালত বলেন, তদন্ত রিপোর্টে দেখা যায়, বিশেষত ব্যাংকের দুই কর্মকর্তা সালেকের স্থলে জাহালমকে এনেছেন। তাদের এ কার্যক্রম তদন্ত কর্মকর্তাকে ভুল পথে পরিচালিত (মিসগাইড) করেছে। আর তারা ইচ্ছা করে এ কাজ করেছে। ওই সময় ব্যাংক ঋণ সংক্রান্ত ঘটনায় ৩৩ মামলায় জাহালমকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল।
হাইকোর্ট রায়ে বলেছেন, জাহালমের মতো আর কোনো নিরীহ লোক যেন ভবিষ্যতে দুদকের মামলায় জেল না খাটে। দুদককে যথাযথভাবে তদন্ত করারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন। সম্প্রতি রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়।
২০১৯ সালের জানুয়ারিতে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘স্যার, আমি জাহালম, সালেক না’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অমিত দাশগুপ্ত। ৩৩ মামলায় ‘ভুল’ আসামি জেলে ‘স্যার, আমি জাহালম, সালেক না...’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অমিত দাশগুপ্ত।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘স্যার, আমি জাহালম। আমি আবু সালেক না, আমি নির্দোষ।’ ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এ বিচারকের উদ্দেশ্যে তাকে বারবার বলতে দেখা যায়, ‘আমি আবু সালেক না ’।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আবু সালেকের বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির ৩৩টি মামলা হয়েছে। কিন্তু আবু সালেকের বদলে জেল খাটেন নির্দোষ জাহালম। তিনি পেশায় পাটকল শ্রমিক। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তা, মামলার বাদীসহ চারজনকে তলব করেন হাইকোর্ট বেঞ্চ। এছাড়া রুলও জারি করেন। পরে ২০১৯ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি সংশ্লিষ্টরা হাজিরের পর হাইকোর্ট জাহালমকে মুক্তির নির্দেশ দেন এবং দুদকের কাছে ঘটনার বিষয়ে হলফনামা আকারে জানতে চান। সে আদেশ অনুসারে দুদক হলফনামা আকারে তা উপস্থাপন করে। পরে ব্যাংক ঋণ জালিয়াতির ৩৩ মামলার এফআইআর, চার্জশিট, সম্পূরক চার্জশিট ও সব ব্যাংকের এ সংক্রান্ত নথিপত্র দাখিল করতে দুদককে নির্দেশ দেন।
এ ঘটনার তদন্ত করে দুদক জানায়, জাহালম নিরপরাধ। একই মত দেয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও।
আরও পড়ুন: যাবজ্জীবন মানে ৩০ বছরের কারাদণ্ড: পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
২ বছর আগে
ড. ইউনূসের মামলা বাতিল আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি ১১ আগস্ট
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলা বাতিলের আবেদনের ওপর চূড়ান্ত শুনানির জন্য আগামী ১১ আগস্ট দিন ধার্য করছেন হাইকোর্ট।
সোমবার বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান এবং ড.ইউনূসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চার জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের মামলার কার্যক্রম দুই মাস স্থগিত থাকবে: আপিল বিভাগ
ড. ইউনূস ছাড়াও এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে মামলায় বিবাদী করা হয়।
মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪ এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। পরে ওই মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।
গত বছরের ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল দিয়েছিলেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে।
ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে মামলা বাতিলে জারি করা রুল ১৩ জুন দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়া হয়। এই সময় পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। এ অবস্থায় বুধবার মামলার বাদীপক্ষ কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে এ বিষয়ে পক্ষভুক্ত হওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। পাশপাশি দুই মাসের মধ্যে রুল নিষ্পত্তি করা সংক্রান্ত আপিল বিভাগের আদেশও উপস্থাপন করা হয়। এ আবেদনের ওপর সোমবার শুনানি হয়।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের যে মামলাটি হাইকোর্ট স্থগিত করেছিলেন,সেটা সুপ্রিম কোর্টের যাওয়ার পরে সুপ্রিম কোর্ট দুই মাসের মধ্যে বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চকে নিষ্পত্তির জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। এখানে কলকারখানা অধিদপ্তরের পক্ষে যিনি মামলাটি দায়ের করেছিলেন সেই রুল থাকা অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। এখন যিনি এই মামলার দায়িত্বে আছেন তার পক্ষ মামলাটি পরিচালনার জন্য একটি দরখাস্ত দাখিলের অনুমতি চেয়েছিলাম। আর আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি যেহেতু আপিল বিভাগের নির্দেশনা রয়েছে দুই মাসের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করার জন্য। সেই আদেশের অনুলিপি আমরা আদালতের কাছে দাখিল করলাম।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইনে মামলা ৬ মাস স্থগিত
আদালত বুধবার হলফনামা করার জন্য অনুমতি দিয়েছিলেন। সোমবার মামলাটি তালিকায় আসার পর রুল শুনানির জন্য ১১ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়।
২ বছর আগে
চবিতে ছাত্রী হেনস্তা: গ্রেপ্তারদের ৭ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার পাঁচ আসামির সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র মো. আজিম, নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র নুরুল আবছার বাবু। হাটহাজারী কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র মো. নুর হোসেন শাওন ও একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মো. মাসুদ রানা এবং সাইফুল ইসলাম।
হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন সবুজ বলেন, যৌন হয়রানির মামলায় গ্রেপ্তার পাঁচ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছে।
আরও পড়ুন: চবি শিক্ষার্থীর ওপর হামলা: কয়েকজন যুবককে শনাক্ত করা হয়েছে দাবি ভিসির
ওসি বলেন, আদালতের নির্দেশ পেলে আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করব।
গত ১৭ জুলাই রাত ১০টার দিকে এক ছাত্রী তার বন্ধুর সঙ্গে ক্যাম্পাসের প্রীতিলতা হল থেকে বোটানিক্যাল গার্ডেনে যাওয়ার সময় পাঁচ যুবক তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। ঘটনাটি ভিডিওতে ধারণ করে এবং তা ভাইরাল করার হুমকি দেয়। পরে দুই শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
ওই ছাত্রী প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়ার পর তদন্তে জন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া পাঁচজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে।
এদিকে, গত ১৯ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্রীদের রাত ১০টার আগে আবাসিক হলে প্রবেশের সময়সীমা বেধে দেয়ার পর ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: চবিতে ছাত্রী হেনস্তা, গ্রেপ্তার ৪
নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রীর বিচারের দাবিতে ক্যাম্পাসে প্রতিদিন মানববন্ধন করে
যেহেতু হয়রানির শিকার নারী শিক্ষার্থীর বিচারের দাবিতে প্রতিদিন ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করে বিক্ষোভ করছে শত শত চবি শিক্ষার্থী।
২ বছর আগে
ফরিদপুরে গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা
ফরিদপুরে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরী গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। শনিবার ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় ধর্ষণ ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলাটি করেন।
আসামি শামীম মুন্সী (৩১) ফরিদপুর সদরের চাঁদপুর ইউনিয়নের উত্তর বাহিরদিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার অভিযোগ, ওই কিশোরী শামীম মুন্সীর বাড়িতে গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ করতো। একদিন বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে শামীম মুন্সী তার শ্লিলতাহানী করে এবং মুঠোফোনে কয়েকটি ছবি তুলে রাখে। এ বিষয়ে কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেয়। ফলে সে বিষয়টি গোপন রাখে।
আরও পড়ুন: তারেক-জোবায়দার রিট খারিজ; মামলা চলবে
এরপর শামীম মুন্সী মোবাইলে ধারণকৃত ছবি দেখিয়ে এবং তা ইন্টারনেটে ছাড়িয়া দেয়ার ভয় দেখিয়ে ২০২১ সালে ২ জুন বাড়ির সদস্যদের অনুপস্থিতিতে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। ছবি ভাইরাল হওয়ার ভয়ে কিশোরী এ বিষয়টি বাড়ির কাউকে জানায়নি। এরপর থেকে শামীম মুন্সী নিজ বাড়ি ও বিভিন্ন জায়গায় নিয়া ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করতে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে।
গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ৩টার দিকে শামীম কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করলে কিশোরীর মা ও বাবা টের পেলে শামীম মুন্সী পালিয়ে যায়। ওই সময় ওই কিশোরীর বাবা শামীম মুন্সীর বাড়িতে গিয়ে এ ব্যাপারে বিচার চাইলে শামীম মুন্সীর পরিবারের লোকজন তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: বাড়ির পেছনে গাঁজা চাষ, মাদক মামলায় কারাগারে চাষি
গত ২০ জুলাই দুপুরে ওই কিশোরীকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হয়।
এব্যাপারে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল জানান, শনিবার শামীম মুন্সীকে আসামি করে ধর্ষণ ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেছেন ওই কিশোরীর মা। অভিযোগটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং অভিযুক্ত শামীমকে আটকের চেষ্টা চলছে।
২ বছর আগে
