কেন্দ্র
উপজেলা নির্বাচন: কেন্দ্রে থাকবে সর্বোচ্চ পুলিশ-আনসার
উপজেলা নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে এবার প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সর্বোচ্চ সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে।
একই সঙ্গে প্রতিটি ইউনিয়নে নিয়োগ দেওয়া হবে ম্যাজিস্ট্রেট।
প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে পুলিশ ও আনসারের সমন্বয় ১৭ থেকে ১৮ জনের দল নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনেও জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে অভিযোগ জানানো যাবে।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির আরও ৩ নেতাকে বহিষ্কার
সোমবার (২৯ এপ্রিল) সচিবালয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভা শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের সিদ্ধান্তগুলো জানান।
সিদ্ধান্ত তুলে ধরে তিনি বলেন, সাধারণ ভোটকেন্দ্রসমূহে নির্ধারিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য আগে যা ছিল, সেটা থেকে যথেষ্ট পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। এখন প্রতিটি সেন্টারে অস্ত্রসহ পুলিশ থাকবে তিনজন, অস্ত্রসহ আনসারের পিসি এপিসিসহ থাকবে তিনজন, মোট ছয়জন অস্ত্রধারী সদস্য থাকবেন। প্রতিটি বুথ ম্যানেজমেন্টের জন্য কমপক্ষে ১০ জন আনসার থাকবে। ছয়টির বেশি বুথ যেখানে আছে সেখানে অতিরিক্ত একজন করে থাকবেন।
সিনিয়র সচিব বলেন, গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে অস্ত্রসহ পুলিশ সদস্য থাকবেন চারজন, অস্ত্রসহ আনসার সদস্য থাকবেন তিনজন, মোট ১৭ থেকে ১৮ জন ফোর্স মোতায়েন থাকবে।
তিনি বলেন, ভোটের দিন ব্যালট পেপার পৌঁছানো হবে। মোবাইল ফোর্স, স্টাইকিং ফোর্স ভোরেই ব্যালট পেপার পৌঁছে দেওয়ার কাজে নিয়োজিত থাকবে। ব্যালট পেপার সেন্টারে পৌঁছানোর পর তাদের এলাকাভিত্তিক দায়িত্ব বণ্টন করা হবে, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার, রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে সেটা করা হবে। সেভাবেই তারা দায়িত্ব পালন করবে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন। প্রতিটি উপজেলায় একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। আচরণবিধি মানা হচ্ছে কি না সেটা দেখভালের জন্য ভোটের দুদিন আগে, ভোটের দিন এবং ভোটের পরে দুদিন তারা থাকবেন।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ৭৩ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি
তিনি বলেন, আমাদের স্ট্রাইকিং ফোর্স বা মোবাইল ফোর্স থাকবে গড়ে প্রতি পাঁচটি সেন্টারের জন্য একটি আনসার, পুলিশ, বিজিবি র্যাব ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে। উপকূলীয় এলাকাগুলোতে বিজিবির পরিবর্তে কোস্টগার্ড দায়িত্ব পালন করবে। পার্বত্য এলাকার কিছু দুর্গম কেন্দ্রে প্রতি বছরের মতো এ বছরও হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ভোটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং ভোটের উপকরণ পৌঁছে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, এই পর্যন্ত গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী সেরকম কোনো সহিংসতার খবর নেই। তারপরও আমাদের প্রতিটি বাহিনী সতর্ক থাকবে। সুষ্ঠু ভোটের জন্য যা যা করণীয় তা করা হবে।
সব বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি সমন্বয় সেল হবে জানিয়ে সিনিয়র সচিব বলেন, গত সংসদ নির্বাচনের আদলে সব ধরনের নির্বাচনসংক্রান্ত অভিযোগ ৯৯৯-এর মাধ্যমে গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে এটি ম্যানেজ করা হবে। প্রতিটি অভিযোগ আসার পর থেকে এটি কীভাবে নিষ্পত্তি হলো, কে এটি দেখল- সবকিছু ট্র্যাকিং থাকবে এবং একটি টিম এখানে বসে দেখভাল করবে।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রতি ভোটের দুই দিন আগে, ভোটের দিন, ভোটের পরের দিনসহ মোট চার দিন আমাদের এই সমন্বয়ে সেল থাকবে।
আরও পড়ুন: সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলারটাও বিশ্বাসযোগ্য হবে: ইসি আনিছুর
৬ মাস আগে
শরীয়তপুর-২ আসনে ভোট কেন্দ্রে আগুন
রাতের আঁধারে শরীয়তপুরের নড়িয়ার একটি ভোটকেন্দ্রে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হলেও কয়েকটি বেঞ্চ পুড়ে গেছে।
শুক্রবার দিবাগত রাতে শরীয়তপুর-২ আসনের নড়িয়া উপজেলার চরমোহন সুরেশ্বর প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ২ ভোট কেন্দ্রে আগুন
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নড়িয়ার ঘরিষার ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্র ৬৫নং চরমোহন সুরেশ্বর স্কুলের জানালা দিয়ে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
আগুনের ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ সাধারণ জনতা আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এসময় জনতার টের পেয়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: বেলকুচিতে তাঁত কারখানায় আগুন, ক্ষতি প্রায় অর্ধ কোটি
বিষয়টি নিয়ে ঘরিষার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রব খান বলেন, আমরা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছি। তিনটি বেঞ্চ পুড়ে যাওয়া ছাড়া ভোট কেন্দ্রটির কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মাহবুবুল আলম বলেন, ৩৭৮টি কেন্দ্রের মধ্যে একটি কেন্দ্রের জানালার গ্লাস ভেঙে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে। কেন্দ্রটির তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আশা করছি একটি সুন্দর পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন হবে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বাসে আগুন, দগ্ধ হেলপার
১০ মাস আগে
চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনের ৭২% কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনের মোট ভোটকেন্দ্র আছে ২ হাজার ২৩টি। এরমধ্যে ১ হাজার ৪৫৯টি ভোটকেন্দ্রকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ (ঝুঁকিপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। অর্থাৎ ৭২ শতাংশ কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ।
পুলিশের দেওয়া তথ্য মতে, নগরীর ছয়টি আসনের ৬৬০টি ভোটকেন্দ্রে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলার ১০টি আসনের ১ হাজার ৩৬৩টি ভোটকেন্দ্রের দায়িত্ব পালন করবে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ। এরমধ্যে সিএমপি এলাকায় ৪৪৬টি ভোটকেন্দ্র এবং জেলার বিভিন্ন এলাকায় ১০টি আসনে ১ হাজার ১৩টি ভোটকেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার প্রতি ১০টি কেন্দ্রের জন্য সিএমপির একটি মোবাইল টহল টিম মোতায়েন থাকবে। নগরীর সব ভোট কেন্দ্রের জন্য থাকবে ৪২টি স্ট্রাইকিং ফোর্স। ৬ ও ৭ জানুয়ারি অতিরিক্ত ১৫টি মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্ব পালন করবে। নগরীর ছয় আসনে ৩৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে। এ ছাড়া সাত প্লাটুন বিজিবি রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে অবস্থান করবে। উপজেলার আওতাধীন আসনগুলোতে ব্যাটালিয়ন আনসারের ১৩টি টিম স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন থাকবে।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে আ. লীগ প্রার্থীর সমর্থককে গুলি করে হত্যা
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বলেন, ‘নগরীর ছয়টি আসনে ৪৪৬টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে চারজন এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে তিনজন পুলিশ সদস্য এবং ১৫ জন আনসার সদস্য থাকবে। পাশাপাশি মোবাইল টিম, থানা এবং কন্ট্রোল রুমে স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। সোয়াত, বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট ও ডগ স্কোয়াডের কে-নাইন ইউনিটকেও স্ট্রাইকিং হিসেবে রাখা হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে। এর একটি তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত, একটি নির্বাচনের দিন এবং অপরটি নির্বাচন পরবর্তী সময়ের জন্য।’
জেলা পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ জানান, জেলা এলাকার সাধারণ ভোটকেন্দ্রে দুজন অস্ত্রধারী পুলিশ, ‘গুরুত্বপূর্ণ’ কেন্দ্রগুলোতে তিনজন অস্ত্রধারী পুলিশ মোতায়েন থাকবে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে মোতায়েন থাকবে ১০ জন আনসার-ভিডিপি সদস্য, এক অথবা দুজন গ্রাম পুলিশ সদস্য। এছাড়াও সেনা ও বিজিবি দায়িত্ব পালন করবে।
আরও পড়ুন: এবার নতুন ভোটার হয়েছে ১ কোটি ৫৪ লাখ: ইসি
১০ মাস আগে
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অভ্যন্তরে ‘চুরির সময়’ মালামালসহ ৩ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পু্লিশ। সোমবার (৩ জুলাই) রাত আনুমানিক ২টার সময় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অভ্যন্তরে বিএফসিএল এর নির্মাণাধীন অডিটোরিয়ামের উত্তর কোনায় ওয়াচ টাওয়ারের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তারেরা হলেন-বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার শুভদিয়া গ্রামের আবু জাফরের ছেলে পারভেজ শেখ (২৪), আবু জাফরের ছেলে সালাম শেখ (৩৫) এবং মো. ইয়ামিন শেখের ছেলে ধলু শেখ (২৪)।
আরও পড়ুন: ফেনীতে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী আহত, গ্রেপ্তার ৩
রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আশরাফুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সোমবার (৩ জুলাই) রাত আনুমানিক ২টার সময় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অভ্যন্তরে বিএফসিএল এর নির্মাণাধীন অডিটোরিয়ামের উত্তর কোনায় ওয়াচ টাওয়ারের পাশে কয়েকজন ব্যক্তি তামার তারসহ মালামাল নেওয়ার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সিকিউরিটি ইনচার্জ মো. মনিরুল ইসলাম অভিযান পরিচালনা করেন। ওই সময় ৪০ কেজি তামার তার, বিভিন্ন প্রকারের পাইপ ও লোহার ২০০ কেজি মালামাল উদ্ধার করা হয় এবং এসময় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় রামপাল থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বাগেরহাট আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
গোবিন্দগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ১, গ্রেপ্তার ৬
১ বছর আগে
কেসিসি নির্বাচন: অধিকাংশ কেন্দ্র ফাঁকা, ১১টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ ১১%
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খুলনায় ভোটার উপস্থিতি কমে গেছে। ফাঁকা হয়ে গেছে অধিকাংশ ভোটকেন্দ্র। বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র
ঘুরে ও প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে বেলা ১১টা পর্যন্ত গড়ে ভোট পড়েছে ১১ শতাংশ।
নগরীর ২৫নং ওয়ার্ডের শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ কেন্দ্রে (২১৪) গিয়ে দেখা গেছে ভোটার উপস্থিতি কম।
কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার রণজিৎ কুমার বিশ্বাস জানান, বেলা ১১টা পর্যন্ত ১৩৫টি ভোট পড়েছে। কেন্দ্রটিতে মোট ভোটার ১ হাজার ৪৯৩। ভোটের হার ৯ দশমিক ০২ শতাংশ।
নগরীর ১৮ নং ওয়ার্ডের দারুল কুরআন সিদ্দিকিয়া কামিল মাদরাসা কেন্দ্রেও ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। প্রিজাইডিং অফিসার মোহাম্মদ মানিক জানান, ১ হাজার ৬৫৮ জন ভোটারের মধ্যে ১১টা পর্যন্ত ১৭০ জন ভোট দিয়েছেন। ভোটের হার ১০ দশমিক ২৫ শতাংশ।
একই সময়ে নগরীর ১৯নং ওয়ার্ডের ন্যাশনাল উচ্চ বিদ্যালয় ১১ শতাংশ ভোট পড়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু
নগরীর ২৭নং ওয়াডের পিটিআই মহিলা কেন্দ্রে ১১টা পর্যন্ত ৭ দশমিক ০২ শতাংশ এবং পুরুষ কেন্দ্রে ৯ শতাংশ ভোট করেছে বলে দুই প্রিজাইডিং কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
তবে ব্যতিক্রম ছিল খুলনা ১৭ নং ওয়ার্ডের খুলনা কলেজের স্কুল কেন্দ্রে। ওই কেন্দ্রে ২ হাজার ৮৬৮ জন ভোটারের মধ্যে ১১ টা পর্যন্ত ৫৩৩ জন ভোট দিয়েছেন। ভোটের হার ১৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ। কেন্দ্রটিতে এখনও ভোটার রয়েছে।
আজকের খুলনা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন, সাধারণ ২৯টি ওয়ার্ডে ১৩৪ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নগরীর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে এস এম খুরশিদ আহমেদ টোনা এবং ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে জেড এ মাহমুদ ডন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচনে মোট ভোটার ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৮ জন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন ঘিরে খুলনা সিটিতে কঠোর নিরাপত্তা বলয়
১ বছর আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ উপনির্বাচনে ২ প্রার্থীর সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ককটেল উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে একটি কেন্দ্রে দুই পক্ষের ধাওয়া, পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় কেন্দ্রের মাঠ থেকে একটি ককটেল উদ্ধার করা হয়।
আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আপেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সামিউল হক লিটন ও নৌকার প্রার্থী আব্দুল ওদুদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া, পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এই ঘটনায় কেউ আহত হয়েছে এমন খবর পাওয়া যায়নি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) আবুল কালাম শাহিদ জানান, দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মাঝে ধাওয়া, পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে একটি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাবুগঞ্জে স্কুলমাঠে ককটেল বিস্ফোরণ!
নওগাঁর মান্দায় আমবাগান থেকে ১৮টি ককটেল উদ্ধার
১ বছর আগে
রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের চুল্লি বসছে বুধবার, উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের (আরএনপিপি) দ্বিতীয় ইউনিটে চুল্লি স্থাপন (রিঅ্যাকটর প্রেসার ভেসেল) হবে বুধবার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এর উদ্বোধন করবেন।
মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এই কর্মসূচির কথা জানান।
তারা বলছেন, ইতোমধ্যে প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের ভৌত কাজের ৭০ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে এবং দ্বিতীয় ইউনিটে চুল্লি স্থাপন করার মধ্য দিয়ে প্রকল্পের মোট ভৌত কাজের ৫৩ শতাংশ সম্পন্ন হবে।
পাবনা জেলার ঈশ্বরদীতে ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মিত দেশের একমাত্র পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে দু’টি ইউনিট থাকবে। যার প্রতিটিতে এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা থাকবে।
রাশিয়ার রোসাটম স্টেট করপোরেশনের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ এই অনুষ্ঠানে শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকতে ঢাকা আসছেন এবং প্রধানমন্ত্রী ঢাকার তার সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন।
গত বছরের অক্টোবরে প্রথম ইউনিটের চুল্লি স্থাপন উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
বিদ্যুৎ উৎপাদনে দেশের বৃহত্তম প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ডা. মো. শওকত আকবর ইউএনবিকে বলেছেন, ‘চুল্লি স্থাপনের সঙ্গে প্রকল্পের দ্বিতীয় ইউনিটের ভৌত কাজের লক্ষ্যমাত্রার ৪৫ শতাংশেরও বেশি সম্পন্ন হবে।’
সরকার ২০০৯ সালে প্রকল্পটি হাতে নেয় এবং দীর্ঘ আলোচনার পর ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই রাশিয়ান ফেডারেশনের সঙ্গে ১১ দশমিক ৩৮৫ বিলিয়ন ডলারের একটি ক্রেডিট চুক্তি সই করে যাতে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি সংস্থা- রোসাটমকে এর ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়।
এছাড়াও ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট বাংলাদেশ প্রকল্পের জন্য রাশিয়ার সঙ্গে একটি পারমাণবিক জ্বালানি সরবরাহ চুক্তি সই করে।
চুক্তি অনুযায়ী, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পারমাণবিক জ্বালানি সংস্থা টিভেল জয়েন্ট স্টক কোম্পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পুরো জীবনকালের জন্য পারমাণবিক জ্বালানি সরবরাহ করবে।
বিদ্যুতকেন্দ্রের প্রতিটি ইউনিটকে প্রতি ১৮ মাস পর পর মোট প্রয়োজনীয় পারমাণবিক জ্বালানির এক তৃতীয়াংশ পুনরায় লোড করতে হবে এবং প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পুনরায় লোড বিনামূল্যে রাশিয়ান ফার্ম প্রদান করবে।
প্রতিটি পারমাণবিক জ্বালানি পুনরায় লোড করতে খরচ হবে ৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ৫৫০ কোটি টাকার সমান।
ড. শওকত আকবর বলেন, দ্বিতীয় ইউনিটে চুল্লি স্থাপনের পর যে বড় কাজগুলো অসমাপ্ত থাকবে তার মধ্যে রয়েছে প্রি-অপারেশনাল টেস্টিং এবং ফুয়েল লোডিং।
তিনি আরও বলেন, প্রকল্পটি চালু করার আগে আরও কিছু কাজ শেষ করতে হবে। ‘আমরা আশা করছি আগামী বছরের জুনের মধ্যে এই কাজগুলো শেষ করব।’
তিনি বলেন, ‘পাওয়ার গ্রিড লাইন নির্মাণ এবং যোগাযোগ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার নির্মাণ গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর মধ্যে যা রয়েছে তা আগামী ২০২৪ সালের মাঝামাঝি আগে সম্পন্ন করতে হবে।’
পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঙ্গে চুক্তির জন্য একটি নিবেদিত কোম্পানি নিউক্লিয়ার পাওয়ার কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড। এর (এনপিসিবিএল)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. শওকত আকবর বলেছেন, ২০২৪ সালের দ্বিতীয়ার্ধে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন প্রথম ইউনিটের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং ২০২৫ সালে দ্বিতীয় ইউনিট।
প্রাথমিকভাবে প্রথম ইউনিটের বাণিজ্যিক কার্যক্রম ২০২২ এবং দ্বিতীয় ইউনিট ২০২৩ থেকে শুরু করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল এবং তারপর লক্ষ্য পিছিয়ে দেয়া হয়েছিল।
এনবিসিবিএল-এর কর্মকর্তারা বলেছেন, রাশিয়া এবং বেলারুশসহ বিভিন্ন পশ্চিমা দেশ থেকে প্রায় ১৪ হাজার বিদেশি কর্মী এখন বিভিন্ন কাজ সম্পাদনের জন্য ঠিকাদার এবং এর সাব-কন্ট্রাক্টরদের অধীনে এই প্রকল্পে নিযুক্ত রয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর সময়মতো প্রকল্পের বাস্তবায়ন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল।
কিন্তু এই প্রকল্পের রাশিয়ান ঠিকাদার রোসাটম এ বছরের ১ মার্চ একটি বিবৃতিতে এই ধরনের অনিশ্চয়তা উড়িয়ে দিয়ে বলেছে যে সময়মত প্রকল্পের কাজ শেষ করতে কোন ব্যাঘাত হবে না।
রোসাটম বলেছে, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রতিশ্রুতি এবং কাজের সময়সূচিগুলোর মধ্যে কোন বাধার পূর্বাভাস দেয়া হয়নি।’
যদিও রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে বর্তমান যুদ্ধ সম্পর্কে বিবৃতিতে কিছুই উল্লেখ করা হয়নি, তবে ধারণা করা হয় যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কিছু পশ্চিমা দেশ কর্তৃক রাশিয়ার ওপর আরোপিত আর্থিক নিষেধাজ্ঞা নিয়ে উদ্বেগের প্রেক্ষিতে রোসাটম এটি স্পষ্ট করেছে।
