মুহুরী নদী
পাহাড়ি ঢলে মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে ফুলগাজীর ৪ গ্রাম প্লাবিত
অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে মুহুরী নদীর নিয়ন্ত্রণের দুটি স্থানের বাঁধ ভেঙে ফেনীর ফুলগাজীর সদর ইউনিয়নের চার গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
বন্যায় মাঠের ফসল, পুকুরের মাছ, ঘরবাড়িসহ এলাকার রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতির হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও স্থানীয়রা জানায়, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পাহাড়ি ঢলে মুহুরী নদীর ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের উত্তর দৌলতপুর অংশের একটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। এতে ওই ইউনিয়নের উত্তর দৌলতপুর, দক্ষিণ দৌলতপুর, ঘনিয়ামোড়া ও বৈরাগপুর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের সাহায্যের আহ্বান তারকাদের
ফুলগাজী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সেলিম বলেন, পানির তোড়ে মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। এতে আমার ইউনিয়নের চারটি গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে।
ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশ্রাফুর নাহার বলেন, মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধের দুটি স্থানে ভাঙনের ফলে সদর ইউনিয়নের চারটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বিষয়টি সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রয়েছে।
পাউবোর ফেনী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন জানান, রাতে পানির প্রবাহ বেশি ছিল। সকালে মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। উজানে বৃষ্টি না হলে পানি দ্রুত নেমে যাবে।
আরও পড়ুন: কমতে শুরু করেছে শাবিপ্রবিতে বন্যার পানি
তিনি জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড ক্ষতিগ্রস্তি বাঁধ এলাকা পরিদর্শন করে মেরামতের ব্যবস্থা নেয়া হবে। পানি একটু কমলেই মেরামত শুরু হবে।
২ বছর আগে
বাঁধ ভেঙে ফেনীতে ৭ গ্রাম প্লাবিত
তৃতীয় দফার বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার সাতটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
রবিবার রাত থেকে এখন পর্যন্ত নতুন করে দুইটি গ্রামসহ সাতটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পাশাপাশি জলাবদ্ধতার কারণে ফেনী পরশুরাম সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, চলতি বর্ষা মৌসুমে ১ জুলাই, ২৬ আগস্ট ও সর্বশেষ ৫ সেপ্টেম্বর মোট তিনবার বন্যার কবলে পড়েছেন তারা। নদী রক্ষা বাঁধ ভেঙে এ বন্যার সৃষ্টি হয়। বার বার বাঁধের মেরামত হয় আবার ভেঙে। এই অবস্থায় সহায় সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে এলাকার মানুষ।
আরও পড়ুন: সিলেটে নদী ভাঙনে হুমকির মুখে বিশ্বনাথের গোবিন্দনগর গ্রাম
স্থানীয়দের বরাতে উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, রবিবার সকালে ভারতী থেকে আসা পাহাড়ি ঢল ও উজানের পানির চাপে মুহুরী নদীর ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের জয়পুর অংশের একটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়।
এতে ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের পশ্চিম ঘনিয়ামোড়া, পূর্ব ঘনিয়ামোড়া ও কিসমত ঘনিয়ামোয়া, জয়পুর, উত্তর দৌলতপুর দক্ষিণ দিনাজপুর বৈরাগপুর প্লাবিত হয়েছে। ফুলগাজী পশুরাম আঞ্চলিক সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এছাড়াও বন্যার পানিতে পুকুরের মাছ, ফসলের জমি ও অনেকের বাড়িঘর তলিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ভাঙনে মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে বাঁধে আশ্রয়!
এ বিষয়ে ফুলগাজী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জানান, ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের জয়পুর অংশে মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধের ভেঙে যাওয়া অংশ দিয়ে লোকালয়ে হু হু করে পানি ঢুকছে।
পূর্ব ঘনিয়া মোড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহিম বলেন, আমাদের বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকে গেছে। সেই সাথে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে গঙ্গাধর নদীর তীব্র ভাঙন, দিশেহারা ৩ গ্রামের মানুষ
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ফেনী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন বলেন, মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজানে বৃষ্টি হলে পানি আরও বাড়বে।
৩ বছর আগে
মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে ৪ গ্রাম প্লাবিত
ফেনীর ফুলগাজী উপজেলায় ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের একটি স্থান ভেঙে গেছে। বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এতে উপজেলার ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের চারটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোর রাতে ওই উপজেলার ফেনী-পরশুরাম সড়কটিও পানিত ডুবে গেছে। ফলে ওই সড়কে সকাল থেকে ছোট যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে, বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় পাহাড়ি ঢল ও উজানের পানির চাপে মুহুরী নদীর ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের জয়পুর অংশের একটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। এতে ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের জয়পুর, ঘনিয়ামোড়া, পূর্ব ঘনিয়ামোড়া ও কিসমত ঘনিয়ামোড়া গ্রাম প্লাবিত হয়।
এ বিষয়ে ফুলগাজী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, বুধবার রাতে ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের জয়পুর অংশে মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে।
আরও পড়ুন: যমুনার পানি আরিচা পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপরে, বন্যার আশঙ্কা
ফুলগাজীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফেরদৌসী বেগম বলেন, মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধের একটি স্থানে ভাঙনের ফলে সদর ইউনিয়নের চারটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
পাউবোর ফেনী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন বলেন, বিকালে পানির প্রবাহ বেশি ছিল। দুপুরে মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ১২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। উজানে বৃষ্টি না হলে পানি দ্রুত নেমে যাবে।
এর আগে ১ জুলাই টানা বর্ষণ ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৩টি স্থান ভেঙে পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলার ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে পানিতে ভেসে যায় কয়েকশত পুকুরের মাছ। নষ্ট হয় জমির ফসল ও সড়ক।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে পদ্মার পানি বিপৎসীমার ওপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, খুলে দেয়া হয়েছে সব গেট
৩ বছর আগে