বরিশালে দুর্নীতির মামলায় বিদ্যুৎ বিভাগের ২ প্রকৌশলীর কারাদণ্ড
দুর্নীতির মামলায় পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) খুলনা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীসহ দুই প্রকৌশলীর পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং ৩৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছে বরিশালের একটি আদালত।
মঙ্গলবার বরিশালের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মেহেদি আল মাসুদ আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
একই মামলায় আরও একজনকে খালাস দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে মাদক ও অস্ত্র মামলায় ২ জনের কারাদণ্ড
দণ্ডিতরা হলেন- তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া গ্রামের সত্য নারায়ন ভূঁয়ার ছেলে লক্ষ্মী নারায়ন ভূঁয়া এবং পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া গ্রিড উপ কেন্দ্রের অবসরপ্রাপ্ত উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ও বরিশাল নগরীর কাজীপাড়া এলাকার হাসমত আলী গাজীর ছেলে মো. হানিফ হোসেন গাজী।
খালাসপ্রাপ্ত মো. আনোয়ার হোসেন পিজিবি খুলনার সিকিউরিটি পরিদর্শক বর্তমানে ঢাকা রামপুরা আফতাব নগরের ন্যাশনাল লোড ডেসপ্যাচ সেন্টারের কর্মরত আছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) একেএম নুরুউদ্দীন আহমেদ জানান, মামলায় রায়ে দুজনকে কারাদণ্ড ও একজনকে খালাস দেয়া হয়েছে। রায় ঘোষণা সময় আদালতে তিন আসামি উপস্থিত ছিলেন। দণ্ডিত দুজনকে জেলে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া খালাসপ্রাপ্তকে মুক্তি দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বাড়িওয়ালাকে হত্যার দায়ে দম্পতির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মামলার অভিযোগ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী লক্ষ্মী নারায়ন ভূঁয়া বরিশাল গ্রিড সংরক্ষণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী থাকাকালীন সময়ে ভান্ডারিয়া গ্রিড উপ কেন্দ্র থেকে কচা নদীর পূর্ব পাড় পর্যন্ত পরিত্যক্ত সঞ্চালন লাইনের এক কোটি ৩৬ লাখ ৬৭ হাজার ৫৪৭ টাকার মালামাল আত্মসাৎ করে। এই ঘটনায় দুদকের বরিশাল জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মতিউর রহমান বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট তিনজনকে আসামি করে ভান্ডারিয়া থানায় মামলা করেন। ওই কর্মকর্তা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে ২০১৮ সালের ২১ জানুয়ারি তিন জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন।
২ বছর আগে
খুলনায় স্ত্রী ও কন্যা হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
খুলনার ডুমুরিয়ায় স্ত্রী ও কন্যাকে হত্যার দায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার খুলনা সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মীর শফিকুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।
আসামি মাহবুবুর মোড়ল ডুমুরিয়া উপজেলার মঠবাড়িয়া এলাকার সিরাজ মোড়লের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি পলাতক ছিলেন।
ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) মো. এনামুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় মাহেন্দ্রচালক হত্যায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
আদালত সূত্র জানায়, হত্যাকাণ্ডের তিন বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে মাহবুবুর মোড়লের সঙ্গে রেশমা বেগমের বিয়ে হয়। এর এক বছর পর থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ দেখা দেয়। প্রায়ই মাহবুবুর স্ত্রীকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করত।
২০১৫ সালের ৩১ আগস্ট পারিবারিক বিষয় নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে আসামি মাহবুবুর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্ত্রী রেশমাকে বাবার বাড়িতে যাওয়ার কথা বললে তিনি যেতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর ক্ষিপ্ত হয়ে রেশমা বেগম ও তাদের এক বছর বয়সী কন্যাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। তাদের দু’জনের মৃত্যু নিশ্চিত করে মাহবুব পালিয়ে যায়। আসামি মাহবুবুরের বাবা সিরাজ মোড়ল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রেশমার বাবাকে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি জানান। তিনি তৎক্ষণিক পুলিশকে খবর দিলে তাদের লাশের সুরাতহাল রির্পোট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য খুমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
আরও পড়ুন: ফেনীতে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর নিহতের বাবা আবুল কালাম বাদী হয়ে ডুমুরিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২ বছর আগে