স্বেচ্ছাসেবক দল
রামপুরা ব্রিজের কাছে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের বাধা
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের কাছে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল আটকে দিয়েছে পুলিশ।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে তাদের আটকে দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নয়াপল্টন থেকে বেরিয়ে দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে মিছিলটি রামপুরা ব্রিজে পৌঁছালে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে অবরোধ করে। এ সময় তিন সংগঠনের নেতাদের সহযোগিতা করার আহ্বানও জানায় পুলিশ।
পরে আন্দোলনকারীদের ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলকে স্মারকলিপি দিতে ভারতীয় হাইকমিশনে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন-জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাছির।
এর আগে আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলা ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার প্রতিবাদে রবিবার সকালে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে রোডমার্চ শুরু করে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন। বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা উসকে দেওয়ার ভারতীয় ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এই কর্মসূচি আয়োজন করে। বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু করেন বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল
পদযাত্রা শুরুর আগে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও তিন সংগঠনের শীর্ষ নেতারা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। এতে ভারতের ক্ষমতাসীন দল ও গণমাধ্যম মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর প্রচারণার মাধ্যমে বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করছে অভিযোগে করে তার নিন্দা জানান তারা।
রিজভী অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বর্তমানে যা করছে তা সরাসরি আগ্রাসন ছাড়া আর কিছুই নয়।
প্রতিবাদ মিছিল শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আপনারা (ভারত সরকার) বাংলাদেশের মানুষকে পছন্দ করেন না। আপনারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল নন।’
রিজভী দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেন, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ দিল্লির আধিপত্য প্রতিহত করতে প্রস্তুত।
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি আকাশ থেকে সমুদ্র থেকে স্থল পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের দেশকে সুরক্ষিত রাখতে কীভাবে অত্যাধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহার করতে হয়। আমাদের স্মার্ট সামরিক বাহিনীতে যোগ্য সদস্য রয়েছে।’
সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিএনপির সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিএনপি কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে দেখা গেছে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে ছোট ছোট মিছিল আসতে দেখা গেছে। তারা ভারতীয় আধিপত্যবাদী মনোভাবের বিরুদ্ধে স্লোগান সম্বলিত ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে অংশ নেন। বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগানও দেন।
বাংলাদেশবিরোধী ঘটনা এবং ভারতীয় রাজনীতিবিদ ও গণমাধ্যমের মন্তব্যের প্রতিবাদে ভারতীয় হাইকমিশনে স্মারকলিপি প্রদানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার কথা ছিল।
এর আগে শনিবার বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন এই বিক্ষোভ মিছিল করার সিদ্ধান্ত নেয়।
আরও পড়ুন: ভারত কুটনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে: দুলু
২ সপ্তাহ আগে
স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা হত্যায় ফজলুল করিমসহ ১৬১৮ জনকে আসামি করে মামলা
গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা শওকত আলী দিদার হত্যার ঘটনায় ১৬১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরমধ্যে ১১৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং বাকি সবাই অজ্ঞাত আসামি।
নিহত শওকত আলী দিদারের স্ত্রী রাবেয়া রহমান বাদী হয়ে এই মামলা করেন।
আরও পড়ুন: ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা মামলায় জামিন পেলেও কারামুক্তি মিলছে না সাবেক বিচারপতি মানিকের
এই মামলায় গোপালগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক নারী সংসদ সদস্য নাজমা আক্তার, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, সাধারণ সম্পাদক জি এম সাহাব উদ্দিন আজম, সাবেক বেসরকারি বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের মেয়ে কানতারা খানসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ১১৮ জনের নাম রয়েছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান বলেন, মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। সন্দেহভাজন হিসেবে ১২ জনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছি। মামলাটি রাজনৈতিক হত্যা মামলা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার মামলায় বাদী তার অভিযোগে লিখেছেন, গত ১৩ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী গাড়িবহর নিয়ে তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছিলেন।
এস এম জিলানীর সঙ্গে টুঙ্গিপাড়ায় যাওয়ার পথে তার স্বামীর গাড়িবহর গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পাথালিয়া গ্রামের দোলা পেট্রোল পাম্পের সামনে পৌঁছালে একদল আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে গাড়ি বহরে হামলা চালায়।
এ সময় বহরে একটি গাড়িতে থাকা তার স্বামী শওকত আলী দিদারকে আসামিরা গাড়ি থেকে নামিয়ে লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে মহাসড়কের পাশে রাস্তার পাশে ঢালে ফেলে রেখে যায়।
আরও পড়ুন: সোনারগাঁয়ে শেখ হাসিনা-শেখ রেহানাসহ ২৩৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
৩ মাস আগে
বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ককে কুপিয়ে হত্যা
বগুড়ায় সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমানকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার গোকুল ইউনিয়ন পরিষদ অফিসের সামনে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত মিজানুর রহমান (৪০) জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল বগুড়া সদর উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন।
কারা কী কারণে তাকে হত্যা করেছে তা জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার রাতে গোকুল এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদের সামনে গল্প করছিলেন মিজানুর। লোডশেডিং চলাকালে রাত ৯টার দিকে একদল লোক তাকে কুপিয়ে চলে যায়। পরে গুরুতর আহতাবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্বেচ্ছাসেবক দলের বগুড়া জেলা কমিটির সদস্য সচিব আবু হাসান জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মিজানুর রহমানের মৃত্যু হয়েছে। আধিপত্য নিয়ে বিরোধের কারণে তাকে হত্যা করা হতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা।
হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়েছেন জানিয়ে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার) স্নিগ্ধ আখতার বলেন, এ ঘটনা তদন্ত করছেন তারা।
৩ মাস আগে
বরিশালে বিএনপির সমাবেশে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সংঘর্ষ
বরিশালে বিএনপির সমাবেশের মঞ্চের সামনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বেশ কিছুক্ষণ এই সংঘর্ষ চলার পর বিএনপির সিনিয়র নেতারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
বুধবার দুপুরে নগরীর অশ্বিনী কুমার হল সংলগ্ন বিএনপির সমাবেশস্থলে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঞ্চের সামনে দাড়ানোকে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবক দল কর্মী তপু কাজীর সাথে জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি সবুজ আকনের দ্বন্দ হয়। এই নিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে দুই জনের সমর্থক হাতাহাতিতে জড়ায় এরপর তারা সংঘর্ষে লিপ্ত হয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সহ কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে। পরে বিএনপির সিনিয়র নেতারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষের বিষয়ে বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবির জাহিদ বলেন, চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে কর্মী পর্যায়ের লোকজনের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। পরে তাদের শান্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষে আহত ১২, আটক ২০
ফরিদপুরে বিএনপির ১১৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
১ বছর আগে
চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ২৪, আটক ১০
চট্টগ্রামে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ৪ পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশ ১০ নেতাকর্মীকে আটক করেছে।
স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন নিয়ে আনন্দ মিছিল বের করলে পুলিশ মিছিলে বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে বুধবার (২৭ অক্টোবর) বিকালে নগরীর কাজীর দেউড়ির নাসিমন ভবনে বিএনপি দলীয় কার্যালয়ের সামনে নূর আহমেদ সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পিছনে বাসের ধাক্কা, নিহত ২
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আহ্বায়ক কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল বের করেছিলাম। এ সময় পুলিশ গুলি-টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। আমাদের ওপর বিনা কারণে পুলিশ গুলি-টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে। আমাদের সদস্যসচিব জমির উদ্দীন মানিকসহ ২০ থেকে ২৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তারা নগরীর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আমাদের আহ্বায়ক মনজুর আলম তালুকদারসহ একাধিক নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
সিএমপির কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির জানান, নেভাল মোড়ে হঠাৎ স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে মিছিল শুরু করে। এসময় পুলিশ তাদের রাস্তা থেকে সরে যেতে বললে তারা পুলিশের ওপর চড়াও হয়ে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। পরে পুলিশ দক্ষিণ জেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মঞ্জুর আলম তালুকদারসহ ১০ জনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: মধুপুরে ট্রাকে মাইক্রোর ধাক্কা, ধর্ষণ মামলার আসামিসহ দুই পুলিশ নিহত
শরীয়তপুরে ব্রিজের সঙ্গে লঞ্চের ধাক্কায় নিহত ৩
২ বছর আগে
স্বেচ্ছাসেবক দলের আংশিক কমিটি ঘোষণা
আগামী সাধারণ নির্বাচনের আগে দল ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোকে ঢেলে সাজানোর পদক্ষেপের অংশ হিসেবে রবিবার স্বেচ্ছাসেবক দলের পাঁচ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
রবিবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে এস এম জিলানীকে সভাপতি ও রাজীব আহসানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি: নড়াইলে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা কারাগারে
জিলানী স্বেচ্ছাসেবক দলের ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখার সাবেক সভাপতি এবং রাজীব বিএনপির ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের (জেসিডি) সাবেক সভাপতি ছিলেন।
এছাড়া সংগঠনের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আলীকে সহসভাপতি এবং সাইফুল ইসলাম ফিরোজকে ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক জেসিডি সভাপতি নাজমুল হাসানকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নিহত: ভোলা থানার ওসিসহ ৩৬ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা
স্বেচ্ছাসেবক দলের ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি ইউনিটের আংশিক কমিটিও ঘোষণা করেছে বিএনপি।
শফিউদ্দিন সেন্টুকে স্বেচ্ছাসেবক দলের ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখার সভাপতি, জাকির হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক এবং ওমর ফারুককে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে স্বেচ্ছাসেবক দল ও পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, আহত ২০
এছাড়া আনোয়ার হোসেনকে ঢাকা উত্তর সিটি শাখার সভাপতি, আজিজুর রহমান মোসাব্বিরকে সাধারণ সম্পাদক ও ফরিদ হোসেনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে।
২ বছর আগে
স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নিহত: ভোলা থানার ওসিসহ ৩৬ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা
ভোলায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংর্ঘষে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আব্দুর রহিম নিহত হওয়ার ঘটনায় ভোলা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আরমান হোসেনকে প্রধান আসামি করে ৩৬ জন পুলিশের নামে আদালতে হত্যা মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভোলা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আলী হায়দারের আদালতে নিহত আব্দুর রহিমের স্ত্রী খাদিজা বেগম বাদী হয়ে এই হত্যা মামলা করেন।
মামলার আইনজীবী আমিরুল ইসলাম বাছেত মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আব্দুর রহিম নিহত হওয়ার ঘটনায় করা হত্যা মামলায় উল্লেখ করা হয়, ৩১ জুলাই কেন্দ্রীয় বিএনপি কর্মসূচী তেল,গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি ও লোডশেডিং এর প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আবদুর রহিম ওসি (তদন্ত) আরমান হোসেনের গুলিতে নিহত হয়। এ ঘটনায় ৩০২ এবং ৩৪ ধারায় নিহতের স্ত্রী খাদিজা বেগম বাদী হয়ে আদালতে ওসি (তদন্ত) আরমান হোসেনসহ ৩৬ জনের নামে হত্যা মামলা করেছেন।
এ ব্যাপারে ভোলা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আরমান হোসেন জানান, তিনি এখনো মামলা বিষয় জানেন না। তিনি বলেন, ‘আমরা ঘটনার দিন সরকারি দায়িত্ব পালন করতে গিয়েছি। আমরা কাউকে আঘাত করার উদ্দেশ্যে যাইনি। তারা বেআইনী সাবেশ করেছে। ইটপাটকেল ছুঁড়ে মেরেছে। আগুন লাগাতে গেছে। বিএনপির লোকজন ইটপাটকেল ছুঁড়েছে। আমাদের পুলিশকে গুলি করেছে। পুলিশ আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।’
