মেট্রো রেল
ভারতের মণিপুরে ভূমিধসে নিহত ২৪
ভারতের মণিপুর রাজ্যের একটি সেনা ক্যাম্পে প্রবল ভূমিধসে অন্তত ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই সেনা সদস্য বলে জানা গেছে।
উত্তর-পূর্ব ভারতের ননি জেলার একটি নির্মাণাধীন মেট্রো রেলওয়ে সাইটের কাছে টেরিটোরিয়াল আর্মি ক্যাম্পে বুধবার গভীর রাতে ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।
একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা স্থানীয় মিডিয়াকে বলেছেন, এখন পর্যন্ত উদ্ধারকারীরা ঘটনাস্থল থেকে ২৪ টি লাশ উদ্ধার করেছে। নিহতদের মধ্যে ১৮ জন সৈন্য এবং ছয়জন বেসামরিক লোক বলে জানা গেছে।
তিনি আরও জানান, ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ১৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীর অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে। প্রায় ৩৮ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছে।
মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর নিহতদের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার ঘোষণা করেছেন।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, টেরিটোরিয়াল আর্মির নিহত সৈন্যদের সম্পূর্ণ সামরিক সম্মানের সঙ্গে দাহ করা হবে।
আরও পড়ুন: ইরানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৫ জনের মৃত্যু
নূপুর শর্মার দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত: ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
২ বছর আগে
ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে জাপানি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বৃহস্পতিবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে দেখা করেন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে জাপানের সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন।
বৈঠকে কাঁচপুর, মেঘনা, দ্বিতীয় গোমতী সেতু ও ঢাকা মেট্রো রেল সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
তারা উভয়েই পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নের মাধ্যমে অবকাঠামোতে আরও সহযোগিতার প্রচার করতে চেয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা-দিল্লির ক্রমবর্ধমান মিথষ্ক্রিয়া আস্থার উত্তম প্রতিফলন: জয়শঙ্কর
রাষ্ট্রদূত নাওকি বলেন, ‘জাপান বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন অংশীদার হয়েছে। আমরা বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাব।’
এ সময় বাংলাদেশের অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে জাপানের অবদানের প্রশংসা করেন কাদের।
আরও পড়ুন: সংঘাতের পরিণতিতে সাড়া দেয়ার চেয়ে প্রতিরোধে বিনিয়োগ ভালো: ঢাকা
২ বছর আগে
মেট্রোরেল: দৃশ্যমান হলো ২০.১ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট
উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার রুটে ভায়াডাক্টের শেষ গার্ডার বসানোর পর সম্পূর্ণ দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ১৪ মিনিটে শ্রমিকরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ৫৮২ ও ৫৮৩ নম্বর পিলারের মধ্যে ভায়াডাক্টের শেষ স্প্যানটি সফলভাবে স্থাপন করে।
আরও পড়ুন: প্রথমবারের মতো দিয়াবাড়ি থেকে মিরপুর পর্যন্ত চললো মেট্রো রেল
ভায়াডাক্ট ইনস্টলেশনের সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মেট্রো রেলের সার্বিক অগ্রগতি এখন ৭৪ শতাংশ।
মেট্রোরেল রুটের মূল দৈর্ঘ্য ছিল উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার, কিন্তু বর্তমানে তা কমলাপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার বাড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: আগামী বছর বিজয় দিবসে যাত্রী নিয়ে চলবে মেট্রোরেল
উত্তরা থেকে আগারগাঁওয়ে পরীক্ষামূলক মেট্রোরেল চলবে রবিবার
২ বছর আগে
কেমন হবে আমাদের মেট্রোরেল?
দেশ আজ উন্নতির হাইওয়েতে। অনেক স্বপ্নিল প্রকল্পের মাঝে মেট্রো রেলও একটি। কাজ শুরু হয়ে গেছে। ধুলাবালি, কাদা, রাস্তা কাটাকাটির দুঃসহ ট্রাফিক জ্যামের মাঝে ও আশায় বুক বেঁধে আছি কবে এক নিমেষে ফার্মগেট,মতিঝিল চলে যাবো। পরিপাটি পরিচ্ছন, ধুমপান ও খাওয়া দাওয়া বিহীন ট্রেনের কামরায় বসে গন্তব্যে যাচ্ছি। মিষ্টি সুরে বলবে “পরবর্তী ষ্টেশন আগারগাঁও, দরজা বাম দিকে খুলবে, দরজা বন্ধ হচ্ছে ইত্যাদি”। স্মার্ট কার্ড, স্মার্ট টিকেট সিস্টেম কত কিছুই না দেখবে এদেশের জনগন। আহ সেদিন আসিবে কবে?
সুদিন আসছে। রেল গাড়ির ট্রায়াল রান শুরু হয়ে গেছে। পূর্ণাঙ্গ চালু হতে বছর দুয়েক সময় লাগবে।
দুই দশকের ও কম সময়ের আগে যখন দিল্লি যাই তখন দেখি মেট্রো রেলের কাজ চলছে। দিল্লির লোকদের স্বপ্ন পর্ব চলছিলো। কিন্তু কলকাতা এদিকে এক ধাপ এগিয়ে ছিল। কলকাতায় পুরোদমে মেট্রো রেল চালু ছিল। লক্ষ্য করলাম কলকাতার কোচ গুলো চেন্নাই এর তৈরি আর দিল্লির জন্য জাপানি কোচের অর্ডার দেয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় রাজধানী ও প্রাদেশিক রাজধানীর একটা পার্থক্য থাকবেনা? যাক তা দেখা আমার বিষয় নয়।
২০১৭ সালে দিল্লি গিয়েছিলাম। বিমান বন্দর থেকে নিউ দিল্লি ষ্টেশন পর্যন্ত যথাযথ সুন্দর পরিপাটি মেট্রো রেলের দেখা পেলাম। পরবর্তী গন্তব্য গুলোতে যেতে টের পেলাম এটা কোন রেল। লোকজনের ভিড়, ধাক্কা ধাক্কি, মাথায় মালপত্র নিয়ে গায়ের উপর পড়ে যাওয়া কি এক বিচ্ছিরি কারবার। নাভিশ্বাস উঠার অবস্থা। যাত্রীদের পোশাক আশাক, ঘামের গন্ধ, পান ও জর্দার সুবাস সব মিলিয়ে মেট্রো রেলের স্বপ্ন ভঙ্গ হলো। এতো লোক সংখ্যার শহরে আদর্শ মেট্রো রেল কিভাবে কাজ করবে। কোচ গুলির অনেক সিস্টেম কাজ করে না। মিষ্টি গলায় যাত্রীদের জন্য ঘোষণা আসে না।
কর্তৃপক্ষকে দোষ দেবার সুযোগ কই? মেট্রো রেলের সব কিছুই তারা ঠিক মত করেছে। কিন্তু পরিকল্পনাবিদরা ভাবেননি যে ভবিষ্যতে লোক সংখ্যা কি দাড়াবে? অশিক্ষিত জনগনের জন্য আধুনিক সিস্টেম নির্ভর মেট্রো রেল কতটুকু সুবিধাজনক ভাবে কাজ করবে। দিল্লি পৃথিবীর এক নম্বর নোংরা শহর। পরিচ্ছন্ন মেট্রো রেল এর সাথে সাথে এর আরোহীদের সাফ সুতরা করার কোন পরিকল্পনা ছিল কি? নিরাপত্তার নামে ষ্টেশন গুলোতে চেকিং ও মালপত্র স্ক্যানিং এর দীর্ঘ লাইন বিরক্তিকর ও বিব্রতকর। অনেক লাগেজের সাইজ এতো বড় যে স্ক্যানিং মেশিনে ঢোকে না। কলকাতা যাওয়া হয়নি। সেখানকার মেট্রো রেল দিল্লির মত কিনা জানি না।
আমরা সব কিছুতেই বিশ্বের এক নম্বর। আমাদের পরিকল্পনাবিদরা নিশ্চয় এসব দিক বিবেচনায় রেখেছেন যে আগামী দিনের জনসংখা ও আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে আমাদের কি রকম মেট্রো রেল হওয়া উচিৎ। এটা কি সিঙ্গাপুর জাপানের আদলে আদর্শিক কিছু নাকি মস্কোর মেট্রো রেলের ন্যায় শক্তিশালী ও কার্যকর একটা মেট্রো রেল হবে তা দেখার অপেক্ষায় আছি। তবে নির্মাণকালীন সময়ের দুর্ভোগ (যা শুরু হয়ে গেছে) কাটিয়ে যদি বেঁচে থাকি তাহলেই মেট্রো রেল দেখতে পাবো। অপেক্ষায় থাকলাম।
লেখক: কলামিস্ট ও অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা
(প্রকাশিত মতামতের দায় লেখকের, ইউএনবির নয়)
আরও পড়ুন: পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ
নয়া তালেবান, পুরান তালেবান: তফাৎ কী?
৩ বছর আগে
প্রথমবারের মতো দিয়াবাড়ি থেকে মিরপুর পর্যন্ত চললো মেট্রো রেল
প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে চলাচল করেছে মেট্রো রেল। শুক্রবার সকালে ছয়টি বগি নিয়ে একটি মেট্রো রেল রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে মিরপুর পর্যন্ত চলাচল করেছে।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন সিদ্দিক ইউএনবিকে বলেন, তারা উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত রেলপথ পরীক্ষা করার জন্য শুক্রবার সকালে দিয়াবাড়ি থেকে মিরপুর পর্যন্ত ছয়টি বগির একটি রেল পরীক্ষামূলকভাবে চালিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলের ৬৩.২ শতাংশ কাজ শেষ: কাদের
তিনি বলেন, সংস্থাটি তাদের কাজের পুনর্মূল্যায়নের জন্য ২৯ আগস্ট একই কোচগুলো রেলপথে আবারও পরীক্ষামূলকভাবে চালাবে।
করোনাভাইরাস মহামারিতে নানা বাধা সত্ত্বেও প্রকল্পের কাজের গতি অব্যাহত ছিল বলে ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে মেট্রো রেলের জন্য দীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষ হতে চলেছে।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলের প্রথম মেট্রোট্রেন এসে পৌঁছেছে
ছয়টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচ বিশিষ্টি চারটি ট্রেন ইতোমধ্যে জাপান থেকে বাংলাদেশে পৌঁছেছে এবং আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে আরও পাঁচ সেট ট্রেন আসার কথা রয়েছে।
আগারগাঁও, ফার্মগেট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এবং মতিঝিল হয়ে উত্তরা থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার রুটে চলাচলকারী ২৪ টি ট্রেনের জন্য মোট ১৪৪ টি কোচ থাকবে। প্রকল্পের তথ্য অনুযায়ী মোট ১৭ টি স্টেশন থাকবে।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলের উদ্বোধন ২০২১ সালে: সেতুমন্ত্রী
৩ বছর আগে