ফ্যাসিবাদী
বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করাই একমাত্র লক্ষ্য: মঈন খান
বিএনপির সিনিয়র নেতা ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারকে হটিয়ে তাদের এক দফা আন্দোলন সফল করাই তাদের দলের একমাত্র লক্ষ্য।
তিনি বলেন, ‘আমরা এই সমাবেশের আয়োজন করলেও, আমাদের মূল লক্ষ্য এক দফা আন্দোলন। যে ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারী সরকার দেশের ১৮ কোটি মানুষের ওপর তার অপশাসন চাপিয়ে দিয়েছে, আমাদের এক দফা আন্দোলনের মাধ্যমে তা অপসারণ করতে হবে।’
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বর্ণাঢ্য জনসভার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকার হামলা, নিপীড়ন, মিথ্যা মামলা, হত্যা ও গুম করে পরোক্ষভাবে একদলীয় বাকশাল শাসন কায়েম করে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে চায়। কিন্তু দেশের জনগণ তা হতে দেবে না।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই দিনে আমরা শপথ নিচ্ছি, রাজপথে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে এই অগণতান্ত্রিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব।’
দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের অভিনন্দনও জানান ড. মঈন খান।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারকে জনগণের দাবি মানতে হবে: গয়েশ্বর
১ বছর আগে
সরকার হটাতে শক্তিশালী জোট চান ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান 'ফ্যাসিবাদী' সরকারকে উৎখাত করতে একটি শক্তিশালী জোট গঠনের জন্য সব বিরোধী দল এবং পেশাজীবীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘একটি দানবীয় শক্তি আমাদের সবকিছুকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। প্রকৃত অর্থে এটি একটি একদলীয় সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্য নিয়ে একটি ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র তৈরি করেছে।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য প্রফেসর খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমানের স্মরণে জাতীয় প্রেসক্লাবে রবিবার শাটো নাগরিক কমিটির এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মির্জা ফখরুল এই মন্তব্য করেন। প্রফেসর খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান গত ২০ আগস্ট করোনায় মারা গেছেন।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সত্যিকার অর্থে একটি স্বাধীন, সার্বভৌম এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ উপহার দিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘রাস্তায় নামা ছাড়া আমাদের আর কোন উপায় নেই। শুধু বিএনপি এবং বিরোধী দলকেই নয়, সবাইকেই এতে যোগ দিতে হবে।’
ফখরুল বলেন, ‘সুশীল সমাজের সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাংবাদিকসহ সকল পেশার মানুষ সরকারের নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। সুতরাং, সবাইকে একটি জোটের অধীনে রাস্তায় নামতে হবে।’
ফখরুল অভিযোগ করেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের সাথে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর সকালে বিনা উস্কানিতে হামলা চালায়। তারা (জেসিডি কর্মীরা) তাদের এক সহকর্মীর মুক্তির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গিয়েছিল। কিন্তু পুলিশসহ ছাত্রলীগ ক্যাডাররা তাদের ওপর নির্মমভাবে হামলা করে এবং নির্যাতন করে।’
আরও পড়ুন: আন্দোলনের ভয়ে সরকার স্কুল, কলেজ বন্ধ রেখেছে: বিএনপি
ফখরুল বলেন, ‘কয়েকদিন আগে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানাতে গেলে বিএনপির ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিটের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ হামলা চালায়।তারা (পুলিশ) ১৮৯ রাউন্ড গুলি ছোড়ে।এতে আমান উল্লাহ আমান এবং আমিনুল হকসহ আমাদের ৭২ জন নেতাকর্মী আহত হন।’
তিনি বলেন, ‘সরকার দমনমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তার বিরোধী ও অসন্তোষীদের দমন করার চেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রবিরোধী শক্তিতে পরিণত হয়েছে। আমি সবাইকে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: সরকার সন্ত্রাসের রাজত্ব চালু করেছে: ফখরুল
জিয়া ও খালেদাকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শিষ্টাচার-বহির্ভূত: ফখরুল
৩ বছর আগে