হিন্দু সম্প্রদায়
হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের অজুহাতে ভয় দেখাচ্ছে ভারত: ফরিদা আখতার
‘হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন হচ্ছে’ এই কথা বলে কিছু ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত যে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে তাতে বাংলাদেশ ভয় পায় না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
তিনি বলেন, ‘ শেখ হাসিনাকে সেখানে (ভারত) বসিয়ে রেখে তারা আমাদের সারাক্ষণ ভীতির মধ্যে রেখেছে, কিন্তু আমরা ভয় পাই না।’
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে গণ-আকাঙক্ষা মঞ্চের এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফরিদা আখতার এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভারত কি জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থান ঠেকাতে পেরেছে? তারা হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু, বাংলাদেশে কি রাখতে পেরেছে? তাহলে ভারতকে আমরা ভয় পাব কিসের জন্য!
তিনি বলেন, আমরা যে পরিবর্তন চেয়েছি, সেই পরিবর্তন আমাদের সন্তানেরা করেছে। তারা ভারতসহ সারা পৃথিবীকে দেখিয়ে দিয়েছে গণঅভ্যুত্থান কী। যেটা কোনো রাজনৈতিক দল পারেনি, সেটা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেখিয়েছে। তার ১৫ বছরের ফ্যাসিস্টকে সরাতে পেরেছে।
আরও পড়ুন: চাহিদার বিপরীতে খাদ্যদ্রব্য অন্য বিভাগে পাঠাতে উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে: ফরিদা আখতার
এছাড়া এখন সব রাজনৈতিক দল এক হয়ে ঐক্যের কথা বলছে। এই ঐক্য আমাদের ধরে রাখতে হবে বলেও জানান উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসেনি, এটা ক্ষমতা নয়, আমরা দায়িত্বে গিয়েছি। ক্ষমতায় বসার কোনো যোগ্যতা আমাদের নেই। নির্বাচনে যারা নির্বাচিত হয়ে আসবে, তারা যেন ক্ষমতায় না বসে এই চেষ্টা করতে হবে। এটাই হবে সংস্কার।
উপদেষ্টা বলেন, আমরা কাউকে আর ক্ষমতায় দেখতে চাই না। ক্ষমতা যে কী ভয়াবহ জিনিস সেটা দেখেছি। দায়িত্ব যারা নেবেন, যে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন করতে চান, তাদের আগেই বার্তাটা দিতে হবে। আপনারা ক্ষমতায় যাচ্ছেন না। আপনারা যদি দায়িত্ব নিতে চান তাহলে নির্বাচন করেন। তা না হলে নির্বাচন করার কোনো অধিকার নেই।
তিনি বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা শুধু সেনাবাহিনীর কাজ নয়। দেশের সার্বভৌমত্বকে রক্ষা আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব। কাজেই আমরা ভীত না।
তিনি আরও বলেন, হাসিনা যদি দেশে আসে অবশ্যই তার বিচার হবে। তার বিচার হতেই হবে। এত মৃত্যু শুধু জুলাই-আগস্টে ঘটেনি। গত ১৫ বছরে কত মানুষকে গুম, খুন, যখন তখন উঠিয়ে নিয়ে গেছে। হাসিনার বিচার এই মাটিতে হবে। শুধুমাত্র বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য। এছাড়া তার এদেশে আসার কোনো অধিকার এবং ক্ষমতা নেই।
উপদেষ্টা বলেন, আন্দোলনে যারা আহত হয়েছেন তাদের অনেকে আইসিইউতে আছে। এখনও মারা যাচ্ছে। এর তালিকা বাড়ছে, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।
গণ-আকাঙক্ষা মঞ্চের আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ অন্তর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
আরও পড়ুন: মৎস্যজীবী-মৎস্যখাত চরম বৈষম্যের শিকার: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার
২ সপ্তাহ আগে
সারা দেশে পালিত হচ্ছে জন্মাষ্টমী
