মোসারাত জাহান মুনিয়া
মুনিয়া হত্যা মামলা: তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে ২১ নভেম্বর
বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ২১ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক গোলাম মুক্তার আশরাফ উদ্দিন প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি।
এজন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইয়াসমিন আরা প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী এ তারিখ ঠিক করেন।
আরও পড়ুন: মুনিয়া হত্যা: আনভীর কেন গ্রেপ্তার হচ্ছে না জানতে তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব
গুলশান থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (নারী-শিশু) সাইফুর রহমান বিষয়টি জানান।
মুনিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় ‘আত্মহত্যায় প্ররোচনার’ মামলায় আনভীর ও তার পরিবারের সদস্যদের অব্যাহতি দিয়ে পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়ার পর মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান তানিয়া ৬ সেপ্টেম্বর তাদের বিরুদ্ধে ‘হত্যা ও ধর্ষণের’ মামলা করেন।
ওই দিন ঢাকার আট নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম মাফরুজা পারভীন বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পিবিআইকে এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: মুনিয়া হত্যা মামলায় মডেল পিয়াসার ২ দিনের রিমান্ড
বসুন্ধরার এমডি আনভীরের পাশাপাশি তার বাবা বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, মা আফরোজা সোবহান, আনভীরের স্ত্রী সাবরিনা ও শারমিন, সাইফা রহমান মিম, মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও ইব্রাহিম আহমেদ রিপনকে এ মামলায় আসামি করা হয়।
৩ বছর আগে
হাইকোর্টে আগাম জামিন মেলেনি বসুন্ধরার এমডির
রাজধানীর গুলশানে কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে করা মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরকে আগাম জামিন দেননি হাইকোর্টে। তবে তার স্ত্রীকে ছয় সপ্তাহের জামিন দিয়ে আনভীরের জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন। আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ্য আইনজীবী মোহাম্মদ ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন।
পড়ুন: গুলশানে তরুণী নিহত: বসুন্ধরার এমডির বিরুদ্ধে মামলা
গুলশানের একটি ফ্লাট থেকে গত ২৬ এপ্রিল রাতে কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা করেন মোসারাতের বড় বোন নুসরাত জাহান। এ মামলায় গত জুলাই মাসে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত গত ১৮ আগস্ট পুলিশের দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেন। ফলে মামলা থেকে অব্যাহতি পান সায়েম সোবহান আনভীর।
এরপর মুনিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমদ আকবর সোবহান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরসহ আট জনের বিরুদ্ধে গত ৬ সেপ্টেম্বর মামলা করা হয়। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ আদালতে মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান বাদী হয়ে ওই মামলা করেন। পরে আদালত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন। ওই মামলায় আগাম জামিন চেয়ে আনভীর হাইকোর্টে আবেদন জানান।
পড়ুন: মুনিয়ার মৃত্যু: বসুন্ধরার এমডিসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা
মুনিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যা: শর্তসাপেক্ষে রিপনের হাইকোর্টে আগাম জামিন
৩ বছর আগে
পরীমণি, সাবরিনা, মুনিয়ার ব্যক্তিগত ছবি-ভিডিও সরানোর আদেশ চেয়ে রিট
মূলধারার গণমাধ্যমসহ সব ধরনের প্রচার মাধ্যমে মোসারাত জাহান মুনিয়া, সাবরিনা আরিফ চৌধুরী ও পরীমণিসহ বিভিন্ন ব্যক্তির, বিশেষ করে নারীর চরিত্র নিয়ে প্রচারিত-প্রকাশিত ‘অবমাননাকর ও ব্যক্তিগত’ ছবি, ভিডিও ও প্রতিবেদন অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে একটি রিট আবেদন হয়েছে। এ ধরনের ভিডিও, ছবি বা প্রতিবেদনের প্রচার-প্রকাশ বন্ধেও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে।
মোসারাত জাহান মুনিয়া, সাবরিনা আরিফ চৌধুরী ও পরীমণিকে নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার-প্রকাশিত ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিও ও প্রতিবেদন যুক্ত করে বুধবার এ রিট আবেদনটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তাসমিয়াহ নুহিয়া আহমেদ।
বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার ভার্চুয়ল হাইকোর্ট বেঞ্চে আগামী সপ্তাহে আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন রিটকারী এই আইনজীবী।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, তথ্য সচিবকে রিটে বিবাদি করা হয়েছে।
রিট আবেদনে গণমাধ্যমসহ সব ধরনের প্রচার মাধ্যমে প্রচারিত-প্রকাশিত এ ধরনের প্রতিবেদন, ভিডিও এবং ছবি অপসারণ করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না-তা জানতে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: পরীমণি-সাকলাইন ঘটনা তদন্তে কমিটি
আইনজীবী তাসমিয়াহ নুহিয়া আহমেদ বলেন, দেখা যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ইনডিভিজুয়ালকে, বিশেষ করে নারীর চরিত্রকে টার্গেট করে অনেক প্রতিবেদন, ছবি, ভিডিও প্রচার-প্রকাশ হচ্ছে। আমরা যদি পরীমণির ঘটনাই দেখি, তিনি একজন মাদক মামলার আসামি। কিন্তু বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে তার ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন ভিডিও প্রচার করছে। মুনীয়ার মৃত্যুর পর তার বোন যখন অভিযোগ আনলেন, তখন তার বেডরুমের ভিডিও ভাইরাল করা হয়েছে। এসবের পেছনে উদ্দেশ্য কী? সাবরিনা আরিফ চৌধুরী যখন কোভিড-১৯ এর জাল সার্টিফিকেটের মামলায় অভিযুক্ত হলেন, তখন আমরা দেখলাম যে তার অনেক ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিও প্রচার-প্রকাশ করা হয়েছে। এগুলো ব্যক্তির গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার যেমন খর্ব করছে, তেমনি বিদ্যমান আইন সংবিধানকেও লঙ্ঘন করছে। অথচ এ বিষয়গুলো নিয়ে রাষ্ট্র বা সরকারের সংশ্লিষ্টরা কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছেন না। যে কারণে রুল ও নির্দেশনা চেয়ে এই রিট আবেদন।
রিট অবেদনে বলা হয়েছে, মূলধারার গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন ডিজিটাল প্লাটফর্মে ব্যক্তি বিশেষ করে নারীর সম্পর্ক ও ব্যক্তি জীবন নিয়ে চরিত্র ও মানহানিকর প্রতিবেদন, ভিডিও, ছবি প্রচার-প্রকাশ করা হচ্ছে। এসব প্রতিবেদন, ভিডিও, ছবি ডিজিটাল নিরাত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে। সেই সাথে তা সংবিধানের ২৭, ২৮, ৩১, ৩২, ৩৯ ও ৪৪ অনুচ্ছেদকে লঙ্ঘন করছে। এছাড়া এসব প্রতিবেদন, ভিডিও ও ছবি ‘হলুদ সাংবাদিকতাকে’ উৎসাহিত করছে যা সাংবাদিকতার নৈতিকতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
আরও পড়ুন: মুনিয়া আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা: আনভীরকে অব্যাহতি
হাইকোর্টে জামিন পাননি ডা. সাবরিনা
৩ বছর আগে