দুর্নীতির মামলায় পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) খুলনা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীসহ দুই প্রকৌশলীর পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং ৩৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছে বরিশালের একটি আদালত।
মঙ্গলবার বরিশালের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মেহেদি আল মাসুদ আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
একই মামলায় আরও একজনকে খালাস দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে মাদক ও অস্ত্র মামলায় ২ জনের কারাদণ্ড
দণ্ডিতরা হলেন- তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া গ্রামের সত্য নারায়ন ভূঁয়ার ছেলে লক্ষ্মী নারায়ন ভূঁয়া এবং পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া গ্রিড উপ কেন্দ্রের অবসরপ্রাপ্ত উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ও বরিশাল নগরীর কাজীপাড়া এলাকার হাসমত আলী গাজীর ছেলে মো. হানিফ হোসেন গাজী।
খালাসপ্রাপ্ত মো. আনোয়ার হোসেন পিজিবি খুলনার সিকিউরিটি পরিদর্শক বর্তমানে ঢাকা রামপুরা আফতাব নগরের ন্যাশনাল লোড ডেসপ্যাচ সেন্টারের কর্মরত আছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) একেএম নুরুউদ্দীন আহমেদ জানান, মামলায় রায়ে দুজনকে কারাদণ্ড ও একজনকে খালাস দেয়া হয়েছে। রায় ঘোষণা সময় আদালতে তিন আসামি উপস্থিত ছিলেন। দণ্ডিত দুজনকে জেলে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া খালাসপ্রাপ্তকে মুক্তি দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বাড়িওয়ালাকে হত্যার দায়ে দম্পতির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মামলার অভিযোগ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী লক্ষ্মী নারায়ন ভূঁয়া বরিশাল গ্রিড সংরক্ষণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী থাকাকালীন সময়ে ভান্ডারিয়া গ্রিড উপ কেন্দ্র থেকে কচা নদীর পূর্ব পাড় পর্যন্ত পরিত্যক্ত সঞ্চালন লাইনের এক কোটি ৩৬ লাখ ৬৭ হাজার ৫৪৭ টাকার মালামাল আত্মসাৎ করে। এই ঘটনায় দুদকের বরিশাল জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মতিউর রহমান বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট তিনজনকে আসামি করে ভান্ডারিয়া থানায় মামলা করেন। ওই কর্মকর্তা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে ২০১৮ সালের ২১ জানুয়ারি তিন জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন।