সড়কপথ
ঈদে সড়কপথে ঢাকা ছাড়বে ৯০ লাখ মানুষ: এসসিআরএফ
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজধানীসহ এর আশপাশের প্রায় দেড় কোটি মানুষ স্বজনের কাছে ফিরবে। এসব মানুষ ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনসহ ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় বসবাস করে।
এর মধ্যে সড়কপথে যাবে ৬০ শতাংশ। এই হিসেবে সড়কপথের যাত্রীসংখ্যা প্রায় ৯০ লাখ। অবশিষ্ট ৪০ শতাংশ মানুষ নৌ ও রেলপথে ঢাকা ছাড়বে।
বুধবার (১৪ জুন) ঢাকায় গণমাধ্যমকর্মীদের সংগঠন শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরাম (এসসিআরএফ) প্রকাশিত ঈদ-পূর্ব প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে ঢাকার ৬০ শতাংশ মানুষ সড়কপথে বাড়ি যাবে: এসসিআরএফ
অবশ্য সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি কোনো দপ্তরে ঈদে বাড়ি ফেরা বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ ডাটাবেজ না থাকায় প্রতিবেদনটি শতভাগ তথ্যনির্ভর নাও হতে পারে বলে জানিয়েছে সংগঠনটির সভাপতি আশীষ কুমার দে।
এসসিআরএফ জানায়, বিগত বছরগুলোর মতো এবারও সড়কপথে জনভোগান্তি ও দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তবে নির্বিঘ্ন ঈদ যাত্রার জন্য সরকার ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে।
সর্বশেষ জনশুমারির বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা বিভাগে ৪ কোটি ৪০ লাখ মানুষ বাস করে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকার জনসংখ্যা যথাক্রমে ৫৯ লাখ ৭৯ হাজার ৫৩৭ ও ৪২ লাখ ৯৯ হাজার ৩৪৫।
দেশের প্রায় ৭৫ শতাংশ গার্মেন্টস শিল্প গাজীপুর অঞ্চলে হওয়ায় গাজীপুর মহানগরের জনসংখ্যা এখন প্রায় ৭০ লাখ। নারায়ণগঞ্জ মহানগরে বাস করে ২৫ লাখ মানুষ।
এসব শহরের বাইরে তিন জেলায় আরো প্রায় ৫০ লাখ মানুষ বাস করে। এছাড়া নরসিংদী ও মানিকগঞ্জ জেলার জনসংখ্যা যথাক্রমে ২৬ ও ২০ লাখ।
এসসিআরএফ জানায়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে জনবহুল বড় শহরসহ শিল্প ও বাণিজ্যিক এলাকাগুলোর অন্তত ৫০ শতাংশ মানুষ বর্তমান আবাসস্থল ছেড়ে যায়।
গবেষক, স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান এবং পরিবহন বিষয়ক বিভিন্ন সংগঠনের তথ্যমতে, সব মিলিয়ে ঢাকা অঞ্চল ছেড়ে যায় প্রায় দেড় কোটি মানুষ।
সাধারণত এক সপ্তাহ আগে ঈদযাত্রা শুরু হয় উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, মাত্র সাতদিনে বিপুলসংখ্যক মানুষকে সুশৃঙ্খলভাবে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়ার সক্ষমতা সড়ক পরিবহন খাতে নেই।
সরকার সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নে পর্যাপ্ত অর্থবরাদ্দ দিলেও দূরপাল্লার অনেক সড়কের কিছু স্থানের অবস্থা এখনো বেহাল রয়েছে। সারা দেশে আট শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক রয়েছে।
ঈদকে কেন্দ্র করে মহাসড়কগুলোতে প্রাণি বহনকারী ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানসহ হাজার হাজার মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত গাড়ি চলবে। এছাড়া জাতীয় মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়কের অনেক স্থানে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে টোল আদায় করা হয়।
সব মিলিয়ে বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘ যানজট, বাসের সময়সূচি বিপর্যয় এবং অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনার ঝুঁকিও রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।
তবে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সরকার নির্বিঘ্ন ঈদযাত্রার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন।
পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো এবং সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।
এতে ঈদ যাতায়াতে জনদুর্ভোগ অনেক কমবে।
আরও পড়ুন: মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩ মাসে ৫৭৯ জনের মৃত্যু: এসসিআরএফ
রেল দুর্ঘটনায় ২০১৯ সালে ৪২১ জনের প্রাণহানি: এসসিআরএফ
১ বছর আগে
রবিবার সিলেটের পারিবারিক কবরস্থানে শায়িত হবেন এএমএ মুহিত
সাবেক অর্থমন্ত্রী, খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ ও রাজনীতিবিদ আবুল মাল আবদুল মুহিতকে আগামীকাল রবিবার সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসার মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের জরুরি বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের কাছে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী।
শফিকুর রহমান চৌধুরী আরও জানান, শনিবার সন্ধ্যায় সড়কপথে সিলেটের হাফিজ কমপ্লেক্সে তার মরদেহ আনা হবে। রবিবার দুপুর ১২টায় তার মরদেহ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: এএমএ মুহিতের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা সম্পন্ন
পরে দুপুর ২টায় সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসার মাঠে মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে তার রায়নগরের ডেপুটি বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে দীর্ঘ অসুস্থতাজনিত কারণে মুহিত মারা যান বলে ইউএনবিকে জানান তার ভাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
২০২১ সালের ২৫ জুলাই এমএ মুহিত করোনা আক্রান্ত হন এবং দীর্ঘদিন রোগাক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নেন। সবশেষ চলতি বছরের মার্চ মাসে বার্ধক্যজনিত কারণে তাকে আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মুহিতের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: প্রতিভাবান অর্থনীতিবিদ এএমএ মুহিত একজন প্রখ্যাত লেখকও ছিলেন
২ বছর আগে
পূর্ণাঙ্গ রূপ পেল পদ্মা সেতুর সড়কপথ
পদ্মা সেতুর সর্বশেষ রোডস্লাব বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। এর ফলে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতুতে পূর্ণাঙ্গ রূপ পেয়েছে সড়কপথ। এর মাধ্যমে সেতুটির ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করার ক্ষেত্রে বাকি থাকল শুধু পিচঢালাই। সড়ক বিভাজক ও সাইড ওয়াল তৈরির কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে।
সোমবার (২৩ আগস্ট) সকালে সেতুর শেষ স্লাব বসানো হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের।
আরও পড়ুনঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মায় পানি হ্রাস
তিনি বলেন, সেতুর মোট দুই হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্লাবের মধ্যে মাত্র তিনটি স্লাব বসানো বাকি ছিল। যার মধ্যে গতরাতে বসানো হয় দুটি স্লাব। আর আজ সকালে একটি।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, পিচঢালাইয়ের কাজ শুরু হবে আগামী অক্টোবর মাসের শেষ দিকে। এ কাজে তিন মাসের মতো সময় লাগতে পারে। সেতুর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) সেতু বিভাগকে জানিয়েছে, তারা আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যেই সব কাজ শেষ করবে।
আরও পড়ুনঃ পদ্মা সেতুর খুঁটিতে আঘাতরোধে বয়া স্থাপন
এর আগে ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মূল সেতুর নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন অনুসারে, গত জুলাই পর্যন্ত পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে ৮৭ শতাংশের কিছু বেশি। মূল সেতুর কাজ হয়েছে প্রায় ৯৪ শতাংশ।
সর্বশেষ সংশোধিত প্রকল্প প্রস্তাব অনুসারে, আগামী বছরের জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা। এরপরও প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর থাকবে। তবে সে সময়টা সেতুর কোনো ত্রুটি দেখা দিলে তা মেরামত ও ঠিকাদারের পাওনা মেটানোর জন্য নির্ধারিত।
আরও পড়ুনঃ পদ্মা সেতুর পিলারে আবারও ধাক্কা, ফেরিতে ফাটল
৩ বছর আগে