আরও পড়ুন: ভোলায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ: ঢাকায় ছাত্রদল নেতার মৃত্যু
ছাত্রদল নেতার মৃত্যু: ভোলায় চলছে বিএনপির হরতাল
২ বছর আগে
সিলেটে স্বেচ্ছাসেবক দলের শতাধিক নেতার পদত্যাগ
সিলেটের বিভিন্ন উপজেলা ও পৌর শাখার স্বেচ্ছাসেবক দলের শতাধিক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা পদত্যাগ করেছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক পদ থেকে অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান জামানের পদত্যাগের ধারাবাহিকতায় তারা পদত্যাগ করেছে বলে জানা গেছে।
বুধবার (২৫ আগস্ট) সিলেট নগরীর মিরাবাজারস্থ একটি হল রুমে সংবাদ সম্মেলনে তারা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জৈন্তাপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আলতাফ হোসেন। এর মধ্যে সিলেট জেলার ১৫টি উপজেলা ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক রয়েছেন।
লিখিত বক্তব্যে আলতাফ হোসেন বলেন, একযুগ ধরে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ব্যানারে আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা রেখে জেল-জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছি, আমাদের বাদ দিয়ে নিস্ক্রিয় ও অযোগ্য এমনকি কমিটিতে ব্যাংক কর্মকর্তাকে অন্তর্ভুক্ত করে একটি হাস্যকর কমিটি উপহার দেয়া হয়েছে। রাজপথের পরিক্ষিত পরিশ্রমী নেতা মওদুদুল হক মওদুদ সদ্য বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম আহবায়ককে নতুন ঘোষিত কমিটির ৩১নং সদস্য, সিটি করপোরেশনের দুই বারের কাউন্সিলর আব্দুর রকিব তুহিনকে ৩৮নং সদস্য, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক বেলালকে সদস্য, সদর উপজেলার আহবায়ক শাহিদুল ইসলাম কাদিরকে সদস্য ও আলতাফ হোসেন বিলালকে ৬১নং সদস্য রেখে অপমান অপদস্ত করা হয়েছে।
আলতাফ হোসেন আরও বলেন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সভাপতি (সিলেট বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত) ও সিলেট জেলার সাবেক আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান জামানের যোগ্য ও সাহসী নেতৃত্বে সিলেটের রাজপথের আলোচিত আন্দোলনের মধ্যে এম ইলিয়াস আলী নিখোঁজের দীর্ঘ আন্দোলন, খালেদা জিয়ার বাসভবনে ৯৩ দিনের অবরোধের কঠিন কর্মসূচি, ৫ জানুয়ারি নির্বাচন প্রতিহত আন্দোলন, ২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার সিলেট হযরত শাহজালাল (রঃ) জিয়ারত আগমনে বাঁধাগ্রস্থ যুবলীগ-ছাত্রলীগকে প্রতিহত করে নেত্রীকে স্ব-সম্মানে সার্কিট হাউজে পৌঁছানো। ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার রায়ের প্রতিবাদে রাজপথে মিছিল, মিটিং, অবস্থান ধর্মঘট, মানববন্ধন ধারাবাহিক কর্মসূচিগুলো এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সরকারের বিভিন্ন সময় অপপ্রচার, হুলিয়া ও সাজানো রায়ের প্রতিবাদে রাজপথে সকল আন্দোলন-সংগ্রামের ভূমিকায় উপজেলা ও পৌরসভার আন্দোলনের পাশাপাশি জেলা ও মহানগরের সকল কর্মসূচিতে নিজেদের সাধ্যমতো সর্বোচ্চ ত্যাগ ও পরিশ্রম করেছি এবং অর্ধ শতাধিক মামলা, জেল-জুলুম, নির্যাতনের স্বীকার হয়েছি। আজ কমিটি ঘোষণায় রাজপথের আন্দোলন সংগ্রাম-পরিশ্রমী ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের একফোটা ঘামের মূল্যই রাখেনি আমাদের এই প্রিয় সংগঠনটি।
আরও পড়ুন: সিলেটে স্বেচ্ছাসেবক দলের ১০ নেতার পদত্যাগ
আলতাফ হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের ত্যাগ ও পরিশ্রমের মতো ইনসাফ থেকে বঞ্চিত ও অপমান অপদস্থ করার কারণে আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক ও শিক্ষাগুরু বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান জামান গত ১৮ আগস্ট পদত্যাগসহ ৩৬ বছরের দীর্ঘ রাজনীতি থেকে বিদায় নিয়েছেন। সিলেট বিএনপি প্রতিষ্ঠায় অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান জামান পারিবারিক অর্থ-সম্পদ ব্যয় করেন, সীমাহীন প্রতিকূলতার মাঝে দলকে প্রতিষ্ঠা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
তারা বলেন, আমরা আমাদের সোনালী সময় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলে ব্যয় করেছি। আমরা যারা বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে জীবন বাজী রেখেছি, রাজপথে গুলিবিদ্ধ হয়েছি, সংসার থেকে বিতাড়িত হয়েছি আজ আমাদের প্রিয় সংগঠন আমাদের তামাশায় রুপান্তরিত করেছে। আমাদের ত্যাগ ও পরিশ্রমে তিলে তিলে গড়া আলোচিত সংগঠন সিলেট স্বেচ্ছাসেবক দল। আজ সংগঠনটি নিস্ক্রিয় ও অযোগ্যদের হাতে নিমজ্জিত। নিস্ক্রিয় ও অযোগ্যদের নেতৃত্বে আমাদের কাজ করা অপমান ও লজ্জাজনক। তাই আমরা স্ব-স্ব পদ থেকে পদত্যাগ করলাম।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যত প্রজন্মের ‘ভয়ংকর ক্ষতি’ করছে সরকার: বিএনপি
সরকার সন্ত্রাসের রাজত্ব চালু করেছে: ফখরুল
৩ বছর আগে