রোসাটমের কর্মকর্তারা দ্বিতীয় ইউনিটে চুল্লি স্থাপনকে একটি বিশেষ ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
তারা বলেন, নকশা অবস্থানে দ্বিতীয় পাওয়ার ইউনিটের ভিভিইআর-১২০০ রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল স্থাপন করার কার্যক্রমটি বেশ কয়েকটি ধাপে পরিচালিত হয়েছিল।
একটি লিয়েবয়ার-১১৩৫০ ভারী ক্রলার ক্রেন চুল্লি সিলিন্ডারটিকে পাওয়ার ইউনিটের পরিবহন পোর্টালে তুলেছে।
এরপর একটি বিশেষ পরিবহন ট্রলিতে এটিকে চুল্লির বগির কেন্দ্রীয় হলে সরানো হয়েছিল। আরও একটি পোলার ক্রেনের সাহায্যে চুল্লি সিলিন্ডারটিকে একটি খাড়াভাবে তোলা হয়েছিল এবং চুল্লির যন্ত্রে একটি সাহায্যকারী ফ্রেমে স্থাপন করা হয়েছিল।
রোসাটম জানিয়েছে, এইএম প্রযুক্তিতে নির্মিত ভিভিইআর-১২০০ চুল্লি সিলিন্ডারটির ওজন ৩৩৩ দশমিক ৬ টন।
২ বছর আগে
বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে ময়মনসিংহে ‘অঘোষিত’ পরিবহন ধর্মঘট
বিএনপির সরকারবিরোধী সমাবেশকে সামনে রেখে শনিবার ময়মনসিংহ বিভাগে ‘অঘোষিত’ পরিবহন ধর্মঘট জারি করা হয়েছে।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ইমরান সালেহ প্রিন্স ইউএনবিকে বলেন, শনিবার বিকালে ময়মনসিংহের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে বিএনপি নেতাকর্মীরা যাতে সমাবেশে যোগ দিতে না পারে সেজন্য কর্তৃপক্ষ এ ধরনের ধর্মঘটের আয়োজন করেছে।
তিনি বলেন, সকাল থেকে ‘সরকারের নির্দেশে’ আন্তঃজেলা রুটে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলা থেকে তাদের দলীয় কর্মীরা সমাবেশে যোগ দিতে সমস্যার মুখে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে চলছে বিএনপির দ্বিতীয় বিভাগীয় সমাবেশ
তবে বাস অপারেটররা বলেছেন যে অনেক বাস কোম্পানি তাদের গাড়ির ক্ষতির আশঙ্কায় তাদের কার্যক্রম স্থগিত করেছে, কারণ সম্প্রতি চট্টগ্রামে বিএনপির সমাবেশে এমন ঘটনা ঘটেছে।
প্রিন্স ইউএনবিকে বলেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীরা এখনও হেঁটে বা মোটরসাইকেল, ব্যক্তিগত গাড়ি বা অন্যান্য ছোট যানবাহনে সমাবেশে আসছেন। ময়মনসিংহে আসার জন্য আগে ভাড়া করা অনেক প্রাইভেট গাড়ি হঠাৎ করে নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে আমাদের লোকদের বহন করতে অস্বীকৃতি জানায়।’
বিএনপির পরিকল্পিত বিভাগীয় সমাবেশের অংশ হিসেবে দলটির ময়মনসিংহ মহানগর শাখা দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশের আয়োজন করেছে। ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামে প্রথমটি অনুষ্ঠিত হওয়ায় এটি হবে দলের দ্বিতীয় বিভাগীয় সমাবেশ।
ময়মনসিংহ জেলা মোটর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, চট্টগ্রামে বিএনপির সমাবেশে অনেক যানবাহন ভাঙচুর করায় যানবাহন মালিকরা নিরাপত্তার কথা ভেবে পরিবহন পরিষেবা বন্ধ করে দেন।
ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মাসুম আহমেদ ভূঁইয়া জানান, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তারা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছেন।
চলমান বিদ্যুৎ সংকট ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে দলটির করা সরকার বিরোধী বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে ভোলা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও যশোরে বিরোধী দলের পাঁচ নেতাকর্মী নিহতের ঘটনায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর ১০টি শহরে বিভাগীয় পর্যায়ে জনসভা করার ঘোষণা দেয় বিএনপি।
আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগরীতে বিশাল সমাবেশের মধ্য দিয়ে বিভাগীয় সমাবেশ শেষ করবে দলটি।
আরও পড়ুন: বিএনপির সামনে কোনো বাধাই এখন দাঁড়াতে পারবে না: ফখরুল
১০ ডিসেম্বর থেকে দেশ চালাবেন খালেদা-তারেক: আমান
২ বছর আগে
ঢাকায় অবকাঠামো সহযোগিতা কেন্দ্র চালু করল দ. কোরিয়া
বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কেউন বলেছেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং অবকাঠামো উন্নয়নের অভিজ্ঞতা বিনিময় করে অবকাঠামোগত যাত্রায় তার দেশ বাংলাদেশের পাশে থাকবে।
সোমবার ঢাকায় কোরিয়া-বাংলাদেশ অবকাঠামো সহযোগিতা কেন্দ্রের (কেবিআইসিসি) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, কেবিআইসিসির উদ্বোধন কোরিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্ক যে ঘনিষ্ঠ হওয়াকে নির্দেশ করে।
তিনি বলেন, ‘এটি বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির একটি অবকাঠামোগত উন্নয়নে কোরিয়ার দৃঢ় প্রতিশ্রুতিও প্রদর্শন করে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সাথে সহযোগিতায় বৈচিত্র্য চান দ. কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং
২ বছর আগে
বরিশালে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে রোগী হত্যার অভিযোগ
বরিশালের নবগ্রাম রোডে হলি কেয়ার মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে চন্দন সরকার (২৫) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্বজনরা দাবি করেছেন, তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে হলি কেয়ার মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের চতুর্থ তলার মেঝ থেকে যুবকের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মৃত চন্দন সরকার বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার বড়পাইকা এলাকার চিত্তরঞ্জন সরকারের ছেলে।
লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক শাহজালাল মল্লিক। তিনি জানান, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত ওই যুবকের গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপিও জানে জিয়ার লাশ চন্দ্রিমা উদ্যানে নেই: প্রধানমন্ত্রী
ওই যুবকের মামা নিবাস মহুরী বলেন, ‘ভোর রাতে হলি কেয়ার থেকে মোবাইলে আমাকে জানানো হয় চন্দন আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু আমি তা বিশ্বাস করি না। আমার ভাগ্নেকে টর্চার করে মেরে ফেলা হয়েছে। আত্মহত্যা করলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করবে। কিন্তু এখানে হলি কেয়ারের লোকজনই বাথরুম থেকে লাশ ফ্লোরে এনে রেখেছে। এটি হত্যাকান্ড, আমি এই হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’
হলি কেয়ারের ব্যবস্থাপক মাইনুল হক তমাল দাবি করেন, হলি কেয়ার মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে মোট ২৮ জন রোগী ভর্তি ছিল। এরমধ্যে একজন দুর্ঘটনায় মারা গেছে। এখন ২৭ জন রয়েছে। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে। বিস্তারিত তারাই বলতে পারবেন।
হলি কেয়ারের চতুর্থ তলার দায়িত্বে থাকা ভলান্টিয়ার সরোয়ার বলেন, ‘রাত সোয়া তিনটার দিকে আমাকে ডেকে তোলা হয়, একজন টয়লেটে আত্মহত্যা করেছে বলে। উঠে দেখি চন্দন সরকার গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। আমরা তার লাশ ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামিয়ে মেঝেতে এনে রাখি।’
আরও পড়ুন: বুড়িগঙ্গা থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
বাথরুমের উচ্চতায় কেউ আত্মহত্যা করতে পারে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সরোয়ার বলেন, তা বলতে পারবো না, তবে লাশ সেখান থেকে উদ্ধার করেছি।
এদিকে ভর্তি অন্যান্য রোগীরা জানান, ভলান্টিয়ারের দায়িত্বে থাকা সরোয়ার কথায় কথায় রোগীকে মারধর করে। গতকাল রাত সাড়ে দশটার দিকে চন্দন সরকারকে মারধর করা হয়। শেষ রাতে জানানো হয়, তিনি মারা গেছেন।
অভিযুক্ত সরোয়ার এ বিষয়ে বলেন, ‘গতকাল রাতে চন্দন সরকার পশ্চিম দিকে পা দিয়ে শুলে আরেক রোগী তারিকুল তা নিষেধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চন্দন তারিকুলকে ঘুষি মারেন। এসময়ে চন্দনকে নিবৃত্ত করতে গিয়ে কয়েকটি থাপ্পড় দিয়েছি। কিন্তু তাকে কোনও নির্যাতন করিনি।’
৩ বছর আগে