ভগবান কৃষ্ণের জন্ম উপলক্ষে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সারাদেশে জন্মাষ্টমী পালন করছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অনুসারে, এদিন হিন্দু সম্প্রদায়ের দেবতা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মতিথি। পৃথিবী থেকে অশুভ শক্তি দমন; কল্যাণ, ন্যায় ও শুভ শক্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দ্বাপর যুগে ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে এই দিনে রাজা কংসের বন্দীশালায় ভগবান বিষ্ণু মহাবিশ্বে কৃষ্ণরূপে অবতীর্ণ হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: আজ শুভ জন্মাষ্টমী
দিনটি সরকারি ছুটির দিন।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
জাতীয় দৈনিকগুলো বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং অন্যান্য বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিও স্টেশনগুলো ভগবান কৃষ্ণের ঘটনাবহুল জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে।
আরও পড়ুন: যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যে জন্মাষ্টমী পালিত হচ্ছে
জন্মাষ্টমীতে হিন্দু সম্প্রদায়কে বিএনপির শুভেচ্ছা
১ বছর আগে
নিরাপত্তাহীনতায় বাংলাদেশ থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক ক্রমান্বয়ে দেশ ছাড়ছে: গয়েশ্বর
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় অভিযোগ করে বলেন, নিরাপত্তাহীনতার কারণেই বাংলাদেশ থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ক্রমান্বয়ে প্রস্থান করছে।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা সব ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার লোক একসঙ্গে যুদ্ধ করেছিলাম। পাকিস্তানিদের যে অত্যাচার-নির্যাতন-শোষণ-বর্ণ বৈষম্য, ধর্মীয় বৈষম্যের আলোকে যে আচরণ করত, সেটা সুষ্ঠু রাজনৈতিক রাষ্ট্রের জন্য যথেষ্ট না এবং সেই চেতনাবোধ থেকেই বাংলাদেশ স্বাধীনতার পথে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: ইসি নয়, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের প্রতিই বিএনপির মনোযোগ: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
তিনি বলেন, কিন্তু আমরা দেখলাম যে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে পালাক্রমে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে, বিশেষ করে দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী সেটা হিন্দু সম্প্রদায়, তারা ক্রমান্বয়ে প্রস্থান করছে।
শুক্রবার (২৩ জুন) সকালে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের এক সংবাদ সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, অর্থাৎ ১৯৬৪ সালে দাঙ্গায় মানুষ যেমন দলে দলে একসঙ্গে মিছিল করে দেশত্যাগ করেছে, তা নয়। প্রতিদিনই যাচ্ছে সেটা আমরা হয়তো অনুমান করতে পারছি না। যখন পরিসংখ্যান আসে, দেখা যায় যে ক্রমান্বয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের সংখ্যা কমতে থাকে। এক সময়ে ৬০ এর দশকে হিন্দু সম্প্রদায় ৩৭ শতাংশ বাংলাদেশে ভূখণ্ডে বাস করত।
এখন এটা ১০ এর নিচে নেমে এসেছে। তার মানে এভাবে কমছে, ক্রমান্বয়ে যাচ্ছে।
এর কারণ তুলে ধরে গয়েশ্বর বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা, তাদের যে নাগরিক অধিকার সংবিধানে আছে, সেটা থেকে বঞ্চিত এবং প্রশাসনের কাছে কোনো অভিযোগ করলে তারা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অভিযোগগুলো খুব একটা গুরুত্ব দেয় না এবং এড়িয়ে চলে। সংখ্যালঘুদের যে নাগরিক অধিকার আছে, তার নিরাপত্তার বিষয়টা আছে, সেগুলো প্রশাসন তদারকি করে না।
দুঃখজনক হলেও সত্য যে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকেরা আদালত বলেন আর প্রশাসন বলেন, কোথাও কিন্তু গুরুত্ব পায় না। এক কথায় বলা যায়, বাংলাদেশে পাত্তা পায় না।
তিনি বলেন, আজকে পার্শ্ববর্তী একটি গণতান্ত্রিক দেশ ভারতবর্ষ। আমাদের দেশের হিন্দুরা সেকেন্ড হোম হিসেবে ভারতকে বেছে নেয়। একটা পূর্বঠিকানা থাকা দরকার, এখানে থাকা যাবে না, এই যে মনোবৃত্তিটা কেন সৃষ্টি হলো?
সৃষ্টি হলো এই কারণে যে, রাষ্ট্রীয় প্রশাসন যন্ত্রের ব্যর্থতা, অর্থাৎ রাষ্ট্র সবাইকে এই বাংলাদেশটা যে সবার এই আস্থা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৩০ মাসের বিল বকেয়া, বিএনপি নেতা গয়েশ্বরের বাসার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
মানুষের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করাই বিএনপির দায়িত্ব: গয়েশ্বর
১ বছর আগে
সীতাকুণ্ডে ৩ দিনব্যাপী শিবচতুর্দশী মেলা শুরু আজ
হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে প্রাচীনতম ধর্মীয় উৎসব চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড চন্দ্রনাথ ধামে শিবচতুর্দশী মেলা আজ (১৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে। সীতাকুণ্ড পাহাড়ের সর্বোচ্চ চূড়ায় অবস্থিত চন্দ্রনাথ মন্দিরকে ঘিরে তিন দিনব্যাপী শিবচতুর্দশী মেলা চলবে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
এ মেলা উপলক্ষে ইতোমধ্যে প্রশাসন ও মেলা কমিটির সমন্বয়ে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। মেলার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নেয়া হচ্ছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
মেলাকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে দেশ-বিদেশ থেকে দর্শনার্থীরা সীতাকুণ্ডে আসছেন। সারাদেশ থেকে দর্শনার্থীরা যাতে মেলায় যোগ দিতে পারেন সে জন্য প্রতি বছরের ন্যায় এবারও মেলাকে ঘিরে যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে সীতাকুণ্ডে দাঁড়াবে সাতটি এক্সপ্রেস ট্রেন।
মেলায় প্রতি বছরের মতো এবারও ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সাধু- সন্ন্যাসী ও দর্শনার্থীদের আগমন ঘটবে। কয়েকশ’ বছরের প্রাচীন এই মেলাকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর লাখ লাখ ভক্তের আগমন ঘটে।
এদিকে মেলায় স্টল তৈরির কাজ মোটামুটি শেষ। পাহাড়ের পাদদেশ থেকে চন্দ্রনাথ মন্দির পর্যন্ত লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে শিব চতুরদর্শী মেলা সোমবার শুরু
১ বছর আগে
হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনার বিচারিক তদন্তের নির্দেশ
সম্প্রতি দুর্গাপূজা চলাকালে ছয় জেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির, বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর বিচারিক হাকিমকে (সিএমএম/সিজেএম) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই ছয়টি জেলা হচ্ছে-কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও রংপুর। তদন্ত করে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে আদালত রুল জারি করেছেন। রুলে এসব হামলায় হিন্দুদের দুর্গাপূজা প্যান্ডেল, মন্দির, বাড়ী, জীবন ও সম্পত্তি রক্ষায় সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের জীবন,উপাসনালয় এবং সম্পতি রক্ষায় ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, ধর্ম সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, সংশ্লিষ্ট ছয়টি জেলার ডিসি ও এসপিসহ ২১ জন বিবাদীকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোর্শেদ। আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, রিট আবেদনে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় রাষ্ট্রের ব্যর্থতা ও স্থানীয় প্রশাসনকে সরাসরি দায়ী করা হয়েছে। আমরা আবেদন থেকে এই শব্দগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানাই। কারণ হামলার ঘটনায় রাষ্ট্র বসে নেই। কুমিল্লা, রংপুরে অনেক দুর্বৃত্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় মণ্ডপে কোরআন অবমাননার মামলা সিআইডিতে
অন্যদিকে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেছেন, এসব হামলার সময় স্থানীয় প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা চেয়েও পায়নি ভুক্তভোগীরা। সংবিধানে দেশের সকল নাগরিকের জীবন সম্পত্তি, চলাফেরা ও নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে পালনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় প্রশানের ব্যর্থতায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে ভাংচুর, অগ্নিসেংযোগ, মন্দিরে ভাংচুর চালানো হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার সাহা ও মিন্টু চন্দ্র দাশ গত ২১ অক্টোবর এ রিট করেন।
৩ বছর আগে
শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু
দেশজুড়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা শুরু হয়েছে। আজ সোমবার (১১ অক্টোবর) সারা দেশের মন্দিরে দেবী দুর্গার অবতার (বোধন) দিয়ে শুরু হয়েছে ষষ্ঠী। আগামী ১৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে দেবী দুর্গার প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে পাঁচ দিনব্যাপী এ উৎসবের শেষ হবে।
এর আগে পূজার দ্বিতীয় দিনে (মঙ্গলবার) মহাসপ্তমীর পূজা, তৃতীয় দিন (বুধবার) মহাঅষ্টমী, কুমারী ও সন্ধী পূজা এবং চতুর্থ দিন (বৃহস্পতিবার) নবমী পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে পূজা পালনের জন্য ইতোমধ্যে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর সারা দেশে ৩২ হাজার ১১৮টি মন্ডপে হবে দুর্গাপূজা। যা গত বছর ছিল ৩০ হাজার ২১৩টি।
সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পূজা মণ্ডপগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ, আনসার, র্যাবসহ সাদা পোশাকের পুলিশ নিয়োজিত থাকবে।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা: হিলি বন্দরে আমদানি-রপ্তানি ৬ দিন বন্ধ
দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৪ দিন বন্ধ থাকবে বেনাপোল বাণিজ্য কার্যক্রম
দুর্গাপূজা: বাগরেহাটে ৬৩৩ মণ্ডপে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে
৩ বছর আগে
কার্তিক সিকদার হত্যা মামলা: ৩ আসামিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
প্রায় ১৫ বছর আগে ফরিদপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক কিশোরীকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ের পর মেয়ের বাবা কার্তিক সিকদারকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত তিন আসামিকে দুই সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
যাদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে তারা হলেন- ইমারত মোল্লা, কালাম মোল্লা ও সিদ্দিক মোল্লা।
হাইকোর্টের জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন শুনে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতির বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত দেবনাথ।
জানা যায়, ফরিদপুরের নগরকান্দার চর যশোরদী ইউনিয়নের যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজ মোল্লা মেঘারকান্দি গ্রামের কার্তিক সিকদারের এক নাবালিকা কন্যা চঞ্চলাকে অপহরণ ও জোর করে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করেন সিরাজ মোল্লা। পরবর্তীতে ২০০৬ সালের ১ জুন রাতে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন যুবদলের তখনকার ইউনিয়ন সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজ মোল্লা ও তার সহযোগীরা কার্তিক সিকদারকে ধরে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করে ফেলে রেখে যায়। আহত কার্তিককে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যেতেও বাধা দেয়া হয়। পরদিন ২ জুন হাসপাতালে নেয়ার পথে কার্তিক সিকদার মারা যান। এরপর তার মরদেহ পোড়াতে না দিয়ে মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়।
এ ঘটনায় ২০০৭ সালের ১৩ মার্চ নিহত কার্তিক সিকদারের স্ত্রী মিলনী সিকদার আদালতে সিরাজ মোল্লা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলায় নিম্ন আদালত ২০১৯ সালের ২২ জুলাই সিরাজ মোল্লাসহ ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে রায় দেয়। রায়ের পর আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়। এ অবস্থায় ইমারত মোল্লা, কালাম মোল্লা ও সিদ্দিক মোল্লা হাইকোর্টে জামিন আবেদন করলে গত ১০ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট তাদের জামনি দেন। এরপর তারা কারাগার থেকে মুক্তি পান। এ অবস্থায় তাদের জামিন স্থগিত ও গ্রেপ্তারের নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
৩ বছর আগে
শাল্লার ঘটনায় ২ মামলা, আটক ২২
সুনামগঞ্জের শাল্লায় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায় অধ্যুষিত নোয়াগাঁও গ্রামে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ৫০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১ হাজার ৫০০ জনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার থানায় দুটি পৃথক মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে ২২ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
৩ বছর আগে
সরস্বতী পূজা ৩০ জানুয়ারি
হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা সারা দেশে ৩০ জানুয়ারি পালন করা হবে।
৪ বছর আগে