গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা শওকত আলী দিদার হত্যার ঘটনায় ১৬১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরমধ্যে ১১৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং বাকি সবাই অজ্ঞাত আসামি।
নিহত শওকত আলী দিদারের স্ত্রী রাবেয়া রহমান বাদী হয়ে এই মামলা করেন।
আরও পড়ুন: ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা মামলায় জামিন পেলেও কারামুক্তি মিলছে না সাবেক বিচারপতি মানিকের
এই মামলায় গোপালগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক নারী সংসদ সদস্য নাজমা আক্তার, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, সাধারণ সম্পাদক জি এম সাহাব উদ্দিন আজম, সাবেক বেসরকারি বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের মেয়ে কানতারা খানসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ১১৮ জনের নাম রয়েছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান বলেন, মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। সন্দেহভাজন হিসেবে ১২ জনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছি। মামলাটি রাজনৈতিক হত্যা মামলা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার মামলায় বাদী তার অভিযোগে লিখেছেন, গত ১৩ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী গাড়িবহর নিয়ে তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছিলেন।
এস এম জিলানীর সঙ্গে টুঙ্গিপাড়ায় যাওয়ার পথে তার স্বামীর গাড়িবহর গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পাথালিয়া গ্রামের দোলা পেট্রোল পাম্পের সামনে পৌঁছালে একদল আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে গাড়ি বহরে হামলা চালায়।
এ সময় বহরে একটি গাড়িতে থাকা তার স্বামী শওকত আলী দিদারকে আসামিরা গাড়ি থেকে নামিয়ে লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে মহাসড়কের পাশে রাস্তার পাশে ঢালে ফেলে রেখে যায়।
আরও পড়ুন: সোনারগাঁয়ে শেখ হাসিনা-শেখ রেহানাসহ ২৩৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা